নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রুটিপূর্ন মাদ্রাসা শিক্ষা এবং ওয়াজ ব্যাবসার সাংস্কৃতি

১৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১২

আমার অফিসে ইলেকট্রক্যাল সাইডে আমার সহকর্মী হিসেবে চারজন টেকনিশিয়ান রয়েছে, যাদের একজন মাদ্রাসা লাইনে পড়াশুনা করছে।
-তাকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে ইলেকট্রক্যাল লাইনে কিভাবে আসলেন?
-সে বললো, মাদ্রাসার পড়াকালীন সময়েই ইলেকট্রক্যাল কাজের উপর ৬ মাসের একটা কোর্স করেছিলাম।
অর্থাৎ, যাস্ট ৬ মাসের একটা ট্রেনিং তাকে কর্মের লাইন ঠিক করে দিয়েছে।

"জ্ঞ্যান অর্জনের জন্য লেখাপড়া" এটা ফিলোসপিক্যাল থিংকিং। রিয়েল থিংকিং হচ্ছে "অর্থ উপার্জনের জন্য পড়ালেখা"
আমারা যে যেই লাইনেই পড়ালেখা করিনা কেন মূল উদ্দ্যেশ্যেই থাকে উপার্জন, আর এটাই হচ্ছে সত্যি কথা। হ্যা, আমিও ঐ একই উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে লেখাপড়া করেছি।
সুতরাং, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কুরআন হাদিস মুখস্থ করে তার মাধ্যমে উপার্জনের চেষ্টা করবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়? যদিও কুরআন এবং হাদিস হচ্ছে জীবনের পথ প্রদর্শক। সুতরাং জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করাই কুরআন হাদিস শেখার প্রাইমারি উদ্দ্যেশ্যে হওয়া উচিত। তারপর সেকেন্ডারি উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ মানুষকে সৎ উপদেশ দেওয়া। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মাদ্রাসায় যেহেতু অন্যকোনো কাজ শিখানো হয় না তাই মাদ্রাসা গ্রাজুয়েটদের কুরআন হাদিস থেকেই উপার্জনের পথ খুঁজতে হয়। যোগ্যতা অনুযাই কেউ নামকরা বক্তা হয় কেউ পাড়ার মসজিদের খতিব হয়। সাধারন শিক্ষায় যেমন কেউ মাস্টার্স করে বিসিএস দিয়ে সরকারি কর্মচারীর সব্বর্চ পদ পর্যন্ত চলে যাচ্ছে কিংবা যোগ্যতার বলে প্রাইভেট প্রতিষ্টানের ভাইটাল কোন পোস্টে চলে যাচ্ছে আবার ঠিক একই সার্টিফিকেট দিয়ে কেউ আজীবন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্টানে অফিস সহকারী হিসেবও চাকরি করছে। এই ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই। তবে মাদ্রাসাতে যদি কুরআন হাদিসের পাশাপাশি টেকনিক্যাল ডিপাটমেন্ট চালু করা হয়, যদি রিসার্চ ল্যাব খোলা হয়, তাহলে মাওলানা মুফতিরা "1+Q.7=13" সমিকরন প্রচার না করে নিজেরাই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারতো। প্রতিদিন ইহুদি ধংশের যে দোয়া করা হয় তা অনেক আগেই কবুল হতো। স্বপ্নের কথা বলে অর্থ উপার্জন করতে হতো না। বাপ দাদার কিচ্ছা শুনিয়ে কিংবা মাহফিল ভর্তি মানুষের সামনে কুরআনের একটা আয়াত কিংবা একটা হাদিস পড়ে এরপর আধাঘন্টা গপ্প কইরে অর্থ উপার্জন করতে হতো না।
মাদ্রাসা গ্রাজুয়েটরা জ্ঞ্যান বিজ্ঞ্যানে এগিয়ে যেত। ধর্মপ্রাণ এবং ধর্ম সচেতন মানুষের সমর্থন পেত (কারন ধর্ম এবং বিজ্ঞান দুটোর সমন্বয় হলে ধর্মব্যবসা প্রয়োজন হয় না), ফলে তারাই ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতো এবং দেশে প্রকৃত ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থা চালু হতো।
যাইহোক, এই তো গেল মাদ্রাসা শিক্ষার ত্রুটি। দেশের সাধারন শিক্ষা ব্যাবস্থাও অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেসব নিয়ে আগামীদিন বলবো ইনশাআল্লাহ্।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মাদ্রাসা নামে আলাদা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকাই উচিত নয়।
একই রকম হবে সব স্কুল । প্রয়োজনে আলাদা ধর্মীয় শাখা থাকতে পারে।

২| ১৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: প্রথমে মাদরাসার মোল্লারাই আপনার কথার বাগড়া দিবে!! আপনি যাবেন কই??? ;)

আফছোস! আপনার আইডিয়া ভালো ছিল কিন্তু বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারব বলে মনে হয় না। X(( X(

আর জেনারেল লাইনে শিক্ষিত হয়ে কী হবে? -- বিসিএস শেষ করা বাবুরা করোনা ভাইরাসকে আল্লাহর গজব বলে।

৩| ১৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া দরকার।
চাঁদগাজী যে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষা জাতিকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে উনি ঠিকই বলেন।

৪| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখনতো ধর্ষণও করে তারা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.