নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদগাজীর মন্তব্যের উত্তর

০৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১


কিছু কিছু কমেন্টর উত্তর কমেন্টে দেয়ার চেয়ে পোস্টে দেওয়াটা উত্তম মনে হয়। চাঁদগাজী আঙ্কেলের তেমনই একটি কমেন্টের উত্তর চিন্তা করলাম কমেন্টে না দিয়ে পোস্টে দেই, আর এজন্যই এই পোস্ট।
প্রথমেই বলে রাখি, কেউ একজন তার লেখায় বলেছিলো- তিনি (চাঁদগাজী) নাকি মুক্তিযোদ্ধা। সে হিসেবে ত্রিশের কোটা পার না করা আমার বয়স তার অর্ধেকও হবে না। তাই সিনিয়র হিসেবে সম্মান জানাতেই তাকে আঙ্কেল সম্মোধন করলাম।
আমার লেখা ধ্বংসের স্বরলিপি কবিতায় তার মন্তব্যের সূত্র ধরেই বলছি।

প্রথমতোঃ ইঞ্জিনিয়ারেরা রাস্তা বানালে দুই দিনেই তা ধংস হয়ে যায় কথাটা ঠিক আছে, কিন্তু তার জন্য আল্টিমেটলি "ইঞ্জিনিয়ার" নামক কোন বিশেষ চরিত্র দায়ি না, এজন্যও রাষ্ট্র কাঠামো দায়ি। কারণ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কেউ জন্মায় না, বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কেউ বড় হয় না। একজন ব্যাক্তির জন্ম হয় মানুষ হিসেবে, বড়ও হয় মানুষ হিসেবে। অবুঝ হতে বুঝ হওয়া পর্যন্ত-বুঝ হওয়া থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত সময়টাতে এই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রযন্ত্র ধীরেধীরে তাকে অমানুষ বানায়। বিদ্যাপীঠ হতে একজন মানুষ/অমানুষ যাস্ট রাস্তা বানানোর কৌশলটা শিখে মাত্র, যাকে সমাজ প্রকৌশলী বলে। বিদ্যাপীঠ হতে মানুষ দেহ মেরামত শেখে মাত্র, যাকে সমাজ ডাক্তার বলে। বিদ্যাপীঠে কয়েকটা নিদ্রিষ্ট বই মুখস্থ করে এসে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার শপথ নেয়, যাকে সমাজ পুলিশ বলে। আর ঠিক এভাবেই একজন ব্যাক্তি বিদ্যাপিঠে কিছু একটা শিখে বা কিছু নিদ্রিষ্ট বই পড়ে সাংবাদিক, আইনজীবি, অধ্যাপক, আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যাবসাহি,.... ইত্যাদি নানান পরিচয়ে বিভিন্ন পেশায় ছড়িয়ে যায়।
সুতরাং, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র একজন মানব শিশুকে অমানুষ হিসেবে প্রস্তুত করার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেই কাজই শেখানো হোক, রাস্তা বানানো, মানব দেহ মেরামত, সংবাদ লেখার কৌশল, কিংবা আদালতে বিতর্কের কৌশল, সে- সেই কাজেই তার ঐ ফান্ডামেন্টাল চরিত্র, আইমিন অমানুষিক চরিত্রটাই এপ্লাই করবে।

দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেক পেশাজীবীই সাধারণত নিজ পেশার লোকেদের হাজারো চুরি-চামারি বা অপরাধ হাইড করলেও কেউ যদি একটু ভালো কোনো কাজ করে তবে সেটা এমনভাবে প্রচার করে, যেনো তিনি সহ তার ঐ পেশায় কর্মরত প্রত্যেকেই একেকজন ফেরেস্তা। কিন্তু আমি সাধারনত কোনো পেশার সমালোচনা করি না; কারণ, দোষ পেশার নয়, দোষ মানুষের চরিত্রের। তবুও যদি কোনো নেতিবাচক কাজের উদাহরণ দিতে কোনো পেশা/পেশাজীবীকে টেনে আনার প্রয়োজন বোধ করি, তাহলে ইঞ্জিনিয়ার বা ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাকেই আগে টানি। এমনকি উদাহরণও আছে যেখানে আমি নিজেই নিজের সমালোচনা করেছি। সিস্টেম পছন্দ হয়নি বলে সরকারী প্রতিষ্টানের চাকরি ত্যাগ করেছি।
এখন চাঁদ গাজী আঙ্কেল হয়তো বলবেন আমি নিজের মার্কেটিং করছি। কিন্তু না, তিনি যেহেতু আমার কবিতার বিপরীতে বলেছেন " বাংলাদেশের রাস্তা কারপেটিং করলে ২ সপ্তাহ পরে ধ্বংস হয়ে যায় কেন; কারণ, ইন্জিনিয়ারেরা কবিতা লেখেন"। তারমানে উনি এখানে লেখা নয় লেখকের সমালোচনা করেছেন। তবে সমালোচনা যারই করুর আর যাই করুক উনার মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ। তাছাড়া আমি কখনোই সমালোচনার উর্দ্ধের কেউ নই, যে আমার সমালোচনা করা যাবে না। বরং সমালোচকদেরও আমি এ্যাপ্রিশিয়েট করি। তবে যদি কারো সমালোচনার জবাবে দিতে গিয়ে কোন তথ্য দিতে হয় সেটাকে নিশ্চই মার্কেটিং বলবেন না, রাইট?
বাইদ্যাওয়ে, ইঞ্জিনিয়ার হলে কি কবিতা লেখা যাবে না? নাকি কবিতা লেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কোন ডিপাটমেন্ট হতে চার বছর মেয়াদী কোর্স করতে হবে? নাকি কোন বিশেষ বিষয়ে ডক্টরেট নিতে হবে?

যাইহোক, শেষমেশ বলবো - কেউই মায়ের পেট হতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যাবসাহি, রাজনীতিবিদ, পুলিশ, কিংবা আমলা হয়ে জন্মায় না। তাই পেশার সমালোচনা না করে যে অন্যায় করে তার সমালোচনা করা উচিত। সৎ মানুষ যদি বানানো যায় তবে ইঞ্জিনিয়ারও সৎ হবে, তখন আর রাস্তার কার্পেট দুই সপ্তার মধ্যে ধ্বংস হবে না। সৎ মানুষ যদি বানানো যায় তবে ডাক্তারও সৎ হবে, সে আর কমিশন খেয়ে টেষ্ট করতে দেবে না, বা কমিশন খেয়ে ওষুধ লেখবে না। সৎ মানুষ যদি বানানো যায় তবে সাংবাদিকও সৎ হবে, সে আর হলুদ নিউজ প্রচার করবে না। সৎ মানুষ যদি বানানো যায় তবে শিক্ষকও সৎ হবে, সে আর চাটুকারিতা করবে না।


মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আলোর_পথিক বলেছেন: দিন শেষে সমালোচনাযোগ্য মন্তব্যের দু’টি শ্রেণী দেখি, এক অনেক সময় লেখা দেখে লেখার নয় লেখককে আক্রমণ করা হয় যেটি আপনি উল্লেখ করেছেন, যেটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলতে পারি। দ্বিতীয়তটি এর উল্টো, লেখার সমালোচনাও অনেক সময় ব্যক্তিগত ভাবে নেওয়া হয়। শেষে আপনার মত করেই বলব, মন্তব্য করা ও তা গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও সততার পরিচয়া রাখা উচিৎ!

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: অবশ্যই আমাদের মানুষিকতায় পরিবর্তন আনা দরকার।

২| ০৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাহিত্যিকরা কবিতা লেখেন, সাহিত্যিকরা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেই সাহিত্যিক হয়ে থাকেন। ইন্জিনিয়ারেরা ইন্জিনিয়ারিং পড়ে, ইন্জিনিয়ারিং জ্ঞান অজর্ন করেন। বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ পেশায় দক্ষ না হয় হওয়ায়, উনারা সবকিছুতেই দক্ষ হয়ে যান, যখন যা করার সুযোগ পান সেটাই করেন, কোন কাজই সুচারুরূপে সমাধা হয় না।

ইন্জিনিয়ারেরা কবিতা লেখাটা ব্যতিক্রম মাত্র।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




