নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তক বাংলাদেশ চাই

সাব্বির জুবাইর

সাব্বির জুবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজানের শব্দ কর্কশ মনে হলেও কি মিথ্যা বলতে হবে এটা মিষ্টি?!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

মাইক আবিষ্কারের পর মসজিদে প্রথম যখন সেটা ব্যবহার করে আজান এবং নামাজ পড়ানো শুরু হলো, একদল আলেম-ওলামা হৈচৈ শুরু করলেন। নবিজি কি কখনো মাইক ব্যবহার করেছেন? করেননাই। তাহলে আমরা কেন মাইক ব্যবহার করবো? এই ছিল ওনাদের যুক্তি।
এখনো অনেক আলেম এসব ক্ষেত্রে মাইক ব্যবহারের বিরোধিতা করেন। আমাদের দেশে তাবলীগের যে বিশ্ব-ইজতেমা হয় টঙ্গিতে, সেখানে আজান এবং নামাজ কোনটাইতে মাইক ব্যবহার করা হয়না। খালি গলায় কাজ সারা হয। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি। যারা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন তারা বিষয়টা জানেন। এনাদের যুক্তি মোটামুটি এরকম: মাইক্রোফোন শব্দকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে যেটা লাউডস্পীকারের মাধ্যমে পুনরায় শব্দশক্তিতে পরিণত হয়। অর্থাৎ, আমরা মাইকে যে শব্দ শুনি, সেটা প্রকৃত অর্থে কোন মানুষের কণ্ঠ-নিসৃত শব্দ না! তাই মাইক পরিত্যাগ করা কর্তব্য!
আলেম-ওলামাদের মধ্যেই যখন মাইকের ব্যবহার নিয়ে এত বিতর্ক; এহেন অবস্থায় কেউ যদি মাইকের আজান ভালো লাগেনা বলে টুইট করেন, তাহলে এটা কি করে ইসলাম-বিদ্বেষ হয় আমার বুঝে আসেনা। কারো ভালো লাগা - খারাপ লাগা কেনো আমাদের মনমতো হবে। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় কোন এক মসজিদের আজান খুব যন্ত্রণাদায়ক ছিল যেটার কাছাকাছি আমাকে কিছুদিন দুপুরবেলা থাকতে হয়েছিল। আমরা পারলে দরজা-জানালা বন্ধ করে ওই অত্যাচার থেকে বাঁচার চেষ্টা করতাম। এখন নিজেকে ইসলামপ্রেমী প্রমান করার জন্য আমাকে মিথ্যা বলতে হবে, ওই আজান খুব মিষ্টি ছিল!!

সনু নিগম যদি ওনার বক্তব্যের জন্য অসহিষ্ণু হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে গালাগাল করে, তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামতকে সম্মান না করে আমরা নিজেদের কতটুকু সহিষ্ণু প্রমাণ করছি?

#ThinkingBeyond

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

ফকির খালিদ হাসান বলেছেন: আপনার কথার যৌক্তিকতা আছে ৷

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: ফকির খালিদ হাসান বলেছেন: আপনার কথার যৌক্তিকতা আছে ৷

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৮

মুক্তমনা বাতাস বলেছেন: পেচা সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না তাই বলে সূর্য ওঠা কি বন্ধ হয়ে যাবে ;)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৪

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: তুলনা সঠিক হয়নাই। সূর্য উঠা বন্ধ করার সুযোগ নাই। আজান চাইলেই বন্ধ করা যেতে পারে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সনু নিগাম ভালো সুর/খারাপ সুরের প্রসঙ্গ আনেননি। এসব পোস্ট দেয়ার আগে সতর্ক থাকুন। ধন্যবাদ...

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: সনু নিগম কেবল মসজিদ নয়, মন্দিরের আওয়াজের কথাও বলেছেন। এতে কি বোঝা যায়না যে, ধর্মীয় কারনে নয় বরং শুনতে অসহ্য লাগে তাই তিনি টুইট করেছেন। এসব পোস্ট দেওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে কেন বুঝলামনা।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

গারোপাহাড় বলেছেন: আপনি যেটা বলছেন তা এক জিনিস আর সনু নিগাম বলছে অন্য কাহিনী। তবে আমার মনে হয় কানের সমস্যা থাকলে অল্প শব্দেও সমস্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো যেতে পারে। অথবা যদি সরাসরি মাইকটা আপনার ঘরের দিকে মুখ করা থাকে তাহলেও যত মধুর সুরই হোক না কেন সমস্যা হওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রেও বিকল্প চিন্তা করা যায়। কিন্তু তাই বলে আযান তো আর বন্ধ করা যায় না। সমস্যাটি তুলে ধরেছেন, সমাধানটিও কি চিন্তা করা উচিত নয়?

