![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
All time young and well ইমেইল করুন: [email protected] @লেখক কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন হঠাৎ সারা বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষ এবং মুসলিম স¤প্রদায়ের নিকট প্রিয় হয়ে উঠেছেন। কেন? কারণ তিনি ফোনে ইজরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গাজায় বোমা বর্ষণ করে নিরিহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করেতে বলেছেন। এছাড়াও তিনি হুশিয়ারী দিয়েছেন যে তা না হলে ইজরাইলের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক অবনতি হবে।
এমন কথাই যেন শুনতে চাচ্ছে বিশ্ববাসী বিশেষ করে মুসলিমরা। পুতিন আশা পুরণ করেছেন তথাকথিত মুসলিম বিশ্বকে। আর্ন্তজাতিক রাজনীতিতে ফিলিস্তিনিদের অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। কেননা ফিলিস্তিনিরাও মুসলিম প্রধান। একমাত্র মুসলিম প্রধান হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিরা যেমন সমর্থন পায়, তেমনি অর্থ, অস্ত্র এবং রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ও দেয় মুসলিম রাষ্ট্রগুলো।
মিডিয়া বা গণমাধমও প্রচার ক্ষেত্রে সিংহভাগ মানুষের ধর্মানুতূতিকে মাথায় রেখেই সংবাদ প্রচার করে থাকে। তারা সত্যকে চাপা দেয়, মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠার করার প্রচেষ্টায় থাকে। কেন? কারণ বাণিজ্য। এই ’অনুভূতি বাণিজ্য’ আমাদের সমাজ সভ্যতাকে গ্রাস করে আছে। যেমন আছে আবেগতাড়িত বোধে, তেমনি আছে বিশ্বাসে।
আমরা আসলে সব সময় নিজের বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তিকেই খুঁজে বেড়াই, বাস্তব এবং সর্বাংশে সত্যকে নয়। তাই ধর্ম যেভাবে রাজনীতি এবং বাণিজ্যকে আগলে ধরে আছে তাকে অস্বীকার করি সব সময়। এর কারনেই নিজেকে যখন শিকার হিসেবে অপরের বন্দুকের সামনে দেখি তখন চারদিকে হাহাকারের মতো মানবাধিকার খুঁজি, আর যখন নিজেই শিকারীর অবস্থানে থাকি তখন ন্যায় আমার হাতেই আছে বলে মনে করি। যেমন মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করলেই সত্যকে দূরীভূত মনে হয়, সত্যকে পরাজিত মনে হয়। যদিও সত্য আড়ালে থাকলেও সেটা সত্যই থাকে।
পুতিন মুসলিমদের আশা পুরণ করেছেন, সারা বিশ্বের মানবতাবাদীদেরও সহমর্মিতা অর্জন করেছেন। এমন এক সময়ে তিনি অতি পুরনো এই জনপ্রিয় রাজনৈতিক কৌশলকে বেছে নিয়েছেন যখন রাশিয়া নিজেই আর্ন্তজাতিক চাপে রয়েছে। ক্রিমিয়া পরিস্থিতি রাশিয়াকে এখন প্রায় বন্ধুহীন করে তুলেছে। এই মুহুর্তে রাশিয়া একদিকে মুসলিম বিশ্বের সমর্থন চায়, তেমনি অন্যদিকে অদূর ভবিষ্যতের অস্ত্র বাণিজ্যের নিশ্চিত সমীকরণ মিলিয়ে নিতে চায়। কৌশলের ক্ষেত্রে পুতিন পুরনো ও প্রচলিত পন্থা বেছে নিলেও আমাদের সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। সবচেয়ে বেশি উচিত সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের।
যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে যখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বাজার সংকুচিত হয়ে আসে। পুঁজির স¤প্রসারণের সাথে সাথে নতুন প্রযু্িক্ত প্রদর্শন এবং তার ব্যবহার করার মোক্ষম সময় হলো যুদ্ধ। আবার সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন সমস্যা থেকে জনগণকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে এক মায়াজাল সৃষ্টির খেলাও এই যুদ্ধ। অর্থাৎ প্রধান সমস্যার সমাধান নয় বরং নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে পুরনো সমস্যাকে আড়াল করার কৌশল।
বর্তমান বিশ্বে রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানীকারক দেশ, প্রথম হলো যুক্তরাষ্ট্র। আর রাশিয়ান অস্ত্রের প্রধান বাজার হলো মুসলিম প্রধান দেশগুলো। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার নতুন প্রযুক্তি সম্ভার ইজরাইলের সাথে যৌথভাবে গবেষণা, নির্মাণ, পরিক্ষা এমন কি বিনিয়োগ করছে। ফলে দুই সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিরই এখন একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি খুবই প্রয়োজন। তারই ধারাবাহিকতা চলছে। ইজরাইলের প্রতি পুতিনের বক্তব্যও তাই উদ্দেশ্য প্রণদিত রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। এতে মুসলিম বিশ্বের আনন্দিত হবার কিছু নেই, নেই মানবতাবাদীদেরও খুশি হবার।
#
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: শিয়া-সুন্নি বিরোধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য পোয়াবারো,সুন্নি ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর কাছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমারা আর শিয়াদের কাছে রাশিয়া অস্ত্র বেঁচতেছে.
অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ মুসলমানদের নিজিদের.সিরিয়ার সুন্নি ইসলামী গোষ্ঠীগুলো যদি নিজে থেকে তুরস্কের সীমান্তে গিয়ে সিআইএর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে না আসত তাহলে তো আর তাদেরকে দিয়ে জোর করে কিছু করাতে পারত না, জিহাদী জোশ থেকে তারা নিজেরাই এগিয়ে যায় সিআইএর কাছে ট্রেনিং নিতে, অস্ত্র নিতে.
