নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন দর্শনের ভিত্তিতে নারীর সমঅধিকার নির্ধারণ করা উচিত আর কোন দর্শনের ভিত্তিতে নারীর সমঅধিকার নির্ধারণ করা হচ্ছে !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৭



সৃষ্টিকর্তা নারী এবং পুরুষ উভয়ের শারীরিক গঠন এবং মানুষিকতার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য করে দিয়েছেন। নিশ্চই বিনা কারনে তিনি এটা করেনি, অবশ্যই এর একটা উদ্দ্যেশ্যে রয়েছে। বিদ্রোহী কবির "নারী" কবিতার দুটো লাইন এমন।
"কোনো কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি।
প্রেরনা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষী নারী।
"
এখানে "জয়" হচ্ছে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রাপ্তি বা অর্জন। এ অর্জনের জন্য একজন লড়াই করেছে অন্যজন তাকে লড়াইয়ে শক্তি এবং প্রেরনা দিয়েছে। অর্থাৎ দুজনার কাজ ছিল দু'রকমের তবে দুটো মিলেই পূর্ণাঙ্গ "জয়" অর্জিত হয়েছে। মূলত এ জন্যই স্রষ্টা নারী এবং পুরুষকে কিছুটা আলাদা গঠনে সৃষ্টি করেছেন। নারীর সাহায্যই পুরুষ শক্তি সঞ্চার করে যুদ্ধ করেছে। সুতারং এ জয়ে নারী পুরুষের অবদান সমান সমান, এটা স্বীকার করতেই হবে। এখানে কবিতাটির আরো কয়েকটা লাইন উল্ল্যেখ করতে চাই,
"জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নী ও বধুদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপরি কত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
"
ঐতিহাসিক ভাবেই নারী এবং পুরুষ উভয়ের অবদানকে কখনোই সমান মর্যাদা দেওয়া হয়নি, এখনো হচ্ছেনা। নারী নিজেও এখন মনে করে সে পরিবারের জন্য যা করছে তা কোন কাজই নয়, বরং পুরুষ যা করছে সেটাই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কাজ। নারীর আত্মত্যাগ নারীর কাজ যখন তার প্রাপ্য মর্যাদা হতে বঞ্চিত হচ্ছে তখন নারী আর নারী হয়ে থাকতে রাজি নয়, সে এখন পুরুষ হতে চায়। আবার পুরুষও তাকে বুঝাচ্ছে, মানুষ হতে হলে তোমাকে পুরুষ হতে হবে। নারীও খুব সহজে তা গিলে নিচ্ছে। গ্রাম পরিষদ হতে শুরু করে সংসদের সংরক্ষিত আসন কিংবা কোটায় চাকরি, এগুলো কখনোই নারীর অধিকার কিংবা নারী পুরুষের সমতা নির্দেশ করে না। বরং কোটার দ্বারা অযোগ্যতাই প্রকাশ পায়। কিন্তু আদৌ নারী এটা অনুধাবন করতে পারছে বলে মনে হয়না।
একটা বিল্ডিং বা অবকাঠামো তৈরির জন্য প্রথমে আর্কিটেক দ্বারা ডিজাইন করানো হয়। এরপর সেটাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের তত্বাবধায়নে বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু তা না করে যদি আর্কিটেককেই কন্সট্রাকশন কাজ তত্বাবধায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে কখনোই সেটা সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হবেনা। তখন কি বলবেন, আর্কিটেকের যোগ্যতা কম!
ঠিক এভাবে একজন আর্কিটেককে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাতারে এনে তার যোগ্যতা বিচার করা, আর নারীকে পুরুষের কাতারে এনে তার যোগ্যতা বিচার করা একই কথা। পুরুষকেও যদি নারীর কাতারে এনে রেগুলার গৃহিণীর হিসেবে বিচার করা হয় তবে নারীর চাইতে সে অনেক পিছিয়ে থাকবে, কারন সৃষ্টিকর্তা পুরুষের মানুষিকতার ডিজাইনটাই সেভাবে করে দিয়েছেন।
