নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

র‍্যাপিড টেস্ট কিট এবং ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী আর ওষুধ প্রশাসনের বক্তব্য

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

দেখলাম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টেষ্ট কিট নিয়ে ওষুধ প্রশাসন এবং ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। তো এখন কথা হচ্ছে কার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে দু পক্ষেরই চারিত্রিক দিক এবং বক্তব্যের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা দরকার।

প্রথমত, ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরীর সম্পর্কে যতদূর বলা যায় তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাছাড়া লোকে তাকে একজন সৎ এবং দেশ প্রেমিক হিসেবেই জানে।
অপরদিকে সরকারের বিভাগ এবং অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে কর্মরত অধিকাংশ কর্মচারীকেই জনগন ঘুষখোর হিসেবে জানে, আর এটা একেবারে ওপেন সিক্রেট। সুতরাং, এখন কার বক্তব্য গ্রহন করবেন সেটা আপনার পার্সনাল বিষয়।

দ্বিতীয়ত, ওষুধ প্রশাসন বলেছে র‍্যাপিড টেস্ট কিট WHO অনুমোদন দেয় না। এইটা ঠিক যে, এই ধরনের কিটের ব্যাপারে WHO এখনো কোন অনুমোদন দেয় নি। কিন্তু একটা দেশ কোন ধরনের ওষুধ ব্যাবহার করবে সেটা সে দেশ নিজেই সিধান্ত নেয়। বিশ্বের অন্যান্ন দেশও সেভাবে সিধান্ত নিয়ে এই ধরনের কিট ব্যাবহার করছে। না আমি কোন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নই, যাস্ট লজিক্যালি চিন্তা করে দেখলাম, এটি যদি ইফেক্টিভ না'ই হতো তাহলে বিশ্বের উন্নত এবং সচেতন জাতী কখনোই এই কিট ব্যাবহার করতো না।

তৃতীয়ত, ওষুধ প্রশাসন এটি অনুমোদনের জন্য যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা বলেছে, সেই প্রক্রিয়া সমূহ সম্পন্ন করতে যে কোন উপঢৌকন প্রদানের ইশারা করা হয় নি তার'ই বা কি গ্যারান্টি আছে!

চতূর্থত, সংবাদ সম্মেলনে ওষুধ প্রশাসনের ডিজি কয়েকটা ঠ্যাংস লেটার শো করেছে, যেগুলো সর্বাত্মক সহযোগীতার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ হতে ওষুধ প্রশাসনকে প্রেরন করা হয়েছিলো। এই চিঠির মাধ্যমেও এটা প্রমাণিত হয় না যে, পরবর্তীতে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকতারা কোন উপঢৌকন চায় নি।
এ কথা বলছি কারন, কিছুদিন আগে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। মূলত সেখানে গিয়ে একজন এসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তার সাথে একটা সাক্ষাৎকার দিতে হয়। তো আমার সাক্ষাৎকার যিনি নিয়েছে তিনি আমার সাথে যথেষ্ট অমাইক ব্যাবহার করেছিলো, পুলিশ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর ব্যাবহার সাধারনত এতো অমাইক হয় না। তো সাক্ষাৎকারের সময় তার সেই অমাইক ব্যাবহার দেখে আমি মনে মনে ভাবছিলাম, মানুষ বলে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে নাকি পুলিশ কে টাকা দিতে হয় কই ইনি তো আমার কাছে কোন টাকা চাইবে বলে মনে হয় না। কিন্তু না, আমার সেই ধারনা ভুল হলো সাক্ষাৎকার শেষে যখন চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালাম। শেষে সেই পুলিশ কর্মকর্তাও বলে ফেললো 'খরচের জন্য কিছু দিয়ে যান'।
-আমি বললাম কতো?
-তিনি বললো আপনের আগেরজন যা দিছে তাই দিলেই হবে।
-আমি বললাম আগেরজন কত দিছে?
-তিনি টেবিলের উপর রাখা একটা ১০০০টাকার নোট চোখের ইশারায় দেখিয়ে দিলো।
তাছাড়া ইদানিং খেয়াল করলাম কিছু সরকারি অফিস ঘুষ খেলেও তাদের ব্যাবহার অমাইক এবং ধন্যবাদ পাওযার যোগ্য।
আমি জোরদিয়ে বলছি না যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঠ্যাংস লেটারের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে, কিন্তু এমনটা যে ঘটেনি সেটাও তো জোরদিয়ে বলা যায় না।

যাইহোক, জানিনা সরকার এখন কি করবে, এই কিট নেবে নাকি নেবে না। তবে শুনলাম আমেরিকান কোন এক গবেষণা প্রতিষ্টান নাকি এই কিটের স্যাম্পল নিয়ে গেছে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই কিট নিতে আগ্রহ জানিয়েছে। ইরানে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকেও নাকি এই কিটের ব্যাপারে ফোন করা হয়েছে।
তাছাড়া ভবিষ্যতে যদি দেখি সরকার বিদেশী কোন প্রতিষ্টানের কাছথেকে এই ধরনের কিট আমদানির সিধান্ত নিয়েছে তাহলে আমি একটুও অবাক হবো না। কারন যারা হসপিটালের জন্য ৩ টাকার পর্দা ৩হাজার টাকায় কেনে তারা ২টাকার কিট ৪ টাকায় কিনে অতিরিক্ত ২টাকা নিজের পকেটে ভরলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকে না।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নিরপক্ষ মনে হল না।এবং সঠিক তথ্যবহুল না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: থাকতেই পারে আপনের নিকট আমার চেয়ে বেশি তথ্য। আবার আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যরকম মনে হওয়াটাও একেবারে স্বাভাবিক। কারন সবার দৃষ্টিভঙ্গি একনয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: খুব সহজ হিসাব, কিছু যুক্তি খাড়া করে আম-জনতাকে বোঝানো ।

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন কিন্তু সমালোচনাটা অন্ততপক্ষে যৌক্তিক ভাবে করেন!

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো মন্দের আমার দেশ

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: হ্যা, তবে মন্দটাই বেশি।
ধন্যবাদ

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ

ভালো থাকুন।

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.