নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেবু মিয়া

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯



-বাই, বালো আছেন?
ব্যস্ত শহরে পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেউ একজন মনিরকে উদ্দেশ্য করে জানতে চায়, মনির কেমন আছে। অপরিচিত কণ্ঠ। পেছনে ফিরে তাকাতেই মনির দ্যাখে, কর্মক্লান্ত রবিউল ইসলাম লেবু। যদিও অনেক দিন পরে দেখা, তারপরও মনির ঠিক-ই চেনে লেবু মিয়াকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে চেহারারও বেশ পরিবর্তন হয়েছে লেবু মিয়ার। মাথায় কপাল পর্যন্ত চুলের যে বাহার ছিল, সেটা এখন নাই। মুখে মাঝারি সাইজের দাড়ি। গায়ে সুতির মলিন শার্ট আর লুঙ্গি, মাথায় টুপি। লেবু মিয়া বয়সে মনিরের সিনিয়র। তাও তো প্রায় পনের বছরের হবে। তারপরও লেবু মিয়া মনিরকে আপনি সম্বোধন করে কথা বলে। মনিরকে সম্মান করে।
"- কি ব্যাপার, আপনি?"
মনির লেবু মিয়াকে জিজ্ঞেস করে। লেবু মিয়া উত্তর দেয়.....
"- হ বাই, অনেক দিন হচ্ছে শহরেই থাহি। রিকশা চালাই।"
"- ও, তাই?"
"- হ বাই। মিয়েকে তো বিয়ে দিসি। জামাইয়ের মুদিখানা দোহান আছে। আল্লায় অনেক বালো জামাই মিলাইচে বাই।"
"- ও, আচ্ছা।"
লেবু মিয়ার সাথে মনিরের পরিচয় হয় মনির যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তখন। মনিরদের স্কুল আর সালামপুর বাজার একই সাথে। পাশ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী। পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে গেছে ইছামতি। প্রবাহিত ইছামতির তীরেই সালামপুর বাজার আর সালামপুর হাই স্কুল। আশপাশের শ্রীপুর, মধুখালি, আজাদনগর, মুগনীগঞ্জ গ্রামের ছেলেমেয়েরা সালামপুর হাই স্কুলে লেখা পড়া করতে যায়। ছেলেরা যায় বাইসাইকেলে আর মেয়েরা কেউ ভ্যানগাড়িতে কেউ বা পাঁয়ে হেঁটে। আজাদনগর থেকে বাইসাইকেলে তিন গ্রাম পথ অতিক্রম করে সালামপুর হাই স্কুলে প্রতিদিন ক্লাস করে মনির। পাঁকা রাস্তা দিয়ে গেলে আজাদনগর, মধুখালি, মুগনীগঞ্জ তারপর সালামপুর। আর কাঁচা রাস্তা ইছামতির পাড় দিয়ে গেলে মাত্র মধুখালী পার হলেই সালামপুর। কিন্তু পাড়ের রাস্তা কাঁচা আর দু'জায়গায় বড় আকৃতির পাড় ভাঙ্গা। নদী সংলগ্ন ফসলের মাঠের অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নদী পাড় ভাঙ্গা হয়েছে। আর তাছাড়া একটা শশ্মান ঘাটও আছে পাড়ের রাস্তার পাশে। মধুখালী গ্রাম শেষ হলে সালামপুর ব্রীজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত নদীর পাড়ে কোনো ঘর-বাড়ি নাই। কিছুটা পথ ফাঁকা।
লেবু মিয়ার বাড়ি সালামপুর। নাম রবিউল ইসলাম লেবু হলেও সালামপুর গ্রামে সে লেবু চোর নামে পরিচিত। লেবু মিয়া ছ্যাচড়া চোর। অন্যের গাছের ফল, হাঁস-মুরগি, ছাগল এসব চুরি করে। চুরি করে ধরা পরে বেশ কয়েকবার পাবলিকের প্যাঁদানিও খেয়েছে। সালামপুর বাজার ও স্কুলের আশেপাশে মাঝে মাঝে ঘুরতে দেখা যায় লেবু মিয়াকে। আর তখনই সহপাঠি বন্ধুরা লেবু মিয়াকে দেখিয়ে বলেছিল.....
- উইক চিনিস?
- না। ও কিডা?
