নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্নাটক সমাচার

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১০


উত্তরপ্রদেশসহ ভারতের পাঁচ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের বেশি দেড়ি নাই।
কট্টরপন্থি বর্তমান ক্ষমতাশীন বিজেপি সরকার এ সময়ে বিভিন্ন ভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। দু'দিন আগে ভারতীয় সংগীত জগতের কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বলিউড বাদশা শাহরুখ খান ইসলাম ধর্ম অনুসারে মোনাজাত করে মৃত্যুদেহে কয়েক বার ফু দেন। শাহরুখ খানের ফু দেওয়াকে থুতু দিয়েছে বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন হরিয়ানা রাজ্যের বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অরুণ যাদব। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সৃষ্ট সে বির্তক বেশিদূর না আগালেও বিজেপি শাসিত কর্নাটকে সুচতুর ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া ধর্মীয় বিদ্বেষ বেশ গড়িয়েছে। এতে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্নাটকের রাজনৈতিক অঙ্গনও বেশ উত্তপ্ত। বিজেপিপন্থি রাজ্য সরকার স্কুল ও কলেজের ড্রেসকোড বিষয়ে কঠোর অবস্থান করে জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ ও সংবিধান পরিপন্থী কাজ করছে বলে কর্নাটক লোকসভার প্রধান বিরোধীদল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বাম দলগুলো ওয়াক আউট করে লোকসভা থেকে।
কর্নাটকের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ মুসলমান। সংখ্যালঘু মুসলিম এই জনসংখ্যার পক্ষে লোকসভার অধিবেশন বর্জনকারী বিরোধীদলের পক্ষে নিশ্চিয় সংখ্যা গরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সমর্থন থাকবে না। কট্টরপন্থী বিজেপির মূল লক্ষ্য মুসলমান ও হিন্দু এই দুই ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লাভ।
একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন। ভারতে কিন্তু শুধু হিজাব বা বোরখাই ধর্মীয় পোষাক বা চিহ্ন নয়। শিখরা মাথায় বিশেষ টুপি বা পাগড়ি পরিধান করে। হিন্দু বাহ্মনেরা মাথা ন্যাড়া করে টিকলি রাখে। পৈতা পড়ে। হাতে "তাগা” (এক গুচ্ছ লাল সুতা) বাঁধে। বিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীরা হাতে শাঁখা ও সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহার করে। খ্রীষ্টান সেবিকা ও ইহুদি নারীরাও হিজাব পড়ে। এসবই তাদের ধর্মীয় চিহ্ন। এসব নিয়ে কিন্তু সেখানে কোনো বিতর্ক নাই। এসব করলে কিন্তু সেখানে কেউ বলে না জঙ্গি বা রাম রহিমের লোক। কিন্তু মুসলমান মেয়েরা হিজাব পড়লেই সমস্যা!
আসল কথা হলো যাদেরকে জনগণ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মূলত তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মত জঘন্য কাজ করে। হোক সেটা ভারত বা বাংলাদেশ। তবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোকারীরা যে সফল নয় সেটা কর্নাটকের কলেজ শিক্ষার্থী মুসকানের সাহসিকতা ও তার প্রতি তার বন্ধুদের সমর্থনই বলে দিচ্ছে। এমন সাম্প্রতিকতা চলতে থাকলে অখন্ড ভারত খন্ড খন্ড হতে বেশি দেড়ি হবে না।

-সোহাগ তানভীর

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৬

সোবুজ বলেছেন: শাহরুখ খান ঠিক কাজ করে নাই।তার শুধু দাড়িয়ে থাকা উচিত ছিল।মোনাজাত করা কি দরকার।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের ধর্মে বিধর্মীদের জন্য মাগফিরাত কামনা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এমন মানসিকতায় ভারতীয়দের হীনমন্যতাই প্রকাশ পাচ্ছে। বিশ্ববাসী তাদেরকে একটা জংলী জাতি মনে করবে। এরা আর সভ্য হতে পারলো না।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৭

শায়মা বলেছেন: ১. ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৬০

সোবুজ বলেছেন: শাহরুখ খান ঠিক কাজ করে নাই।তার শুধু দাড়িয়ে থাকা উচিত ছিল।মোনাজাত করা কি দরকার।


একদম ঠিক। আমি কোনো হিন্দু মানুষের মৃতদেহের উপরে জীবনেও সুরা দোয়া পড়তে যেতাম না। তার নিজের ধর্ম আছে তার আচার আছে। আর সে মৃত, অন্যের ধর্মের আচার তার পছন্দ না হলে না করারও উপায় নেই।

শাহরুখ খানের কোনো দরকারই ছিলোনা একজন হিন্দু রমনীর মৃতদেহের উপরে সূরা পড়ার।

সন্মান বা শ্রদ্ধা দেখাতে গেলেও যার যার ধর্ম তার তার কাছেই শ্রদ্ধার থাকুক এটা বুঝতে পারাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করি আমি।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতের মত উদার গণতান্ত্রিক দেশ বলেই মুসকানরা স্লোগান দিতে পারছে কবিতা গাইতে পারছে।
পাকিস্তান বা বাংলাদেশের কোন মাদ্রাসায় ড্রেসকোড ভংগ করে হিজাব খুলে ফেলে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিতে দিতে ঢুকতে পারবে কোন ছাত্রী?
সবার বাহাবা পাবে? কবিতা রচিত হবে?

