নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটা অদৃশ্য শিরোনাম । যার বিস্তারিতই দেখে শুধু মানুষ, মূল শিরোনাম দেখেনা কেউ । কেউ কেউ আবার বিস্তারিত সংবাদের মাঝেই হার মেনে যায়...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া

নদীতে ভেসে চলা ভাসমান কচুরিপানাগুলোর মতই আমার জীবন...

নির্বাক কাকতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কৃষিখাতে কবে সুদৃষ্টি পড়বে?

২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

"কৃষি-কৃষক" নিয়ে লিখতেই যেন কেমন লাগে | কারণ একটাই একদল জোচ্চরদের দখলে আমাদের কৃষিশিল্প | কৃষক খেঁটে মরে আর একদল হর্তাকর্তা মুখ কেলিয়ে হাসে | স্বাধীনতার ৪৯ বছরে কৃষকদের কোনো উন্নতি ঘটেনি[যা উন্নতি দেখানো হয় তা পত্রিকা-টিভিতেই বিদ্যমান; বাস্তবে উল্টো ঘটনা] | পত্রিকাতে মুখরোচক নিউজ করিয়ে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আনা হয় নির্দিষ্ট কিছু লোকদের পেটপূজো করবার জন্য |

একদল সারের অভাব তৈরি করে কৃষককে মারে তো আরেকদল ফসলের দাম কমিয়ে কৃষক আত্নহত্যা করে মারে | সাধারণত এ-জাতীয় ঘটনা সরজমিনে না গেলে কারোরই চক্ষু খুলবেনা | আমাদের চোখ থাকে উর্ধ্বমুখী | প্রতিদিন পত্রিকায় ধর্ষণের সংবাদ, আর টিভিতে দালালদের ফাঁকা বুলি দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত |

সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে দ্যায়, যেমন মেডিকেল-হাসপাতালে যেহেতু দুর্নীতির আখড়া সেহেতু অনুমতি ব্যতীত কোনো সংবাদমাধ্যম কর্মী কোনো নিউজ করতে পারবেনা | অফিসের বাহিরে ইয়া বড় করে ব্যানার লাগাতে হবে, "আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত" | আহাহাহা! কি সুন্দর সাধুরা সব বসে থাকেন সেখানে | আবার সরকারি দালালি বাদ দিয়ে কেউ সমালোচনা করলেই মামলা-মোকদ্দমা তো আছেই |

সব লেখকেরই দুরবস্থা | সস্তা প্রেমকাহিনী ছাড়া এদেশে আর কোনো বই, সংগীত, সিনেমা কোনোটাই আর তৈরি হচ্ছেনা | ঘুরেফিরে ঐ কেন্দ্রভিমুখী সবাই | কৃষিখাতে এত প্রনোদনা আসে যা দিয়ে পেট ভরে ঐ শ্রেণীর | নির্দিষ্ট করে তাঁদেরকে মেনশন করলে আবার মামলা-হামলা চলতে পারে | ভাষাচর্চা কিংবা সুস্থ বিনোদন বলতে তেমনকিছু আর নেই বললেই চলে |

সিন্ডিকেটের আওতায় কৃষিখাত সেই থেকেই শিকল পড়ে আছে | একদল যায় তো আরেকদল আসে কৃষকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই | সভা-সেমিনার কিংবা প্রশিক্ষণে কৃষির কথা কোটিবার উচ্চারণ হলেও যা অবস্থা তাই-ই, সকলেই জানে আসল সমস্যাটা কোথায় | সুবিধাভোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তো বসে আছে একটা ফাঁক-ফোকর খোঁজার জন্য, যাতে একটু সুযোগ পেলেই সরকারের কাছে থেকে হাজার কোটি টাকা বাগিয়ে নিতে পারে |

