নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা অদৃশ্য শিরোনাম । যার বিস্তারিতই দেখে শুধু মানুষ, মূল শিরোনাম দেখেনা কেউ । কেউ কেউ আবার বিস্তারিত সংবাদের মাঝেই হার মেনে যায়...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া

নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিকতার আদলে নারীদের অবাধ বিচরণ,যৌনতা,অর্ধনগ্নতা সম্পর্কে ইসলামের আলোকে

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১

আধুনিকতার আদলে নারীদের অবাধ বিচরণ,যৌনতা,অর্ধনগ্নতা সম্পর্কে ইসলামের আলোকে যা বলে তার বেশকিছু ব্যাপার নিয়ে এই পোষ্টটি লিখছি । ইসলামে নারীর মর্যাদা,তাদের ধর্মীয় ব্যাপারে উদাসীনতা সম্পর্কে নিম্নে আলোকপাত করা হলো :
যুগোপযোগী হতে গিয়ে আজকের সমাজে বেশিরভাগই হয়ে উঠেছে একটি অসামাজিক কালচার, বেশিরভাগ স্থান জুড়েই নারীদের ইসলাম বহির্ভূত কার্যকলাপ যা এই সমাজকে বিষিয়ে তুলেছে । বর্হিবিশ্বের যত অসভ্য কালচার আমাদের নারীর সমাজ তাদের অন্তরে ধারণ করছে । মহিলাদের জন্য সিল্কের কাপড় হারাম করা সত্ত্বেও বেশীরভাগ কাপড়ে সিল্কি পোশাক সমাদৃত হচ্ছে । এবং নারীরাও ইসলামকে তোয়াক্কা না করে সহসাই ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে ।
আদিকাল থেকে নারীর ভুল এবং কু-প্রবৃত্তি সমাজের বুকে কালো আঁচড় ফেলেছে । এই কুঠারঘাত সমাজের অনৈতিকতা থেকে সমাজে নারীদের যে অধঃপতন যা চর্মচক্ষু দিয়ে একবার দৃষ্টিপাত করলেই বোঝা যায় ।
সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে "তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করো । প্রাচীন জাহেলিয়াতে যুগের নারীদের মত নিজেদের প্রদর্শন করোনা"
এখানে নিজের চাকচিক্যতা এবং নিজের শরীর প্রদর্শন করাকে কঠোর নিষেধ করা হয়েছে । ইসলাম ১৪০০ বছর আগের মানুষগুলো ছিল একরকম এবং আধুনিক সমাজে অন্যরকম তবে আমাদের আল কোরআনের কিন্তু কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয়নি,হবেওনা । কোরআন হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যেখানে স্বামী স্ত্রীর মিলন,সন্তানদের দায়ভার,রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা, নেক আমল, হালাল হারাম সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে । যুগের সাথে তাল মিলানোর ব্যাপারে হাদীসে বলা হয়েছে যদি কোনোকিছুর প্রয়োজন ঘটে সেক্ষেত্রে আলেম উলামারা যেন সেটা সংশোধন করে দেয় ।
সেক্ষেত্রে নারীদের বোরকা,হিজাব হলো সময়োপযোগী । তবে ধর্ম যেন ঠিক থাকে । আল্লাহ বোরকা পড়তে বলেছেন কিন্তু ছদ্মবেশী হতে নিষেধ করেছেন ।
যদি আধুনিকতায় সেক্স এতটা সাধারণভাবে নেয়া হয় তাহলে, মেয়েদের সেক্ষেত্রে বেশী সতর্ক থাকতে হবে । অতঃএব হে নারীরা তোমরা আল্লাহতে ভয় করো । এবং তোমরা(পুরুষ এবং মহিলা) তোমরা তোমাদের দৃষ্টি সংযত করো ।
এ সম্পর্কিত একটি হাদীস হলো :
এক বেদুইন আল্লাহর রসুলের কাছে এসে বলল- আমার পূত্র এক লোকের বাড়ীতে কাজ করত কিন্তু সে লোকটির স্ত্রীর সাথে অবৈধ দেহ মিলন করেছে। আমি পুত্রের জন্য জরিমানা স্বরুপ একশত ভেড়া ও একটা দাসী লোকটিকে দান করেছি। এটা কি যথার্থ হয়েছে? আল্লাহর নবী বললেন- আল্লাহর হাত স্বরূপ আমার হৃদয় আমি এর বিচার আল্লাহর আইন অনুযায়ী করব। তুমি তোমার ভেড়াগুলো আর দাসী ফিরিয়ে নাও। উনাইস( বেদুইনের নাম), তোমার পূত্রকে একশ দোররা মার, আর সেই লোকটির স্ত্রীর নিকট যাও যদি সে তার দোষ স্বীকার করে, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার ওপর পাথর নিপে কর। বুখারী শরিফ, ভলিউম-৩, বই-৫০, হাদিস-৮৮৫
নারীদের ব্যভিচার সম্পর্কে আরেকটি কোরআনের আয়াত হলো :
