নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

থর্মান্ধরা শোনো, অন্যের পাপ গনিবার আগে নিজেদের পাপ গোনো!

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গতকাল সকালে বাড়ির এক চাচা এসে বললো, কাচারির মসজিদে দোয়ার ব্যাবস্থা করছি তবারকের জন্য ৫০ বা ১০০ যা পারিস শরিক হ।
বললাম, এক কাজ করেন চাচা, এ কথা না বলে বলেন "একটা পিকনিকের আয়োজন করছি ৫০/১০০ টাকা চাঁদা ধার্য্য করা হইছে এ্যামাউন্ট যেটা পছন্দ হয় দে"
এরপর যা করবেন, পিকনিকের খাবার খাওয়ার আগে একবার মুনাজাত ধইরাইবেন, ব্যাস খেল খতম! দোয়ার নামে পিকনিক না করে পিকনিকের মধ্যে দোয়া করেন। তাহলে এটলিস্ট ভূল ধর্মচর্চা হতে মুক্ত থাকা যাবে। দোয়ার নামে কোন পিকনিকের সাথে আমি নাই।

এই মূহূর্তে সবাই স্রষ্টার নিকট দোয়া করছে, হে আল্লাহ করোনা থেকে বাঁচাও। এক ভিডিওতে দেখলাম ডোনাল ট্রাম্পও লোক ডেকে কোরআন তিলাওয়াত করাচ্ছে। আর আমি অধম দোয়া করছি, হে আল্লাহ তুমি লোকজনরে হেদায়েত দ্যাও, মানুষ হওয়ার তৌফিক দ্যাও। হ্যা বাঁচতে চাইলে মানুষ হওয়া জরুরী। যদি সত্যিই মহামারী হতে নিস্তার চান তবে আগে মানুষ হন। সবাইকে মানুষ হতে বলেন। সবাই যেন মন থেকে প্রতিজ্ঞা করে আর কোন দিনও মানুষ পশুপাখি কিংবা প্রকৃতি, কারো কোন ক্ষতি করবো না। সকল প্রকার হিংসা হতে নিজেকে মুক্ত রাখবো। পূর্বের সকল অন্যায়ের জন্য অনুতপ্ত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা চাইবো।
দেখুন সৃষ্টিকর্তা সকল মানুষকে একই বিষয়ে দক্ষতা দেয়নি। একেকজনকে একেক বিষয়ে দক্ষতা দিয়েছে, যেন প্রত্যেকে প্রত্যেকের সেবা করতে পারে। যেমন কৃষক খাদ্য উৎপাদন করে সেবা দেয়, ব্যাবসায়ি সে খাদ্য কয়েক ধাপে সমন্বয় করে মানুষের হতে তুলে দিয়ে সেবা দেয়, দর্জি লজ্জা নিবারনের জন্য পোশাক তৈরি করে সেবা দেয়, শিল্পোদ্যোক্তা তার উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের দ্বারা জীবনকে আরো সহজ করে সেবা দেয়, মেথর বাড়ির ট্যাংকি পরিষ্কারের মাধ্যমে সেবা দেয়, পরিবহন ড্রাইভার প্রয়োজন মতো বিভিন্ন যায়গায় ট্রান্সপোর্ট সেবা দেয়, ডাক্তার স্বাস্থ সেবা দেয়, নাপিত চুলকে সুন্দর পরিপাটি করে সেবা দেয়। এভাবে প্রত্যেকে তার স্ব স্ব কর্ম দ্বারা প্রত্যেকের সেবা করছে। আমি আমার কর্ম এরিয়ার মানুষের মধ্যে নিরাপদ বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছি। মানুষ যদি তার পেশাকে অন্যের জন্য সেবা হিসেবে না নিয়ে নিজে ভালো থাকার আশায় অন্যের ক্ষতি করে তাহলে তো সমস্যা হবেই। সমাজের প্রত্যেকের উচিৎ দুইটা উদ্দ্যেশ্যেকে সামনে রেখে নিজ পেশাকে পরিচালিত করা।
১. অপরের নিকট হতে গ্রহণকৃত সেবার সঠিক মূল্য পরিশোধের জন্য সততার সাথে নিজের প্রদান কৃত সেবার মূল্য গ্রহণ।
২. নিজের কাজের মাধ্যমে অপরকে আন্তরিক ভাবে সেবা প্রদান।
যদি প্রত্যেকেই এমনটা করে তাহলে প্রত্যেকে প্রত্যেকের নিকট হতে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা সমূহ সঠিক ভাবে পাবে। এভাবে চিন্তা চেতনার পরিবর্তন করেন। তাহলে যদি শেফা হয়।
কিন্তু এসব না করে চিপায় পরে লোক দেখানো ইবাদত করবেন আর সকল প্রকার আকাম কুকাম কইরে বেড়াবেন তাতে কোনো লাভ হবে না, গ্যারান্টেড! এমন নয় যে স্রষ্টা মানুষের ইবাদতকে কোনোকিছু তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যাবহার করে, এখন মানুষের ইবাদত কমে যাওযায় কাঁচামাল সংকট দেখা দিয়েছে, আর এজন্য তিনি গজব পাঠিয়েছে। তাই এ অবস্থায় বেশিবেশি ইবাদত করে কাঁচামালের যোগান পূর্ন্য করে দিলের সব ঠিক হয়ে যাবে।
অনলাইনে ডিক্লিয়ার দিয়ে লক্ষবার কলেমা খতম দেওয়া হচ্ছে, সকাল বিকাল মাইকে কোরআন তেলাওয়া করা হচ্ছে, খুব ভালো কথা করেন কোনো সমস্যা নাই। তবে কোরআনকে দেওয়া হয়েছে জীবনের গাইডলাইন হিসেবে, তাই সেটাকে পড়েন বুঝেন এবং সেই সাথে ফলো করেন। কিন্তু সেটা না করে কেবল মুখস্ত পড়বেন আর দুনিয়ার যত শয়তানি বান্দ্রামি আছে সব করে বেরাবেন, তাহলে কোন লাভ নাই! যদিও আমাদের বক্তারা বলে কোরআন পড়লেই সোয়াব। কিন্তু তারা যেটা বলে না সেটা হচ্ছে, কুরআন পড়ে সেটা না মানলে সোয়ব তো নাই ই বরং দূর্গতি আছে এবং সেটা আজ প্রাকটিক্যালি দেখতেও পাচ্ছেন। যেকোনো দেশের রাষ্ট্র প্রধানও এই দূর্গতির বাহিরে নয়, সেটাও ইতিমধ্যে দেখেছেন।

