নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালির প্রতি

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

প্রত্যেক সুন্দর মনের বাঙালি আমার বন্ধু। আমি প্রত্যেক সুন্দর মনের বাঙালির বন্ধু। প্রত্যেক সুন্দর মনের বাঙালি পরস্পরের বন্ধু।

"অখণ্ড স্বাধীন ঐক্যবদ্ধ বঙ্গসমাজ গড়ার আহ্বান উঠছে...' ০৯/০৯/১৫"

দাবি উঠছে এটা সত্য। বঙ্গসংস্কৃতির কোনও রাষ্ট্রীয় সীমানা নেই। এই কারণে এই দাবি বেআইনী নয়।
বাঙালির নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্ত্বাই তার সংস্কৃতিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। যা বাকি পৃথিবীর অসংখ্য সংস্কৃতি থেকে তাকে পৃথক করেছে। এই জাতিসত্ত্বা এবং সংস্কৃতিকে খুঁজতে গেলে বঙ্গসংস্কৃতির ভূমিক্ষেত্রকে একক ভাবেই দেখতে হবে। এটা এখন সাতখণ্ডে বিচ্ছিন্ন এবং বহির্সংস্কৃতি দ্বারা আক্রান্ত।
আন্দামানটা বঙ্গসংস্কৃতির আদি ভিত্তিক্ষেত্র নয়। ওটা অর্বাচীন।

তাই, বঙ্গসংস্কৃতির আলোচনা করতে গেলে বিদগ্ধ আলোচকগণ রাষ্ট্রীয় ও রাজ্যের সীমানা ভুলে গিয়ে আলোচনা করেন। আমরা এভাবেই অভ্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা, পূর্ব বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিম ও দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব আসাম, পশ্চিম ত্রিপুরা, বাংলাদেশ--- এই হলো বাঙালির সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র এবং বঙ্গসমাজের কর্মভূমি। সাতখণ্ডে বিভক্ত এবং বিচ্ছিন্ন। বাংলার ইতিহাস সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এইক্ষেত্রে বসবাসকারীদের জীবনচর্যা নিয়েই আলোচনা করতে হবে। এই সাতখণ্ডের সাংস্কৃতিক ঐক্য বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই আবশ্যক। অতএব, এর দাবি তোলাটা অবাস্তব ও মন্দ কিছু নয়।
অতএব, বঙালির স্বার্থে, বাংলাভাষার স্বার্থে, বঙ্গসংস্কৃতির স্বার্থে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। সাংস্কৃতিক অগ্রগমণের স্বার্থেই জরুরি। তাই এই বিষয়ের আহ্বানকে সমর্থন করলাম।

বন্ধু, পাঠক-পাঠিকা, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন রইল। সকল নতুনত্বে উদ্দীপ্ত হোক বঙ্গ। সহজ সরল সাবলীল স্বতঃস্ফুর্তার ঐতিহ্যে সম্বৃদ্ধ বঙ্গসংস্কৃতি কুসংস্কারমুক্ত আবেগহীন মানবিক হয়ে উঠুক। গড়ে উঠুক নব নব সৃজনশীলতায়। বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াক স্বাধীন স্বয়ম্ভর সৃজনশীল বঙ্গসমাজ তার স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ভাষা ও জাতিসত্ত্বাকে রক্ষা এবং স্বীকৃত করতে করতে। এই অখণ্ড সুন্দর উত্‍কৃষ্ট বঙ্গসংস্কৃতি গড়ার স্বার্থে একজন সামান্য সৈনিক হিসেবে বাঙালির বন্ধু হিসেবে বাঙালির সংগ্রামে আমি আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত।
আমি সুন্দর মনের বাঙালির বন্ধু। সুন্দর মনের বাঙালি আমার বন্ধু। সকল সুন্দর মনের বাঙালি পরস্পরের বন্ধু।

"ভারতীয় সংস্কৃতি" --- এটি একটি গুজব। বঙ্গসংস্কৃতি, মারাঠী, গুজরাটী, পঞ্জাবী, মণিপুরী, মাড়ওয়াড়ী, গুর্জর, গোর্খা, ওড়িয়া, তামিল, কন্নড় ইত্যাদি সংস্কৃতি আছে। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতি নেই। কোনও দিন ছিলও না। এবং কোনও দিন হবেও না।

বঙ্গসংস্কৃতির আনুমানিক ১০,০০০বছরের পুরোনো প্রমাণ আছে। সম্ভবত আরও বেশি, ৫লক্ষ বছরেরও বেশি পুরোনো। বঙ্গসংস্কৃতি এখনও আছে, তবে খণ্ডিত ও বিচ্ছিন্নাকারে। একে ঐক্যবদ্ধ করা দরকার। পরস্পরের মতবিনিময়ে চেতনার বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ করা দরকার। এবং এর সার্বিক উত্‍কর্ষসাধনও দরকার।
কিছু বালখিল্য এবং মধ্যবিত্ত মানসিকতা এতে বাধা দিতে পারে। ওটা ওদের স্বভাব। সমাজবদলে ওদের অবস্থান শূন্য। তাই, থেমে থাকলে চলবে না। বঙ্গসংস্কৃতির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। যুক্তিবাদী মানবতাবাদী দৃষ্টিতে বঙ্গসংস্কৃতির উত্‍কর্ষসাধন করতে হবে। আর ধর্মবিভেদ নয়। আর রাজনৈতিক বিভেদ নয়। বরং বাঙালি এক সংস্কৃতিজাত জাতি বৈশিষ্টের, এক ভাষার এক সম্বৃদ্ধ সংস্কৃতি--- একথা বিশ্বাস করতে হবে ঐতিহাসিক ভাবেই। এই সত্যপ্রকাশ করে তাকে মজবুত ভিতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বাঙালিকেই। এজন্য ইতিহাস ও সংস্কৃতিটা জানা জরুরি। হাল ছেড়ো না বন্ধু। বরং আশাবাদী হয়ে নিজেকে সম্বৃদ্ধ করার সময় এসেছে। আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা বোধ, আদর্শ বোধ, মানবতাবোধ অর্জন করার সময় এসেছে। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং প্রচেষ্টায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ্যপূরণ হবেই হবে।
#শমীন্দ্রঘোষ
১০/০৯/১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.