আমাদের রাষ্ট্রে কৃষকদের কোনো শক্ত অবস্থান নেই | কৃষকদল কিংবা কৃষকলীগ চালু থাকলেও তাঁরা নাম ভাঙ্গিয়ে প্রণোদনা প্যাকেজ নিতে ব্যতিব্যস্ত | মোড়ে মোড়ে অফিস করে বসে থাকেন তাঁরা আর এয়ারকন্ডিশনের হাওয়া খান | যেকারণে কৃষকরা কোনো সফল আন্দোলন করতে পারেননা | বছর শেষে যা দাম পান তাই নিয়েই ডাল-ভাত খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকেন | জোচ্চরগুলো এই কৃষিখাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বাগিয়ে নেয় আর সেকারণে কৃষকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনা |

সরকারি খাতায় ঠিকই হিসেবনিকেশ যায়, সরকার বোঝে যে টাকাগুলো ঠিকই ডিস্ট্রিবিউট হয়েছে | অথচ সরকারি অফিসগুলোতে ঠিকই লাঞ্চিত-বঞ্চিত হয়ে ফেরেন কৃষক |

...আমি জানিনা কৃষি নিয়ে কেন লিখছি, কি ফল এতে; শুধুশুধু সময় অপচয় মাত্র | নির্দিষ্ট করে কিছু বলারও স্বাধীনতা নেই, গড়পড়তায় তবুও লিখছি | জানি পরবর্তী প্রজন্ম কেটেছে, আমার প্রজন্ম কাটছে, ভবিষ্যত প্রজন্ম কাটবে এভাবেই; কৃষকের কোনো উন্নতি ঘটবেনা | এই নীতি আবহমানকাল থেকে হয়ে আসছে এই ধারা চলতেই থাকবে | যদি-না নতুন কোনো নেতৃত্ব এ-দেশের শিথিল হয়ে পড়া কৃষিখাতের হয়ে কাজ করে | নতুনদের দিয়েই শুধুমাত্র উত্তোরণ সম্ভব, নয়তো যাহাই লাউ তাহাই কদু আকারে চলছে-চলবে...

[ফুটনোটঃ কৃষি-কৃষক নিয়ে আমি অনেক জায়গাতেই বিষয়গুলোকে তুলে ধরেছি । তাঁরাও সমস্যাটা জানেন, মানেন । সেকারণে কোনো সুরাহাও হচ্ছেনা কৃষকের ভাগ্যের । জানিনা এসব আলোচনার আর কত বিস্তৃতি ঘটবে, কৃষকের ভাগ্যের উন্নতির নামে কৃষকদের সাথে উপহাস আর কত যুগ চলবে! সত্যিই সে হিসেব অতি অজানা আমাদের । ভুলত্রুটি মার্জনীয়!]

⏭সাব্বির আহমেদ সাকিল
⛔০৭ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | শুক্রবার | ২৩ অক্টোবর ২০২০ ইং

#কৃষি #কৃষক #মাটি #কৃষিশিল্প #সিন্ডিকেট #রাষ্ট্রব্যবস্থা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কৃষক নিয়ে কি লিখলেন, পুরোটাই তো ভুমিকার মতো?

আপনি ব্লগে লিখছেন, আমরা কয়েকজন ব্লগার পড়ছি; এতে কৃষকে অবস্হা বদলাবে কেন? আপনি কি কিছু করছেন কৃষকের জন্য, নাকি যারা কিছু করে তাদের সাথে কথা বলছেন?

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: কাজ হোক বা না হোক লিখতে হবে।
লেখার দরকার আছে।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলাদেশে সব সরকার আসে কৃষক বান্ধব তবে তা ইদুরের মত । কৃষকের ফসল যেমন ইদুর নষ্ট করে তেমন।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৫৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কৃষকের জমির চেয়ে বেশি আছে জমির আল।তাদের কে যেতে হবে আধুনিক চাষ আবাদ পদ্ধতিতে।কৃষকের জমিকে একিভূত করে,জমির পরিমান অনুপাতে লভাংশ পাবে।
ফসল সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে,তবেই কৃষক মধ্যসত্যভূগির হাত থেকে রক্ষা পাবে।এই জন্য দরকার গ্রামে গ্রামে সমবায় সমিতি।কৃষক মুক্তির সমবায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.