নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছেটাই প্রবল; লেখালেখি দুর্বল

চারপাশে আত্মমুগ্ধ আদিমতাবোধ, আর গ্রন্থিবদ্ধ চিন্তা; সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজি...

সেতু আশরাফুল হক

All time young and well ইমেইল করুন: [email protected] @লেখক কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

সেতু আশরাফুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাগুদের বলছি..........

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

বাংলাদেশ জিতুক অথবা হারুক, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের প্রতি বিশ্বস্ত। অর্থৎ পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। যদি না নেই তবে অবশ্যই তা দেশদ্রোহীতা। জাত এমন এক জিনিস যা কখনো পবিবর্তন করা যায় না, জাতি হিসেবে আমি বাঙালি, এবং বাংলাদেশী। কিন্তু ধর্ম হলো বিশ্বাস। ধর্ম যে জাত নির্ধারণ করে তা কখনো ধ্রুব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নয়। কেননা ধর্ম কেবলমাত্র বিশ্বাসের ব্যাপার। বিশ্বাস চলে গেলে তা আর ধর্ম থাকে না। কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলেই বাঙালিত্ব ত্যাগ করতে পারবেন না। কখনো আরব, ইংরেজ বা ইউরোপিয়ান হওয়া সম্ভব না। এটা জেনেটিক। অর্থাৎ ছাগল তারাই যারা বইয়ের পাতায় জ্ঞান অর্জন না করে কাঠাল পাতায় করে। ধর্ম বিশ্বাসের নিরিখে বিচার করে এমন কিছু যা যুক্তিনিষ্ঠ নয়, এমন কি ধর্মের নামে অধর্মকেও সত্য বলে বিশ্বাস করে।



সুতরাং যে খেলা নিয়ে এতো কথা তা শুধুই খেলা নয়, তার সাথে আমার দেশপ্রেম, সংস্কৃতি এবং জীবন চেতনা জড়িত। যে বা যারা এই খেলায় আমার দেশের পক্ষে না তারা শত্রুপক্ষ, দেশদ্রোহী বেঈমাণ, তাদের নির্মূলের জন্য পদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক।



এখন আটকে পড়া পাকিস্তানিরা এদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করছে; এমন অনেক রিফুজি রয়েছে যারা এখনও বাংলাদেশকে নিজের দেশ বলে ভাবতে পারে না, কিন্তু বাংরাদেশি হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এছাড়া রয়েছে পাকিস্তানি জারজ সন্তান আর দালাল চক্র যারা আমাদের চিহ্নিত শত্রু।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

বেথুন বলেছেন: ১০ এ ১০...........কোন কথা হবে না........

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৮

নীলাবেশ বলেছেন: আপনার সাথে একমত তবে এইখানে কিনচিত আপত্তি আছে.."জাতি হিসেবে আমি বাঙালি, এবং বাংলাদেশী"
দুইটা তো একসাথে চলে না .। বাঙালি শব্দ টা এসেছে অবিভক্ত বাংলা থেকে যেখানে সবাই বাংলায় কথা বলে। কিন্তু বাংলা এখন বিভক্ত তাই বাঙালি বললে প্রশ্ন আসে আপনি কথাকার বাঙালি? বাংলাদেশের না ভারতের? তারচাইতে এইতাই ভাল না শুধু বাংলাদেশি বলা ,কারন আপনার জাত ও জাতীয়তা বাংলাদেশি।
তবে হ্যাঁ আপনি বাঙ্গাল বলতে পারেন। ওপার বাংলার মানুষ এপার বাংলার মানুষদের বাংগাল বলেই ডাকে।
আর বাংলাদেশি বললেই বোজা যায় আপনি বাংলা বলতে ও বুজতে পারেন।


০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: মিয়া ভাই, আপনার মতে,"জাতি হিসেবে আমি বাঙালি, এবং বাংলাদেশী"
দুইটা তো একসাথে চলে না''। এই কথাতেও আমার দ্বিমত আছে। আমি বাংঙালি এবং বাংরাদেশি এই সত্য দুটো্ই এক সাথে চলে।

তবে এটা ঠিক যে, আমার এ পোষ্টে "বাংলাদেশি" জাতীয়তা সুনিদৃষ্ট করা উচিত ছিল।
বিনীত।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

আরিফ রুবেল বলেছেন: জাতি হিসেবে আমি বাঙালী এবং নাগরিকত্ব হিসেবে আমি বাংলাদেশী। এইখানে মত-দ্বিমতের কি আছে ! বাংলাদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা চাকমা, মারমা এমনকি উর্দুভাষী বিহারীরা বাংলাদেশের নাগরিক হলে তারাও বাংলাদেশী কিন্তু তারা বাঙালী নয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদের বীজ লুকায়িত আছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয় দফা, উণসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে।

