নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০৭ নং পৃষ্ঠা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫


আজ হতে কয়েকশ বসন্ত পর এমনি কোন এক বৃষ্টি স্নাত বিকেলে হিমেল বেলকুনিতে বসে ইসহাক দেওয়ানের লেখা "প্রতিবাদের ইতিহাস" নামক একটা বই পড়ছে। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ। একেক জনের একেক জিনিসের প্রতি ভাললাগা থাকে । যেমন ধরেন টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে একা একা ঘরে বসে বই পড়তে আমার ভাললাগে। আমার সাথে এই ব্যাপারটাতে হিমেলের বেশ মিল রয়েছে, তার কাছেও বৃষ্টির মধ্যে একা বারান্দায় বসে বই পড়তে ভাললাগে। আপাতত হিমেলের পরিচয় হচ্ছে সে আমার বংশের দশম উত্তরসূরী, যদিও সে কখনো আমার নাম শোনেনি বা আমাকে চেনেও না। অবস্য চেনার কথাও না। আমিও তো তিতুমীর, মাষ্টারদা, ক্ষুদে রাম কিংবা হাজার বছর আগের বিন কাসিমকে চিনলেও আমার নিজ পূর্বপুরুষদেরই চিনি না! শুধু আমিই না, দু-একটা ব্যাতিক্রম ব্যাতিত কেউই তার দূর পূর্বপুরুষদের চেনে না।
যাইহোক, হিমেল ছেলেটা যেহেতু আমারই বংশধর তাই হয়তো জেনেটিক কারণেও তার আর আমার মধ্যে মিল থাকতে পারে।
আচ্ছা জেনেটিক কারণে কি ভাললাগা মন্দলাগার মধ্যেও মিল থাকতে পারে?
প্রশ্নটা মনে হয় বোকার মতই করলাম। তবে জেনেটিক বিষয়ে আমার তেমন কোন পড়াশুনা নাই। অবস্য এ ব্যাপারে পড়াশুনার তেমন কোন আগ্রহও আমার নেই। একাডেমিক ভাবে তড়িৎ প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করলেও ইতিহাসের প্রতি আমার আগ্রহ বেশ আগে থেকেই। আবার হিমেলের আগ্রহটাও মূলত ইতিহাসকে ঘিরে। এক্ষেত্রেও আমাদের মধ্যে মিল রয়েছে।
"প্রতিবাদের ইতিহাস" বইটাতে নূর হোসেন, আবরার সহ অনেক নামই লেখা আছে। ১০৭ নং পৃষ্ঠায় লেখা "আবরার" নামটা ! এই নামটা পড়ে কেন জানি এই অচেনা আবরারের প্রতি হিমেলের ভেতর থেকেই এক ধরনের শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হচ্ছে। সে নিজের অজান্তেই স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা করতে শুরু করল- হে সর্ব শক্তিমান তুমি শহীদ আবরারকে জান্নত দান করো, জান্নাত দান করো!
আকাশ হতে তাকিয়ে আমি যখন এ দৃশ্য দেখছি তখন ক্ষানিকে জন্য আবরারের প্রতি আমার মারাত্মক হিংসে হচ্ছিল। কারণ আমি হতে যার জন্ম সে আমায় চেনে না! অবস্য এ জন্য আমি নিজেই দায়ী, আমি মহাকালের পাতায় আমার পরিচয় লিখে আসতে ব্যর্থ হয়েছিলাম!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আবরার শহীদ কিভাবে??
আবরার কি যুদ্ধে গিয়ে মারা গেছে???

আবার ভাববেন না আবাওরারে মৃত্যুতে আমি কষ্ট পাই নি। প্রচন্ড মর্মান্তিক মৃত্যু।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: তাহলে যাদের আমরা শহীদ বলে জানি তাদে মৃত্যু কি মর্মান্তিক নয়?
তারো তো দেশের স্বার্থে জীবন দিয়েছে।
আবরারও দেশের স্বার্থে কথা বলায় তাকে জীবন দিতে হল। তাহলে তাকে আর অন্য কি উপাধি দেওয়া যেতে পারে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.