সৃষ্টিকর্তা যদিও মানুষ এবং জ্বিনকে তার ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাইবলে এই না যে, ইবাদত না করলে তার জন্য তিনি পৃথিবীতেই কঠোর কোনো শাস্তি প্রদান করবেন। তবে পরপারে অবস্যই জবাবদিহি দিতে হবে, মাফ নাই।
কেউ যদি বলে নামাজ না পরার কারনেই আজকের এই মহামারী এবং নামাজ পরলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তবে লোকে তাকে যত বড় বুজুর্গই বলুক আমি কখনোই তার কথার সাথে একমত নই। কারন সৃষ্টিকর্তা আমাকে যে মগজ দিয়েছে সেটা এই মতবাদ সমর্থন করছে না। সুতরাং দয়াকরে কেউ জ্ঞ্যান দিতে আসবেন না।
পৃথিবীতে মানুষ যত দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে বা হবে তা মানুষের নিজের ভুল বা অন্যায়ের কারনেই। "পাঁপ" না বলে "অন্যায়" বললাম কারন পাপ এবং অন্যায়ের মধ্যে কিঞ্চিৎ পার্থক্য আছে। সকল অন্যায়ই পাপ, সকল পাপই অন্যায় নয়।
যেমন বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, অপরের সম্পদ আত্মসাৎ, ধর্ষন, দূর্বলের গায়ে আঘাত, কাউকে ঠাকানো, এগুলো সবই একইসাথে অন্যায়, আর প্রতিটা অন্যায়ই পাঁপ। কিন্তু সমাজের কোনো ক্ষতি না করে মদ্যপান, ইবাদত না করা, স্রষ্টার একত্ববাদে অবিশ্বাস, এগুলো সবই কেবল পাঁপ। এই পাঁপের জন্য তিনি ঐপারে কঠিন ভাবেই ধরবেন। তবে অন্যায় করা হলে তার জন্য এপারেও শাস্তি আছে যা প্রতিনিয়তই দেখছি, আর ওপারে যে কত কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে তা তিনিই জানেন!
আন্তর্জাতিক পর্যায় হতে শুরু করে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত মানুষ যেভাবে অন্যায় করছে, একে অপরের ক্ষতি করছে, তা আর নতুন করে ব্যাখা করার কিছু নাই। এক দেশ অন্য দেশের ক্ষতি করছে, এক জাতী অন্য জাতীর ক্ষতি করছে, এক দল অন্য দলের ক্ষতি করছে, একজন মানুষ অন্য আরেক মানুষের ক্ষতি করছে। আর গ্লোবালি সবাই মিলে প্রকৃতির ক্ষতি করছে। আফটার অল মানুষ যেভাবে প্রকৃতির ক্ষতি করেছে এবং একজন আরেকজনের ক্ষতি করার জন্য উঠে পরে লেগেছে, যঘন্য সব অন্যায়ে লিপ্ত হয়েছে, আজকের মহামারী তারই রেজাল্ট। হ্যা আবারো দৃঢ় কন্ঠে বললাম এই ভাইরাস অন্যকোনো গ্রহ থেকে অনুপ্রবেশ করেনি এর উপাদান পৃথিবীতেই ছিলো, মানুষই বিজ্ঞান হতে বেশি জ্ঞ্যান আহরণের মাধ্যমে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এটাকে এনেছে।

