![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিধাতার সৃষ্ট এই ধরনীতে নানা উপাদান মানুষের মন জয় করে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। প্রত্যেক মানুষ’ই তার মনের অভ্যন্তরে এমন কোন মানুষকে লালন করে যার ব্যক্তিত্ব, মহানুভবতা, চরিত্র তার কাছে অসাধারণ মনে হয়। ভোরের সূর্যের স্নিগ্ধ আলো যেমন মানুষের মনে নতুন দিনের গুলো করে প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে ও সে প্রায় নতুন আশার আলো, তার হাত ছানিতে সে অনুভব করে পরম নির্ভরতা।
প্রিয় মানুষ কে? এ প্রশ্ন যখনই মাথার আসল তখন সঙ্গে সঙ্গেই চোখের সামনে ভেসে উঠল একটি মুখ। যার চোখে আমি দেখতে পাই মহানুভবতা, আশার প্রেরনা, নতুন জীবনের স্বাদ। যে তার দু’টি হাত দিয়ে আমাকে আগলে রেখেছে সারাটি জীবন, যে তার জীবনের চেয়েও আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। সে আর কেউ নয়,আমার বড় ভাই কাজী মো: সোলায়মান।
মানুষের মন জয় করার জন্য যেসব গুন থাকার দরকার তার কোনটিরই অভাব ছিল না তার। সেই ভালোবাসার দিক গুলো স্বল্প পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। স্বার্থের পিছনে যখন সারা পৃথিবী ছুটছে। আমার ভাইটি তখন নিঃস্বার্থ ভাবে আমার জন্য কাজ করে। মা বাবা চাকুরীতে চলেগেলে সেই ভাইটি আমাকে নিজ হাতে ভাত খাওয়ায়। মাঝে মধ্যে রান্না করে। আমার সবদিক খেয়াল রাখতে রাখতেই যেন নিজের সব কিছু ভুলে যায়। আমার খুশিতেই যেন ওর খুশি। মনে পড়ে, যখন আমি গনিত অলিম্পিয়াডে রানার্স আপ (২০০৭- নোয়াখালী ডিভিশন) হই তখন ওর মত খুশি বোধ হয় আর কেউ হয়নি। এবার আমার এস,এস,সি পরীক্ষার সময় প্রতিটি দিন-রাত আমার পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে। যখন আমার রেজাল্ট বের হয়, আমি এড়ষফবহ এ.চ.অ ৫ পেয়েছি, তখন মনে হচ্ছিল এ সাফল্য যেন ওর হৃদয় থেকে সব দু:খ-কষ্ট দূর করে দেয়। মানুষের কোন দু:খই সহ্য হয়না তাঁর। সব সময় বলে- “আমার টাকা চাই না”।
পরোপকার করার জন্য কোন সুযোগে সে পিছিয়ে পড়ে না, তাই তো “প্রথম আলো বন্ধু সভা”য় কাজ করছে নি:স্বার্থ ভাবে। নিজের জীবন বাজি রেখে গ্রামের পুকুর থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করে,ও যখন সেই শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেয়, তখন ওর হৃদয় যেন তৃপ্ত হয়েছে প্রানের ছোঁয়ায়।
“বন্ধু মানে দু:খ সুখের সমান-সমান ভাগ”
এই কথাটি বোধ হয় আমার ভাইয়ার জন্যই সত্য। আমার সব দু:খে ও বন্ধুর মত পাশে থেকে আমার মাথায় হাত রাখে পরম স্নেহে। কি মায়াময় সেই স্পর্শ, স্বর্গ থেকে যেন স্বর্গের অস্পরী সেই স্পর্শ ওকে দান করেছেন। জোর করে কোন কিছু আদায় করা যায় না, ভালবাসা আর বন্ধুত্ব দিয়েই যেন জয় করা যায় সবার মন।
ওর ব্যক্তিত্ব অসাধারণ, মানুষ হিসেবে মানুষকে মূল্যায়ন করে। ওর কথা লিখতে গিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার একটি লাইন মনে পড়ে যায়। আমারও কবির মত করে বলতে ইচ্ছে করে -
“হয়ত ইহারই ঔরসে ভাই,
ইহারই কুটির বাসে,
জন্মিছে কেহ জোড়া নাই ইতিহাসে”।
কৃত্রিমতায় আড়ষ্ট যখন চারপাশ তখন ও যেন থাকতে চায় শুধুই মানুষ হয়ে মানুষের চারপাশে। প্রচন্ড আতœবিশ্বাসে শুধু নিজে না অন্যকেও আতœবিশ্বাসী করে তুলতে পারে। যখনই আমার মনে হতাশা কাজ করে ওর ছোঁয়া পেলেই তখন আমি হয়ে উঠি আতœবিশ্বাসী- আত্মপ্রত্যয়ী। আমার প্রিয় মানুষের চোখে আমি সবচেয়ে ভাল মানুষ এবং অলরাউন্ডার। ওর বিশ্বাস আমি সব বাধা পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারবো। আমার সেই সাফল্যের জন্যই বোধ হয় সে অপেক্ষা করে। প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব অভিব্যক্তি সব সময়ই সবার চেয়ে আলাদা। সৌন্দর্য্য, ভাললাগার তো নিজস্ব কোন সংজ্ঞা নেই। কোন চিত্র কোন চিত্রকরের কাছে ভাল কোন চিত্রকরের কাছে খারাপ লাগে। আমার চোখে আমার ভাইয়া’ই সেরা এবং আমার প্রিয় মানুষ। আমি সারা জীবন আমার প্রিয় মানুষটির পাশে থাকতে চাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৫
কাজী অ বলেছেন: good