নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা অদৃশ্য শিরোনাম । যার বিস্তারিতই দেখে শুধু মানুষ, মূল শিরোনাম দেখেনা কেউ । কেউ কেউ আবার বিস্তারিত সংবাদের মাঝেই হার মেনে যায়...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া

নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম এবং প্রতিপক্ষতা

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪১

খারাপ কোনোকিছু ঘটলেই প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করা এই রীতিটা শুধু রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ না । এই রীতিটা ধর্ম-গোত্রের মধ্যেও চালু আছে ।

রমজান মাস আসলেই একটা কমন সমস্যা হলো ‘লোড শেডিং’ । আর এই লোড শেডিংটাও বিশেষ বিশেষ সময়ে ঘটে । সেহরির সময়‚ ইফতারের সময়‚ তারবীহ নামাজের সময়; যখন ইলেকট্রিসিটির অতীব প্রয়োজন পড়ে । তখন কিছু উৎসুক লোক অন্য ধর্মের লোকেদের তুলোধুনো করে ছাড়েন । যে ইলেকট্রিসিটি কন্ট্রোলারের দায়িত্বটা অন্য কোনো ধর্মের লোক কন্ট্রোল করতেছেন । যে কারণে এই সমস্যাটা ঘটছে!

তখন আমিও সেই লোককে প্রতিউত্তরে বলি‚ “ভাই‚ অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়া দ্যাখেন তিনি আপনার ধর্মেরই লোক । মিছেমিছি অন্য ধর্মকে গালি দিচ্ছেন‚ কটাক্ষ করতেছেন ক্যান!”

আবার অনেকসময় ওয়াজ-মাহফিলে শুনি বক্তারা বলেন যে মুসলমানদের শত্রু হলো ইউরোপিয়ানরা-আমেরিকানরা । তখনও আমি বলি‚ “মুসলমানদের বড় শত্রু হলো মুসলমানরাই । বাংলাদেশের সব বক্তাগোষ্ঠী কি কখনও এক হতে পেরেছে । তারাইতো এক জনের আঠা আরেকজনকে লাগিয়ে বেড়ায় । একজন বলে ‘ওরে বাটপার’ তো অপরজন বলে ‘ওরে চিটার’ । একই ধর্মের লোক হয়েও একজনের আরেকজনের গীবত করেন‚ কটাক্ষ করেন‚ হেয় করেন । আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলোকে তো আগে সমাধান করা দরকার । একেই বলে ঘরের শত্রু বিভীষণ!”

নিজেদের মধ্যে হাজারও সমস্যা রেখে‚ আবার আমরা অন্য ধর্মকে ব্যঙ্গ করি‚ কটাক্ষ করি‚ তুলোধুনো করি । এ যেন এক কমন ট্রেডিশান । হয়তোবা অন্যান্য ধর্মের লোকেদেরও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে এরকম ঘটনা ঘটলে অপর ধর্মকে কটাক্ষ করে বেড়ান । কিন্তু আমরা যা ভাবি তা মোটেও সত্যি নয় । নিজের ধর্মের লোকেরাই আমাদের কষ্টে ভোগান‚ সমস্যায় ফেলে দেন! তবুও অন্য ধর্মের প্রতি কেন চক্ষুশূল?...কেন...

—সাব্বির আহমেদ সাকিল
১৫ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল | মঙ্গলবার

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দোষারোপ করার বাংলাদেশ

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২২

নতুন বলেছেন: ভন্ডরা নিজাই ঝগড়া বাধাবে এবং মানুষের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবে।

এখন ওয়াজে হাজার হাজার টাকা নেয়। অনেকে লাখ টাকা + হেলিকপ্টার ভাড়াও নেয়।

কি সেখায় একটা ওয়াজ মাহফিলে এই সব বক্তারা?

যদি সবাই কোরান বুঝে পড়তো, নিজেরা বিনয়ী হতো, জ্ঞানীদের সাথে আলোচনা করতো তবে মৌসুমী এই সব বক্তাদের লাখ টাকা দিয়ে ১ ঘন্টার জন্য আনা দরকার হতো না।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মটার শুরুটা শান্তিপুর্নভাবে হয় নাই।নানান প্রতিকুলতার মধ্যে চলতে হয়েছে এই ধর্মটাকে।কৌশলগত কারনে অনেক কিছু বলতে হয়েছে।পরে এটার কোন সমন্নয় করা হয় নাই।তাই এক একজন এক একভাবে ব্যাখ্যা করে। এ বলে এইটা ঠিক ওবলে ঐটা।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পারিবারিক মাঝে নেই

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম ভুলে যাও, সব পক্ষ ভুলে যাও

সারা বিশ্বের মানুষের একটাই পক্ষ (মানবতা) যেদিন হবে সেদিন সারা দুনিয়াটা বড্ড আনন্দ ময় হবে।

৬| ০৩ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:০৩

নির্বাক কাকতাড়ুয়া বলেছেন: জ্বি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.