নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোড় বাংলা মন্দির, পাবনা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০



প্রাচীন ঐতিহাসিক জেলা পাবনার ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং পুরাকীর্তির মধ্যে "জোড় বাংলা" মন্দির অন্যতম। শহরের অনন্ত বাজার থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ রাঘবপুর মহল্লায় মন্দিরটির অবস্থান।
জানা যায়, ১৮'শ শতকে মুর্শিদাবাদ নবাবের তহসিলদার জনৈক ব্রজমহন ক্রোরি এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। দুটি দো'চালা সংযুক্ত করে মন্দিরের উপরের ছাদ নির্মিত হয়েছে যা "জোড় বাংলা" নামে পরিচিত। উচু মঞ্চ বা বেদীর উপরে নির্মিত মন্দিরের সামনের প্রকোষ্ঠ ৭.৩১ মিটার * ৭.৯২ মিটার এবং পেছনের প্রকোষ্ঠ ৬.১২ মিটার * ২.২৮ মিটার আয়তন বিশিষ্ট। বর্তমানে মন্দিরটি ৭.০১ মিটার উঁচু।
মন্দিরের দু'টি কক্ষের সামনেরটি মন্ডপ এবং পেছনেরটি গর্ভগৃহ হিসেবে ব্যবহার হতো।
মন্ডপের সামনের দেয়ালে তিনটি খিলান বা পিলার প্রবেশপথ আছে। ঠিক একই ভাবে পেছনের কক্ষের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে ১ টি করে এবং সামনের ও পেছনের কক্ষের মাঝের দেয়ালে ১ টি প্রবেশপথ বা দরজা রয়েছে। ইট দ্বারা নির্মিত মন্দিরের ছাদে দু'টি দো'চালা ছাউনী ব্যবহার করা হয়েছে।

দো'চালার বাহিরের অংশে বেশ বাঁকানো এবং দরজার উপরের অংশ বহুভাঁজ বিশিষ্ট সূচালো খিলান রয়েছে। মন্দিরটিতে দু'দিকে আটটি করে মোট ষোলটি স্তম্ভ রয়েছে। মন্দিরের দেয়াল পোড়া মাটির চিত্রফলক দ্বারা চমৎকার ভাবে অলংকৃত বহুভাঁজ বিশিষ্ট খিলান দরজার উপরে রামায়ণ ও মহাভারতে বর্ণিত যুদ্ধের চিত্র এবং পৌরণিক কাহিনী চিত্রিত হয়েছে। মন্দিরের স্তম্ভ বা পিলারগুলোর নিচের অংশে পৌরণিক ও তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ মন্দিরের কোথাও কোনো শিলালিপি বা লেখাযুক্ত কোনো পাথর নাই।
জোড় বাংলা মন্দিরটি বর্তমানে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত বলে যেখানে আর ধর্মকর্ম পালিত হয় না।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.