সাহিত্যিকরা কবিতা লেখেন,তবে এজন্য তো নিদ্রিষ্ট কোনো কোর্স করতে হয় না। যে কেউ চাইলে তার কথাগুলো কবিতার মতো করে বলতে পারে, তবে পাঠক পড়বে আর তা কতটুকু শুদ্ধ হলো সেটাও পাঠক বিবেচনা করবে। আর দুই সপ্তার মধ্যে রান্তার কার্পেট উঠে যাওয়ার জন্য প্রকৌশলীর অদক্ষতা দায়ি নয়, এজন্য প্রকৌশলীর চরিত্র দায়ি। পদ্মা সেতুর নকশা অন্যদেশ হতে করে আনতে হয়, এটার জন্য প্রকৌশলীর অদক্ষতা দায়ি। আর প্রকৌশলীর অদক্ষতার জন্য তার এক্সটা কারিকুলাম এক্টিভিটি দায়ি নয়, এজন্য রাষ্ট্র দায়ি এবং রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ি।

৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শ্রদ্ধাভাজন চাঁদগাজী মহোদয় তো মিথ্যা বলেননি। কথাটা তো সত্য।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:





আপনি বললেন শ্রদ্ধাভাজন চাঁদগাজী মহোদয় মিথ্যা বলেননি । কিন্তু উনি তো পেশাকে দায়ি করেছন। অথচ এর জন্য কোনো পেশা দায়ি নয়, এর জন্য সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা দায়ি। আর আমার কথায় আমি মূলত এই ব্যাপারটাই বলতে চেয়েছি এবং আমার কবিতায়ও আমি রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই বলেছি।
এখন উনার দাবি হচ্ছে প্রকৌশলী কেনো কবিতা লেখবে, প্রকৌশলী কেনো প্রতিবাদ করবে। তাহলে আমি বলবো ৭১ এ প্রকৌশলী, ডাক্তার এরা কেনো যুদ্ধে গেলো? যুদ্ধ তো তাদের কাজ না, রাইট?
আপনি বলবেন তখনের কথা আলাদা । আমি বলবো - না, এটাও একই কথা। যুদ্ধের মুল উদ্দেশ্য কিন্তু ছিলো অর্থনৈতিক, সামাজিক, এবং রাজনৈতিক মুক্তি। এখনো কিন্তু আমরা ঐ বিষয়ে পরাধীন। পার্থক্য হচ্ছে তখন শত্রু ছিল অন্য একটা জাতি, আর এখন শত্রু নিজেদের মধ্যে। সুতারং, এখন প্রত্যেকের জায়গা থেকেই প্রতিবাদ প্রয়োজন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দ্যাখার সময় নাই ।

৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আলোর_পথিক বলেছেন: হুমম, ইঞ্জিনিয়ারগণ কবি হলে ঘর ভাঙলেও ঘর ভেঙ্গে পড়বে না কিন্তু কবিগণ ইঞ্জিনিয়ার হলে ঘরও ভাঙবে এবং ঘরও ভেঙ্গে পড়বে!

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




যেখানে রাষ্ট্র ব্যবস্থাই উল্টাপাল্টা, যেখানে চারুকলায় পড়ে বিদ্যুৎ সচিব হর, শেখানে আগে ঐ দিকটা নজর দেন।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব খুব অপ্রিয় হলেও একটা সত্য কথা বলেছেন , আমাদের যেসব পেশাজীবী গড়ে উঠেছেন , তারা তাদের বিষয়ভিত্তিক নলেজ কতটুকু নিয়ে এসেছেন ??? আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা কি তাদের নিজ নিজ বিষয়ের গভীর পর্যন্ত যেতে পেরেছেন ?? ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা অন্য সকল অ্যাপ্লায়েড ফিল্ড এর শিক্ষার্থীরা ছাত্রজবনে কয়জন বিভিন্ন প্রজেক্ট এর সাথেই যুক্ত ছিলেন ??? বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় যেসব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কিংবা স্থপতিবৃন্দ চাকরি করেন তাদের কয়জন তাদের ফিল্ডের আপটুডেট খবর রাখেন , কিংবা চাকরিজীবনে গিয়েও তাদের বিষয়ে পড়াশুনা অব্যাহত রাখেন যা কিনা তাদের সবসময় লেটেস্ট ইনোভেশন সম্পর্কে অবহিত রাখতে পারে ???