তোমাদের মধ্যে যে সকল নারী ব্যাভিচার করিবে, তোমরা তাহাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্যেকার চারিজনকে সাক্ষী রাখ, যদি তাহারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তোমরা তাহাদিগকে সেই সময় পর্যন্ত গৃহে আবদ্ধ করিয়া রাখিবে যে পর্যন্ত না মৃত্যু তাহাদের সমাপ্তি ঘটায় কিম্বা আল্লাহ তাহাদের জন্য কোন পৃথক পথ বাহির করেন। এবং তোমাদের মধ্যেকার যে কোন দুইজন ব্যাভিচার করিবে, তোমরা সেই দুইজনকে শাস্তি দিও, অত:পর যদি তাহারা তওবা করে এবং সংশোধন করে তবে তাহাদের নিন্দাবাদ হইতে বিরত রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় মাশীল দয়ালু। নিশ্চয়ই যারা অজ্ঞতাবশত: দোষের কাজ করিয়া বসে, তৎপর অল্পকাল মধ্যে তওবা করে, তাহাদের তওবা কবুল করা আল্লাহর দায়িত্ব, আল্লাহ তাহাদের প্রতি সু দৃষ্টি করিয়া থাকেন, আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও মহাবিজ্ঞানী। সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১৫-১৭
অতঃপর বলা হয় এখানে দুজনকেই মৃত্যু পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখার বিধান রাখা হয়েছে । এবং সেক্ষেত্রে যেন চারজন সাক্ষী থাকে ।
পৃথিবীতে নারীরাই বেশী জাহান্নামে যাবে । কোরআনের একটি আয়াতে বলা হয়েছে "এবং তারা জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে অনন্তকাল"
নবী কারীম(সাঃ) আল্লাহর সাথে দিদারের সময় একটি হাদিস :
আমি দোজখও দেখলাম আর এমন ভয়ংকর দৃশ্য আমি আর দেখি নি। আমি দেখলাম অধিকাংশ দোজখবাসী হলো নারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হুজুর , কেন তা ? উত্তরে আল্লাহর হাবিব বললেন- তাদের অকৃতজ্ঞতার জন্য। আবার নবীকে জিজ্ঞেস করা হলো- নারীরা কি আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ কি না। উত্তরে তিনি বললেন- নারীরা হলো তাদের স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ। তোমরা তাদের প্রতি সারা জীবন প্রীতিপূর্ন হলেও যদি একবার কোন কাজ কর যা তোমাদের স্ত্রীদের আশানুরূপ নয়, তাহলে তারা বলবে সারা জীবনেও তোমাদের কাছ থেকে ভাল কিছু পায়নি।- বুখারী শরীফ, ভলুম -২, বই-১৮, হাদিস নং-১৬১”
সুতরাং যে সকল নারী বিয়ের পরবর্তী বলে "তুমি আমাকে কিছুই দাওনি,তোমার সাথে আমার জীবন বৃথা ; এবং তাদের জন্য চিরস্থায়ী জাহান্নামের বন্দোবস্ত করা হয়েছে ।
আরেকটি শাস্তি সম্পর্কে আয়াতে বলা হয়েছে :
"তোমরা কখনো ভার্যাগনের মধ্যে সমতা রা করতে পারবে না যদিও লালায়িত হও, তবে সামগ্রিকভাবে ঝুকিয়া পড়িও না যে অপর স্ত্রীকে ঝুলানবৎ করিয়া রাখিবে এবং যদি সংশোধন কর এবং উভয়ে যদি পৃথক হইয়া যায়, তবে আল্লাহ অতিশয় মাকারী দয়ালু। এবং যদি উভয়ে পৃথক হইয়া যায় তবে আল্লাহ আপন উদারতায় প্রত্যেককে অমুখাপেী করিয়া দিবেন।-সূরা-৪:নিসা, আয়াত:১২৯-১৩০"
এরপর যারা শুধুমাত্র প্রেম,ভালবাসার মানে খুঁজে পরিবারকে তুচ্ছজ্ঞান করে তাদের জন্য :
“সুতরাং তোমরা তাদেরকে তাদের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে বিবাহ কর এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও।” (সূরা নিসা: আয়াত ২৫)
কুরআনে সুস্পষ্টরূপে দেখানো হয়েছে বিয়ের আগে অবশ্যই যেন অভিভাবকের সম্মতি নেয়া হয় । আরেকটি হাদীসে পড়েছিলাম অভিভাবকের অসম্মতিতে বিয়ে করলে যত সন্তান হবে সবগুলোই জারজ সন্তান হবে ।
আবু হোরায়রা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূলকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- একটা নারীকে চার কারনে বিয়ে করা যাবে – তার ধন সম্পদ, মর্যাদা, সৌন্দর্য ও ধর্ম। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৪৩৫৭
