নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭৩ সালের ১৬ মার্চ প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেন অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলায় উপসম্পাদকীয় লেখেন—‘আমি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ শিরোনামে। তখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, গুম, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বিনাবিচারে হত্যা, ক্রসফায়ার, রাহাজানি, লুটতরাজের বিরুদ্ধে ওই লেখাতে তিনি সাহসী উচ্চারণ করেছিলেন। একপর্যায়ে তার লেখার শিরোনামটি কালজয়ী স্লোগানে পরিণত হয়। তিনিই বোধহয় সাংবাদিকতার ইতিহাসে অন্যতম একজন, যার লেখার শিরোনাম কালজয়ী স্লোগানে পরিণত হয়। প্রখ্যাত এ সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক আর নেই। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এদেশের সাংবাদিকতার একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র নিভে গেল। তিনি আজন্মকাল সংগ্রাম করেছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখে গেছেন তিনি। গণতন্ত্র ও গণমানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এ ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুসংবাদ শুনে গতকাল গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক নেতা, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের অনেকেই গত রাতে ল্যাবএইড হাসপাতালে তাকে শেষবারের মতো দেখতে ছুটে যান। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য নির্মল সেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজে এবং ডিইউজে নেতারা।
নির্মল সেনের ভাইয়ের ছেলে কঙ্কন সেন দৈনিক আমার দেশকে গত রাতে জানান, মঙ্গলবার রাতে নির্মল সেনের লাশ ল্যাবএইড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। নির্মল সেন মৃত্যুর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন। তার শেষকৃত্যের বিষয়ে গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা তাই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। নির্মল সেন ২০০৩ সালের ১১ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হন। তিনি দেশে ও বিদেশে চিকিত্সা নেন। চার বছর ধরে তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে নিজ বাড়িতে বাস করছিলেন। এরপর থেকে তিনি তার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি লেখালেখি করতেন। তিনি ছিলেন চিরকুমার। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন সন্ধ্যায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তাকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়। হাসপাতালে তিনি বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ সাইদুল ইসলাম এবং স্নায়ুরোগ বিভাগের চিকিত্সক সিরাজুল হকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান শোকবাণীতে বলেন, সাংবাদিকতায় নির্মল সেনের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বাণীতে প্রয়াত নির্মল সেনের আত্মার মুক্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আলাদা শোকবার্তায় দেশের সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে নির্মল সেনের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
নির্মল সেন আজন্মকাল সংগ্রাম করেছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। রাষ্ট্রীয় রুদ্ররোষ আর নানা সুবিধা পাওয়ার কথা চিন্তা না করে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে লিখেছেন আজন্মকাল। ’৭২-৭৩ সালে তিনি ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি। ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবেরও আজীবন সদস্য ছিলেন। ভিন্নমত দমনে শেখ মুজিব বা অন্য সরকারের ফ্যাসিবাদী নীতির বিরুদ্ধে নির্মল সেন প্রতিবাদী ভাষা উচ্চারণ করেছিলেন। ’৬১ সালে দৈনিক ইত্তেফাক-এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় নির্মল সেনের কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর তিনি ’৬২ সালে দৈনিক জেহাদ-এ যোগ দেন। ’৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান, পরবর্তীতে দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দৈনিক বাংলাসহ আরও চারটি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। দৈনিক বাংলা বন্ধ হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত নির্মল সেন ওই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পত্রিকাটি বন্ধের কারণে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা আদায়ের জন্যও নির্মল সেন সংগ্রাম করেন।
’৯৭ সালে নির্মল সেন দৈনিক বাংলা বন্ধের প্রতিবাদে আর সাংবাদিকদের বেতন-ভাতার দাবিতে অনশন করেন। সরকার তখন প্রেস ট্রাস্টের চারটি পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে জাতীয় সংসদে ওই সময়ের অর্থমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, চারটি পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মচারীদের দেনা-পাওনা মিটিয়ে পত্রিকাগুলো বন্ধ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সরকার ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ নামে একটি নতুন তত্ত্ব সামনে আনে। সেটা ছিল যাকে যেমন খুশি টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয়া। এতে নির্মল সেন রাজি হননি। তিনি অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনশন শুরু করেন। অনশনের প্রথম রাতে আর্মিরা এসে ঘিরে ফেলে প্রেস ক্লাব। ৯ দিন অনশন করার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ নির্মল সেনের অনশন ভাঙান। শৈশবকাল থেকেই নির্মল সেনের লেখালেখির হাত ছিল। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় হাতে লেখা ‘কমরেড’ পত্রিকায় তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়।