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভারত এখন কট্টর হিন্দুদের দখলে যাচ্ছে যেখানে মুসলিম কট্টর হওয়া স্বাভাবিক

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৬

বিটপি বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের ভাই বেরাদরেরা পর্দা প্রথাকে নারীত্বের অবমাননা বলে প্রচার করতে চায়। সেখানে একজন নারীই যখন পর্দার দাবীতে আন্দোলন করে, এমনকি হিজাবের দাবিতে কোর্টে পর্যন্ত যেতে চায়, তখন পশ্চাদ্দেশে তো আগুন জ্বলবেই। মুসলিম মেয়েরা এখন বুঝতে শিখেছে - দৈহিক সৌন্দর্য নিজের জন্য - অপরকে দেখানোর জন্য নয়।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: অতি তুচ্ছ বিষয় মানুষ খুব মাতামাতি করে।
মুসকান সাহসী তবে উগ্র মেজাজি।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ভোট প্রাক্কালে ভাজপা যেন তেন প্রকারে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোট পকেটস্থ করার লক্ষ্যে ঝাঁপাবে এটাই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র মন দিয়ে গুজরাট দাঙ্গার সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়ায় ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় মোদিজীকে প্রমোশন দিয়ে দিল্লির সিংহাসনে বসার গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছেন। প্রত্যাশা মতোই হাইকোর্ট সুপ্রীম কোর্ট মোদিজীর অপরাধ খুঁজে পায়নি। সুতরাং এমন মানুষ তো মানুষ নয় অবতার। যাইহোক দিল্লিতে পৌঁছে মোদিজী জনগণের অঘোষিত প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে দিল্লি দাঙ্গার নিশ্চিত করেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ এমন অবতার ও তার দলকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ত্রিপুরা ছোট্ট রাজ্যে স্বাধীনতার এত বছর পরেও কোনো দাঙ্গা দাঙ্গা খেলে না হবার হতাশ রাজ্যবাসীকে প্রতিনিধি বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে সুন্দর একটা পিকনিক দাঙ্গা অনুষ্ঠিত করেছেন। উত্তরপ্রদেশকে বলা হয় দাঙ্গার আঁতুড়ঘর।কত ভ্যারাইটিজ দাঙ্গা খেলা এই রাজ্য উপহার দিয়েছে। কর্নাটকে মোদিজীর দলের সরকার চলেছে। এই মুহূর্তে বেশ কিছু রাজ্যে ভোট। বারবার পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে ২০২৪ সালে লোকসভার তাসটিকে যে হাতছাড়া হয়ে যাবে।অতএব কুড়িয়ে পাওয়া চোদ্দ আনা হলো কর্নাটকে হিজাব ইসু। এই বিষয়টিকে যদি দেশময় প্রচার না করা যায় তাহলে পাঁচটা রাজ্যে তারা জনগণের কাছে মেরুকরণের ভোটের প্রত্যাশা করেই বা কেমন করে। সুতরাং আবার একটি দাঙ্গা খেলা আসন্ন... প্রতিপক্ষ যতোই দুর্বল(১২শতাংশ) হোক। খেলা খেলাই....

উকিলবাবুরা পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনেও কতশত মিথ্যা কথা বলেন। কাজেই তাদের মুখের কথা বা কাজে কথার মধ্যে পার্থক্য খোঁজাটা যেমন বোকামি। শাহরুখ খান অভিনেতা। এখন সব জায়গায় সব অভিনেতা সবসময় মে অভিনয় করবেন না এমন তো নয়। শাহরুখ খানের মতো কেউ যদি কন্ডলেন্সের মধ্যেও অভিনয় করেন তা নিয়ে এমন হৈচৈ করার কারণ দেখিনা।আর ঐ বিজেপি নেতাকে আগে গোটা ভারত না চিনলেও এখন সকলেই চিনে গেছে। কাজেই উনি খুব শীঘ্রই রাজ্যের তো বটেই সম্ভব হলে দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে যাবেন। প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিযোগিতা চলছে কে কাকে কতটা ছাপিয়ে নিজেকে প্রচারেরর আলোকে নিয়ে আসতে পারেন....

১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২১

এম এ কাশেম বলেছেন: ভন্ডরা ভন্ডামি করবেই, জারজরা অন্যকে জারজ ভাবতেই ভালবাসে।
নাস্তিক, বামপন্তি মোদির দালালরা সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য
এইসব প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।
এই ছবির মেয়ে সেই সাহসী হিজাবদারী মেয়েটি নয়।
লিংক দিলাম; দেখুন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.