সংসার বা পরিবার এমন একটা ব্যাবস্থা যা টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে ভালোবাসা। কেবল নারী নামের সাথেই স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা কোমলতার একটা সুনিবিড় বন্ধন রয়েছে, এগুলো নারীর শক্তি যা স্রষ্টা তাকে দিয়েছে। যে কাজে মায়া মমতা ভালোবাসা প্রয়োজন সে কাজে নারীই এগিয়ে, পুরুষ সেখানে তার ধারে কাছেও নেই। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নিজ ঘরেই দেখুন, হসপিটালের নার্সদের দেখুন।
নারীদের সমঅধিকার আদায়ের আন্দোলনের দর্শন হওয়া উচিত "নারী পুরুষের কাজের সম মর্যাদাই নারী পুরুষের সমতা বা সমঅধিকার" আর এটাই নারী অধিকার আদায়ের সঠিক দর্শন। কিন্তু তা না করে বর্তমানে যে দর্শনের ভিত্তিতে নারী অধিকার আদায়ের কথা বলা হচ্ছে তা হল "সকল কাজে নারী পুরুষের সমান সংখ্যক অংশগ্রহনই নারী পুরুষের সমান অধিকার"।
হ্যা, এটাকেও সমঅধিকার বলা যায়, এভাবেও নারী পুরুষের সমতা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে যেটা হবে তা একটু উদাহরন দিয়ে বলতে এবং সতর্ক করতে চাই।
ধরুন একটা দশতলা বিল্ডিং তৈরি করা হবে। সেখানে বলা হলো, পাঁচতলার ডিজাইন করবে আর্কিটেক এবং বাকিটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। আবার কন্সট্রাকশন কাজে পাঁচতলার তত্বাবধায়ন করবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বাকিটা আর্কিটেক। তাহলে ঐ বিল্ডিংটা যেমন হবে, যদি কোনদিন সকল কাজে নারী পুরুষের সমান সংখ্যাক অংশগ্রহন করানো হয় তাহলে সমাজের অবস্থাটাও তেমন হবে। এ কথা বলতেই পারেন, বর্তমানে অনেক সেক্টরেই পুরুষের সঙ্গে নারীও কাধে কাধ মিলিয়ে সমান তালে কাজ করে তার যোগ্যতার প্রমান দিচ্ছে। হ্যা তা হয়তো করছে কিন্তু সেক্ষেত্রে তার নিজের সেক্টরেই যে গ্যাপ থেকে যাচ্ছে সেটাও দৃশ্যমান। সব ধরনের পেশায় নারীর অংশগ্রহন যে হারে বাড়ছে ঠিক একই হারে পারিবার ব্যাবস্থা ভেঙ্গে যাচ্ছে, পারিবারিক বন্ধন হালকা হচ্ছে। যৌথ পরিবার ব্যাবস্থা সংকোচন হয়ে চালু হয়েছে সিঙ্গেল পরিবার ব্যাবস্থা এরপর তা আরো সংকোচন হয়ে চালু হয়েছে সেপারেশন ব্যাবস্থা। পরিবারিক পরিবেশের বাহিরে স্নেহ ভালোবাসা হীন একাকি মানব শিশু বেড়ে উঠছে। এগুলো কোন উদাহরন নয় বাস্তবতা, এসব অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
কেউ কেউ আবার মন্তব্য করছে, নারী শিক্ষার কারনে এসব হচ্ছে। আমি বলি এটা সম্পূর্ন অবিবেচকের মত মন্তব্য। শিক্ষিত জাতী গঠনে শিক্ষিত মায়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নেপলিয়নের বাণী প্রমাণিত সত্য। বরং একজন শিক্ষিত নারী কেন শুধুমাত্র ফ্যামেলি ম্যানেজমেন্টের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ না করে অন্য কাজে নিজেকে ইনভ্লভ করতে চায় সেটাই দেখা দরকার। পেশা হিসেবে সমাজে নারীর গৃহিণী বা ফ্যামেলি ম্যানেজার পরিচয়কে বরাবরই খাটো করে দেখা হয়, সংগত কারনেই সে তখন নিজের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য অন্য পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আবার একজন নারী যেকোনো পেশায় একটা অবস্থান তৈরি করতে পারলে তাকে যেভাবে সফল নারী হিসেবে এক্সপোস হয়, একজন গৃহিণীকে কখনোই সেভাবে সফল নারী হিসেবে এক্সপোস করা হয় না। এখন তো "গৃহিণী" শব্দটাকে অনেক নারীই তুচ্ছে মনে করে। অনেকে দেখেছি নিজেকে গৃহিণী হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে। অথচ তারা কল্পনাও করতে পারেনা তাদের জন্যই পরিবার ব্যাবস্থা টিকে রয়েছে, পরিবার ব্যাবস্থা টিকে রয়েছে বলেই সমাজ ব্যাবস্থা টিকে রয়েছে। যে সমাজ ব্যাতিত উন্নয়ন কিংবা অর্থনীতি সব কিছুই মূল্যহীন।