- উইর নাম লেবু চোর।
- ও কি লেবু চুরি হরার সময় দরা পরিছিলে নাকি?
- নাহে।
- তাইলে?
- হারে উইর নাম-ই লেবু চোর। তোর সাইকেল সাবদানে থুইস। সুযোগ পেলে হইল লিয়ে যাবি।
- হুম।
এভাবে-ই লেবু চোরের সাথে পরিচয় হয় মনিরের। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনার পাঁচ বছরে মনির ভিন গ্রাম সালামপুরের অনেক মানুষের সাথে চেনা জানা হয়। বাজারের দোকানদার থেকে শুরু করে সালামপুর গ্রামের মাওলানা সাহেব পর্যন্ত অনেক মানুষ মনিরকে সালামপুর হাই স্কুলের ছাত্র হিসেবে চেনে। স্বাধীনতা দিবসে সালামপুর স্কুল মাঠে গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে সাংস্কৃতিন অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে একটা নাটকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার পর মনিরের পরিচয় সালামপুর গ্রামে আরো ছড়িয়ে পরে। সেই থেকে মনিরকে সালামপুর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অনেক মুরুব্বিও চেনে।
সালামপুর গ্রামের ত্রাস বোমা জামালও মনিরকে চেনে। একদিন স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছে মনির। ঠিক এমন সময় বোমা জামাল ফসলের মাঠের দিকে দৌঁড়ে রাস্তায় এসে সাইকেলসহ মনিরকে থামায়। খুব-ই অস্থির ভাবে বলে.....
"- ছোট বাই, আমার খুব বিপদ। আমাকে সাইকেলে হরে একটু ওদিকে আগায়ে দিয়ে আসো তো।"
বোমা জালাম বলেছে। যেতেই হবে। না গেলে খবর আছে। সেদিন জালামকে মনির সাইকেলে করে একটু এগিয়ে দেয়। এতেই সন্ত্রাসী বোমা জামাল মনিরকে ছোট ভাইয়ের স্বীকৃতি দেয়। বাজারে দেখা হলে ডেকে নিয়ে চা খাওয়ায়। বাজারে বা পথে-ঘাটে একজন স্বীকৃত সন্ত্রাসির কৃতজ্ঞা সূচক আচরণ মনির স্বস্তিসহ গ্রহণ না কোরে মনে মনে ঠিকই ঘৃণা করে। লেবু চোর আর সন্ত্রাসী বোমা জামালের বাড়ি পাশাপাশি। বোমা জামাল যখন জেলে ছিল তখন লেবু মিয়া শান্তিতে চুরি করতে পারে নি। বোমা জামাল জেলের বাহিরে থাকার কারণে লেবু মিয়ার আনাগোনাও বেড়ে যায়। বোমা জামালের ভরসায়-ই লেবু মিয়ার কাজের স্বস্তি।
স্কুল ছুটি। মনিরকে প্রাইভেট পড়ার জন্য স্কুলে যেতে হয়। দশ জনের একটা ব্যাচ করে মনির ও তার বন্ধুরা ছুটির ভেতর স্কুলের-ই একটা ক্লাস রুমে গণিত প্রাইভেট পড়ে। মনিরের অধিকাংশ বন্ধু সালামপুরের। তাই সাইকেল নিয়ে যায় শুধু সে। স্কুল ছুটি থাকায় স্কুলের সাইকেল গ্যারেজে সাইকেল সংখ্যা খুবই কম। আবার গ্যারেজ প্রহরিও এ সময় দায়িত্বে থাকে না।
একদিন প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরবে, এমন সময় মনির দ্যাখে তার সাইকেল নাই!
