নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তক বাংলাদেশ চাই

সাব্বির জুবাইর

সাব্বির জুবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন দেশের আবহাওয়া নারীদের পর্দা পালনের ক্ষেত্রে প্রভাবক?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

ভারতবর্ষ বা আরবের দেশগুলাতে অনেক মুসলিম নারী ২৪/৭ ঘরের ভেতরে অবস্থান (পর্দা) করেন; ইউরোপের দেশগুলাতে সম্ভবত এটা সম্ভব না। কোন ধর্মীয় বিধান মানুষ পালন করবে কি করবেনা সেটা নির্ধারনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া একটা নিয়ামক হইতে পারে।

আলবেনিয়া, বসনিয়া এবং কসোভো ইউরোপের মুসলিম প্রধান দেশ। এর বাইরে অন্যান্য দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম বাস করেন। খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি এসব দেশের প্রচণ্ড ধার্মিক মুসলিম নারীরা সবসময় ঘরে অবস্থান করেননা।

ভারতবর্ষ এবং আরবের আবহাওয়া বছরের উল্লেখযোগ্য সময় তপ্ত থাকে। ফলে মানুষ ঘরে অবস্থান করে আরামবোধ করে। এই অঞ্চলগুলোতে ঘর হচ্ছে প্রধান ঠিকানা। ঘর থেকে বের হয় যখন 'দরকার' হয়। পড়ালেখা, চাকরি, ব্যবসা, প্রেম, ইত্যাদি হইলো 'দরকার' এর উদাহরণ।

কিন্তু ইউরোপে বাসাবাড়ির উদ্দেশ্য আলাদা। মানুষ মূলত বাইরে থাকে, দরকারে ঘরে আসে। সেই দরকারটা যেমন রাতে ঘুমানো। তুষারপাত হইলে অবশ্য ২৪ ঘন্টা ঘরে আটকে থাকে।

এই ঘরবিমুখতার কারণ কি? ইউরোপের দেশগুলোতে সূর্যের আলোর অভাব, বিশেষ করে শীতের দিনগুলোতে। ফলে ঘরের মধ্যে একটা গুমোট, বিষণ্ন, অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করে। এখানে আপনি পুরো একটা দিন ঘরে কাটালে বিষণ্ণ এবং অসুস্হ অনুভব করবেন।

কর্মব্যস্ত একটা সপ্তাহ শেষে বাংলাদেশে মানুষ ঘরে শুয়ে বসে কাঁটিয়ে সতেজ হয়। এখানে উইকেন্ড অন্য জিনিষ। মানুষ ঘুরতে যায়। সন্ধ্যায় পানশালায় কাটায়। বয়ষ্ক মানুষেরাও ঘরে আটকে থাকেনা। তারা কুকুর নিয়ে বের হয়, পার্কে যায়। ইংল্যান্ডে স্লাউ শহরে দেখতাম দক্ষিণ এশীয় বয়ষ্ক মানুষজন সিটি সেন্টারে বেঞ্চিতে বসে সময় কাটাচ্ছেন। এমনকি ঘরের মধ্যে রান্নাবান্না করার প্রচলন কম। সুস্বাদু খাবার তৈরির দায়িত্ব রেস্টুরেন্টগুলোর।

গবেষণায় দেখা গেছে, তুষারপাতের সময় যখন মানুষকে ঘরে থাকতে হয়, তখন ডিভোর্স, আত্মহত্যার হার বেশি।

বাংলাদেশের মানুষ যে মদ খায়না এটার পেছনে ধর্ম যেমন একটা বড় কারণ, আবহাওয়াও সম্ভবত একটা নিয়ামক। ইউরোপে বিষণ্ণ আবহাওয়ায় মদ মানুষকে প্রফুল্ল করে তোলে যেটা বাংলাদেশের মত দেশে দরকার হয়না।

বাংলাদেশে যে প্রচুর মুসলিম নারী পর্দার অংশ হিসেবে ঘরে অবস্হান করেন সেটা কি কেবলই ধর্ম প্রভাবিত, নাকি আবহাওয়া ফ্যাক্টরও কাজ করে, সেটা নিয়ে সিরিয়াস গবেষণার সুযোগ আছে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: দ: ভারতের মানুষ তো প্রচুর পরিমানে মদ খায়, এর জন্যেও কি আবহাওয়া একটি কারন? ওদের আবহাওয়াও তো আমাদের মতো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: আমার ধারনা, কারনগুলা একমাত্রিক না। আমার আর্গুমেন্ট ছিল ধর্মই একমাত্র কারন না। সাংস্কৃতিক প্রসারও একটা কারন হইতে পারে যেটা লেখায় উল্লেখ করা হয়নাই। অবশ্য ইউরোপের দেশগুলোতে যে পরিমান মদের প্রচলন আছে, দক্ষিণ ভারতে ততটা আছে কি?