আর একারণে আমাদের দেশে তৈরী হয় একধরণের সীমাবদ্ধ নলেজ সম্বলিত পেশাজীবী , আর এর সঙ্গে যখন দুর্নীতি আর
অসততা যুক্ত হয় , তখন এসব ব্যাক্তিরা সমস্ত সমাজের জন্য একধরণের একধরণের দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আপনার প্রশ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা অন্য সকল অ্যাপ্লায়েড ফিল্ড এর শিক্ষার্থীরা ছাত্রজবনে কয়জন বিভিন্ন প্রজেক্ট এর সাথেই যুক্ত ছিলেন ?
আমার প্রশ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা অন্য সকল অ্যাপ্লায়েড ফিল্ড এর শিক্ষার্থীদের প্রজেক্ট এর জন্য বিদ্যাপীঠ গুলো কি প্রোপার ব্যাবস্থা করতে পেরেছে?
- পারেনি। পারেনি বললে ভুল হবে, বলতে হবে - করেনি। এ দোষ রাজনীতিবিদদের, এ দোষ রাষ্ট্রের! কারণ নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাজনীতিবিদরা শিক্ষাঙ্গনকেও ব্যাবহার করছে। জানেন তো, বিশ্ব র‍্যাংকিংএ এক হাজার ইউনিভার্সিটির মধ্যেও বাংলাদেশের কোনো ইউনিভার্সিটির নাম নাই!

৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ হলো চোরের দেশ। প্রতি সেক্টরে চোর। ওদের নিজেদের পেট ভরে না।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ভাই এটা আমাদের জাতিগত ট্রেডমার্ক , আর সে হিসেবে আমি নিজেও চোর বা দুর্নীতিবাজ।

৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই ব্লগে জনাব চাঁদ্গাজী অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি কারন এটা বাংলাদেশী ব্লগ। বাংলাদেশীরা অন্যের কুৎসা গাইতে ও শুনতে অত্যন্ত পছন্দ করে। বাঙ্গালীদের সবচেয়ে অপছন্দের কাজ হচ্ছে অন্যের প্রসংসা করা ও সেটা স্বীকার করা।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আমি নিজের এবং নিজ জাতির কুৎসা গাইতেই বেশি পছন্দ করি, এই পোস্টেও তার উল্লেখ পেয়েছেন। আসলে জাতিগত ভাবেই তো আমরা কুৎসা।
সুতরাং সত্যিটা বললে তো সেটা কুৎসাই শুনাবে, তাইনা?
আসলে সবচেয়ে বেশি হাস্যকর লাগে যখন শুনি "বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছি"। তখন একটা জিনিসি চিন্তা করি, যে জাতির মাথাই নাই তারা কিভাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়ায়। তাছাড়া বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালীর মাথা কতটা উচু সেটা কোনো উন্নত একটা দেশে ভিসার আবেদন করলেই বোঝাযায়। ভাই এগুলা একেবারে বাস্তব কথা, এগুলা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আর বর্তমানে আমাদের যেটা বেশী দরকার সেটা হচ্ছে আত্ম-সমালোচনা। তাহলেই আমাদের মিথ্যা বড়াই কমবে।

৮| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৮

সুপারডুপার বলেছেন: বাংলাদেশে অবস্থানরত সরকারি চাকুরীজীবি ব্লগারদের অনেকেই বাসায় ব্লগ লেখার সময় পান না, কিন্তু অফিসে ব্লগ লেখার সময় পান। চাঁদগাজী সাহেব অতি সংক্ষেপে জটিল কথা বলেছেন।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:





হ্যাঁ! হয়তো বাংলাদেশে অবস্থানরত সরকারি চাকুরীজীবি ব্লগারদের অনেকেই বাসায় ব্লগ লেখার সময় পান না, কিন্তু অফিসে ব্লগ লেখার সময় পান
কিন্তু তার জন্য কোনো পেশা দায়ি?
- না, তার জন্য কোনো পেশা দায়ি না। এ জন্য দায়ি আমাদের নৈতিক শিক্ষার অভাব। আর নৈতিক শিক্ষার অভাবের জন্য দায়ি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র। আমি মূলত এই তিনটা ব্যাপারেই বলেছি। আর উনি দায়ি করেছে পেশাকে। মূলত এখানেই উনার আর আমার মতের পার্থক্য।

৯| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ঢাবিয়ান এর মন্তব্যের পর আর কিছু বলার থাকে না...

