নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন ট্রাফিক আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা যে ধর্মঘট ডেকেছে তা কেবলি শ্রমিক নেতাদের গা বাঁচানো বা লোক দেখানো। এসব অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করে কোন লাভ নেই তা তারাও জানে। শুধু শুধু দু-চারদিন মানুষের ভোগান্তি আর শ্রমিকের পেটে লাথি মারা ব্যাতিত এ আন্দোলন থেকে ভালো কিছু পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। প্রকৃত পক্ষেই যদি শ্রমিক নেতাদের শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করার ইচ্ছে থাকত তাহলে তারা নতুন ট্রাফিক আইন সংসধনের দাবিতে ধর্মঘট না করে বিআরটিএর ঘুষ বানিজ্য এবং হয়রানি বন্ধে সরকারকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে এবং বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিতো। এক্ষেত্রে দেশের সকল জনগন তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষন করতো। কিন্তু তারা সেটা করবে না।
কেন করবে?
নেতা তো আর শ্রমিক না। নেতার ঘরের চুলা তো এক দিনের জন্যও বন্ধ থাকবে না। সে শ্রমিকের ঘাড়ে পা রেখে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত ব্যাক্তি, সাধারন শ্রমিক ভাইয়েরা হয়ত তা জানে কিংবা জানে না।
ট্রাফিক আইন এবং বিআরটিএর পরিবর্তন দুটোই সমান এবং সমান্তরালে হওয়া উচিত। কিছুদিন আগে আমার এক সহকর্মী সহ লক্ষীপুর বিআরটিএ অফিসে গেলাম তার গাড়ীর ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার জন্য। বেচারা লক্ষীপুর থাকাকালীন বাইক কিনেছিল, বরিশাল থেকে আগের দিন রাতে এসেছে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য। সকাল নয়টা ত্রিশ মিনিটে অফিস খোলার কথা ধাকলেও দশটায় অফিস খোলা হল। এরপর যখন ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট দিতে ভিতরে ঢোকা হল তখন সেখান থেকে বলা হলো, আজ ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হবে না পরের দিন আসেন, আজ কার্ড বিতারন করা হবে। অথচ ঐ সময় কার্ড নেয়ার জন্য তেমন কাউকে দেখি নাই, সব মিলিয়ে দু তিনজন লোক, তেমন ভিরও ছিল না। তাছাড়া নোটিশ বোর্ডে কার্ড বিতারনের যে তারিখ দেওয়া রয়েছে তাতে ঐ দিনের কথা উল্ল্যেখ নাই। সংগত কারনেই এক ভাইকে ফোন করা হল। না তিনি কোন রাজনৈতিক নেতা নয়, শো-রুমে কর্মরত কোন এক ব্যাক্তি। তিনি বললো, আবার ভিতরে যান গিয়ে আমার নাম বলেন। এবার ভিতরে গিয়ে অমুক ভাইয়ের কথা বলতেই কাজ হয়ে গেল। দের থেকে দু মিনিটের কাজ, অথচ এতটুকুই সে প্রথমে করে দিতে চায়নি। অবশেষে বুঝতে পারলাম কেবল সরকার নয় শো-রুম হতেও তাকে প্রতি মাসে তাকে বেতন দেওয়া হয়।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আবার যখন সরকারী দল চেঞ্জ তখন শ্রমিক সুবিধা গ্রহিতাও চেঞ্জ হবে, সরকারী দলের সুবিধা গ্রহিতাই শ্রমিক সুবিধা গ্রহিতা হবে। এজন্য সামগ্রীক বিবেচনায় আর নিদৃষ্ট করে আম্লিগের নাম বললাম না। নেতার পরিবর্তে সুবিধা গ্রহিতা শব্দটাই উপযুক্ত মনে হচ্ছে, তাই সুবিধা গ্রহিতা শব্দটা ব্যাবহার করলাম।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন:
ব্যবস্থা নিন। পরিবহন শ্রমিক-মালিক সংঘের কালো হাত ভেঙ্গে দিন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চন আর শ্রমিক সুবিধা গ্রহিতাই বলেন, যতই লাফালাফিই করুক কোন পক্ষই কারো কিছু করতে পারবে না। মাঝখানে ক্ষতি যা হওয়ার সাধারন শ্রমিকেরই হবে।
আবার এসব সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে বাবস্থা নিতে যাবেন ? দেখবেন মাথামোটা শ্রমিকরাই প্রোটেকশন দেবে।
সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন? তথাকথিত শ্রমিক নেতারাই আপনার বিরুদ্ধে মাথামোটা শ্রমিকদের লাগিয়ে দেবে।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০১
সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: ভালো লাগলো।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই দেশে আন্দোলন এর অধিকার এখন কেবল সরকার দলীয়দেরই আছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ঐতিহাসিক ভাবেই আমরা চামচামির মাধ্যমে তাদের এ অধিকার দিয়ে আসছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: যারা আজ পরিবহন শ্রমিক বা নেতা তারা কিন্তু আওয়ামীলীগ করে। তার মানে দেশের স্বার্থ কেউ দেখছে না। সবাই নিজ নিজ স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত। এত জন্যই তো এত অরাজকতা।