নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কোন হত্যাই সমর্থন করি না। ব্লগার রাজিব হত্যাকেও না। আদালতের কাছে মিছিল করে ফাঁসীর দাবীটাও একপ্রকারের হত্যা। যদি আদালত এই দাবী মেনে রায় দেয় আর তাতে ন্যায় এবং ন্যায্য বিচার সংগঠিত না হয় তবে অবশ্যই এই ফাঁসী হত্যারই সমতুল্য হবে। তাই যারা বলছেন অমুককে ফাঁসী না দিলে আমরা এই করবো, আমরা সেই করবো, তারাও এক প্রকারের আইন বিরুদ্ধ কাজ করছেন। তারা দাবী করতে পারতেন ন্যায় এবং ন্যায্য বিচারের। একাত্তরের বিষয়টি একটি রাজনৈতিক বিষয়। যুদ্ধ সংঘটিত হযে যাওয়ার পর তাতে হয়েছে বিভিন্ন ক্রাইম। পৃথিবীর ইতিহাসে পরাজিতরাই অপরাধী হয়ে থাকে। রাবন পরাজিত বলেই সে রামায়নের লেখকদের কাছে অপরাধী। অথচ মাইকেলের মেঘনাদবধ কাব্য আমাদেরকে বলে দিলো রাবন হলেন নায়ক আর রাম হলেন খলনায়ক। রাবন হলেন এই অঞ্চলের দেশ প্রেমিক রাজা আর রাম হলেন সাম্রাজ্যবাদি আর্য রাজা। রাবন মোটেও চরিত্রহীন নয়, হলে তিনি সীতাকে এতো কাছে পেয়ে ছেড়ে দিতেন না। রাম কতো স্বৈরাচার ছিলেন চিন্তার বিষয়। যে সীতা রাবনের কব্জা থেকে অনেক যুদ্ধ করে রামের প্রেমে আসলেন সেই সীতাকে সতীত্ব পরিক্ষা করতে রাম বনবাসে দিলেন। রামের সতীত্ব কে পরিক্ষা করবে? সে দীর্ঘ ঘটনা আপনাদের জানা। রামের সাথে আমরা উপমা দিতে পারি কুখ্যাত জেনরেল এহিয়া এবং ভুট্টোকে। আর এখানে রাজাকার বাহিনী হলো বিভীষণের কর্ম। বিভীষন থেকে জগৎ শেঠ, রাজ দুল্লভ, রায় বল্লভ হয়ে মীর জাফর, অতঃপর আসে রাজাকার বাহিনী। ইতিহাসের এই ধারাবাহিকতা আমাদের জানতে হবে। রাজিবরা হলো নির্বোধ আবেগি নেশাগ্রস্থ মানুষের প্রতিচ্ছবি। ওদের ধারা হুজুগ হয়, নেতৃত্ব চলে না। তাকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করা প্রেয়োজন। এই খুঁনের বিচার হোক তা আমি চাই। আবার তাও চাই রাজিব তার লেখার মাধ্যমে যে লক্ষ-কোটি মুসলমানের হৃদয় হত্যা করেছে তারো বিচার হোক। হতে পারে মরণোত্তর বিচার। আমি রাজাকারদের বিচার হোক তা অবশ্যই চাই। কিন্তু ফাঁসী হোক সেই কথা বলতে পারি না। কারণ, কারো ফাঁসীর দাবী করা অমানবিক কাজ। তবে আমরা ন্যায্য বিচার দাবী করতে পারি। ন্যায্য এবং ন্যায় বিচারে যদি কারো ফাঁসী হয়ে যায় তাতে আমাদের কিছু করার নেই। এবং তখন সেই ফাঁসী কার্যটা ই হবে মানবিক। স্মরণ রাখতে হবে এসিড দিয়ে জ্বালানো যায় আবার এসিড দিয়ে চালানোও যায়। জ্বালানো এবং চলানো নির্ভর করে ব্যাবহারকারীর উপর।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৪
সৈয়দ মবনু বলেছেন: না, মানবিক নয়। তবে তার বিচার করতে হবে আইন দিয়ে। আদালতের বিচারকের উপর যদি বিশ্বাস না থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যেতে পারে। কিন্তু কারো ফাঁসীর দাবী করা যাবে না। ফাঁসী দেওয়া না দেওয়া তা আইন-আদালতের বিষয়। আদালতকে কোন প্রকার হুমকি দিয়ে বাধ্য করা যাবে না যে ওকে ফাঁসি দিন কিংবা ওকে মাফ করে দিন। আদালত হবে স্বাধীন এবং সম্পূর্ণ আবেগমুক্ত। আর তখনই ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এটাই দয়াদর্শন।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
দীপ্তপন বলেছেন: আমরা আসলে এখন নেতৃত্বের শূন্যতায় ভুগছি। কারন এই মূহূর্তে সঠিক নেতৃত্বের বড় বেশী প্রয়োজন।৭১ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
সৈয়দ মবনু বলেছেন: আপনার কথা মিথ্যা নয়। তবে মিছিল করে তো নেতা বানানো যায় না। আবুল মনসুর আহমদ বলতেন-যাদের গলায় জুড় বেশি তাদের চিন্তার জুড় কম। আমরাও সকল হত্যা কাণ্ডের বিচার চাই।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
বড় ভাই বলেছেন: আমি ভাই এত স্যাত বুঝি না। সরকার এ ইস্যু টি ঝুলি্্যে রেখে কি পাবলিক কে মুলা দেখাচ্চে?
