নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা অদৃশ্য শিরোনাম । যার বিস্তারিতই দেখে শুধু মানুষ, মূল শিরোনাম দেখেনা কেউ । কেউ কেউ আবার বিস্তারিত সংবাদের মাঝেই হার মেনে যায়...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া

নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপ্লব অথবা মৃত্যু

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২২

গণমানুষের জোয়ার দেখে তখন শাসকগোষ্ঠীরা বেশ ভালোভাবেই নড়েচড়ে উঠলো । চারিদিকে বিক্ষোভ মিছিল আর ঘরে ঘরে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া মানুষ । অন্যায়কে তো আর মানা যায়না । অনেক মেনেছে মানুষ । গুটিকয়েক লোকের হাতে কোটি কোটি মানুষ বিপদে । মানুষ চায় একটু আশ্রয়স্থল‚ খাবার আর স্বাধীনতা ।

স্বাধীনতাকামী মানুষগুলো তখন গর্জে উঠলো । সাক্ষী রইলো আকাশ-বাতাস-পশুপাখি-গাছপালা । যেন সব পশুপাখি আর গাছপালাগুলো এই মুক্তিকামী মানুষগুলোকে প্রেরণা দিচ্ছে । আকাশ-বাতাস মুক্তির সংগ্রামে উত্তাল ।
শাসকগোষ্ঠী কায়দা করে সমস্ত গণমাধ্যমে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠালো; চিঠি তো নয় ছিলো হুমকি । চিঠি পাঠানোর আগের রাতে বেছে বেছে দেশবরেণ্য গণতান্ত্রীকামী সাংবাদিকদের এক জায়গায় জড়ো করা হলো । তারপর সবার চোখ বাঁধা হলো । কিছুক্ষণ পর কে যেন বললো‚ “ওপেন ফায়ার” । সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁঝরা হয়ে গেলো কয়েকশো বুক-মাথা । রঙ্গস্রোতে ভেসে গেলো নিচে পড়ে থাকা গাছের শুকনো পাতা । বালুগুলোও দেবে গেলো রক্তের বন্যায় । কয়েকটি কাক গাছ থেকে কা কা করতে করতে উড়ে গেলো ।

সাংবাদিকদের চিঠিতে বলা হলো যদি এসব বিক্ষোভের ছবি‚ ফুটেজ‚ ভিডিও একটাও প্রচার করা হয় তবে সবগুলোকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলবে । দেখা গেলো যারা ওয়ার্নিংয়ের পরও সংবাদ প্রচার করেছিল তাদেরকে সত্যিই জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হলো । এভাবে বেশকিছু চলল সাংবাদিক নিধন ।

তারপর নির্বিকারে ভারী অস্ত্র এবং ট্যাংক দিয়ে চলল সাধারণ মুক্তিকামী মানুষদের উপর হামলা । কত যে মানুষ মরলো তার ইয়ত্তা নেই!

লাশগুলোকে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হলো । শিশু‚ নারী‚ কিশোর-কিশোরী‚ যুবক-যুবতী‚ বুড়ো-বুড়ি সব ধরনের লাশ-ই চোখে পড়লো । মানুষের রক্তে সাগরের পানি গাঢ় লাল বর্ণ ধারন করলো । মাছসহ সাগরের অন্যান্যা জলজ প্রাণীগুলো মরতে শুরু মরলো ।
শুধু যে মানুষ ই মারা হলো তা নয় । কয়েক লক্ষ গাছ কাটা হলো‚ কয়েক লক্ষ পাখিও মারা হলো । শহরজুড়ে যেন বিষবাষ্প ছড়িয়ে গেলো ।

চারিদিকে মানুষের আর্তনাদ‚ লাশের পঁচা দূর্গন্ধ ।

এতকিছুর পরও সাধারণ জনগণের জয় হলো । বিনিময়ে ঝড়ে গেলো কয়েক লক্ষ প্রাণ । তারপর একটি স্বাধীন পতাকা উড়লো । মানুষ উপহার পেলো একটি নতুন সূর্য । যেই পতাকার উদ্দেশ্য হলো সন্ত্রাসীদের কালো দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া । মানুষে মানুষের সম্পৃতির বন্ধন গড়ে তোলা । একটি নির্লোভ‚ নিরহংকার‚ সাহসী এবং ভালো মানুষদের নিয়ে জাতি গঠন করা ।

মুক্তির পতাকা ছিনিয়ে বয়ে আনার পর মসজিদে মসজিদে দোয়া-কালাম পড়া শুরু হলো । মন্দিরে চললো দিনভর পূজো । গির্জায়‚ প্যাগোডায় চললো তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ।

এরকম গণজাগরণ পৃথিবীতে আগেও ঘটেছিল । আবার ঘটলো নতুন আরেক গণজাগরণ । মানুষের মধ্যে এই বিপ্লবী চেতনাতেই পেলো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র । যেখানে আর নতুন করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটলেই তা নির্মূল করা হবে কঠোরভাবে । হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী জানোয়ারগুলোর জন্য একটি কূপ খনন করা হবে । যেখানে তাদেরকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হবে । এটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা । যেন তারা আর নতুন করে দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি না করে । সৃষ্টি করলে তাকে এই শাস্তি ভোগ করতে হবে । তারপর উপরওয়ালার বিচার উপরওয়ালা কাছে তো আছেই...

(ফুটনোটঃ উপরোক্ত লেখাটির কিছু অংশ স্বপ্নে পাওয়া এবং কিছু অংশ কল্পনাপ্রসূত ভাবনার আলোকে লেখা । ভুলত্রুটি মার্জনীয়!)


০৮ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | সোমবার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিপ্লব করে কিছু পাওয়া যায় না। শুধু নিজের জীবনটা শেষ।
বিশেষ করে দরিদ্র দেশে বিপ্লব না করাই ভালো।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

নির্বাক কাকতাড়ুয়া বলেছেন: ভুল বললেন জনাব । বিপ্লব ছাড়া কিছুই অর্জন করা সম্ভব হয়নি এই পৃথিবীতে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.