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ভাল হয়েছে। তবে শিরোনামের সাথে পোস্টের সম্পর্ক খুজে পেলাম না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: সম্পর্ক একদম যে নেই তা কিন্তু না। এটা সত্য শিরোনামটা যেদিকে ইঙ্গিত করে, সেদিকে খুব কম আলোচনা করা হয়েছে। আমার মূল আর্গুমেন্ট হচ্ছে, পর্দা প্রথা যে বাংলাদেশ ব্যাপক সেটা যতটা না ধর্মীয় কারনে তার চাইতে বেশি আবহাওয়ার কারনে। সেই প্রসঙ্গ থেকে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া এবং সেটার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি লিখতে চেয়েছেন সেটা খোলাশা করে বলুন?
বাসায় থাকা আর পর্দা প্রথা এক এই ধারণা আপনাকে কে দিল?
ইসলামে ফরয পর্দা প্রথা কাকে বলে? মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে কিনা বা গেলেও কি ধরনের পোষাক পরে যেতে পারবে সেটা আগে ভালো করে জানুন।
আর শুধু শুধু চমক দেখানো জন্য চটকদার হেডিং দেয়া পরিহার করুন। এটা বাজে অভ্যাস।
ধন্যবাদ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: চটকদার হেডিং দেওয়া পরিহার করার পরামর্শ আপনি দিয়েছেন। আমি যতটা জানি লেখালেখির ক্ষেত্রে এটা অন্যতম একটা কৌশল, আপনাকে আকর্ষণীয় শিরোনাম দিতে হবে। হ্যাঁ, আপনি যদি বলেন এমন কোন শিরোনাম দেওয়া যাবেনা যেটা মিসলিডিং, তাহলে আপনার সাথে আমি একমত।

বাসায় থাকা এবং পর্দা প্রথা এক না। লেখায় এটা বুঝাইতে চাইনাই। আমি বলতে চেয়েছি, অনেক মুসলিম নারী যে ঘরে অবস্হান করেন পর্দা পালনের দোহাই দিয়ে সেটার সাথে আবহাওয়াও একটা অনুষঙ্গ।

আপনি পরামর্শ দিয়েছেন, "মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে কিনা বা গেলেও কি ধরনের পোষাক পরে যেতে পারবে সেটা আগে ভালো করে জানুন"। আমার ইসলামের বিধান পর্দা সম্পর্কে মোটামুটি জানা আছে। আপনি সুনির্দিষ্ট কোন কিছুর নাম বলতে পারেন।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পর্দা নিয়ে এ ধরনের এনালাইসিস সঠিক নয়। বক্তব্যও পরিস্কার নয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাইরে প্রচন্ড গরম থাকলেও মহিলারা পর্দা করে...

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: পর্দা নিয়ে এ ধরনে বিশ্লেষণ সঠিক নয় কেন?

আমার বক্তব্য হচ্ছে কোন দেশের নারীরা যে ঘরে অবস্থান করে সেটা ধর্ম যেমন ঠিক করে দেয়, তেমনি আবহাওয়াও একটা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

নতুন বলেছেন: আরবরা আবহাওয়ার জন্যই এমন পোষাক পরতো।

ধুলিঝড়, সূযের তাপ থেকে রক্ষার জন্যই ছেলে মেয়ে উভই এই রকমের কাপড় পড়তো।

নিচের ছবি ৪-৬ শতাব্দীর

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। আমারও তাই ধারনা, ইসলামি পোশাক বলতে আমরা যা বুঝি সেটা আসলে আরবের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

রাশিয়া বলেছেন: পর্দা ঘরে নয় - বাইরে বের হবার জন্যই দরকার। নারীদের সৌন্দর্য যাতে অন্য পুরুষের লালসার কারণ না হয় - সে জন্য পর্দা প্রথা। এর সাথে আবহাওয়ার ন্যুনতম কোন সম্পর্ক নেই। ইউরোপ যদিও শীতপ্রধান অঞ্চল, তবুও এখানকার নারীরা (মুসলিম হলেও) খোলামেলা চলতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। দক্ষিণ এশিয়া গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চল হলেও এখনকার নারীরা (অমুসলিম হলেও) খোলামেলা চলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি এখানে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৭