বিয়ের অহেতুক জাঁকজমকতা সম্পর্কে একটি হাদীস উল্লিখিত :
হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি বরকত ও কল্যাণময় বিবাহ হচ্ছে সেটি, যেখানে খরচ কম হয় (অহেতুক খরচ হয় না)।” (বায়হাকী, ঈমান অধ্যায়)
যারা আসলে সমান অধিকার চায় তারা একধরনের পাপীষ্ঠ যারা আল্লাহর তৈরি বিধানকে না মেনে তারা তাদের মত করে শাসনব্যবস্থা চায় । এবং তারা ভুলে যায় আল্লাহকে,আল্লাহর তৈরি বিধানকে,আসমান হতে যমিনকে এবং আখিরাত জীবনকে । আল্লাহ বলেন -
"আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। (৩৩:৩৬)"
নিচে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার বর্ণিত কোরআন ও হাদীসের আলোকে নিম্নরূপ :
‘নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সর্বোত্তম কাঠামোয়।’ (সূরা ত্বিন : আয়াত ৪)।
“হে মানবজাতি, সেই রবকে তুমি মানো, যিনি তোমাদের একটি মূল সত্তা (নফস) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সত্তা থেকে তার সঙ্গীকে সৃষ্টি করেছেন এবং এ দু’জন থেকে তিনি অসংখ্য নারী ও পুরুষ সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা নিসা : আয়াত ১)।
অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া এই বলে কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি না, তা সে হোক পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক। তোমরা পরস্পর এক। (আল-ইমরান ৩:১৯৫)
“যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।” (আন-নিসা ৪:১২৪)
এক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারী উভয়কেই সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে ।
ইসলামে পুরুষদের মর্যাদা নিম্নরূপ :
আর আল্লাহতালা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তুর নাম। ২ ঃ ৩১
যখন আমি আদমকে সেজদা করার জন্য ফেরেস্তাদের নির্দেশ দিলাম, তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল। ২ ঃ ৩৪
আমি আদমকে হুকুম করলাম তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক। ২ ঃ ৩৫
অতঃপর আদম স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন। ২ ঃ ৩৭
আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার অবয়ব তৈরী করেছি। অতঃপর ফিরিস্তাদের আদেশ করেছি -আদমকে সিজদা কর, সবাই সিজদা করেছে, কিন্তু ইবলিস সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ৭ ঃ ১১
আমি বিনষ্ট করি না তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর কর্ম, তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা একে অন্যের সমান।” (আল-ইমরান ৩:১৯৫)
পৃথিবীতে বেশিরভাগ দায়ভার পুরুষদের উপর অর্পণ করা হয়েছে । কোরআনের একটি আয়াতে বলা হয়েছে "এবং তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়, এবং হালাল পথে উপার্জন কর স্ত্রী, সন্তান সন্ততিদের জন্য ।"
পুরুষগণ নারীদিগের উপর কর্তৃত্বশীল, এই কারনে যে, আল্লাহ উহাদের কাহাকেও কাহারও উপর মর্যাদা প্রদান করিয়াছেন, এবং পুরুষেরা স্বীয় মাল হইতে তাহাদের অর্থ ব্যয় করিয়াছে, ফলে পূন্যবান রমনীগন অনুগত থাকে, অজ্ঞাতেও তত্ত্বাবধান করে, আল্লাহর তত্ত্বাবধানের মধ্যে এবং যাহাদের অবাধ্যতার সম্ভাবনা দেখিতে পাও, তাহাদিগকে উপদেশ দাও, এবং তাহাদের সহিত শয্যা বন্ধ কর এবং তাহাদিগকে সংযতভাবে প্রহার কর, তারপর যদি তোমাদের নির্দেশ অনুযায়ী চলিতে থাকে, তাহা হইলে তাহাদের উপর নির্যাতনের পন্থা অবলম্বন করিও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুউচ্চ মর্যাদাশীল মহান। সূরা-৪:নিসা, আয়াত:৩৪
