![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার বাসায় ফোম আছে হয়তো সেটি সোফাই কিংবা মেট্রেসে। কিন্তু এই ফোম কি? কিভাবেই বা এই ফোম তৈরী হয়ে থাকে! আসুন দেখা যাক ফোমের পিছনে মানে ফোম তৈরীতে কি মেকানিজম কাজ করছে!
Polyol নামক জৈব পদার্থ যা একাধিক হাইড্রোক্সিল গ্রুপ বহন করে থাকে (OH-R-OH) ব্লোইং এ্যাজেন্ট যেমন মিথিলিন ক্লোরাইড ও পানির উপস্থিতিতে Isosayanate (R-N=C=O) এর সাথে বিক্রিয়া করে Polyurethane নামক জৈব যৌগ গঠন করে থাকে। পানি আইসোসায়নেটের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরী করে যেটা প্রাথমিক ব্লোইং এ্যাজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। বিক্রিয়ার গতিকে ত্বরান্বিত করতে ক্যাটালিস্ট হিসেবে টারশিয়ারী অ্যামিন ব্যবহার করা হয় যা নিউক্লিওফাইল তৈরি করে (OH-R-O*), উক্ত নিউক্লিওফাইল ধণাত্বক কার্বনকে আঘাত করে ও ত্যাগকৃত হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করার মাধ্যমে তৈরি করে পলিউরেথেন যৌগ। বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী হওয়াই বিক্রিয়া চ্যাম্বারে তাপ উৎপন্ন হয়। এজন্য তৈরিকৃত পন্যকে বিভিন্ন আকারে/সাইজে কেটে কক্ষ তাপমাত্রায় কমপক্ষে ১৮ ঘন্টা রেখে দিতে হয়। এক্ষেত্রে পলিয়োলের -R এর মান অর্থাৎ যত বেশী মলিকিউলার ওয়েটের পলিয়োল হবে ততো বেশি পণ্যের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে। অর্থাৎ শক্ত ফোম তৈরী করতে গেলে আমাদের কম মলিকিউলার ওয়েটের পলিইয়োল ব্যবহার করতে হবে। মূল বিক্রিয়া চ্যাম্বারে চারটি ভিন্ন চ্যাম্বার হতে যথাক্রমে ব্লোইং এজেন্ট, অ্যাডিটিভস(কালারিং আজেন্ট যদি দরকার পরে), পলিয়োল ও আইসোসায়ানেট যৌগ যুক্ত করা হয় এবং মেকানিকাল প্রসেসে ইলেক্ট্রিক্যাল স্টাইরার দিয়ে মিক্সড করা হয়।
©somewhere in net ltd.