![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিসংঘ জানিয়েছে সিরিয়ার ২০ লাখের ওপর মানুষ এখন শরণার্থী হিসেবে আশেপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। গত তিনমাসে শরণার্থী হয়েছে ৫ লাখ মানুষ। ৭ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে লেবাননে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মতে- পৃথিবীতে এখন সিরিয়ান শরণার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কখনো-কখনো এক কাপড়ে নারী ও শিশুরা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের অর্ধেকই শিশু। মাত্র এক লাখের মত শরণার্থী শিশু কোনরকমে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট হওয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে লেবানন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে জর্ডান ও তুরস্ক। লেবাননে এখন প্রতি ৬ জনে একজন শরণার্থী। ৯৭ ভাগ সিরিয়ান শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে আশেপাশের দেশগুলোতে। তারা সেসব দেশের অবকাঠামো, অর্থনীতি ও সমাজের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ এসব দেশকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ববাসীকে আহবান জানিয়েছে।
জর্ডানের মাফারাক শহরের নিকটবর্তী ক্যাম্পে ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। সিরিয়ান শরণার্থীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। প্রয়োজনীয় অর্থের অর্ধেকও যোগাড় হচ্ছে না। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার অ্যানতোনিও গুটেরেস বলেন, ২০১৩ সাল নাগাদ সিরিয়ান শরণার্থীর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সিরিয়ানদের আশ্রয় দেয়ার দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইরাক। সেখানে আছে ১ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থী। ৪০ লাখের বেশি সিরিয়ান নিজের দেশের ভিতরেই আবাসস্থল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। গত ২০ বছরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট সৃষ্টি করেছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ।
©somewhere in net ltd.