যারা বাঙালী জাতীয়তাবাদের সাথে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নামক ধর্ম মিশ্রিত একটা অদ্ভুত জাতীয়তাবাদ দাঁড় করাতে চান তারা ইতিহাসের বিকৃতি করছেন। তারা যেন ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা হওয়া পাকিস্তানের ভুত পুনরায় বাংলাদেশের কাঁধে সওয়ার করাতে চাচ্ছেন।

পাকিস্তান জিন্দাবাদকে কবর দিয়ে জয় বাংলার উপর ভর করে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হল সেই বাংলাদেশে জয় বাংলার চিহ্নকে মুছে দিতে এই ধর্ম ব্যবসায়ীর দল পুনরায় পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছিল। আবার এই ধর্মাশ্রয়ী জাতীয়তাবাদীরাই আবার ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানের সমর্থন করে।
এদের সাথে আবার একদল ধর্মান্ধ হিন্দুও আছে যারা ধর্মের কারনে 'হিন্দুরাষ্ট্র' ভারতকে সমর্থন করে। বস্তুত, বিপরীতধর্মী মনে হলেও এদের স্বদের স্বজাতির সাথে বেঈমানির উৎস কিন্তু এক, ধর্ম। এদের কারনেই সাতচল্লিশে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য নয় বরং ধর্মের ভিত্তিতে অদ্ভুত এক বিভাজনের রাজনীতির শিকার হতে হয়েছে ভারতবর্ষকে।


সেতু ভাই আপনার কাছে কি মনে হয় একটা জাতির সাংস্কৃতিক চরিত্র গঠনে কোনটা বেশি ভূমিকা পালন করে ভাষা না ধর্ম ?

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: পবিপূর্ণভাবে একমত। আমার মনের কথাটা এই মন্তব্যের মধ্যদিয়ে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। অবশ্যই আমি বাঙালি। তবে বাংলাদেশের অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী যেমন চাকমা, মারমা, মগ, মুরং. তংচঙ্গাসহ সবাই বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের স্ব স্ব স্বত্ত্বা বজায় রেখে এ দেশের আনুগত্যশীল নাগরিক।

সহমত।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: খেলার ব্যাপারে আপনার সাথে একমত। তবে একটা বিষয়ে একটু বলি

ধর্ম কেবল মাত্র বিশ্বাসের ব্যাপার না। এটা একটা পরিপুর্ন জীবন ব্যাবস্থা। ধর্মকে আপনি যখন সবকিছুর সঙ্গে মিলাতে পারবেননা তখন আপনি আর ধর্মের সাথে থাকতে পারবেন না।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: ছাগুরা কাঁঠাল পাতা খায় এ কারনেই তারা ঠিক বোঝে না, এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ধর্মের মানুষ সকলেই বাংরাদেশি, তারা সিংহভাগ বাঙালি। এদেশের মানুষ এক সময় বৌদ্ধ, হিন্দু তথা সনাতন ধর্মাম্বলির ছিল। এক সময়ে সিংহভাগ মুসলিম হয়েছে, ইংরেজ আমলে খৃষ্টানও হয়েছে কিন্ত বাঙালিত্ব ত্যাগ করেনি।

ছাগুরা কাঁঠার পাতা চিবায় আর ম্যা ম্যা করে। বিশ্বাস চলে গেলে ধর্ম থাকে কিভাবে তাহার তার সন্ধান করুক। আর জাতিস্বত্ত্বা কিভাবে বিসর্জন দেয়া যায় তার প্রাকটিস করুক। তাদের জন্য তো কেবল কাঁঠার পাতা বরাদ্ধ, যতোই বিজ্ঞান চেতনার কথা বল তারা জ্ঞানের সন্ধান করবে না।
আমিন।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: একটা কথা আমি প্রায়ই বলি, মানব শিশু দুনিয়ার যে প্রান্তে জন্ম নিক সে সর্ব প্রথম চিৎকার করে কেঁদে দুনিয়াকে জানান দেয় যে সে মানুষ। এরপর সে তার মায়ের ভাষায় প্রথম কথা বলে জানান দেয় তার পরিচয়। ধর্ম তো আসে অনেক পরে। একজন হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে পারে, একজন মুসলমান খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করতে পারে। কিন্তু একজন বাঙালী কি কখনও চাকমা হতে পারবে ? কিংবা কোন ইংরেজ কি চাইলেই বাঙালী হতে পারবে ? "

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১০

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: ধর্ম যার যার দেশ সবার। দেশের শত্রু সকলেরই শত্রু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.