ইদানিং মসজিদে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে কনফিউশন লাগে জুম্মার নামাজ নাকি ওয়াক্ত নামাজ। নামাজির সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে, স্পেন পাব্লিকলি আজানের অনুমতি দিয়েছে, কোনো কোনো রাষ্ট্র প্রধান উপর ওয়ালার কথা বলছে, খুবই ভালো কথা। কিন্তু বাস্তব কথা হলো, এখান থেকে ইতিবাচক কিছু তখনি পাওয়া যাবে যখন নামাজির পাশাপাশি মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যদি এমন হয় কেবল নামাজির সংখ্যাই বৃদ্ধি পেলো মানুষের সংখ্যা নয়। তাহলে সেই নামাজি দিয়ে সমাজের কোনো কল্যান হবে বলে আমার মনে হয় না।
কেন এই কথা বললাম? তাহলে শোনেন আমার নিজের অভিজ্ঞাতার ভান্ডার হতে দুটো শেয়ার করি।
১. একবার এক উপজেলার গিয়েছিলাম সরকারি কোনো এক প্রজেক্ট পরিদর্শনে। যাইহোক, কাজ শেষ করে বিকেলে উপজেলায় কর্মরত একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠলাম, গল্পে গল্পে মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো, আজান শুনে উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বললো, চলেন ভাই নামাজে যাই। অথচ ঐদিন সকালেও উনি কোনো এক প্রজেক্ট হতে পাঁচ লক্ষ ঘুষ খেয়েছে। তার আবার ত্রিশ লাখ টাকার একটা প্রাইভেট গাড়িও আছে, যদিও তিনি উপজেলা ঢোকার আনুমানিক ৫০০ মিটার আগে গাড়ি থেকে নেমে রিকশায় করে উপজেলায় ঢোকেন কিন্তু তবুও ব্যাপারটা ঐ উপজেলা অফিসের সবাই জানে। কিন্তু কিছু বলেনা তার প্রথম কারন হলো, ইউএনও থেকে শুরু করে পিওন পর্যন্ত সবাই খায়, যে যার লেভেল অনুযাই খায় আরকি। আর দ্বিতীয় কারন হলো গাড়িটা নাকি তার শশুর বাড়ী হতে গিফট্ দিয়েছে।
২. আমার এক মামা আছে যিনি পেশায় ব্যাবসায়ি। মাঝেমধ্যে কোনো বিশেষ কারন ছাড়া তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই জামাতে পরে। আমার বুঝ আসার পর থেকে আমি কখনো তাকে এক ওয়াক্ত নামাজও মিস করতে দেখিনি, ছোটো বেলা হতেই তাকে দাড়ি টুপি পাঞ্জাবিতেই দেখে আসছি। অথচ সেই মামাকেই দেখেছি কমদামী পন্যের সাথে বেশি দামি পণ্য মিক্সড করে বিক্রি করতে। ভেজাল পণ্য বিক্রি করতে। অবস্য তিনি ভেজাল পণ্য সরাসরি ভোক্তার নিকট বিক্রি করে না, এসব তিনি খুচরা বিক্রেতার নিকট পাইকারি বিক্রি করে। তার যুক্তি হচ্ছে "সে তো আর সরাসরি ভোক্তার কাছে বিক্রি করছে না, তার ক্রেতা হচ্ছে খুচরা ব্যাবসায়িরা যারা জেনেশুনেই ভেজাল পণ্য নিচ্ছে। সুতরাং এখানে তার কোনো পাঁপ হচ্ছে না।
দর্শক কি বুঝলেন?
যাইহোক এগুলা তো বললাম আরো আগের কিচ্ছা অর্থাৎ করোনা এ্যাটাকেরও অনেক আগের কিচ্ছা। করোনা এ্যটাকের পরে কিচ্ছা যেটা আজ সকালে শুনলাম, এই পরিস্থিতির মধ্যেও নাকি কোন আওয়ামীলীগ নেতা ত্রান সামগ্রী মেরে দিয়েছে! ইয়ে মানে বোঝেন, এই হইলো অবস্থা!
অবস্য আজ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলে চোর বাটপাররা আওয়ামীলীগে ঢুকে চুরি বাটপারি করছে। যদি X Y Z বা অন্যকোনো দল ক্ষমতায় থাকতো তবে চোর বাটপারা সেখানে ঢুকেই চুরি চামারি করতো, এটা একেবারে ইউনিভার্সাল ট্রু! বাংলাদেশের কমিউনিষ্টরা মানুষের অধিকারের কথা বললেও চীনের কমিউনিষ্টরা সম্পূর্ন তার উল্টাটা করছে। তারা সেখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠী সহ ভিন্নমতের মানুষের অধিকার হরণ করছে। কারন চিনে কমিউনিষ্টরা ক্ষমতায় আছে আর বাংলাদেশের কমিউনিষ্টরা ক্ষমতায় নাই। কথা একেবারে ক্লিয়ার, ডান বলেন আর বাম বলেন ক্ষমতা যেখানে অমানুষ গুলো সেখানে, ওকে?
শেষেমেষ এতোটুকুই বলবো, পৃথিবীতে যদি ভালো থাকতে চান তবে ভালো কাজ করেন এবং স্রষ্টার সকল সৃষ্টিকে সরল মনে ভালোবাসেন। আর পরপারে যদি ভালো থাকতে চাইলে অবনত হৃদয়ে স্রষ্টার ইবাদত করেন

