নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তার ওপর কি আস্থা রয় !!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬



মোজাহার মোল্লা মুগনীগঞ্জ গ্রামের মাতব্বর। কারণ সে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর। মুগনীগঞ্জ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে প্রতি বছর বর্ষার সময়ে সরকারী ভাবে মাছের পোনা ছাড়া হয়। চৈত্রমাসে নির্বিঘ্নে মাছ ধরে যেন গ্রামবাসী আমিষের চাহিদা পূরন করতে পারে।
এবারও বর্ষার সময় তার ব্যতিক্রম হয় নি। বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ডেকে গ্রামবাসির সামনে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কয়েক ট্রাক মাছের পোনা অবমুক্ত করে। এই মাছের হকদার শুধু মাত্র মুগনিগঞ্জ গ্রামবাসীই নয়, বয়ে চলা নদীর আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। আইন অনুযায়ী নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করার পর প্রথম তিন মাস কেউ নদীতে মাছ মারতে পারবে না । আইনে নিষেধ থাকার পরেও কিছু অসৎ লোক অনেক সময় চুরি করে মাছ ধরে। তাই সর্বসাধারণের মাছ ধরার উপযুক্ত সময় না আসা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম তিন মাস মেম্বরের তত্ত্বাবধানে কিছু সংখ্যক প্রহরি নিয়োগের মাধ্যমে নদী এবং নদীর মাছ রক্ষণা-বেক্ষণ করার সরকারী বিধান রয়েছে। মেম্বর কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সেসব প্রহরী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সরকারী বরাদ্দের মাধ্যমে মেম্বর সাহেব পরিশোধ করে থাকে।
মাছ ছাড়ার আগে প্রহরি নিয়োগ হয়। এসময় কাজের জন্য গ্রামের অনেকেই মোজাহার মেম্বারের কাছে ধরণা দেয়। মেম্বর সাহেব সৎ অসৎ বিচার না করে নিজের পছন্দ মত লোকদের প্রহরি হিসেবে নিয়োগ দেয়। তাদের কাছে এজন্য ঘুষও নেয়। মেম্বর সাহেবের এমন নিয়োগে গ্রামের সৎ এবং নিষ্ঠাবান অনেক যুবক প্রহরির তালিকা থেকে বাদ পড়ে। যোগ্য ব্যক্তিরা যোগ্যতায় কর্ম চায় ঘুষ দিয়ে নয়। তবে তাদের বাদ পড়ার আরো একটা কারণ হলো, নির্বাচনের সময় তারা মোজাহার মেম্বরের পক্ষে কাজ করেছিল না ভোটও দিয়েছিল না। প্রথম দফায় মেম্বর হওয়ার পর নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী চার আনা কাজও করে না মোজাহার মেম্বর। গ্রামবাসির জন্য যেসব বাজেট বা অনুদান আসে তার বারো আনা নিজের মনে করে আত্মসাত করে, দুই আনা দেয় তার চামচে আর চেলাপেলাদের এবং অবশিষ্ট দুই আনা তার পছন্দের দরিদ্রদের মাঝে ভাগ করে দেয়।
মোজাহার মেম্বর মিশুক স্বভাবের মানুষ হলেও লোকটা সুবিধার না। ভোটের সময় পাঞ্জাবি টুপি পড়ে ধার্মিকের রূপ ধারণ করে আর ভোট চলে গেলেই বকধার্মিক। বহুরূপী চরিত্রের কারণে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের সময় মোজাহার মোল্লার ওয়াদা আর কেউ বিশ্বাস করে না। পেশী শক্তি আর অবৈধ টাকার প্রভাবে ভোট কারচুপি করে ইউপি সদস্য হয় সে। এমন একজন দুর্নীতিগ্রস্থ নীতিহীন মিথ্যাবাদী জনপ্রতিনিধিকে নদীর মাছের দায়িত্ব দেওয়া আর শিয়ালের কাছে মুরগি হেফাজত রাখা একই কথা। নির্বাচনের সময় যারা মোজাহার মোল্লার পক্ষে কাজ করে। ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করে বা জাল ভোট দেয়, প্রহরি নিয়োগে তারা অগ্রাধিকার পায়। অস্ত্রধারী আর সাহসীকতা বিশেষত্বের কারণে গত দুই নির্বাচনে তারা মেম্বর সাহেবের বিশেষ বিশ্বাসও অর্জন করেছে। যদিও প্রহরিদের কেউ-ই নিষ্ঠাবান নয় তারপরও মেম্বরের এমন নিয়োগ অসহায় গ্রামবাসির মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যতই ভোট কারচুপি করুক, সে তো বর্তমানে মেম্বর। গ্রামের মাথা। তার মুখের ওপর কে বলবে কথা? মোজাহার মেম্বরের মনোনিত প্রহরিরা নদীর মাছ চুরি রোধ করতে দিন-রাত পাহারা দেয়।
দুই মাস পর........