নির্ধারণ করেই দেওয়া হয় পুরুষ পরিবারের প্রধান। আবার সমগ্র বিশ্বে এমনও কিছু সমাজ আছে যেখানে নারীকে পরিবারের প্রধান বলা হয়। যখন পুরুষকে পরিবারের প্রধান করা হবে তখন সেটা অসম হবে, আবার নারীকে পরিবারের প্রধান করা হলে সেটাও অসম হবে। সমতার জন্য পরিবারের প্রধান নামক পদবীটাই তুকে দিতে হবে।
অনেক পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা রয়েছে। কিন্তু একজন গৃহিণীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ফ্যামেলি ম্যানেজমেন্টের উপর প্রশিক্ষনের কোন ব্যাবস্থা কি রয়েছে ? অথচ এটা সমাজকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম উপাদান। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এ ব্যাপারে আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই! সবাই কেবল অর্থনীতি এবং উন্নয়ন নিয়েই চিৎকার করছি!
অনেকেই হয়ত এভাবে আমার মতের সমালোচনা করতে পারেন, যে কি করে আমি সমাজের অর্ধ জনগোষ্ঠীকে ঘরে বসিয়ে রাখার কথা বলতে পারি যা কিনা অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্থ করবে। আমি আবারো সুস্পষ্ট করে বলছি, ফ্যামেলি ম্যানেজমেন্ট মানে ঘরে বসে থাকা নয়, পরিবার তথা সামাজিক ব্যাবস্থাকে টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বা কাজ হচ্ছে ফ্যামেলি ম্যানেজমেন্ট। আর এই কাজটা যে খুব সহজ এমনটা ভাবারও কোন সুযোগ নেই। যদি তাই ভাবা হয় তবে আমি পুরুষকে বলব মাত্র এক মাসের জন্য তা করে দেখেন।
অনেক নারী এবং পুরুষ হয়ত এ বক্তব্যটা নেতিবাচক ভাবে নেবে। পুরুষ নেতিবাচক ভাবে নেবে, কারন এখানে তার কর্তৃত্ব খর্ব হচ্ছে। সাধারনত কেউই চায়না তার কর্তৃত্ব খর্ব করতে, এজন্য সব বুঝেই একদল পুরুষ বিষয়টাকে নেতিবাচক হিসেবে নেবে, এদেরকে তেমন কিছু বলাই নাই। নারী নেতিবাচক ভাবে নেবে কারন তার কাছে মনে হতে পারে, আমি নারীদের ঘরে থাকার কথা বলছি। প্রকৃতপক্ষে এমনটা মনে করার মধ্যদিয়ে পরক্ষ ভাবে নারী নিজেই যে ফ্যামেলি ম্যানেজমেন্টের কাজটাকে খাটো করে দেখছে, এটাই একদল নারীর মাথায় আসবে না।
তাছাড়া সামাজিক ব্যাবস্থাকে ধংস করে কার জন্য উন্নয়ন করা হবে। কি হবে এই অর্থনীতি আর উন্নয়ন দিয়ে। বর্তমানে SDGর (Sustainable Development Goal) কথা বলা হচ্ছে। যেখানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশে এবং স্থায়িত্ব দুটো বিষয়ই গুরুত্ব সহকরে দেখা হয়। আমি SDGর বিরুদ্ধে নই বরং SDG যথাপযুক্তই মনে করি। কিন্তু কথা হল সোস্যাল স্ট্যাবিলিটির জন্য কি করা হচ্ছে?
তাই SDGকে এক্সটেশন করে SSDG( Social Sustainable Development Goal) নির্ধারন করা উচিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: লেখাটি ২বার পোষ্ট হয়েছে, পড়ার সুবিধার্থে একটি মুছে দিন ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: "কোনো কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি।
প্রেরনা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষী নারী।