ইসলামে নারীর মর্যাদা :
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌র কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন। (৪৯:১৩)
“আবু সাঈদ খুদরী হতে বর্ণিত: তিনি বলেল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান আছে, সে তাদেরকে আদব শিক্ষা দিয়েছে এবং বিবাহ দিয়েছে এবং তাদের সাথে সদাচরন করেছে, তার জন্য রয়েছে জান্নাত।” (সুনানে আবু দাউদ)
“আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!” (সুরা নাহল: আয়াত ৫৮, ৫৯)
“আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।” (সুরা শু’রা: আয়াত ৪৯, ৫০)
“পরিপূর্ণ মু’মিন হলো সেই ব্যক্তি, যার আখলাক-চরিত্র উত্তম। আর তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রী-কন্যাদের কাছে উত্তম।”"
"হে নবী পত্নীগন, তোমরা অন্য নারীদের মত নও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে তোমরা অন্য পুরুষদের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যাক্তি কুবাসনা করে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে- মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামাজ কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে , আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আল্লাহ কেবল চান তোমাদের কাছ থেকে অপবিত্রতা দুর করতে এবং তোমাদেরকে সর্বতোরূপে পুত পবিত্র রাখতে। ৩৩ ঃ৩২-৩৩"
“হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক উৎস থেকে। আর তা থেকে তোমাদের স্ত্রীদেরকেও সৃষ্টি করেছেন। এরপর তা থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আর ভয় কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।” (সূরা নিসা, আয়াত ০১)
হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। (সুরা আল-হুজরাত: ১৩)
“তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে এবং তার থেকে বানিয়েছেন তার সঙ্গিনীকে, যাতে সে তার নিকট প্রশান্তি লাভ করে।” (সূরা আরাফ, আয়াত ১৮৯)
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা রূম: আয়াত ২১)
“আর অবশ্যই তোমার পূর্বে আমি রাসূলদের প্রেরণ করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি। (সুরা রা’দ: আয়াত ৩৮)
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রীদের ভরু-পোষণের সক্ষমতা রাখে তারা যেন বিয়ে করে ফেলে। কেনন এটা চোখের প্রশান্তি দানকারী ও লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী। আর যারা স্ত্রীদের ভরণ-পোষণের সামর্থ্য রাখে না, তারা যেন রোজা রাখে, কেননা এটা তাদের উত্তেজনাকে হ্রাস করবে।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৭৭৮)
“হযরত আনাস রা. থেকেব বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে যেন তার অর্ধেক ঈমানকে পূর্ণ করে ফেললো। এখন বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” (মিশকাত শরীফ: হাদীস নং ৩০৯৭)
“উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যর পরিচায়ক।” (মুসলিম শরীফ)
"হে মুসলমানগন, তোমাদের পে জায়েজ নহে যে, তোমরা নারীদিগের জোরপূর্বক মালিক হও এবং তাহাদিগকে আটক করিয়া রাখ,—কিন্তু তাহাদের দ্বারা সুস্পষ্ট কুকার্য প্রকাশ হওয়ার পর, এবং তাহাদের সহিত সদ্ব্যবহার সহকারে বসবাস কর, যদি উহাদিগকে না পছন্দ কর, তবে আশ্চর্য নয় যে, তোমরা যাহাকে না পছন্দ করিতেছ, বস্তুত: তাহারই মধ্যে আল্লাহ বহু কল্যাণ দিয়া রাখিয়াছেন। এবং যদি তোমরা এক স্ত্রী বদলাইয়া তৎস্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহনের ইচ্ছা কর, এবং তাহাদের স্তূপিকৃত মালও দিয়া থাক, তবুও উহা হইতে কিছুই লইও না। তোমরা কি স্ত্রীর নামে কোন প্রকারের দুর্নাম রটাইয়া সুস্পষ্ট গোনাহ করিয়া উহা ফেরত লইতে চাও?সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১৯-২১"