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: হ্যাঁ, ঢাবিয়ান মন্দ বলেনি।

১০| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

কাছের-মানুষ বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্য বেশী জেনারেলাইজড হয়ে গেছে!

বাংলাদেশে অনেক রাস্তাঘাট আছে যেগুলো ভেঙে যায় বানানোর পনের দিনের মাথায়ই! সেই রাস্তাঘাট যেই ইঞ্জিনিয়াররা বানায় তারা দেখা যায় জীবন কোন কবিতা লেখাতো দূরে থাক সাহিত্যের ধারেকাছেও যায়নি! তাহলে তাদের বানানো সেই রাস্তা ভাংছে কেন!!!

রাস্তা ভেঙে যাবার কারন দূর্নিতি, অসততা, কোন রকম প্রকল্প শেষ করে টাকা হাতিয়ে নেয়া, রাস্তা বানানোয় কোন মাল মেডীসিন না দিয়ে টাকা পকেটে ভরা!

চাঁদগাজী সাহেবের আরেকটি জেনারেলাইজড কমেন্ট লিখেছেন, সাহিত্যিকরা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেই সাহিত্যিক হয়ে থাকেন।এটা ভুল কথা যে কেউ সাহিত্যিক হতে পারেন।

পৃথিবীতে অনেক লেখক আছে যারা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, সমাজের বিভিন্ন পেশায় জরিত, বিজ্ঞানী। আইজেক অসিমোভ বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশান লেখক তিনি একজন অধ্যাপক ছিলেন, আরেকজন বিদেশী সাইফাই লেখক আছেন যার নাম মনে পড়ছে না তিনি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তাছাড়া জগদীশ চন্দ্র বসুকে বাংলা সাইন্স ফিকশনের জনক বলা হয়! আমাদের দেশের হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল আরো লেখক আছেন যারা সাহিত্য নিয়ে পড়েননি!! পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের লেখকই সাহিত্য নিয়ে না পড়েই সাহিত্যিক হয়েছেন! এটা প্রমানীত! সাহিত্য নিয়ে পড়ে সাহিত্য গবেষক, সাংবাদিক হওয়া হয়ত সহজ, তবে লেখক ভিন্ন বিষয়!!

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




একজ্যাক্টলি আমিও উনাকে এই কথাটাই বলতে চেয়েছি। লাস্টেরটা আপনি একেবারে উদাহরণ সহ বলে দিলেন।

১১| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ইঞ্জিনিয়াররা মাল্টিট্যালেন্টেড হয়,এটা তাদের বাড়তি যোগ্যতা।দেশের প্রকৌশলীরা যথেষ্ট দক্ষ কিন্তু তাদের সঠিক ভাবে ব্যাবহারের ইচ্ছা সরকারের নেই।দেশে সেই পরিবেশ নেই।এজন্য রাস্তা বানালে সেটা টিকে না।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




মন্দ বলেন নি, তবে আমি আপনের সাথে আরো এ্যাড করতে চাই। আসলে নিজেকে সঠিক ভাবে ব্যাবহারের ইচ্ছা অনেক প্রকৌশলীরও নেই। হ্যাঁ, স্বজাতির কথাই বললাম; কারণ এটাই সত্যি! তবে এর জন্যও সমাজ এবং রাষ্ট্র দায়ি! কারণ সমাজ এবং রাষ্ট্র, কেউই প্রকৌশলীর মনে সেই ইচ্ছেটা জাগাতে পারেনি, জাগায়নি। শুধু প্রকৌশলীই না, সকল পেশাজীবির ক্ষেত্রেই একই কথা প্রজয্য।

১২| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন কোন টেন্ডার হলে কে পায় কাজ। সরকার দলীয় লোক। তারা তাদের মত কাজ করে কারণ জবাবদিহি নাই। রাস্তা পিছ দিয়ে কালো করে লাল করে তাদের পকেট। বেশী কথা বললে ইঞ্জিনিয়ারের লাশ পড়বে।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




