নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম এবং আত্মহত্যা, আবেগ এবং বাস্তবতা!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১



ঘটন ১ঃ প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ইডেন কলেজের ছাত্রীর আত্মহত্যা। প্রেমিকা কবরে প্রেমিক কারাগারে। (গত কালকের NTV অন লাইনের নিউজ)

ঘটনা ২ঃ প্রেমের নামে প্রেমিকার প্রতারনা যুবকের আত্মহত্যা। সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে প্রেমিকা কারাগারে। ( বেশ আগের একটা নিউজ)
এমন অনেক ঘটনা আমাদের সমাজে প্রতিনিয়তই ঘটছে, কিন্তু মাত্র দুটো ঘটনা উল্ল্যেখ করলাম, একটা নারীর এবং একটা পুরুষের। কারন ক্ষেত্র বিশেষে কোথাও নারী কোথাও পুরুষ এমন ছ্যাছরামি করছে বা ছ্যাছরামির স্বীকার হচ্ছে। তাই একটা নিউজ দিয়ে একক ভাবে নারী বা একক ভাবে পুরুষকে দায়ী না করে উভয়কেই সমভাবে দায়ী করতে চাই।
যাইহোক মূল কথায় আসি, আমার মতে যারা প্রেম জনিত কারনে আত্মহত্যা করে তাদের মরে যাওয়াই উচিত। তাদের মত অপদার্থের বেঁচে থাকার কোন দরকার নেই। আত্মরক্ষা ব্যাতিত যেকোন কারনে বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা ঘৃণিত কাজ। প্রত্যেকটা হত্যারই বিচার হওয়া দরকার। কেউ নিজেকে হত্যা করলে তারও বিচার হওয়া দরকার। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে হত্যাকারির মরণোত্তর বিচার হওয়া দরকার।
বিবাহ বহির্ভূত প্রেম। এর ধর্মিও ব্যাপারটা না হয় বাদই দিলাম, কারন আইনে না থাকলে আদালত শুধুমাত্র ধর্ম কিংবা আবেগ দিয়ে কোন বিচার করে না, তাই আইনগত ব্যাপারে আসি। না আমি কোন আইনজীবী নই, এসব সিম্পল ব্যাপার জানার জন্য আইনজীবী হওয়ার প্রয়োজন নেই। যতদূর জানি আইনগত ভাবে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমে বৈধতা বা অবৈধতা কোনটিই নেই। আবার সেচ্ছায় কারো সঙ্গে একই বিছানায় সময় কাটানোতে আইনগত কোন বাধা নেই, এবং এক্ষেত্রেও বিয়ের বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। সুতরাং, কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকলে কিংবা একই বিছানায় সময় কাটালেই আইনগত ভাবে সে কাউকে বিয়ে করতে বাধ্য নয়। তাই প্রেম এবং বিয়ের আগে একই বিছানায় মাস্তি করতে হলে তা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে করতে হবে
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কারো সুইসাইড করতে মনে চাইলে করুক, কোন সমস্যা নেই ! কিন্তু অযথা কেন সুইসাইড নোট লেখা ? আজ পর্যন্ত কেউ দেখেছেন বা শুনেছেন, সুইসাইড নোট দেখে সুইসাইডের জন্য দায়ী ব্যাক্তির ফাঁসীর হুকুম হয়েছে? না, আমার লাইফে আমি দেখিনি বা শুনিনি।
রাজিব তার প্রেমিকা রাজিয়ার নিকট ছ্যাকা খেয়ে রাজিয়াকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সুইসাইড নোট লিখে সুইসাইড করল। তার মানে এই নয় যে, রাজিয়া রাজিবকে খুন করেছে বা রাজিয়াই রাজিবের খুনি। সুইসাইড নোট দেখে পুলিশ রাজিয়াকে গ্রেপ্তার করতেই পারে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্টের মাধ্যমে খতিয়ে দেখবে আসলেই কি আত্মহত্যা নাকি হত্যা। আত্মহত্যার ব্যাপারটা নিশ্চিত হলে এমনিতেই রাজিয়া মুক্তি পেয়ে যাবে।
প্রথমত, প্রেম কিংবা একই ঘরে অন্তরঙ্গ সময় কাটালেই বিয়ে করতে হবে এমনটা কোথাও বলা নেই।
দ্বিতীয়ত, আইন কেবলমাত্র আইনগত ভাবে সম্পাদিত কোন লিখিত চুক্তি ভঙ্গকারীকেই সাজা দিতে পারে। কিন্তু প্রেমে যত ধরনের কমিটমেন্ট করা হয় তা সবই মৌখিক। সুতরাং কোন আইনে আদালত রাজিয়া বিচার করবে?

আপনাদের হয়ত মনে হচ্ছে, আমি ধোকাবাজের পক্ষে আর প্রেমের বিপক্ষে কথা বলছি! না, একেবারেই না, আমি তাই বলছি যা বাস্তব।
হ্যা, ওয়াদা ভঙ্গকারী অবশ্যই ঘৃণিত ব্যক্তি। কিন্তু আইনগত ভাবে ক্রিমিনাল নয়, এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে পারলেই পাঠক উপরের কথা গুলো মূল্যায়ন করতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাস্তবতা খুবই কঠিন, এজন্য মানুষ বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে ভয় পায়, তাই আবেগ দিয়ে বাস্তবতাকে আড়াল করতে চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোন লাভ কি হয়? বাস্তবতাকে কি এড়িয়ে যাওয়া যায়? বাস্তবতাকে যতই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় সে ততোই শক্ত করে মানুষকে চেপে ধরে। ফলশ্রুতিতে একটা সময় ডিপ্রেশন চলে আসে, নিজেকে সবচেয়ে দুখী মনে হয়, জীবনটাই মনে হয় অপ্রয়োজনীয়, যা মানুষকে আত্মহত্যার মত ঘৃণিত এবং ভংঙ্কার কাজে উৎসাহিত করে।
কোনকিছু করার পূর্বে আবেগ নয় বান্তবতা দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। কেউ ভালো বলে তার সাথে ভালো কিছু হবেই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে যে খারাপ সে নিশ্চিত ভাবে আজ অথবা কাল, অথবা মৃত্যুকালে প্রকৃতির নিকট হতেই তার শাস্তি পাবে। প্রকৃতির সাজা খুবই ভয়ংকর। এজন্য সর্বদাই ইতিবাচক থাকা উচিত। বাস্তবতা যত কঠিনই হোক তাকে মেনে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ, তাহলে কষ্ট অনেক কমে যায়।
আজকের একটা কাজের জন্য বিশ বছর পরেও প্রশ্নের মুখে পরতে হতে পারে। যাস্ট একটা উদাহরণ দেই, আজ প্রেমের নামে যে ছ্যাছরামি করছে। ইচ্ছেমত একাধিক নারী-পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে খুবই তৃপ্তি পাচ্ছে। আগামী বিশ বছর পর তাকে তার সন্তানের নিকটই এসবের জন্য জবাবদিহির মুখে পরতে হতে পারে। তখন?
তাই জীবনে সুদূর প্রয়াসী চিন্তা করা উচিত এবং প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ভেবে চিন্তে নেওয়া উচিত।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাস্তবতা বাদ দিয়ে আবেগ নিয়ে ভেসে বেড়ালে এমনই হয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমাদের মিডিয়া অবশ্য একটা লজিকহীন আবেগি জাতী বিনির্মাণে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: সমাজে সব শ্রেনীর মানুষই বাস করে। এই কারনে বোকাদের আলাদা করা যায় না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য এদের বোকা না অন্যকিছু মনে হয়।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.