নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অগ্নিগর্ভ হতে চলেছে বাংলা, অশনিসঙ্কেত

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

#অগ্নিগর্ভ_হতে_চলেছে_বাংলাদেশ
#গৃহযুদ্ধের_আশঙ্কা
#যুক্তিবাদী_নাস্তিক_সংখ্যালঘু_শান্তিকামুমুসলিম_ও_নারীদের_প্রতি_অশনিসঙ্কেত:

আবার ধর্ষিত হতে চলেছে বাঙালি। মাস ছয়েক আগে এমন আশঙ্কা করেছিলাম। আইএসআইএস জঙ্গীদের ঘাঁটি গাঁড়ার সংবাদ দিয়েছিলাম এবং সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম এই পেজ-এ। মৌলবাদী তাণ্ডব চালানোর ছক করছে আইএসআইএস জঙ্গীরা। চলবে নারীহরণ ও ধর্ষণ। চলবে ইসলামী সন্ত্রাস। অগ্নিগর্ভ হতে চলেছে বাংলা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।

আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) বাংলাদেশে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে। এভাবে তারা ভারত এবং মায়ানমারে বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক হামলা পরিচালনা করতে চায়। খুব সন্তর্পনে এগোচ্ছে তারা আইন মেনে। এজন্যই জামাতিরা ষড়যন্ত্র করে আগেভাগে বাংলাদেশকে ইসলামী ঘোষণা করাতে দেশের সরকারকে বাধ্য করেছে। শুধু ছাপ্পাটা লাগিয়ে এনেছে আদালতের। নববর্ষ অনুষ্ঠান নিয়েও নানান বিধিনিষেধ চলেছে। সরকারের তরফে ইসলাম-বিরোধীদের বিরুদ্ধে নানান পরামর্শ ও সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। এসবের পিছনে আসলে আছে আইএসআইএস। ওলামা লীগ হলো জামাতপন্থি আওয়ামীর "২নং দল"। আইএসআইএসদের সঙ্গে গভীর আঁতাত আছে জামাতপন্থীদের। আঁতাত আছে অন্যান্য মৌলবাদীদেরও। তারা চায় #হাসিনাকে সরিয়ে #খালেদাকে আনতে, নাহয় নতুন ইসলামী জোট গড়ে ক্ষমতায় আসা। যাতে ইসলামী জেহাদ চালাতে সুবিধা হয়।
আইএসআইএস-এর মুখপত্র সাময়িকী '#দাবিক'-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান আইএসআইএস-এর বাংলাদেশের আঞ্চলিক প্রধান #শেখ_আবু_ইব্রাহিম_আল_হানিফ। আইএসআইএস তাদের 'বাংলার যোদ্ধা' দলের প্রধানের পরিচয় প্রকাশ করলো ও প্রকাশ্য বিবৃতি দিলো এই প্রথম।
আইএসআইএস বাংলাদেশে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন শাখার ঘোষণা না করলেও তাদের বিস্তার হচ্ছে দ্রুত। ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে শহরে। মসজিদ মাজার মাদ্রাসাকে আখড়া বানিয়ে ছদ্মবেশে তারা দল গঠন করতে ব্যস্ত। ইসলাম অনুকুল বাংলাদেশ এখন জঙ্গীর ডেরা হচ্ছে। এই সংগঠনের অনুসারীরা ধর্মনিরপেক্ষ লেখক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে আগেও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এবার চালাবে খুল্লামখুল্লা। এমনটাই বলছেন আইএসআইএস আঞ্চলিক প্রধান।
এই হামলাগুলোর ব্যাপারে #শেখ_আবু_ইব্রাহিম_আল_হানিফের গর্বিত বাণী, "নাস্তিক এবং নবীকে নিয়ে উপহাসকারী এবং মুরতাদদের গলা কাটার জন্য আমাদের যোদ্ধারা এখন চাকু ধার দিচ্ছে।"
আইএসআইএস-এর প্রতিদ্বন্দ্বী দল #আল_কইদার ভারত-উপমহাদেশের শাখা #আকিস এই ধরনের হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে আগেও।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটিতে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের সুবিধার কথা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। আল-হানিফ ভবিষ্যতে 'হিন্দু ভারত' এবং 'বৌদ্ধ বার্মা'র বিরুদ্ধে #জিহাদ পরিচালনা করার পরিকল্পনার কথা বলেন। 'মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ' এবং এ'সমস্ত অঞ্চলে আইএসআইএস-এর খিলাফত প্রতিষ্ঠাই এই #জিহাদের লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
আইএসআইএস-এর আঞ্চলিক প্রধান জানান, ভারতের পূর্বদিকে বাংলাদেশ এবং পশ্চিম দিকে পাকিস্তান। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আইএস-এর শাখা পুরো অঞ্চলটিকে #খোরাসান প্রদেশ নামে ডাকে। অর্থাত্‍ মায়ানমার থেকে সিরিয়া পর্যন্ত খোরসান প্রদেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তিনি আরও বলেন, এর মানে হলো বাংলাকে শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সেখান থেকে এবং পাকিস্তান থেকে একই সঙ্গে ভারতের মধ্যে গেরিলা যুদ্ধ চালানো সম্ভব হবে। মায়ানমারের প্রশ্নে তাঁর কথা, বাংলাদেশে অবস্থান জোরদার করার পরই তারা সে'দেশে হামলা শুরু করবে।
ভারত মায়ানমারে জিহাদ শুরু করতে কেন দেরি হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করে আল-হানিফ বলেন, কাছের শত্রু, বাংলাদেশ সরকার এবং ভুয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণেই দূরের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা যাচ্ছে না।
#দাবিক-এর ১৪তম সংস্করণটি ১৩ই এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে।

চিন্তার ভাঁজ পড়েছে যুক্তিবাদী নাস্তিক সংখ্যালঘু শান্তিকামী মুসলমান ও নারীদের কপালে। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু সন্ত্রাস শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে ধর্ষণের মহোত্‍সব। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেলো, পালটা আঘাত হানতে যুক্তিবাদী এবং নারীরাও প্রস্তুত হচ্ছে। এটাও হবে গেরিলা কায়দায়। গঠিত হয়েছে #মাওবাদী_একশন_স্কোয়াড। মৌলবাদীদের দেশছাড়া করার পরিকল্পনা করেছে যমস্ত সাম্যপন্থিরা। পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দিকেই যাচ্ছে। বিশ্ব দেখবে বাংলার আর একটা রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধ।
#শমীন্দ্রঘোষ
২বৈশাখ, ১৪২৩
১৫/০৪/১৬
সূত্র: #বিশ্বস্ত_সংবাদসংস্থা
ছবি: #বিবিসিবাংলা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.