মনিরসহ ওর বন্ধুরা মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও যখন পায় না তখন হেঁটেই বাড়ির দিকে রওনা হয় মনির। ইছামতি নদীর পাড়ের কাঁচা রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে। খাঁপাড়ার পর থেকে মধুখালী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কোনো ঘর-বাড়ি নাই। নদী পাড়ের কাঁঠাল আর অন্যান্য গাছ। এই পথে লোক চলাচল খুবই কম। মাঠে কর্মরত কৃষকদের বেশি দেখা যায়। মনির কিছুদূর চলার পর ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি নামে। ঘন সন্নিবেশিত পাতা আর ডালপালার কাঁঠাল গাছের নিচে গিলেও নিস্তার পায় না। আধাভেজা হয়ে কর্মাক্ত কাঁচা রাস্তা পারি দিয়ে বাড়ি পৌঁছায় মনির।
সাইকেল চুরি হয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন ইছামতি নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে ক্লাস করতে হয় মনিরের। দশম শ্রেণী পড়ার সময় একদিন কি যেন কাজে স্কুল ছুটি হওয়ার আগে বাড়ি ফিরছে। ফাগুনের দুপুর। শীত শেষে বসন্ত মাঝমাঝি হওয়ায় আকাশে সূর্য মামাও উত্তপ্ত। মাঠে হয়তো কৃষকেরা কাজ করছে, ক্ষেতের চারিদিকে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জিআই তারের সাথে শীমের লতানো গাছের বেড়া আর মাঝে হলুদ-বেগুনের মিশ্র গাছের কারণে কর্মরত সেসব চাষি ভাইদের সহজে চোখে পড়ে না। তবে তাদের গাওয়া গান বাতাসে ভেসে এসে কানে প্রবেশ করে।
মনির বাড়ির পথে হাঁটছে। মাথায় ছাতা কাঁধে ব্যাগ ভর্তি বই। খাঁ পাড়া অতিক্রম করে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখতে পায় লেবু মিয়া ক্ষেত থেকে বেগুন তুলে ব্যাগ ভরছে। মনিরকে দেখে মুসকি হাসি দিয়ে বলে.......
- মামার ভূঁই। যহন ইচ্ছা তহন আমাকে তুলতে কয়ছে, তাই কয়ডা তুলচি।
-ও।
- আর তোলবো লয়। আজ এই থাক।
মনিরের বুঝতে বাকি নেই যে, লেবু মিয়া অন্যের জমি থেকে বেগুন চুরি করছে। লেবু মিয়া মনিরকে দেখে জমি থেকে ব্যাগ ভর্তি বেগুন নিয়ে রাস্তার ওপর আসে। বলে...
- দ্যাহেন তো কেজি পনের অবি না?
- পনের কেজির বেশিই অবিনি মনে অয়।
- আপনে তো এইদিকেই যাবেন নাকি, তাঅলি চলেন আপনের সাথেই যাই। বেচে আসি।
মনির লেবু মিয়ার সাথে বিভিন্ন খোশ গল্প করতে করতে পথ চলে। দু'জনের বাঁধেই ব্যাগ। একজনের ব্যাগে জ্ঞান সংগ্রহের উপকরণ আর আরেক জনের ব্যাগে খাদ্য উপকরণ। একজন শিক্ষার্থী আর আরেক জন চোর। ওদের একপাশে ইছামতি অন্য পাশে ফসলের মাঠ। মাঠে খা খা রোদ। কৃষাণ-কৃষাণী বেগুন আর শীম সংগ্রহে ব্যস্ত। নদী পাড়ের কাঁঠাল গাছে থোকায় থোকায় মোচা কাঁঠাল। মনির যখন নদী পাড়ের রাস্তা থেকে মধুখালী অভিমুখী রাস্তায় প্রবেশ করবে তখন লেবু মিয়া জিজ্ঞেস করে.....
-আপনি তো এহন ডানি যাবেন?
- হ।
- আমি কি হরি বুজতেছি নি। আজাদনগর যাবো, নাকি শ্রীপুর যাব।
- হারে আজাদনগর চলেন। আজ আজাদনগর হাট। গ্যালে বালো দামে বেচপির পারবেন নে।
লেবু মিয়া দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবে। তারপর বলে...
- চলেই তাই যাই।
হাঁটতে হাঁটতে মধুখালি গ্রামের ভেতর প্রবেশ করে দু'জন। মধুখালি বেশি বড় গ্রাম নয়। তবে মধুখালি থেকে আজাদনগর পর্যন্ত রাস্তা অনেক বড়। গ্রামের ভেতর প্রবেশ করে মনির তার খোশ গল্পের ধরণ বদলায়, বলে...
"- আচ্ছা আপনার ছাওয়াল-মিয়ে কয়জন?"
"- আল্লা এক মিয়ে আর ইবার এক ছাওয়াল দেছে বাই।"
হাসি মাখা মুখে উত্তর দেয় লেবু মিয়া।
"-তাইলে তো আপনের সুহির সংসার।"
"- হ বাই।"
" -তে চুরি হরেন হ্য ?"