“আর যারা বলে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে।” (সুরা ফুরক্বান, আয়াত ৭৪)
“আর তোমরা স্ত্রীদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্যে আটকে রেখো না। আর যারা এ ধরণের জঘন্যতম অন্যায় করবে তারা নিজেদের উপরই জুলুম করবে।” (সূরা বাকারা : আয়াত ২৩১)
"আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিয়ে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩"
আল্লাহ্‌ পৃথিবীতে নারী ও পুরুষকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে, সুখ ও শান্তিতে পৃথিবীর জীবনকে উপভোগ করতে পারে। কিন্তু যদি এই বন্ধন সুখের না হয়, তবে তাদের সে বিয়ে ভেংগে দেবারও নির্দেশ দিয়েছেন।
নারীদের ইসলামে বিশেষভাবে মর্যাদা দান করা হয়েছে এবং বিবাহ পরবর্তী তাদের দেনমোহরের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেন তাদের ছোট করা না হয় ।
এ বিষয়ে হাদীসে বর্ণিত আছে :
এবং তাহাদের স্তূপিকৃত মালও দিয়া থাক, তবুও উহা হইতে কিছুই লইও না। তোমরা কি স্ত্রীর নামে কোন প্রকারের দুর্নাম রটাইয়া সুস্পষ্ট গোনাহ করিয়া উহা ফেরত লইতে চাও?সূরা-৪: নিসা, আয়াত:১৯-২১
"উহা কি প্রকারে ফেরত নিবে, যেহেতু তোমরা একে অন্যের সহিত সহবাস করিয়াছ? সূরা-৪: নিসা, আয়াত: ২১"
"তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:১৮৭"
কুরআনের সূরা নিসার একটি আয়াতের শেষ অংশে আল্লাহ বলেছেন : এবং ভয় পাও সেই আল্লাহকে, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে অধিকার দাবি করে থাকো এবং ভয় পাও গর্ভকে বা মাকে। (সূরা নিসা : আয়াত ১)।
আল্লাহ বলেছেন, গর্ভকে ভয় পাও। কুরআন শরিফের এই আয়াতটির তাফসিরে মিসরের বিখ্যাত আলেম সাইয়েদ কুতুব লিখেছেন, ‘এই ভাষা পৃথিবীর কোনো সাহিত্যে কুরআনের আগে লেখা হয়নি। আল্লাহ গর্ভকে ভয় করতে বলে মাকে সম্মান করার কথা বলেছেন
ইসলামে মিলন বিধান সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস :
"তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেএ, সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছা অবতীর্ন হও। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৩"
"পুরুষদের ওপর নারীদের হক আছে যেমন দস্তুর অনুযায়ী নারীদের ওপর পুরুষের হক আছে। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৮"
"পুরুষদের ওপর নারীদের হক আছে যেমন দস্তুর অনুযায়ী নারীদের ওপর পুরুষেরও হক আছে, অবশ্য নারীদের ওপর পুরুষদের বিশেষ মর্যাদা রহিয়াছে, এবং আল্লাহ শক্তিমান ও প্রজ্ঞাশীল। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:২২৮"
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ কর এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া।” (আর-রূম ৩০:২১)
আবু হোরায়রা থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী বলেছেন- যদি কোন স্ত্রীকে তার স্বামী বিছানায় ডাকে (যৌনমিলনের জন্য) আর সে স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় যাতে তার স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে বাধ্য হয়, তখন ফিরিস্তারা সেই স্ত্রীলোকটিকে সকাল পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে। সহি বুখারী-ভলুম-৪, বই-৫৪, হাদিস-৪৬০