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: নবিজির সময় কি মাইক ব্যবহার করে আজান দেওয়া হতো? তাহলে এখন খালি গলায় আজান দিতে সমস্যা কোথায়? নাকি সেসময় মানুষ নামাজি কম ছিল? আর শুধু কানের সমস্যাই নয়; অনেক মানুষ অসুস্থ থাকেন, বৃদ্ধ মানুষজন থাকেন। আজানের শব্দে তাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। সেটা কি বিবেচনায় নেওয়া উচিত নয়? নবিজি তো বলেছেন, মানুষের কষ্ট হলে উচু স্বরে কোরানও পড়া যাবেনা।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কতটা অসভ্য বর্বর হলে মানুষ এভাবে প্রকাশ করে তাও ভাবনার বিষয়!

সভ্যতা, ভব্যতা, কার্টসি কি সমাজ থেকে উঠে গেল??

সামাজিক জীবন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা অনেক কিছু করায়, বলায় শালীনতা শেখায়! স্বাধীনতা মানে যেমন সবার আগে স্ব-অধীনতা! তেমনি এর দায়ও অনেক বেশি!

আর এই ধরনের মানসিকতাকে বলে স্বেচ্ছাচারিতা! স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার পার্থক্য গুলীয়ে গেলে যা খুশি তাই বলে তা বাক- স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তার তারস্বরে চেচালেই তা, তা হয় না।
তেমন হলে সমাজ বাসযোগ্য থাকবে না! থাকেনি! আর সেই হাজার বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই সামাজিক শিষ্ঠাচার, সৌজন্যতা, পরমত সহিষ্ণুতা সামাজিক জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে সমাজ গঠন করে সমাজকে টিকিয়ে রাখছে!

স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তি, জাতি সকলেই ধ্বংস হয়েছে তাদের ভুল আর অহমিকায় অন্ধ হবার কারণে।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, ভালোও লাগলো।
আমাদের উচিত নিজেদের আত্মশুদ্ধিতে মনোযোগ দেয়া, সোনু নিগম বা কে কি বললো তা নিয়ে মাথা না ঘামানো।
ফেসবুকে দেখতে পাবেন এটা নিয়ে কি রাজনীতি শুরু করেছে মিডিয়া।

এবং বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের কথা গুলো খুব সুন্দর বলেছেন।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: তবে একটা কথা আজানের ধ্বনি কখনোই কর্কশ নয়।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৪

মাহিরাহি বলেছেন: সনুর বাড়ি থেকে ৬০০ মিটার দূরের মসজিদে মাইকই নেই!

সনুর বাড়ি থেকে ৬০০ মিটার দূরের মসজিদে মাইকই নেই!

‘সনু নিগম প্রথমে কেবল এক হাজার টাকার জন্য জাগরণে রাতভর গান করতেন। উনি ভুলে গেছেন যে কত লোকের তিনি কষ্ট দিয়েছেন।

হিন্দি গান আপনার পছন্দের বোধহয়।

বিয়ে কিংবা পার্টিতে যখন বিকট শব্দে হিন্দি গান বাজানো হয়, তখন আপনাদের কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১১

আল ইফরান বলেছেন: আপনি নবী মুহম্মদ (সঃ) এর উদাহরন দিলেন, কিন্তু তখনকার আর্থ-সামাজিক ও প্রযুক্তিগত পরিস্থিতির কথা এড়িয়ে গেলেন।
তখন মানুষ ২০ তলা দালানে থাকতো না, দরজা-জানালা বন্ধ করে ফ্যান/এসি চালাতো না।
সমাজের অবস্থানগত আয়তন এখনকার মত বিশাল ছিলো না।
আজানের ব্যাপারে ঘুড়ায়ে-ফিরায়ে এত আপত্তি।
মসজিদ-মন্দিরে মাইক/লাউড-স্পীকার সব ব্যবহার হবে, ব্লগে আটি না বেধে হাইকোর্টে গিয়ে ১০২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক একটা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশান করেন দেখেন 'লোকাস স্ট্যান্ডাই' দেয় কি না।
আর আপনাদের মত সস্তা হিট-সিকার সিক/পার্ভ গুলার জন্যই আসলে ৫৭ক দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.