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

মেটালক্সাইড বলেছেন: পরিশেষ লাইনটা ক্যূট করে রাখার মত। প্রায় সবাইকে নিয়ে আসলেন কিন্তু উস্তাদ-শয়তানকে ছেড়ে দিলেন কেন? সেইতো নাটের গুরু সবকিছুর। মানুষ দেহি হের কথা বেমালুম ভুইল্লা যাইতাছ X( X((

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




শয়তানের অটোগ্রাফ
আখতারুজ্জামান আজাদ

আমি শয়তানকে খুঁজেছি গন্দমবৃক্ষের মগডালে --
গন্দমবৃক্ষের চারদিকে দেখি সুনসান নীরবতা;
সেখানে সেই আদমও নেই, গন্দমপাপী হাওয়াও নেই;
আজও সেখানে পড়ে আছে কিছু ফল, নতুন ভোক্তার অপেক্ষায়।

আমি শয়তানকে খুঁজেছি মিনায় -- শয়তানের স্তম্ভের পাদদেশে --
স্তম্ভের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আমি নিজেই স্তম্ভিত!
তীর্থযাত্রীদের নিক্ষিপ্ত কঙ্করের এ এক সুউচ্চ স্তূপ;
তন্ন তন্ন করে খোঁজা হলো প্রতিটি কঙ্কর,
মিলল না শয়তানের একটি পদচিহ্ন কিংবা একগুচ্ছ কেশও।

অবশেষে মহাকাশের কাগজে ছেপে দিলাম একটি নিখোঁজসংবাদ;
স্বর্গমর্ত্য অন্বেষণশেষে আমি চললাম নিদ্রার মহাদেশে।
দুর্বোধ্য মুখশ্রী নিয়ে মহামতি শয়তান এলেন -- আমার শিয়রে,
রেখে গেলেন এক দুর্লভ অটোগ্রাফ --

"মানুষের কৃতিত্ব দেখে আমি অবসর নিয়েছি বহু আগেই,
প্রত্যেকটি মানুষই এখন একেকজন ভারপ্রাপ্ত শয়তান!"