গ্রামবাসীদের দু'একজন জানতে পারে মেম্বর সাহেব মনোনিত প্রহরিরাই রাতের বেলা নদী থেকে মাছ চুরি করে মারে। আস্তে আস্তে খবরটি গ্রামের অনেকের মধ্যেই ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে মাঠে-ঘাটে হাটে-বাজারে প্রতিটা চায়ের দোকানে চলে আলোচনা। গ্রামবাসি গিয়ে নালিশ জানায় মোজাহার মেম্বরের কাছে। মেম্বর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রামবাসিকে বিদায় করে।
এদিকে দিনে দিনে নদীতে প্রহরীদের মাছ চুরি বৃদ্ধি পেলেও মেম্বর মোজাহার উপযুক্ত প্রমাণ পায় না। সুতরাং অভিযুক্তরা দোষমুক্ত থেকে যথারীতি উক্ত কাজে নিযুক্ত থাকে। এই মহা অন্যায় গ্রামবাসী মেনে নিতে না পেরে একদিন রাতে প্রহরী নামের চোরদের চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরে মেম্বরের কাছে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেম্বর রেগে আগুন। উপযুক্ত শাস্তি হিসেবে সকল প্রহরীকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মেম্বর সাহেবের এমন বিচারে খুশি হয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষেরা ঘরে ফিরে যায়।
এ ঘটনার দু'দিন পরেই সবার নির্বিঘ্নে মাছ ধরার জন্য কর্তৃপক্ষ নদী উন্মুক্ত করে দেয়।
হইহুল্লা করে উৎসব মুখর পরিবেশে পলো আর ঢেলাজাল নিয়ে মাছ ধরতে নদীতে নেমে পরে গ্রামবাসি। বউ-ঝি রা মাছ কাটার জন্য ছাই আর বটি নিয়ে বাড়িতে অপেক্ষা করে। অনেক বাড়িতে নতুন মেয়ে-জামাই নায়র আসে। শীতের শুরুতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে নদী পাড়ের গ্রামগুলিতে। কিন্তু মাছ ধরতে নদীতে নেমে গ্রামবাসির মাথায় হাত! দেখা যায়, মোট মাছের বিশ ভাগ মাছও নদীতে নাই। মোট মাছের আশি ভাগ-ই মেম্বর মনোনিত প্রহরিরা রাতের আধারে লোক চক্ষুর অন্তরালে চুরি করে মেরেছে। এই চুরিতে মেম্বর, চেয়ারম্যান এমনকি মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও লাভ হয়। মূলত এসব কর্তাব্যক্তিদের সাপোর্টে সীমিত অর্থের লালসায় প্রহরীরা এমন অন্যায় কাজ করে। আর উপযুক্ত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয় গ্রামের সাধারণ জনগণ।
গল্প থেকে এবার বাস্তবতায় আসি। গত কিছুদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলারক্ষারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যের অপকর্মের সংবাদ অকপটে অবলোকন করলাম। রাষ্ট্রের নাগরিকদের জান এবং মালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী যেমন দেশের প্রতিটা নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ঠিক তেমনি ভাবে নাগরিকদের সম্পদের হেফাজতে তৎপর থাকবে। এই জন্য পুলিশ বাহিনীকে জনগনের সেবক বলা হয়। জনগনের দেওয়া রাজস্ব থেকেই তাদের বেতন-ভাতা দেয় রাষ্ট্র। