নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কি আত্মমর্যাদা বলতে কিছুই নেই? ছি বাঙ্গালী ছি!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩


এমন দিনও দেখতে হলো? একেবারেই ভাবতে পারিনি। আগে থেকেই যখন কোন বাঙ্গালীকে ইয়ার্কির ছলেও হিন্দিতে ডায়লগ মারতে দেখতাম। কিংবা দেখতাম হিন্দি ফ্লিমের ভক্ত তখন খুবই বিরক্ত হতাম।
আসলে সবচেয় ভংঙ্কর ব্যাপার কি জানেন?
বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ তরুন- তরুনিই হিন্দি ফ্লিমের ভক্ত।
পাকিস্তান জোর করে উর্দু চাপাতে চেয়েছিল। ভারত বিনোদনের নামে সুকৌশলে আমাদের উপর হিন্দি চাপিয়ে দিল আর আবালের দল খুব সুন্দর করে গিলে নিল! কিন্তু আফসোস, আমাদের পলিটেশিয়ান তথা কোন সরকার কখনোই তার বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নেয়নি!
পৃথিবীর বুকে একমাত্র বাঙ্গালী জাতিই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, এটা ভেবে যতটা গর্ব হয় ঠিক ততটা ঘৃনা হয় যখন দেখি পৃথিবীর বুকে একমাত্র বাঙ্গালী জাতিই তার রক্তে অর্জিত ভাষাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করছে। ছি বাঙ্গালী ছি!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৯

নতুন বলেছেন: কথা সত্য...

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোটি টাকায় ডজন ডজন বিদেশী খেলোয়াড় আনতে পারলে, কোচ আনতে পারলে দুএকটা শিল্পি আসবে না কেন?
বাংলাদেশী খেলোয়াড় কি যাচ্ছে না?
চলচিত্র শিল্পে কি বিদেশী শিল্পি আসে না? এদেশের শিল্পি কি ভারতে যেয়ে অভিনয় করছে না?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: একই প্রশ্ন আপনি আগের পোস্টেও করেছেন, ওখানে উত্তর দিয়েছি। এখানে আবার দিলাম।

বিদেশ থেকে যেমন প্লেয়ার আনা হচ্ছে তেমন বাঙালী খেলারও বিদেশে গিয়ে খেলছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে প্লেয়ার আনা হলেও আমাদের দেশের খেলোয়াড়রাই কিন্তু এখানে আইকন ।
আমার এখানে মুল পয়েন্ট হচ্ছে হিন্দিকে বাংলায় এনে বাংলাদেশে কেন হিন্দিকে প্রমট করা হবে, তাও আবার হিন্দিই হবে বিশেষ আকর্ষণ।
বলতে পারেন বাংলাদেশি শিল্পীরাও ভারত সহ বিভিন্ন দেশে যায়।
১। হ্যা যায়, কিন্তু সেটা সেটা ঐ সে দেশের পাবলিককে বিনোদন দেবার জন্য নয়, প্রবাসী বাংঙ্গালীদের জন্য।
২। যদিও কোন দেশ তাদের অনুষ্টানে নেয় তবে সেটা বিশেষে আকর্ষন হিসেবে নয়!
৩। ইন্ডিয়াতে যায় তবে সেটা কোলকাতায়। এর বাহিরে গেলেও হিন্দি আর ইংরেজি মিলিয়ে বিনোদন দিতে হয়। তাও কিন্তু প্রধান আকর্ষন হিসেবে নয়।
শুধুমাত্র ভারতিয় প্রডাক্সান ম্যানেজারই নয়। হাজার হাজার ভারতিয় এদেশের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে, এ নিয়ে ভালো ভালো মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে, কিন্তু তাতে সরকারের কিছু যায় আসেনা।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভারত জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেয় নি, আপনি আমি হিন্দি সিরিয়ালের দেওয়ানা হয়েই ওই ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছি | নিজের ভাষাকে ভালোবাসা অবশ্যই প্রয়োজন তবে নিজের দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্ত না হলে আন্তর্জাতিক ভাষাতেও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে - যেমন ইংরেজি, ফরাসি | অনেক ভারতীয়ই হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারে না কিন্তু ইংরেজিতে দক্ষতার কারণে বিশ্বায়নের যুগে নানান দেশে সম্মানজনক পেশায় কাজ করে যাচ্ছে, এদেরকে কি আপনি কম দেশপ্রেমিক বলবেন ?