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: আপনার যুক্তিতে ভুল আছে। ইউরোপে সবসময় শীত থাকেনা। এখানেও গ্রীষ্মকাল আছে। শীতকালে মানুষ ভারী পোশাকে ঘর থেকে বের হয়। আর গ্রীষ্মকালে খোলামেলা পোশাক পরে বের হয়। এখান থেকেও আমার আর্গুমেন্ট শক্তিশালী হয় যে, আবহাওয়া মানুষের পর্দাপ্রথাকে প্রভাবিত করে।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হতে পারে, আপনি ভুল বিচার করছেন পর্দার প্রতি ।এটি আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে না,এটি নির্ভর করে মানসিকতা এবং কীভাবে, কতটুকু আপনি আল্লায়/ স্রষ্টায় বিশ্বাসী তার উপর ।
সমস্ত ভাল এবং মূল্যবান জিনিস সবাই নিরাপদে, সুরক্ষিত জায়গায় রাখে ।ইসলামে, সমস্ত মহিলা তাদের পরিবার এবং সমাজের জন্য বিশেষ কিছু ।এই জন্য, ইসলাম মহিলাদের জন্য পর্দার জন্য বলে তাদের সুরক্ষার জন্য।
তারা ইসলামে যে সম্মান পান,অন্য কোথাও তারা এটি পেতে পারে না ।হতে পারে, কিছু লোক নিজের স্বার্থে B-)) এ জাতীয় প্রথা গ্রহন করতে চায়না ।
আপনি,আমি যদি আপনার আমার বোন, মা, দাদীমা এবং কন্যাকে সম্মান করি তবে পর্দাকেও শ্রদ্ধা,সম্মান করব ।
অথবা আপনি,আমি তাই করব, যা আমরা পছনদ করি ------

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

কিন্তু আপনার বক্তব্যের বিপরীতে আমি কিছু বলবোনা। কারন কোন যুক্তিতর্ক বোঝার জায়গায় আপনি নেই। আপনি ধর্ম কি বলেছে সেটাকে প্রথমে ধরেই যদি যুক্তিতর্কে আসেন, তাহলে সেটা অনর্থক।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

নতুন বলেছেন: আর পদা` জিনিসটায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হইলো এটাকে ভুল ব্যাক্ষা করা।

কোরান হাদিসে কোথাও মুখ ঢেকে রাখা, হাতমুজা, পায়ে মুজা, চোখ ঢেকে রাখার কথা উল্লেখ নাই।

কিছু স্কলার নিজেরা ব্যক্ষা করেছে এবং সবাই অনুসরন করছে।

পদা`র কথা যেটা ইসলামে বুঝাবে এবং যেটা সবার জন্য ভালো সেটা হলো স্বালিন পোষাক পরিধান করা।

সেটা শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ, গ্রাউন, স্কাট, সাট, প‌্যান্টেও হয়.... এবং বোরকাও ফিটিং পরিধান করে দেহের আকার দেখিয়ে বেড়ানো যায়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩১

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়ার মানুষ প্রচুর মদ খায়।
আমাদের দেশে অল্প কিছু লোক মদ খায়।
তবে দাম সস্তা হলে মদ খাওয়ার লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩০

সাব্বির জুবাইর বলেছেন: "...ইন্ডিয়ার মানুষ প্রচুর মদ খায়।" এই "প্রচুর" শব্দটা আপেক্ষিক। তারা কি ইউরোপের মানুষের সমান মদ খায় গড়পড়তা? ভারতের আবহাওয়া ভিন্ন হইলে সেটা তাদের খাওয়ার পরিমান এবং ধরনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
একমত আপনার এই দাবির সাথে, "তবে দাম সস্তা হলে মদ খাওয়ার লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে।"

ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: এই ব্লগের মোঃ কাম্রুজ্জামান ও তার সমগোত্রিয়দের জন্য লেখকের এই মন্তব্য দারুন লাগসইঃ

লেখক বলেছেন:

কোন যুক্তিতর্ক বোঝার জায়গায় আপনি নেই। আপনি ধর্ম কি বলেছে সেটাকে প্রথমে ধরেই যদি যুক্তিতর্কে আসেন, তাহলে সেটা অনর্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.