এবার লেবু মিয়ার মুখ মলিন। মুখে আর কোন কথা নাই। মনির ভিন গ্রামের ছেলে হলেও লেবু মিয়ার কর্মসম্পর্কে অবগত এই বিষয়টা এখন বুঝতে পারে সে। আর বুঝতে পেরেই লেবু মিয়ার পাঁয়ের গতি মন্থর হয়ে যায়। মনিরের সাথে না হাঁটলেই সে যেন বাঁচে এমন অবস্থা লেবু মিয়ার।
"- ঐযে ওহানে কয়জন তাস খেলছে, ওহানে যায়া আমি আপনের চুরি কতা কয়আ দেবো। আর কয়া দিলেই তো বুজবির পারতিছেন কি অবিনি আপনের অবস্থা?"
মনিরের এমন কথা শোনার পর লেবু মিয়া দুই টা এবার থেমে যায়। মনিরও থেমে যায়।
"- এহন বুজবির পারছেন তো কি জন্যি বুদ্ধি হরে আপনেক এই তরে লিয়ে আসলেম?"
লেবু মিয়ার মুখে কোনো কথা নাই। নিজের অবম্ভবী দূরদশার কথা ভেবে চোখের কনায় পানি। দৌড় দিয়ে পালানোরও কোন উপায় নাই। আজাদনগরে চোর পিটিয়ে মেরে ফেলার বহু রেকর্ড আছে।
"-ইশকুলের তিন আমার সাইকেলও আপনেই চুরি হরিচেন। আজ আপনের নিস্তার নাই।"
মনিরের এই কথায় লেবু মিয়া চোখের পানি ছেড়ে হাত জোর করে বলে.........
"- ছোট বাই, গ্যাদার দুধ কিনার জন্যি আজ এই কয়ডা বাগুন তুলচি। আমার বুল ওয়া গেছে ছোট বাই। আর কোনদিন চুরি হরবো লয়।"
"- আপনের মিয়েকে ইশকুলের সগ্গোলে চোরের মিয়ে কয়া ক্ষেপায় তাকি জানেন? জানেন না। এহন প্রাইমারিতে পড়ে তাই অয়তো কিচু মনে হরে না; কিন্তু যহন বড় অবি তহন? আর চোরের মিয়েকে তো কেউ বিয়েও হরবি লয়।"
"- ছোট বাই, আমি আর জীবনেও চুরি হরবো লয়, বাই।"
"- চোরের কি কতায় ঠিক আছে? এইর আগে তো চুরি হরে ধরা পোরি পাবলিকের প্যাঁদানী খাইচেন। লজ্জা অয়ছে? অয় নাই। তারপরও আজ আপনের ব্যাপারে কেরুক কিচু কলিয়েম না। যান, বাঁচায়া দিলেম।"
"- ছোট বাই, তুমি আমার বহুত উপকার হরলে আজ।"
এই বলে লেবু মিয়া নিজ গ্রামের উদ্দেশ্য পাঁ বাড়ায়।

সেই স্কুল লাইফের পর আজ ভার্সিটি লাইফের শেষ দিনে বাসায় ফেরার পথে লেবু মিয়ার পরিবর্তনের কথা শুনে মনিরের আনন্দ অনেকটাই বেরে যায়। ভাবে, দেশে সাধুর মুখোশ পরিহিত চোরেরা যদি লেবু মিয়ার মত পরিবর্তন হত তাহলে কতই না ভালো হত।

- সোহাগ তানভীর সাকিব
জানুয়ারী-২০১৮
তেজগাঁও, ঢাকা
[email protected]

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৪

ওমেরা বলেছেন: আপনি অনেক ভাল লিখেন কিন্ত আপনার লিখা তেমন কেউ পড়ছে না কোন কমেন্টও দেখছি না। আপনার লিখা কি প্রথম পাতায় যা্য না । যাক বা না যাক ভাইয়া একটা কথা বলি যদি সময় থাকে অন্যদের লিখা পড়ে একটু কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আপনার পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করলাম। এখন চেষ্টা করবো।
আমার লেখাটি পড়ে সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: জীবনের একটি সহজ-সুন্দর গল্প লিখলেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.