হু, নিন্ম মানের কাজ হওয়ায় বিল আটকে দেওয়ার কারনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন ইঞ্জিনিয়ারকে খুন করা হয়েছে তারই কলিগ অন্য একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্যে। ভালো করে খেয়াল করুন, একজন ইঞ্জিনিয়ার সততার কারনে জীবন দিলো, এখন কি আপনে বলবেন - ইঞ্জিনিয়ারেরা সততার জন্য জীবন দেয়?
আবার একজন ইঞ্জিনিয়ার তার কলিগ অপর ইঞ্জিনিয়ারকে খুনে সহায়তা করলো, এখন কি আপনে বলবেন - ইঞ্জিনিয়ারেরা খুনে সহায়তা করে?
- না, কারণ এভারেজ হিসাব করলে দেখবেন অনেক ইঞ্জিনিয়ারই ঘুষ খায়, আর এটাই হচ্ছে সত্যি কথা। হতে পারি আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু যা সত্যি তা বলতে কোনো লজ্জা নাই। আর শুধু ইঞ্জিনিয়ারই নয় সকল পেশাজীবির ক্ষেত্রেই একই কথা প্রজয্য। তবে এর জন্যও সমাজ এবং রাষ্ট্র দায়ি। আর এই যে সরকার দলীয় লোক, টেন্ডারবাজী, এগুলোর জন্যও সমাজ এবং রাষ্ট্র দায়ি।

১৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩২

সুপারডুপার বলেছেন:



চাঁদগাজী বলেছেন: বাংলাদেশের রাস্তা কারপেটিং করলে ২ সপ্তাহ পরে ধ্বংস হয়ে যায় কেন; কারণ, ইন্জিনিয়ারেরা কবিতা লেখেন?(১)
চাঁদগাজী বলেছেন: ইন্জিনিয়ারেরা কবিতা লেখাটা ব্যতিক্রম মাত্র। (২)

- হবি হিসেবে কবিতা লেখা, গান করা , খেলাধুলা করা ইত্যাদি অবশ্যই থাকা উচিত। উন্নত দেশেও হবিকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ ফাঁকি নিয়ে নয়। মানুষ পেশায় দক্ষ হয় পেশায় মনোযোগ দিয়ে কাজ করে। কাজ ফাঁকি দিলে দক্ষ হওয়ার কোনো সম্ভবনা নাই।

চাঁদগাজী সাহেব যদি উনার মন্তব্য (২) দ্বারা বুঝিয়ে থাকেন , ইঞ্জিনিয়ার দের হবি হিসেবে কবিতা লেখা যাবে না , তাহলে এটা উনার ভুল চিন্তাভাবনা। কিন্তু যদি মন্তব্য (১) দিয়ে বুঝিয়ে থাকেন কাজ ফাঁকি দিয়ে কবিতা লেখা যাবে না, তাহলে সঠিক ধারণা।


লেখক বলেছেন: না, তার জন্য কোনো পেশা দায়ি না। এ জন্য দায়ি আমাদের নৈতিক শিক্ষার অভাব। আর নৈতিক শিক্ষার অভাবের জন্য দায়ি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র। আমি মূলত এই তিনটা ব্যাপারেই বলেছি। আর উনি দায়ি করেছে পেশাকে। মূলত এখানেই উনার আর আমার মতের পার্থক্য।

- নৈতিক শিক্ষা একটা কারণ। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে বড় কারণ 'কাজের পরিবেশ' কেমন ! কাজের পরিবেশে টিম লিডার ফাঁকিবাজ হলে তার টিমের লোকজনেরাও ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পায়। উন্নত বিশ্বে ভিন্ন দেশ থেকে ভিন্ন নৈতিক শিক্ষা নিয়ে মানুষ গুলো কাজ করলেও, কাজে ফাঁকি দেওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে। একই লোক বাংলাদেশে অসৎ কাজ করে , কিন্তু উন্নত বিশ্বে আসার পর সৎ থাকতে বাধ্য হয়। অনেকে এটাকে বলে সুযোগের অভাবে সৎ।

তাহলে বাংলাদেশে অসৎ হওয়ার সুযোগ তৈরী করলো ক্যাডা? ইঞ্জিনিয়াররা ??