চরম বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশিরা ভাষা ও কারিগরি দক্ষতার দুর্বলতার কারণে মধ্যপ্রাচ্য সহ অনেক দেশি অদক্ষ ও দাস হিসাবে অতি নিম্ন মজুরির কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে | যেখানে ভারতীয় নারীরা উন্নত দেশে সম্মানজনক কাজের জন্য যাচ্ছে, আমাদের বোনেরা মধ্যপ্রাচ্যের অসভ্য বর্বরদের যৌনদাসী হিসাবে সেবা দিতে যাচ্ছে কারিগরি দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক ভাষার দুর্বলতার কারণে |

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমি তো বলছি না ভারত জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিয়েছে, ভারত কৌশলে হিন্দি ঢুকিয়ে দিয়েছে। ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীটাই একটা সমাজ। নিজের অর্থনীতিকে শক্ত করতে গ্লোবালি কানেক্ট হওয়ার জন্য ইংরেজিতে দক্ষতার প্রয়োজন আছে। কই আমিতো ইংরেজি নিয়ে কিছু বলিনি, কারন ইংরেজি শেখার সাথে অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। কিন্তু বলুনতো হিন্দি দিয়ে অর্থনীতিতে কি ফয়দা হচ্ছে ?
বরং শুনেন তাহলে, এক বাংলাদেশী ভারতে কোন এক প্রতিষ্টানে চাকরির অফার পাওয়ার পরে ওয়ার্ক পারমিট আনতে গেলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন ধরনের কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। সে বলে অমুক কাজের জন্য। তখন তাকে বলা হয়, এই কাজটাতো একজন ইন্ডিয়ানই করতে পারবে, দুঃখিত আমরা আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দিতে পারছি না।
আমি এখানে প্রতিটা সরকারের সমালোচনা করেছি, কারন তারা ইন্ডিয়ান চ্যানেল গুলোকে বাংলাদেশে জিয়িয়ে রেখেছে বলেই বাঙ্গালী হিন্দি দেখার সুযোগ পেয়েছে। বর্তমানে ইউটিউবে ভালো কিছু কিছু বাংলা নাটকে ইন্ডিয়ানদের কমেন্ট করতে দেখা যায়, তারা বাংলাদেশী নাটকের বেশ ভক্ত কিন্তু ইন্ডিয়ান সরকার তাদের দেশে কোটি কোটি বাঙ্গালী এবং বাংলা প্রদেশ থাকা সত্তেও বাংলাদেশী চ্যানেল গুলোকে তাদের দেশে ঢুকতে দেয় না। বাংলাদেশী চ্যানেল গুলো যদি ইন্ডিয়াতে ঢুকতে দিতো তাহলে ইন্ডিয়াতে বাংলা নাটকের বিশাল এক দর্শক সমাজ তৈরি হত। বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু কিছু বিজ্ঞপনের বিলবোর্ডে ইন্ডিয়ান মডেলদের দেখা যায় কিন্তু কোলকাতার কোন বিজ্ঞপনের বিলবোর্ডে বাংলাদেশী মডেল দেখাতে পারবেন? যদি কোন ইন্ডিয়ান কোম্পানি চায়ও তাও তারা বাংলাদেশী মডেল দিয়ে ইন্ডিয়াতে বিজ্ঞপন করাতে পারবে না। ইন্ডিয়ান সরকার সেটা করতে দেবে না।
আপনি যে বলেছেন বাংলাদেশিরা ভাষা ও কারিগরি দক্ষতার দুর্বল তার সাথে ১০০০% একমত। ইংরেজির দিকে আমাদের অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত তবে এক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে হবে যে কি উদ্দেশ্যে আমারা ইংরেজি শিখছি।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২১

আখ্যাত বলেছেন:
এত বেশি রক্ষণশীল হওয়ার কী আছে
বাংলার চাইতে হিন্দি যথেষ্ঠ বেশি রোমান্টিক ও মধুর

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ও আচ্ছা, তাইনাকি!

