![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা প্রায় সবাই জানি, সম্প্রতি রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। বিষয়টা নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা সমালোচনা লক্ষণীয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মজনু নামের এক ব্যক্তিকে ধর্ষক হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে মিডিয়ার সামনে আনেন। আসামি গ্রেফতার হওয়ার আগে এবং পরে দুধরণের আলোচনা সাধারণ মানুষের মাঝে লক্ষ্য করলাম। যেখানে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দু ধরণের মন্তব্য করছে লোকজন।
ইতিবাচক আলোচনাগুলোর কিছু অংশ নিম্নরূপ:
১. অবশেষে ধর্ষক যখন গ্রেফতার হয়েছে তাকে ক্রসফায়ার না দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রিমান্ডে নিল কেন? ওকে রিমান্ডে নেওয়ার কি আছে? একেবারে ক্রসফায়ার দিলেই ত হয়।
২. ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। এমন শাস্তি হওয়া উচিত যেটা দেখে আর কোনদিন কেউ যেনো ধর্ষণ করার সাহস না পায়।
৩. এতদ্রুত ধর্ষক কে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইচ্ছা করলে সব পারে।
৪. আন্দোলন না করলে এদেশে কিছু হয় না। যেটা আবারও প্রমাণ হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন না করলে ধর্ষক মজনু কি এত দ্রুত গ্রেফতার হতো? হতো না।
৫. হারে ভাই, চেহারা বা শারিরীক গঠন ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে কোন বিষয় না। আর তাছাড়া মাদকাসক্ত হলে তো কোন কথাই নেই। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী যেটা বলছে সেটাই সঠিক। মজনু-ই ধর্ষক।
৬. ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। ধর্ষকের ফাঁসি চাই।
এবার নেতিবাচক আলোচনাগুলো উল্লেখ করছি,
১. এই মগা লোকটা কিভাবে একাকি একটা মেয়েকে টেনেছিঁচড়ে ঝোপের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করলো সেটাই তো বুঝে আসে না। চেহারা দেখে তো মনে হয় না তার দ্বারা একাকি এই কাজ করা সম্ভব।
২ জর্জ মিয়ার মত মজনু বলির পাঁঠা নয় তো?
৩. ভিকটিমের প্রথম বর্ণনা যেটা পত্রিকায় এসেছে। সেটার সাথে মজনুর শারীরিক অবস্থার কি কোন মিল আছে?
৪. এমনও তো হতে পারে, ভিকটিমের মোবাইলফোন কুড়িয়ে পেয়ে বিক্রি করে ফেসে গেছে মজনু।
৫. মজনুর শুক্রাণুর সাথে ভিকটিম হতে প্রাপ্ত শুক্রাণুর ফরেনসিক টেষ্ট করলেই তো সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
এসব আলোচনা সমালোচনার মাঝে আবার ভিন্ন মত প্রকাশও করেছে অনেকে। কলকাতায় নির্বাসিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন-এর কলাম ০৯.০১.২০২০ তারিখে প্রকাশ করেছে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। সেখানে লেখিকার মূল কথা হলো নারী পুরুষ বৈষম্য নিয়ে। তিনি বুঝিয়েছেন যে, ধর্ষণ করার পরে ধর্ষক মজনু (পুরুষ) এর পরিচয় প্রকাশ পেল ভিকটিম (নারী) এর পরিচয় গোপন করা হলো কেন?
ধর্ষকের পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর যদি সামাজিক ভাবে তার এবং পরিবারের কোন সমস্যা না হয় তার স্ত্রী যদি তাকে ছেড়ে চলে না যায় তাহলে ভিকটিমের সামাজিক ভাবে সমস্যা কেন হবে? কেন ভিকটিম সামাজিক ভাবে মর্যাদা পাবে না। কেন তার বিয়ে হবে না বা বিয়ের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হবে? কেন? কেন?
০৮/০১/২০২০ তারিখে ড. আসিফ নজরুল তার ফেসবুকে পেজে পোষ্ট দিয়েছেন,"দুদিনের মধ্যে ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক মজনুকে ধরা গেছে। ধন্যবাদ সরকারকে। কিন্তু সাথে সাথে কিছু প্রশ্ন তোলাও জরুরী এখন।
কুমিল্লায় তনু ধর্ষন আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় চার বছর আগে। সে ঘটনার পাশবিকতা স্তদ্ধ করেছিল গোটা সমাজকে। মজনুকে এক লহমায় ধরা গেলে, তনুর ধর্ষক/হত্যাকারীকে ধরা গেল না কেন আজো?
এটা কি মজনু আর তনুর ধর্ষকের শ্রেনীচরিত্র ভিন্ন বলে? মজনু তুচ্ছাতিতুচ্ছ একজন ব্যক্তি। তনুর হত্যাকারী নিশ্চয় এমন তুচ্ছ নয়। সে বা তারা নিশ্চয় ক্ষমতাবলয়ের কেউ। তা নাহলে এতো ভিন্নতা কেন?
মজনুকে গ্রেফতার সরকারের সামর্থ্যের প্রমান হলে এটা অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখানো যায়না কেন? কেন হয়না তনুর ধর্ষক গ্রেফতার? কেন হয়না আরো বহু ধর্ষক গ্রেফতার?
কেন??"
আলোচনা সমালোচনা সেটাই হোক না কেন এটা সত্য যে, বিচারহীনতা অপরাধ প্রবণতার প্রধান এবং অন্যতম কারণ। ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক প্রত্যাশা করি সব সময়।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৪
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: একদিক দিয়ে মন্দ বলেন নি।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২০
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: গাঁজা খুরী মিডিয়া এবং সাথে খেয়েছে ঢাবি র্যাব। মজনুর সাথে আরও লোক ছিল, শুধু মজনু কে হাই লাইটস না করে , তাদের সহ হাইলাইটস করা উচিৎ ছিল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৬
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আপনার ধারণার সাথে অনেকেরই ধারণা একই। সবার একই কথা প্রকৃত অপরাধীর বিচার হোক।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে মানুষ ভালো কাজ করে আনন্দ পায় না। খারাপ কাজ করে আনন্দ পায়।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৮
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: একদিক দিক দিয়ে ঠিকই বলেছেন। মন্দ মানুষেরাই এখন সমাজে সম্ভ্রান্ত আর সম্মানী।
ভালোবাসা নিবেন।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
পারগালি বলেছেন: ধর্ষক নিয়ে বরাবরের মতোই অনেক কথা লুকাইয়িত থাকে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫০
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: এই চুকোচুরি শেষ না হলে, প্রকৃত অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশের অবস্থা যা দাড়িয়েছে তাতে শুধু এটাই মনে হচ্ছে যে মেয়েটা থানায় মামলা করে বিড়াট ভুল করেছে। আরো ভুল করেছে গনমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষন করে।