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আপনি বলেছেন, তাহলে বাংলাদেশে অসৎ হওয়ার সুযোগ তৈরী করলো ক্যাডা?
উত্তরঃ অসৎ হওয়ার সুযোগ তৈরী করেছে সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা। বলেন ঠিক না বেঠিক?

১৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের ইন্জিনিয়ারেরা নিজের বিষয়ে কম জানেন বলেই ইন্জিনিয়ারিং'এর উপর কিছু লেখেন না সামুতে; সাহিত্যিক হিসেবেও তারা ভালো হওয়া ব্যতিক্রম মাত্র; ফলে, উনাদের কবিতা, গল্প, উপন্যাস ইতয়াদি একুশের বইমেলায় ৯০%'এর মাঝে পড়ে।

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আসুন জেনে নেই ইলেকট্রক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় করোনা কি?
যখন দুটি কন্ডাক্টরের স্পেসিং ব্যাসের তুলনায় বেশি রেখে তাদের আড়াআড়ি AC Voltage প্রয়োগ করে তা ধীরেধীরে বৃদ্ধি করা হয়, তখন এমন একটি বিশেষ পর্যায় আশে যে পর্যায়ে কন্ডাকটরের চার পাশের বাতাস
ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক stress হয়ে আয়নাইজ্ড হয় এবং বাতাসের ইলুলেশন স্ট্রেংথ(ইলেকট্রন প্রবাহ বাধা দেয়ার ক্ষমতা) ভেঙ্গে পড়ে।
এই অবস্থায় কন্ডাকটর এর চারপাশে হিস হিস শব্দ সহকারে কিছুটা হালকা অনুজ্জল বেগুনি রশ্মি দেখা যায়। ইলেকট্রক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএর ভাষায় উহাকেই করোনা বলা হয়।

করোনার ফলে যা যা হয়ঃ হিস হিস শব্দ সৃষ্টি করে, কন্ডাক্টরের চার পাশে বেগুনি আভা দেখা যায়, ওজন গ্যাসের সৃষ্টি, হারমনিক্স কারেন্টের সৃষ্টি হয়, পাওয়ার লস হয়।

আচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখলাম, এখন বলেন এটা থেকে পাবলিকের এমন কি হল?

আপনি বললেন আমাদের ইন্জিনিয়ারেরা নিজের বিষয়ে কম জানেন।
হ্যা মানছি, উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনা করলে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কম জানে। তবে এর কারণ আমাদের বেশী জানার সুযোগ রাষ্ট্র দেয় নি। বর্তমানে যেখানে অটোমোশনের যুগ সেখানে আমাদের সিলেবাসে যুক্ত ম্যানুয়াল বিষয় গুলো, সময়ের সাথে আমাদের সিলেবাসই আপডেট হয় না, কারণ যাদের দায়িত্ব সিলেবাস আপডেট করার তারা নিজ স্বার্থের লোভে দলবাজি আর চামচামিতে ব্যস্ত। আবার স্বার্থে এবং লোভে দুটোই কিন্তু আমরা পরিবার, সমাজ, এবং রাষ্ট্র হতেই পাই। শুধু ইঞ্জিনিয়াররাই নয়, ডাক্তার বলেন গবেষক বলেন সবারই একই অবস্থা!