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভাষার প্রতি আমাদের টান আছে। অবশ্যই আছে।
হিন্দি তামিল বা ইংরেজি মুভি দেখলে সমস্যাটা কোথায়?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: জানার জন্য বা সেখার জন্য হলে কোন সমস্যা থাকে না, আমি এটাকে সমর্থন করি। কিন্তু সেটা যখন আগ্রাসন হয়ে দাড়ায় তখনি সমস্যা।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিশ্বায়নের যুগে সংস্কৃতিকে আটকে রাখা যাবে না। আমার দেশ বলেই আমাকে জোর করে শাকিব খানের ছবি দেখতে হবে এমন কথা নেই। হিন্দী ছবি ভাল লাগে বলেই অনেকে দেখে। বাংলার সাথে মিল আছে বলেই ভাষাটা শেখা সহজ হয়। তাছাড়া মাত্র কিছুদিন আগেই আমরা একটা দেশ ছিলাম...
আর বিপিএল ব্যপারটা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণ। ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানী ভারতীয় হয় বেশীরভাগ সময়। যে জাতি যে কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় মমতাজকে নিয়ে আসে নান্টু ঘটকের গান শোনানোর জন্য সে জাতির জন্য সালমান খান আর কী দোষ করল?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: প্রথমেই বলি, ব্যক্তিগত ভাবে শাকিব খান সহ আরও অনেকের কাজই আমার কাছে ফালতু মনে হয়। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভালো ভালো কাজও হচ্ছে, আশাকরি সেগুলা আপনিও দেখেন। আপনি ভালো লাগার কারণে দেখছেন ভালো কথা, কিন্তু ব্যাপারটা যখন আগ্রাসনের পর্যায়ে চলে যায় আপত্তিটা তখনি হয়।
আমার কাছে অবাক লাগে যে ইন্ডিয়া একটা রাষ্ট্র । সেখানে বাঙ্গালী জাতী তাদের ইন্ডিয়ান জাতী বলে পরিচয় দেয়, গুজরাটিরা তাদের ইন্ডিয়ান জাতী বলে পরিচয় দেয়, তামিলরা তাদের ইন্ডিয়ান জাতী বলে পরিচয় দেয়, X Y Z জাতী তাদের ইন্ডিয়ান জাতী বলে পরিচয় দেয়। ব্যাপারটা আজব না, হিন্দি আগ্রাসন তাদের নিজস্ব জাতিসত্তাকেই ভুলিয়ে দিয়েছে, প্রতিষ্ঠা করেছে হিন্দি সম্রাজ্য!

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি মনে হয় ভুল করছেন। হিন্দী ভাষা আর ইন্ডিয়ান জাতি এক নয়। দেশ হিসেবে সবাই ইন্ডিয়ানই বলবে। তাই হিন্দী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করছে সেটা সঠিক নয়। তবে হিন্দী ভাষার আগ্রাসন বলা যেতে পারে। আরব দেশগুলোতেও এখন বলিউডি ছবি তথা হিন্দী ভাষা জনপ্রিয় হচ্ছে...

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: হিন্দী ভাষা আর ইন্ডিয়ান জাতি এক নয় আপনার কথা মানলাম , তাহলে ইন্ডিয়ান জাতির জাতিগত ভাষা কোনটা ? যতদূর জানি সাংবিধানিক ভাবে তারা কোন ভাষাকেই রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়নি, কারন এতো তাড়াতাড়ি এটা করতে গেলে ভারত খন্ড হওয়ার একটা ভয় আছে। এজন্য কয়েক শতাব্দী অপেক্ষা করতে হবে। তবে হিন্দি না জানলে তাকে মোটামুটি পিছিয়ে পরা জাতির কাতারেই ফেলা হয়। বিশ্বের দরবারে নিজেদের তুলে ধরতে আমরা ইংলিশ শিখছি, ভারতের অন্য ভাষাভাষীরা ভারতের মধ্যে নিজেকে তুলে ধরতে হিন্দি শিকছে ।
ভুলে গেলে চলবে না, পাকিস্তান তাদের সাম্রাজ্য রক্ষায় প্রথমেই আমাদের ভাসায় আঘাত হেনেছিল। । পশ্চিমবঙ্গ যদি ইন্ডিয়ার প্রদেশ না হয়ে আলাদা দেশ হত তাহলে কিন্তু তাদের হিন্দির কোন দরকার হত না, কিন্তু এখন তাদের বাংলার সাথে হিন্দিকেও জানতে হয় । ঠিক একই কথা তামিল বলেন কেরালা বলেন সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আজ ভারত হিন্দিকে সাংবিধানিক ভাবে তাদের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা না দিতে পারলেও ২০০ বছর পরে হয়তো ঠিকই পারবে, কারন আস্তে আস্তে তারা হিন্দির বেজ শক্ত করছে।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: আমি নিয়মিত উর্দু ভাষা চর্চা করি |

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: জানার জন্য জ্ঞ্যানের জন্য আপনি যে কোন ভাষার চর্চা করতে পারেন আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু তা যখন আগ্রাসনের পর্যায়ে যায় তখনি সমস্যা।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: হিন্দি ভাষা পৃথিবীর জঘন্যতম ভাষা | কারণ এটা হচ্ছে মূর্খদের ভাষা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমার কাছে কোন ভাষাই জঘন্যতম নয়। আমার কাছে প্রত্যেক ভাষাই সম্মানের । কিন্ত সমস্যা হল এক তরফা ভাবে অন্য ভাষাকে গুরুত্ত দেওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.