"তোমাদের জন্য রমজানের রাত্রে তোমাদের বিবিগনের নিকট গমন করা জায়েজ করা হইয়াছে, তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন, আল্লাহ জানিতে পারিলেন যে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করিতেছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদের অপরাধ মার্জনা করিলেন এবং তোমাদের দোষ ছাড়িয়া দিলেন, সুতরাং এখন উহাদের সহিত সহবাস কর। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:১৮৭"
"নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার রমনীকে বিবাহ কর, কিন্তু তোমরা যদি আশংকা কর যে, সমতা রা করতে পারিবে না, তদবস্থায় একই স্ত্রী কিংবা তোমাদের অধীনস্ত দাসী; ইহা অবিচার না হওয়ারই অতি নিকটতর। সূরা-৪: নিসা, আয়াত:৩"
"আল্লাহর নবী বললেন, কোন নারী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া রোজা রাখতে পারবে না যদি তার স্বামী বাড়ীতে উপস্থিত থাকে। সহি মুসলিম. বই-৫, হাদিস-২২৩৪"
"হে মুমিনগন, তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো। তবে অতঃপর খাওয়া শেষ হয়ে গেলে আপনা আপনি চলে যেও, কথা বার্তায় মশগুল হয়ে যেও না। নিশ্চয়ই এটা নবীর জন্য কষ্ট দায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু আল্লাহ সত্য কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন না।তোমরা তার পত্নীদের কাছে কিছু চাইলে আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিক অধিকতর পবিত্রতার কারন। আল্লাহর রসুলকে কষ্ট দেয়া আর তার ওফাতের পর তার বিবি গনকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ। ৩৩ ঃ৫৩"
আয়শা থেকে বর্নিত, আমাকে বলা হয়েছিল কি কি জিনিস নামাজকে নষ্ট করে। সেগুলো হলো –কুকুর, গাধা ও নারী। সহী বুখারী, বই-৯, হাদিস-৪৯৩
আমি বললাম- আপনি আমাদেরকে(নারী) কুকুর ও গাধাদের সাথে তুলনা করলেন, হায় আল্লাহ! নবী যখন নামাজ পড়তেন আমি তখন তার ও কিবলার মাঝ খানে শুয়ে থাকতাম, কিন্ত জেগে ওঠার পর কিছু দরকার হলে আমি পাশ কেটে তার পায়ের দিকে চলে যেতাম পাছে তার প্রার্থনার ব্যঘাত ঘটে। সহি বুখারি, ভলুম-১, বই- ৯, হাদিস-৪৯৩
এখানে নারী সঙ্গমের কথা বলা হয়েছে । এবং কুকুর যদি জামাতে কামড় দেয় সেক্ষেত্রে শরীর নাপাক হয়ে যাবে ।
নারীদের কু প্রভাব সম্পর্কিত একটি হাদীস :
"জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শযতানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০"
মাকিল ইবন্ ইয়াছির হতে বর্নিত- একজন মানুষ নবীর কাছে এসে বলল- আমি একজন উচ্চ বংশীয় সুন্দরী নারীর সন্ধান পেয়েছি কিন্তু সে সন্তান দিতে অপারগ, তাকে কি আমার বিয়ে করা উচিৎ ? নবী উত্তর দিলেন- না। লোকটি আবার নবীর কাছে একই বিষয়ে আবার জিজ্ঞেস করল এবং নবীর উত্তর হলো- না। সে তৃতীয়বারের মত আবার আসল । এবার পরম করুনার সাগর আল্লাহর পেয়ারা নবী বললেন- উর্বর গর্ভ বিশিষ্ট সুন্দরী নারী বিয়ে কর কারন আমি তোমাদের দ্বারা আমার অনুসারী বৃদ্ধি করব। আবু দাউদ, বই -১১, হাদিস-২০৪৫
পরিশেষে আওড়াল ইবনুল কায়্যিম (রহ) এর বিখ্যাত উক্তিটাঃ
.
“গুনাহকে অবশ্যই ধুতে হয়। হয় দুনিয়াতে অনুশোচনার অশ্রু দ্বারা।
নতুবা আখিরাতে জাহান্নামের আগুন দ্বারা।”
ইহুদীরা বলতো, “জাহান্নামের আগুন আমাদেরকে স্পর্শ করবে না। আর যদি করেও, তবে কেবল কিছু দিনের জন্যে করবে।”[২:৮০]
যদিও কোরআনে আছে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই । ফয়সালা একবারই ।
আমরা আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করি উনি যেন আমাদের গুনাহ থেকে রক্ষা করেন।
আমরা জাহান্নামে থাকতে চাই না । আসুন হে মানবসকল আমরা পাপকাজ থেকে বিরত থাকি । আল্লাহ্‌ আমাদের মঙ্গলময় করুন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.