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দিন-দিন পুলিশ সদস্যদের বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর-২০১৭, কক্সবাজারের টেকনাফে কিছু পুলিশ সদস্য এক ব্যবসায়িকে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মুক্তিপণের সতের লক্ষ টাকা আর অপহরণকৃত ব্যবসায়িকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। গ্রেফতার এবং বরখাস্ত হয় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাতজন সদস্য। এ ঘটনার আগের দিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর দুর্নীতির সংবাদ। দুর্নীতিগ্রস্থ অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা সুভাষ দম্পতির বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মমলাও করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর-২০১৭ থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে "পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ''।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি প্রকৌশলি নাদিমকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে দুই'শ পিচ ইয়াবাসহ গাজীপুর থেকে গ্রেফতার দেখায় ডিবি পুলিশ। এঘটনাও হয়তো ২৯ অক্টোবর রাত ১০ টার সংবাদে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভিতে অনেকেই দেখেছেন।
এছাড়া রাজশাহীতে পুলিশ সদস্যের মাদক ব্যবসার সংবাদ, আটককৃত গাড়ি কিছুদিন পরে পুলিশ সদস্য থানা থেকে অন্যের নিকট বিক্রি করে দিয়েছে এই সংবাদও নিয়মিত সংবাদ দর্শকদের অজানা নয়। অসৎ পুলিশ সদস্যদের বেআইনি এমন অনেক চিত্র সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত হয়েছে।
একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছর বিভিন্ন বেআইনি কর্মকান্ড বা অপরাধ মূলক কাজে জরিত থাকার দায়ে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি পেয়েছে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য। চাকুরিচ্যুত হয়েছে মাত্র একজন।
যারা অপরাধিকে আটক করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে তাদের কিছু অসৎ সদস্যের অর্থ লালসায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সংবাদ মাঝে মাঝেই দেখা যাচ্ছে। কে সৎ আর অসৎ সেটা বোঝা খুবই মুশকিল। সৎ পুলিশ যেমন জনগণের সেবক তেমনি অসৎ পুলিশ জনগণের খাদক। এই খাদক জলের উপরের স্তর থেকে গভীর স্তর পর্যন্ত রয়েছে।
আবার গল্পে ফিরে যাওয়া যাক। এবারের ছোট্ট দুটি গল্পের মধ্যে একটির ঘটনা আমার নিজের দেখা এবং অপরটি শোনা।
দেখা গল্পটি হচ্ছে........
" কোনো একদিন কোনো এক কাজে মহাখালি অান্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। ক্লিন ফুয়েল ফিলিং স্টেশনের উত্তর প্রান্তে মেট্টোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে প্রবেশ রাস্তার মাথায় মেইন রাস্তায় একজন ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে। সেদিন যাওয়ার পথে দেখি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সিএনজি চালিত চলন্ত একটি থ্রি-হুইলার থামায়। আমি ব্যাপারটি খেয়াল করে থমকে দাঁড়াই। মেইন রোডের পাশে সাইড করে থ্রি-হুইলারটি থামিয়ে প্রথমে গাড়ির চাবি নিজের হাতে নিয়ে নেয় ট্রাফিক পুলিশ। আমি কৌতুহলী হয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি দেখি এবং তাদের কথাগুলি শুনি.........
