নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধ্বংসের স্বরলিপি

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০

বন্ধুগণ,
আমি একজন মানুষের অপেক্ষায় আছি -
যে এ রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংসের ইশতেহার দেবে।
যে বলবে: এখন সময় রাষ্ট্র ধ্বংসের, গড়বার নয়!
যে বলবে: অর্থের কাছে বিক্রিত রাষ্ট্র আবর্জনার স্তুপ।
যে বলবে: আবর্জনার পর্বতে কোনো মজবুত কাঠামো নয়।

যে ধ্বংস করবে শিক্ষা ব্যবস্থা! কারণ;
এ শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো মানুষ তৈরি হয় না,
এ শিক্ষা ব্যবস্থায় তৈরি করে তোষামোদি ভাঁড়।
এ শিক্ষা ব্যবস্থায় জন্মে না কোনো প্রেমিক।
এ শিক্ষা স্বাধীন মানুষকে বানায় কৃতদাস।
এ শিক্ষা ব্যবস্থা কেড়ে নেয় শিশুর শৈশব।
যে এই মেরুদণ্ডহীন শিক্ষার শিকড় উপড়ে
এখানে শিশুর শৈশব চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে চিকিৎসা ব্যবস্থা! কারণ;
এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় নেই মানবসেবা,
এ চিকিৎসা ব্যবস্থা বাণিজ্যিক।
এ চিকিৎসা ব্যবস্থা বণিকের।
এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় জীবন-মৃত্যু-লাশ, সবই পণ্য।
এ চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের জন্য নয়।
এখানে কারো চিকিৎসা হয় হাসপাতালের মেঝে, কারো এলিজাবেথের বেডে।
যে এই বাণিজ্যিক চিকিৎসার শিকড় উপড়ে
এখানে মানবসেবা চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে রাজনীতি! কারণ;
এ রাজনীতি মানুষের নীতি নয়,
এ রাজনীতি ক্ষমতা লোভী নষ্ট রাজার নীতি।
এ রাজনীতি রাজপথে ভন্ড শ্লোগানের নীতি।
এ রাজনীতিতে নেই রাজনীতিবিদ, নেই কর্মী।
কিছু ক্ষমতা লোভী রাক্ষস কামানের নলের মতো
জিভ তাক করে থাকে রাষ্ট্রের দিকে।
যে এই ক্ষমতার রাজনীতির শেকড় উপড়ে
এখানে আদর্শের চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে খাকি পেশাকের হিংস্রতা! কারণ;
এ পোশাকে ভালোবাসা থাকে না,
এ পোশাকে থাকে হায়নার প্রতিবিম্ব।
এ পোশাকে লেপ্টে আছে আসাদের রক্ত।
এ পোশাক অস্র হাতে রক্তাক্ত করেছে একুশের সূর্য্য।
এ পোশাক মানুষের ক্ষুধার নিরাপত্তা দেয় না,
এ পোশাক পুঁজিবাদের নিরাপত্তা দেয়।
এ পোশাক অস্র হাতে পুঁজিবাদকে টার্গেট করে না।
এ পোশাক অস্রের নলে টার্গেট করে মানুষের মাথার খুলি।
এ পোশাক অস্রের নলে টার্গেট করে শ্রমিকে বুকের পাঁজর।
যে এই পোশাকের হিংস্রতার শেকড় উপড়ে
এখানে মমতার চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে বিচার ব্যবস্থা! কারণ;
এ বিচার ব্যবস্থায় বিচার হয় না,
এ বিচার ব্যবস্থায় হয় প্রতিশোধ।
এ বিচার ব্যবস্থায় জননী পায় না সন্তান হত্যার বিচার।
এ বিচার ব্যবস্থায় ভাই পায় না বোন ধর্ষণের বিচার।
এ বিচার ব্যবস্থায় বিচারের জন্য স্লোগান হয় রাজপথে।
এ বিচার ব্যবস্থায় ন্যায়ের বাণী কাঁদে।
যে এই বিচারালয়ের ভিত উপড়ে
এখানে সত্যের চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

যে ধ্বংস করবে সামাজ ব্যাবস্থা! কারণ;
এ সমাজে কোনো ভালোবাসা নেই,
এ সমাজে প্রতিষ্টিত স্বার্থ আর ঘৃণা।
এ সমাজ মিথ্যাবাদী-লোভী- প্রতারকের।
এ সমাজে অর্থকে বলে ইশ্বর।
এ সমাজ অর্থের গোলাম, অর্থের সেজদাকারী।
যে এই সমাজের ভিত উপড়ে
এখানে ভালোবাসার চাষ করবে; আমি তার কথা বলছি।

আমি আবারো বলছি -
যে এই ব্যার্থ রাষ্ট্র কাঠামো নিশ্চিহ্ন করে দেবে; আমি তার অপেক্ষায় আছি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বালাময়ী কবিতা।

০৮ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: আমরা জ্বলছি, কিন্তু জ্বলে উঠতে পারছি না।

২| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হলে আগে ধংস করতে হবে।অপেক্ষায় থাকলে হবে না শুরু করতে হবে।ধংসের পরই শুরু হবে নতুন সমাজ সৃষ্টি।

০৮ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশ কি ধংসের জন্য প্রস্তুথ?

৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:২৪

অজানা তীর্থ বলেছেন: ধ্বংসাত্মক কবিতা, আমিও চাই হোক কিছু ধ্বংস।

০৮ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: হ্যা কিছু করতে হলে আগে ধংস করতে হবে। এ রাষ্ট্রের সকল কাঠামোই দূর্বল ভিতের উপর গড়ে উঠেছে। এসব ধংস না করে এখানে কোনো মজবুত কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা

৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের রাস্তা কারপেটিং করলে ২ সপ্তাহ পরে ধ্বংস হয়ে যায় কেন; কারণ, ইন্জিনিয়ারেরা কবিতা লেখেন?

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ''ধ্বংসের'' হবে।
এডিট করে শিরোনামটা ঠীক করে নিন ভাই।

০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাই।

৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা । এই হলো দেশ

০৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভ কামনা

৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতায় ব্যক্ত ক্ষোভ ও উষ্মার কারণ সহজে অনুধাবনযোগ্য। কিন্তু ধ্বংস করার আগে তো পর্বরতী গড়ার কথাও ভাবতে হবে। কে করবে সে কাজগুলো? তেমন কারিগর কোথায় পাবো?
আমরা জ্বলছি, কিন্তু জ্বলে উঠতে পারছি না - কেবল একটা স্ফূলিঙ্গেরই তো প্রয়োজন?

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৫৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




সময়ের প্রয়োজনে গড়ার লোক ও জন্মাবে। আর শক্ত কাঠামো গড়তে হলে আজ হোক বা কাল হোক, অবশ্যই এই দুর্বল ভিত ভাঙতেই হবে। কিন্তু যতদিন না এই দুর্বল ভিত ভাঙ্গা হবে ততদিন এখানে কোনো শক্ত কাঠামো গড়ে তোলা যাবে না। কারণ দুর্বল ভিতের উপর কখনো শক্ত কিছু গড়ে তোলা যায় না।

ইয়েস, আমি সেই স্ফূলিঙ্গের কথাই বলছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.