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার কথাগুলোর সাথে আমি অবশ্যই একমত পোষণ করছি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে হবে। তার আগে খুঁজে বের করুন করোনা পৃথিবীতে কে পাঠালো?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




এইে লেখার মধ্যেই বলেছি, এই ভাইরাস অন্যকোনো গ্রহ থেকে অনুপ্রবেশ করেনি এর উপাদান পৃথিবীতেই ছিলো, মানুষই বিজ্ঞান হতে বেশি জ্ঞ্যান আহরণের মাধ্যমে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এটাকে এনেছে।


ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম,
এতো বছর ধরে সাপ ব্যাঙ ইঁদুর বাদুর খেয়ে আসছে তাতে কোন সমস্যা হলো না, কিন্তু হঠাৎ করে এখন কেন সমস্যা হচ্ছে! আচ্ছা ব্যাপারটা, অন্যের জন্য কুয়া খুঁড়তে গিয়ে সেই কুয়ায় নিজেই পরে যাওয়ার মতো কিছু নয় তো? যাস্ট সাইন্টিফিক্যালি থিঙ্কিং!

হটএভার, যে সমস্ত ইসলামি চিন্তাবিদরা এই ব্যাপারটাকে আল্লার গজব বলে আখ্যায়িত করেছেন, ২০১৫ সালের মক্কার ক্রেন দুর্ঘটনাকে তারা কি বলবেন?
প্লিজ মানুষকে ভালোবাসুন, বিপদে সহায়তা করতে না পারেন, বিদ্দেশ ছড়িয়েন না! বাস্তবমুখী, লজিক্যালি এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন। ধর্মান্ধ না হয়ে ধর্মকে প্রকৃত ভাবে জানার চেষ্টা করুন।
একটা ঘটনা শুনেছিলাম, একদা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মসজিদে বসা ছিলেন এমন সময় এক ইহুদির লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এটা দেখে তিনি দাড়িয়ে গেলেন। সাহাবিরা বললো, হে আল্লার রসূল (সঃ) ইনি একজন ইহুদি। হুজুর (সঃ) প্রতি উত্তরে বললেন, হোক সে ইহুদি কিন্তু মানুষ তো!

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২০

সোনালি কাবিন বলেছেন: ভাল বলেছেন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩

নতুন বলেছেন: মানুষের মাঝে ভন্ডামী খুব বেশি বেড়ে গেছে, আমি বলি ভন্ডামীই আমাদের দেশের জাতীয় অসুখ বত`মানে।

আমাদের দেশ/সমাজের মানুষের নৈতিকতা ধম` থেকে এসেছে এবং ব`তমানে ধমের প্রতি বিশ্বাস মানুষের কমে যাচ্ছে।

কেউই কিন্তু এখন মৃত্যু ভয়ে ভীত না, তাই গুনাহ, দোজখের ভয় মানুষ এখন পায় না। ধমের কাহিনি তাদের কাছে রুপকথার মতন এবং মনে বেশ কিছুটা অবিশ্বাস ধমের কাহীনার প্রতি আছে। দাবি করে ৯০% মুসলমান কিন্তু ১০% মানুষই পুরোপুরি ধমের অনুশাসন অনুসরন করেনা।

বিদেশের মানুষ গুলি নামে মাত্র ধম` মানে তারা উতসব গুলি পালনকরে। কিন্তু মানবিক বোধে জীবন পরিচালনা করে, কাজে ফাকি দেয় না, মানুষকে কস্ট দেয় না, ঘুষ, দূনিতি করেনা কারন তাদের শিক্ষা তাদের খারাপ কাজে বাধা দেয়।

আমাদের সমাজ একটা ট্রেন্সিসন পিরিওড পার হচ্ছে যেখানে ধমীয় নৈতিকরা বিশ্বাস থেকে মানুষ মানবিক বোধে বিশ্বাসী হবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমি বলি নাস্তিক মূলত তিন ধরনে
১. অনেষ্ট নাস্তিক ( যারা নিজেদের সরাসরি নাস্তিক বলে পরিচয় দেয়)
২. ডিস অনেষ্ট নাস্কিক ( এরা লম্বা দাড়ি আর জুব্বা পরে নিজেদের মোল্লা দাবি করে)
৩. ভন্ড নাস্তিক (এগুলো রাজনীতি সহ বিভিন্ন পেষায় জড়িয়ে আছে, এবং নিজেদের ধার্মিক বলেই পরিচয় দেয়)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.