পুলিশ: "গাড়ির কাগজপাটি দেখি।"
গাড়ি চালক তার গাড়ি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র দেখায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখায়। কাগজপত্রে কোনো সমস্যা নাই। তবুও পুলিশ দরিদ্র চালককে তার গাড়ির চাবি না দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে প্যাঁচ লাগাতে থাকে। উপায়ন্তর না দেখে চালক লোকটি পকেট থেকে এক'শ টাকার একটা নোট বের করে আর অনুনয়ের সুরে বলে....
"- স্যার, সকালবেলা মাত্রই বাহির অইছি এহনও বউনি গ্যাপ দেই নাই। চাবিডা দিইয়া দ্যান স্যার।"
কে যানে! হয়তো অসৎ এই পুলিশ সদস্যও অবৈধ্য উপর্জনের বউনি করে নি। বউনির সময় এক'শ টাকা! হয়তো তিনি খুবই অপ্রতুল বা অশুভ মনে করছে। তাই চালক লোকটি অনেক অনুনয় বিনয় করে অনুরোধ করার পরও টাকাও নেয় না আবার গাড়ির চাবিও দেয় না। অল্প কিছু সময় পর মটর সাইকেল নিয়ে আসে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট । জিজ্ঞাসা করে........
"- কি হয়েছে?"
"- স্যার, শালা বেয়াদব। চরম বেয়াদব।"
চাবি হস্তগত করা পুলিশ সদস্য উত্তর দেয়।
আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে গন্তব্যের দিকে পা বাড়াই। আর ভাবি, যদি অসৎ পুলিশ সদস্যের এই অবৈধ্য উপার্জন আদবের অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে উপার্জনের শুরুতে মাত্র এক'শ টাকা দিতে চাওয়া দরিদ্র গাড়ি চালকের শুধু বেয়াদবী-ই নয় চরম বেয়াদবী-ই বটে।
এবার শোনা গল্পটি হচ্ছে..........
"আমার এক বন্ধু ডেভলপমেন্ট কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার। শ্যামলীতে তার তত্ত্বাবধানে একটি বহুতল ভবনের কাজ হচ্ছে। প্রজেক্ট দেখতে যাওয়ার জন্য আমাকে বেশ কয়েক দিন ফোন করে। সময় করে একদিন বন্ধুর প্রজেক্ট দেখতে শ্যামলীতে যাই। প্রক্টেজ সম্পর্কে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বন্ধু তার জীবনের একটা নতুন অভিজ্ঞা শেয়ার করে। বলে......
"- বেজ ঢালাইয়ের দিন পুলিশের একজন এস আই আসে। এসে আমাকে বলে, "কি আর বলবো, সরাসরি-ই বলি, কিছু টাকা দিন চলে যাই।" আমি বললাম, কোম্পানি তো আমাকে আপনাদেরকে দেওয়ার জন্য কোনো টাকা দেয় নি।" তিনি বলে, তাহলে এমডির কাছে ফোন লাগান। আমি এমডি স্যারের কাছে ফোন করে জানতে পারি পুলিশের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তাও আমাদের এই প্রজেক্টের শেয়ারে আছে। শেয়ারে থাকা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তার কথা জানার পর পুলিশের এস আই চলে যায়। যাওয়ার সময় বলে, উনি যদি শেয়ারে না থাকে তাহলে কিন্তু অসুবিধা আছে।"
কিছু সময় কিছু কিছু পুলিশ সদস্যের অপরাধ মূলক কাজের জন্য পাবলিকের পুলিশের ওপর আস্থা কমে যাচ্ছে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তার ওপর কি আস্থা রয়? নিশ্চয় না।
তারপরও মানুষ পুলিশের অপরাধে তেমন কোনো প্রতিবাদ করে না। পুলিশের অপরাধের প্রতিবাদ করলে পরিণতি কি হয় যারা রবীন্দ্রনাথের "দুর্বুদ্ধি" গল্পটি পড়েছেন তারা নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন। আর যারা পড়েন নি তারা গুগলে সার্চ দিয়ে পড়ে নিন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।

-সোহাগ তানভীর সাকিব
অক্টোবর-২০১৭
তেজগাঁও, ঢাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.