ইসলাম রিলিজিয়নে একাধিক মাজহাব থাকায় মুসলমানদের এক গ্রুপ মনে করে অন্য গ্রুপ বাতিল পথে আছে, শুধুমাত্র সেই সঠিকপথে আছে. মুসলিমদের এই বিভক্তি কাজে লাগাচ্ছে অন্যরা, এখন আর আমেরিকাকে কষ্ট করে ইরান,সিরিয়া,হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়তে হবে না. সুন্নি বনাম শিয়া লড়াই এখন তারা দূর থেকে উপভোগ করবে, যখন দুই পক্ষ মরতে মরতে আধমরা হবে তখন তারা উড়ে এসে তেল সম্পদ ভোগ করবে।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১০
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: অত্যান্ত দামী কথা। শুধু যদি আরবদের কথা বলি, তাদের পরষ্পরের ধর্ম, বর্ণ ও মাজহাব হয়তো ভিন্ন কিন্তু মানবতাবোধও তাদের মধ্যে এতোটা ভিন্ন যে আরবদের প্রতি ঘৃণা জন্মে।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৬
ভুদাই আমি বলেছেন: ভাই, রাশিয়া যে উদ্দেশ্য নিয়েই বলুক না কেন তা অবশ্যই অনেক গর্বের। মুসলিম বিশ্বের নেতারা কি কোন উদ্দেশ্য খুজে পাচ্ছে না? তারা আজ কোথায়?? ফিলিস্তিনে ইসরাইল যা করছে তা কি মুসলিম বিশ্ব বৈধ মনে করছে?? এর প্রতিবাদে তো কেউ কিছুই বলছে না!
মুসলিম বিশ্ব পারে যুক্তরাষ্ট্রের জুতা পরিস্কার করতে আর ইরানকে নিয়ে ফন্দি-ফিকির করতে যাতে প্রভুরা খুশি হয়। প্রসাব করে দিতে ইচ্ছে করে এদের মুখে।
পুতিনকে ধন্যবাদ।।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১১
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ কয়েকটা কথা বলেছেন, মিডিয়া বা গণমাধমও প্রচার ক্ষেত্রে সিংহভাগ মানুষের ধর্মানুতূতিকে মাথায় রেখেই সংবাদ প্রচার করে থাকে। তারা সত্যকে চাপা দেয়, মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠার করার প্রচেষ্টায় থাকে। কেন? কারণ বাণিজ্য। এই ’অনুভূতি বাণিজ্য’ আমাদের সমাজ সভ্যতাকে গ্রাস করে আছে। যেমন আছে আবেগতাড়িত বোধে, তেমনি আছে বিশ্বাসে
এমন এক সময়ে তিনি অতি পুরনো এই জনপ্রিয় রাজনৈতিক কৌশলকে বেছে নিয়েছেন যখন রাশিয়া নিজেই আর্ন্তজাতিক চাপে রয়েছে। ক্রিমিয়া পরিস্থিতি রাশিয়াকে এখন প্রায় বন্ধুহীন করে তুলেছে। এই মুহুর্তে রাশিয়া একদিকে মুসলিম বিশ্বের সমর্থন চায়, তেমনি অন্যদিকে অদূর ভবিষ্যতের অস্ত্র বাণিজ্যের নিশ্চিত সমীকরণ মিলিয়ে নিতে চায় -ভালো ধরতে পেরেছেন
এবং
বর্তমান বিশ্বে রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানীকারক দেশ, প্রথম হলো যুক্তরাষ্ট্র। আর রাশিয়ান অস্ত্রের প্রধান বাজার হলো মুসলিম প্রধান দেশগুলো। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার নতুন প্রযুক্তি সম্ভার ইজরাইলের সাথে যৌথভাবে গবেষণা, নির্মাণ, পরিক্ষা এমন কি বিনিয়োগ করছে। ফলে দুই সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিরই এখন একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি খুবই প্রয়োজন। তারই ধারাবাহিকতা চলছে। ইজরাইলের প্রতি পুতিনের বক্তব্যও তাই উদ্দেশ্য প্রণদিত রাজনৈতিক কৌশল মাত্র
সবচে বড় কথা এটাই,
এতে মুসলিম বিশ্বের আনন্দিত হবার কিছু নেই, নেই মানবতাবাদীদেরও খুশি হবার
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৪
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুতিন মানবিকতার পক্ষে কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের স্নায়ুযুদ্ধ চলেছে দীর্ঘ সময়। কৌশলগত কারনে তিনি ঠিক আছেন্ । তিনি সাহসী নেতৃত্বও বটে।
বিভক্ত মুসলিম সম্প্রদায় কি করবে বা বলবে তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে লিপ্ত আছে। আর তারা দূর্বল।বলতে গেলে এককেন্দ্রিক বিশ্বের প্রবল ক্ষমতাধারী যুক্তরাষ্ট্রের চাটুকার শ্রেনীতে পরেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
রাজিব বলেছেন: আপনার সঙ্গে দ্বিমত করার খুব বেশি অবকাশ নেই। তবে রাশিয়া এবং এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন সব সময় প্যালেস্টাইনের প্রতি অন্তরে যাই থাকুক মুখে কিন্তু সমর্থন করেছে। প্যালেস্টাইনকে পূর্ণ স্বীকৃতি যে কয়টি ইউরোপীয় দেশ দিয়েছে তার মধ্যে রাশিয়া অন্যতম