গত রাতে ল্যাবএইড হাসপাতালে নির্মল সেনকে শেষবারের মতো দেখতে এসে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, ‘কিংবদন্তি সাংবাদিক নির্মল সেনের মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ এমন একজন অভিভাবককে হারাল, যিনি সারাজীবন ছিলেন সাংবাদিকদের অধিকারের পক্ষে। তিনি সারা জীবন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। নির্মল সেন ছিলেন গণমানুষের সাংবাদিক। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি সফল ছিলেন। এর আগে নির্মল সেনকে ল্যাবএইড হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।
দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনে নির্মল সেন একাধিক বার জেল খেটেছেন। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে অনশন করেছেন। ’৪৮ সালের আগস্টে তিনি প্রথম জেলে যান। জেলে থাকাবস্থায় ’৪৯ সালে বন্দিদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে তিনি ছয় দিন অনশন করেন। এর পরে মে’তে রাজবন্দিদের দু’ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে তিনি ২৪ দিন অনশন করেন। ওই অনশন ভাঙান ফকির আবদুল মান্নান। কিন্তু দাবি না মানার কারণে নির্মল সেন একই বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ৪০ দিন অনশন করেন। একই দাবিতে ’৫০ সালে নির্মল সেনসহ আরও অনেক রাজবন্দি ৫২ দিন অনশন করেন। এ সময় তাদের কিছু দাবি মানা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঢাকা হলকে মুসলিম হল করে জগন্নাথ হলকে সংখ্যালঘুদের দেয়ার প্রতিবাদেও নির্মল সেন অনশন করেন ঢাকা হলে। তার দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলকে কসমোপলিটন করার। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ফজলুল হক মুসলিম হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে বলে। নির্মল সেন তখনও অনশন করেন। ওই অনশন ৭ দিন পর্যন্ত চলে।
’৪২ সালে নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকাবস্থায় নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ১৬ দিন স্কুল গেটে ধর্মঘট করেন। ’৪৪ সালে তিনি আরএসপিতে যোগ দেন। ’৫২ সালে জেলে থাকাবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আউয়ালের অনুরোধে ছাত্রলীগে যোগ দেন। তবে নির্মল সেন এমএ আউয়ালের কাছে দাবি করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিলে তিনি ছাত্রলীগ করবেন। এমএ আউয়াল নির্মল সেনের এ দাবি মেনে নেন। ’৫৩ সালে নির্মল সেন বরিশাল জেলা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানি। ’৫৪ সালে নির্মল সেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৬০ সালে তিনি আবার আরএসপিতে ফিরে আসেন। ’৬৯ সালে আদমজি জুটমিলে তিনিসহ আরও কয়েক জনের নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক সমাজবাদী দল নামে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ’৮৮ সালে নির্মল সেন এই দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৮৪ থেকে ’৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি। তার লেখা বইগুলো হচ্ছে- ‘মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র’, ‘বার্লিন থেকে মস্কো’, ‘পূর্ব বঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ’, ‘মা জন্মভূমি’, ‘লেনিন থেকে গর্বাচেভ’, ‘আমার জবানবন্দি’, ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ আর ‘আমার জীবনে ৭১ এর যুদ্ধ’ উল্লেখযোগ্য।
নির্মল সেনের জন্ম ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে। তার বাবার নাম সুরেন্দ্র নাথ সেনগুপ্ত। মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা সেনগুপ্ত। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। বাড়ির পাঠশালাতে নির্মল সেনের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর কোটালীপাড়া উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন । পরবর্তীতে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি এমই স্কুলে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি চলে যান বরিশাল জেলার বাখেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি গ্রামে তার পিসির বাসায়। সেখান থেকেই ’৪৪ সালে কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে প্রবেসিকা (এসএসসি) পাস করেন। এরপর বরিশালের বিএম কলেজে আইএসসিতে ভর্তি হন। ওই কলেজ থেকে নির্মল সেন ’৪৬ সালে আইএসসি পাস করেন। একই কলেজে বিএসসি পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। জেলখানা থেকে বিএসসি পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন। পরে ’৬১ সালে জেলখানা থেকে বিএ পাস করেন। ’৬৩ সালে নির্মল সেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স শেষ করেন। তার জীবনের শেষ ইচ্ছা নিজ বাড়িতে একটি মহিলা কলেজ স্থাপন করা। কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে সাংবাদিক নির্মল সেন মহিলা কলেজ। এরই মধ্যে তিনি এ কলেজটির জন্য তার বাড়ির ১ একর ৫০ শতক জায়গা রেজিস্ট্রেশন করে দেন। সাংবাদিকদের নেতা হিসেবে নির্মল সেন ভারত, জার্মান, রাশিয়া, হাঙ্গেরি, নেপাল, যুগোস্লাভিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া ভ্রমণ করেছেন। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে লন্ডন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেম্বার্গ, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, চীনসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন
( সৌজন্যে দৈনিক আমার দেশ)
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩
কাকঁন বলেছেন: ধন্যবাদ জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০
অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: তাঁর পারলৌকিক জীবন শান্তিময় হোক