![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক দোকানে কাজ করে কিশোর বয়সী একটা ছেলে।যেই বয়সে তার স্কুলে পড়ার কথা ছিলো।বন্ধুদের সাথে হা ডু ডু আর দাড়িয়াবান্দা,ক্রিকেট,ফুটবল খেলে বিকালটা কাটাত।সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা হত মায়ের বকুনি খেয়ে।সে এখন সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দোকানে থাকে।ছোটখাট বেকারী।কাস্টমার আসে।তাদের নাস্তা পরিবেশন করে।তারা গল্প গুজব করে।ছেলেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনে।তার যে আর কাজ নেই!
তার বাড়িতে যাওয়ার খুব বেশি সুযোগ হয়না।আর যখনই যায় বন্ধুদের পায় না।তারা স্কুলে থাকে।আড্ডার সেরকম সময় হয়না।ছেলেটা চায় আবার পড়াশুনা করতে।কিন্তু সেটা যে সব সময় সম্ভব হয় না!প্রকৃতি সবাইকে সব সুযোগ দেয় না,কাউকে কাউকে চরম বঞ্চিত করে।
যখনই বাড়ির বা এলাকার কাউকে দেখে ,তার খুব ইচ্ছে হয় বাড়ি চলে যেতে।পিছুটান দোকান আরও পিছুটান আর্থিক অনটন,
ছোট ভাইবোনদের পড়াশুনা!
এ কেমন নিষ্ঠুরতা !! কৈশোরের সমস্ত উল্লাস,মাঠ ঘাট, মুক্ত আকাশ ছেড়ে একটা ছেলেকে পড়ে থাকতে হবে দোকানের গণ্ডিতে!তার উদাস দৃষ্টি বলে দেয় কৈশোর তার কত বিষাদময়!
প্রকৃতির এই অসম আচরণের রহস্য কেন জানি ভেদ করতে পারিনা।ধনীকে আরও ধনী করে তোলা ,গরিবকে আরও পিষে নীচে নামিয়ে দেয়া।এ যেন তেল মাথায় তেল দেয়া আর তেলবিহীন ঝটা চুলকে অযত্নে ফেলে রাখা।কেন এত বৈষম্য??
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৩২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: শ্রেণিবৈষম্যের চক্রই মানুষকে অমানবিক করে তোলে, পক্ষান্তরে অমানবিকতাই শ্রেণিবৈষম্যের জন্ম দেয়। এ থেকে বের হওয়া দুষ্কর।
তবু কিছু মানবিক মানুষ সংগ্রাম চালায় উত্তরণের।