নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা আর মৃদুলাকে অনেক ভালবাসি।

সূশণ

আমি ভালববাসি কবিতা লিখতে ,ভালবাসি মৃদুলাকে আর আমার দেশটাকে ।

সূশণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনের সেতু

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

মনের সেতু এ,বি,এম,মহিউদ্দিন

ইমন চৌধুরী। বাবা আরমান চৌধুরী ব্যবসা করেন। সে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে অনা্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ছে। তার জীবনে কখনো প্রেমের ফুল ফুটেনি। কোন মেয়েকে পছন্দ করতে পারে না। সে তার ফুফুর বাসায় থাকত।কলেজে আসা যাওয়ার পথে কুমিল্লা রেলস্টেশন পড়ত। রেলস্টেশনের প্লাটফরম ধরে সে নিয়মিত আসা যাওয়া করত। প্রায় সময় দাড়িয়ে থাকত। একদিন একটি ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। কুমিল্লা স্টেশনে ট্রেনটি যাএাবিরতি দেয়। একজন বোরখাপড়া মেয়ে নাম মৌমিতা জানালা দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে আছে। ইমন এ সময় প্লাটফরমের পথ ধরে যাচ্ছিল। ইমনের চোখ ও মৌমিতার দিকে চলে যায়। সে চট্টগ্রামে খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। এখন ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। ইমনওমৌমিতা দুজনে দুজনের দিকে চেয়ে আছে। অত্যন্ত আনমনা ভঙ্গিতে। এ সময় ট্রেন ছেড়ে দিল। ইমন তারমোবাইল নাম্বার একটি কাগজে লিখে দৌড়ে মৌমিতাকে দিতে যায়। মৌমিতা ও হাত বাড়িয়ে মোবাইল নাম্বার তুলে নেয়। মৌমিতা ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। একদিন মৌমিতা ইমনকে ফোন দেয়। ইমন চমকে উঠে। ইমন চিনতে পারে না। মৌমিতা সব খুলে বলে। ইমনের সবকিছু মনে পড়ে। ধীরে ধীরে দুজনের খুব ভাব হয়ে যায়। তাদের মোবাইল রিলেশন ৩ বছর ধরে চলতেছে। অদ্ভুদ ব্যাপার হল দুজনের জন্মদিন ১৪ই ফেব্রুয়ারী । এই বিশেষ দিনগুলোতে তারা একে অপরকে গিফট পাঠায়। বিভিন্ন মেসেজ পাঠানো, সকালে ফোন করে গুড মনিং জানানো সবকিছু মোবাইলে চলত। মৌমিতা ইমনের কছে তার নাম প্রকাশ করে নিশি। তার মৌমিতা নামটি গোপন রাখে। ইমন যখন অনাস ফাইনাল ইয়ারে পড়ে ঠিক তখনই তার ভালবাসার কথা মোবাইলে জানিয়ে দেয়। মৌমিতা কিছু সময় নেয়। সে কিছু ভেবে ইমনকে অবাক করা সব শরত জুড়ে দেয়। সে বলে বিয়ের আগে আমার সাথে কোনভাবে দেখা করা যাবে না। আমার জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ইমন মৌমিতার সব শর্তে রাজী। বলে জু হুকুম মহারানী। তাদের ভালবাসা মোবাইলে চলতে থাকে। ইমন অনাস শেষ করে ঢাকায় চলে আসে। ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করে। মৌমিতার ও ব্যাংক এশিয়ার জুনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরী হয়ে যায়। মৌমিতা ইমনের সাথে কথা বলার সময় একটা সিম ব্যবহার করে। ইমন ও একটা সিম ব্যবহার করে। দুজন একই ব্রান্চে চাকরী করে। মৌমিতা ইমনকে দেখেই চমকে উঠে। ইমন তাকে চিনতে পারে না। মৌমিতা ভাবে ইমনের সাথে মজা করবে। পরে সবকিছু জানাবে। দুজন প্রতিদিন রাত ১২ টা থেকে ২টা পযন্ত কথা বলে। ইমন বলে এবার তোমার সবকিছু বল না। মৌমিতা বলে আর কটা দিন অপেক্ষা কর। ইমন বলে আমি শুধু তোমার জন্য ঢাকাতে আসছি। মৌমিতা ভাবে এবার সবকিছু ইমনকে জানাবে। অফিসে যাবার মুহূতে তার অফিসের কলিগ রিমন সাহেব ফোন করে। শুনেছেন ইমন সাহেব আর তুলি দুজন খুবই মাখামাখি অবস্থায় চলে এসেছে। দুপুরের লান্চ একসাথে করে। একসাথে অফিস থেকে বেরোয়। রিমন মৌমিতাকে সবকিছু দেখায়।রিমন ও মৌমিতার বন্ধু ছিল। মৌমিতা বিশ্বাস করতে পারে না । মৌমিতা বাসায় গিয়ে কাদতে থাকে। সে ঐ সিম আর লাগায় না । ইমন অস্থির হয়ে উঠে। মৌমিতা অফিস থেকে ১ সপ্তাহের ছুটি নেয়। ইমন অফিসে এসে কাজ করতে পারে না। অফিসের ম্যানেজার তাকে ধমক দেয়। কদিন হলো ইমন আর অফিসে আসে না। এদিকে মৌমিতা খোজ নিয়ে জানতে পারে ইমন চাকরি ছেড়ে দিয়ে অস্টেলিয়া চলে যাচ্ছে। মৌমিতাতার সব ভূল বুঝতে পারে। অনুভব করে ইমন তাকে কত ভালবাসে। ইমনের পুরো পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। মৌমিতা তার সেই সিমটি লাগায়। শুধু একটা মেসজ পায় , ভাল থেক নিশি অনেক ভাল । তোমার জন্মদিনে চলে যাচ্ছি অনেক দূর। হয়ত আর দেখা হবে না। যদি আমায় ফেরাতে চাও তবে রাত ১২ টায় এস বিমানবন্দরে। মৌমিতা ঘড়ি দেখে রাত ১১.৩০ বাজে। আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী । মৌমিতা ট্যাকসি ভাড়া করে। প্রচন্ড জ্যাম । তার পৌছতে পৌছতে ১২.৫ বেজে যায়। ইমন ১২ টা এদিক সে দিক বার বার তাকায় কিন্তু কেউ আসে না। তারপর সে প্লনে উঠে যায় । মৌমিতা বিমানবন্দরের কেবিনে বসে কাদতে থাকে। এদিকে প্রচন্ড কুয়াশার জন্য ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ইমন নেমে আসে। তারপর দুজনের মিল হয়ে যায়।

A.B.M.MOHIUDDIN

VILLAGE:KALIKAPUR

P.O.GANGAMANDAL

P.S.DEBIDWER

DISTRICT:COMILLA

BANGLADESH

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৭

পড়ন্ত বিকাল বলেছেন: কাহিনী হাছা নি??

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৬

সূশণ বলেছেন: কিছুটা সত্য কিছুটা ...........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.