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২১
বড় ভাই বলেছেন: দীপ্তপন- ভাই আমি একমত আপনার সাথে। আমরা দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের শূন্যতায় ভুগছি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
সৈয়দ মবনু বলেছেন: আপনার কথা মিথ্যা নয়। তবে মিছিল করে তো নেতা বানানো যায় না। আবুল মনসুর আহমদ বলতেন-যাদের গলায় জুড় বেশি তাদের চিন্তার জুড় কম। আমরাও সকল হত্যা কাণ্ডের বিচার চাই।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৭
ধৈঞ্চা বলেছেন: ফাঁশি বা মৃত্যুদণ্ড অমানবিক হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অনিবার্য হয়ে পড়ে। কাদের মোল্লা বা চিহ্নিত আটক যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে অনিবার্য, আবার বিশ্বজিত, সাগর-রুনি বা রাব্বি হত্যাকারীদের ফাঁশি হওয়াটাও আমি অনিবার্য মনে করি। এখানে হত্যাকারীদের সুযোগ দেওয়া (লঘু শাস্তি) মানে তাদের প্ররোচিত করা।
কেউ যদি মনে করে খুণ করলেও ফাঁশি হবে না (যেমন বর্তমান ছাত্রলীগ, যুবলীগ) তবে তারা খুন করতে পিছপা হবে না বরং খুনের হার বেড়ে যাবে।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
ফারহুম বলেছেন: //তাই যারা বলছেন অমুককে ফাঁসী না দিলে আমরা এই করবো, আমরা সেই করবো, তারাও এক প্রকারের আইন বিরুদ্ধ কাজ করছেন//
আপনার এই কথার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি।
জনাব, বাংলার মানুষ আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। আর শ্রদ্ধাশীল বলেই স্বাধীনতার এত বছর পরও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজাকাদের বিচার দাবী করে। আজও তারা শাহবাগ সহ সারা দেশে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি এখনো পর্যন্ত শান্তি পূর্ণ অবস্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ায় সন্তোসজক রায়ের অপেক্ষায় ।
দেশের শত্রু রাজাকারদের জন্য আপনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা প্রদর্শনের নিদর্সন হিসেবে এর চেয়ে অধিক আর কি আশা করেন??
জনদাবী কখনো আইনের বিরোধিতা হয় না, জনদাবী নিজেই একটা আইন।
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন: রাজীবদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে...
জনতা ফুঁসছে...যে কোন মুহুর্তে এর বিষ্পোরণ ঘটবে।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
২০১৩ বলেছেন: অপরাধীর বিচার হোক এর বিরুদ্ধে কথা এক মাত্র অপরাধীরাই বলতে পারে কিন্তু মানুষ বিচারের রায় ঘোষনা করে বিচার চাইতে পারেনা। আর গণদাবী কখনই বিচারের রায় অথবা বিচার্য বিষয় হতে পারেনা।
১) আপনি রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এক বাচ্চাকে মেরে ফেললেন, এবং জনগণের হাতে ধরা পড়ে গেলেন, এখন এলাকা বাসী আপনার ফাসি দাবী করল এখন এখানে কি ফাসি হওয়া উচিৎ নাকি ভিন্ন কিছূ।
২) গুলিস্থানের মোড়ে এক ব্যাক্তি গনধোলাই খাচ্ছে, জনগণ বলছে পকেটমারের হাত কেটে নেয়া হোক, পকেটমার লোক টি কিছু বলতে চাইছে কিন্তু তা শোনা হচ্ছেনা। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে লোকটি নিজেই পকেটমারের শিকার সংগবদ্ধ পকেটমার ধরা পড়ার মুহুর্তে তাকেই মারপিট শুরু করে জনগণ কে বোকা বানিয়ে সটকে পড়েছে। এখন ভোদাই জনগণ তার চরম শাস্তি চাচ্ছে।
এ মুহুর্তে আপনি যদি বিচারক হন তবে কি করবেন। গণদাবী মেনে রায় দেবেন নাকি আপনার বিবেক কে খাটিয়ে, স্বাক্ষ্য নিয়ে প্রকৃত বিচার করবেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯
সৈয়দ মবনু বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৫
মাহমুদুল হাসান শাহিন বলেছেন: 'কারো ফাঁসীর দাবী করা অমানবিক কাজ'
আর কয়েকশ নির্দোষ লোককে হতযা করাটা কি মানবিক ?