.............................................................................................
কথাটা সময়ের টানে এখন প্রযোজ্য নয়,
এখন অনেক নারী কারও প্রেরনা হতে চায় না
বরং নিজে উপার্জন করে বাচঁতে চায়।
আর সে জন্য দায়ী কিছু সুবিধাভোগী পুরুষ সমাজের অপকর্মর জন্য ।
...............................................................................................
তবুও বলব আপনার লেখাটি যথেষ্ট তথ্যমূলক , তাই ধন্যবাদ

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
আপনার লেখা আমার ভালো লাগে। যুক্তিহীন কিছু আপনি লিখেন না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো, অনুপ্ররনা পেলাম।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

নতুন বলেছেন: আপনিও পুরুষকে নারীর চেয়ে সুপিরিওর ভাবেন বলেই মনে হচ্ছে।

মানব জাতি চলমান রাখতে নারী আর পুরুষ যদি সমান কন্ট্রিবিউট করে তবেই মানব জাতি চলতে থাকবে। যদি কাল থেকে নারীরা সন্তান জন্ম দিতে না চায় তবে সুপিরিওর পুরুষ জাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

তাই পৃথিবির কাছে মানব জাতির মাঝে নারী আর পুরুষ সমান গুরুত্বপূন`

সমাজ এখন পুরুষ শাসিত তাই নারীরা পুরুষের চেয়ে কম বলেই আপনার কাছে মনে হবে।

বিশ্বে কিছু সমাজ আছে যেখানে নারীরাই পরিবারের প্রধান সেখানে গেলে আপনার নারীদের দূবল বলে মনে হবেন।

সমাজ পুরুষ তার পেশী শক্তি প্রয়োগ করেই বেশি সুবিধা ভোগ করে। এবং নারীদের কম সুবিধা দেয়।

এখন নারীরা পুরুষ শক্তি প্রয়োগ করে সমাজে/পরিবারে বেশি সুবিধা নেয়ার প্রতিবাদ করে তখন পরিবারে ভাঙ্গন ধরে। আর সেটার জন্য নারীদের দোষ দেয় পুরুষ সমাজ।

একটা নারী যদি সাবলাম্বি হয় তবে কেন সে পুরুষের কাছে মার খাবে? বন্চনা শুনবে?

কোন নারীই সংসার ভাঙ্গতে চায় না। নিজের সন্তান নিয়ে সুখী হতে চায়।

পরিবার দুইজনের তাই সেটার কাজও দুইজনে ভাগ করে নিলে অবশ্যই ভালোবাসা বাড়বে পরিবার ভাঙ্গবেনা আরো সুখের হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে নারী ও পুরুষকে সনান চোখেই দেখি। একজনের উপরে অন্য জন সুপ্রিম এমনটা ভাবার কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। কোথাও হয়ত ভুল বুঝাবুঝির কারণে আপনার কাছে এমনটা মনে হতে পারে।

বরং আপনিও বলছেন বিশ্বে কিছু সমাজ আছে যেখানে নারীরাই পরিবারের প্রধান । আর এটাই হচ্ছে বড় সমস্যা। আমরা যখন একজনকে পরিবারের প্রধান করে দেই তখন অপর জন স্বাভাবিক ভাবেই ছোট হয়ে যায়।
বিশ্বে কিছু সমাজ আছে যেখানে নারীরাই পরিবারের প্রধান, এই কথাটাই যে নেতিবাচক সেই ব্যাপারটাই অনুধাবন করতে পারি না। আপনি যখন নারীকে প্রধান করবেন তখনও সেটা অসম হবে, আবার যখন পুরুষকে প্রধান করবেন তখনও সেটা অসম হবে। সমতার জন্য প্রধান নামক শব্দটাকেই তুকে দিতে হবে।
এর বাহিরে আপনি আর যা বলেছেন তার সাথে আমিও মোটামুটি একমত পোষণ করছি।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.