![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী
বিপ্লব::
বিপ্লবের আবেগ, বিপ্লবী ভাণ আর বিপ্লবী চেতনা হলো আলাদা বিষয়।
আবেগপ্রবণ হতে সময় লাগে না। ভাণ করতেও পরিশ্রম কম।
কিন্তু বিপ্লবীচেতনা গড়ে তুলতে হয়। এখানেই চাই দর্শন, জীবনদর্শন এবং নীতিজ্ঞান।
স্থানীয় নৃতাত্ত্বিক, পুরাতাত্ত্বিক, সমাজতাত্ত্বিক, মনস্তাত্ত্বিক, ভাষাতাত্ত্বিক, স্থানীয় সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো, ভৌগোলিক বিষয়, আইনকানুন ইত্যাদি এবং রাজনৈতিক প্রকরণ ও পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। এরসঙ্গে বিশ্ব রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ের সম্পর্ক এবং খোঁজখবর রাখাও জরুরি। সাংস্কৃতিক আন্দোলন কী এবং এর কৌশলগুলোও জানতে হবে। বিশ্লেষণ ক্ষমতা ধারাল করতে হবে। কোথায় কিভাবে কতটা আক্রমণ করব; কখন কতটা পিছু হটব ---এগুলোও জানতে হবে, বুঝতে হবে। প্রবল আক্রমণ করেও প্রতি আক্রমণে নিজেকে বাঁচাতে জানতে হবে এবং দলকেও বাঁচাতে জানতে হবে। সমমনস্কদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হয়। সাধারণের সহমর্মী হতে হয়।
এসব শিখতে হয়। দু-চার পাতা ধর্মগ্রন্থ পড়ে, কিছু সাইটের লেখা পড়ে, রাম শ্যামের বই পড়ে সেগুলোই নানান মোড়কে ফেবুতে, ব্লগে উগরে বড় বড় লেকচার দেওয়া, খিস্তি দেওয়া, বিদ্বেষমূলক কথা বলা বিপ্লবী কাজ নয় এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনও নয়। বরং ওটা বিপ্লবী ভাণ। তাত্ক্ষণিক উত্তেজনায় নেতা হওয়ার ফ্যাশন। নাস্তিকতা এখন যেন একটা ফ্যাশন ও এডভেন্চার! নাস্তিকতা যেন নেশা, পেশা! রকমারি নাস্তিকে এখন ফেবু ব্লগ ভরতি!
বাংলাদেশে ও বাংলায় ধর্মবিরোধীগণ বা নাস্তিকগণ যদি প্রকৃত নেতার দ্বারা একজোট হয়ে পরিচালিত না হয়, তবে সাম্যের স্বপ্ন স্বপ্নই থাকবে, আর খুনই হতে হবে। এছাড়া, ধর্মকে ইচ্ছাকৃত ভাবে যাচ্ছেতাই ভাষায় অহেতুক আক্রমণ করাটা প্রকৃত আন্দোলন নয়। বরং বিশ্লেষণ করা দরকার, গঠনমূলক চিন্তা দরকার, মানবিক হওয়া দরকার। ধর্মীয় আচার নিয়ম ও তত্সম্পর্কীত বিষয়গুলো মানুষের দ্বারা বাহিত/পালিত হয়ে সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে। ফলে, এটা শোষকের শক্তিপোক্ত হাতিয়ার হয়ে গেছে। মানুষের অস্থিমজ্জায় শ্বাসে প্রশ্বাসে মিশে রয়েছে। একে উত্খাত করাও আবশ্যক। তাই ধর্মের গঠনমূলক আলোচনা ও ধর্মের গলদগুলো তুলে ধরা দরকার যুক্তির ভিত্তিতে, মানবতার দৃষ্টিতেই। মানুষের বন্ধু হিসেবেই এগুলো করা দরকার। নেতিবাচক আলোচনায় গালাগাল দিয়ে ইতিবাচক সিদ্বান্তে আসা অসম্ভব। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট হলে 'গায়ের ঝাল মেটানো কথা' বলতে হয় না। "বরং প্রশ্ন করো...।"... না, এডভেন্চার নয়। বরং এরকম কর্মীই তৈরি হোক।
যিনি এমন কর্মী তৈরি করেন, নেতা তৈরি করেন, তিনিই নেতা। বাদবাকি সবই ভাণ।
#শমীন্দ্র ঘোষ
২৯/০৮/১৫
©somewhere in net ltd.