আর সামুতে কোনো ভালো সাহিত্যিক ইঞ্জিনিয়ার আছে কিনা আমার জানা নাই, তবে আমি নিজেকে ভালো সাহিত্যিক তো দুরে থাক কোনো সাহিত্যিকই মনে করি না। কারণ আমি ১০০টা লিখলে বানান কমপক্ষে ১০টা বানান ভুল হয়, সে আবার কিসের সাহিত্যিক? আমি যাস্ট আমার চোখে যেটা সমাজের অসঙ্গতি মনে হয় সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করি মাত্র। সেখানে হয়তো বানান ভুল থাকে, কিন্তু আমার কথা আপনি বুঝলেন কিনা সেটাই আমার কাছে মুখ্য। তার মানে আবার ভাইবেন না, আমি বলছি - সঠিক বানান লেখার দরকার নাই। বাঙ্গালী হিসেবে অবশ্যই সঠিক বানান শেখার দরকার আছে। সমস্যা হচ্ছে আমার কাছে বাংলা অনেক কঠিন মনে হয়, অনেক চেষ্টা করি কিন্তু তবুও ভুল হয়, আর এ জন্যই আমি বলছি, আমার কথা আপনি বুঝলেন কিনা সেটাই আমার কাছে মুখ্য। ইভেন এস এস সি তে ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি, ম্যাথ বলেন সবগুলোতে ৮০% এর উপরে স্কোর করলেও বাংলায় ৬০% এর বেশী করতে পারিনি। আমি বুঝি স্বীকার করি আমার অজ্ঞতাকে।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার মনে হয় দুইজনই ঠিক। চাঁদ গাজী সাহেব হচ্ছেন পুঁজিবাদের সমর্থক নিরেট আধুনিক ভদ্রলোক।তাদের বক্তব্য ,প্রতিটালোক যন্ত্রের মতো তার উপর ন্যস্ত দায়িত্য পালন করবে।সেই হিরক রাজার উপদেষ্টার মতো,যত বেশি জানবে তত কম মানবে।
লেখক সাহেব হলেন,জনতার ইন্জিনিয়ার,রাস্তা ও বানাবে আবার কবিতাও লিখবে।আমার পরিচিত এমন একজন ইন্জিনিয়ার ছিল,যে ইন্জিনিয়ারিং স্কুলে শিক্ষকতা করতো বিকেলে একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতো রাত্রে বিপ্লবিদের পড়াতো।তিনি সিরাজ সিকদার।তার লেখা কবিতার বইও আছে,গন যুদ্ধের পটভুমি,

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আসলে আমি সিরাজ সিকদার সম্পর্কে কখনো এক লাইনও পড়িনি। তবে লোক মুখে তার নাম বহু শুনেছি, তার সম্পর্কে এতোটুকুই জানি, তিনি একজন কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন, যাস্ট এতোটুকুই। আজ জানলাম উনি একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাছের পচন তো মাথা থেকে শুরু। সরকার ঠিক থাকলে প্রকৌশলীদের বানানো রাস্তা মাত্র দু'সপ্তাহে ধ্বসে যেত না। অন্ততঃ দু'বছর সেখানে কোন হাতই লাগাতে হতো না এবং বিশ বছরের আগে বড় কোন মেরামত কাজের প্রয়োজন হতো না। সদ্য নির্মিত সড়ক ধ্বসের মূল কারণ টেন্ডারবাজী, যার সাথে অন্য কেউ নয়, সরকারী দলের মাস্তানরাই জড়িত থাকে।
কবিতা নিয়ে গবেষণা করাটা হয়তো বড় কবি সাহিত্যিকদের কাজ, কিন্তু কবিতা লেখার অঙ্গণটা সবার জন্যই অবারিত। ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, বড় ছোট বিপ্লবী সমাজবাদী, বৈজ্ঞানিক- এরা সবাই কবিতা লিখতে পারেন এবং বোধকরি লিখেছেনও।

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




একজ্যাক্টলি, আমিও মূলত রাষ্ট্রের এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধেই বলছি।
ধন্যবাদ।

১৭| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নির্দিষ্ট পেশা পালনের পর অন্য কিছু করতে পারবে না এটা ঠিক নয়।

এক জন মানুষ এক সাথে অনেক গুণের কাজ করতে পারে তার জন্য তার পেশাকে দায়ী করা ঠিক নয়।

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



হ্যা।

১৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই এটা আমাদের জাতিগত ট্রেডমার্ক , আর সে হিসেবে আমি নিজেও চোর বা দুর্নীতিবাজ।

আমি তো চোর বা দূর্নীতিবাজ নই।

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:


আসেন যুক্তি দিয়ে বিষয়টা ক্লিয়ার হই।
নিশ্চই আপনি নিজেকে একজন বাঙ্গালী হিসেবে স্বীকার করেন? আর বাঙ্গালী দুর্নীতিবাজ এটা হচ্ছে একটা ট্রেডমার্ক।
বহিঃবিশ্বে বাঙ্গালিকে দুর্নীতিবাজ আর ধান্দাবাজ হিসেবে জানে। বিশ্বাস হচ্ছে না? সাধারন একটা পাসপোর্ট দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা ভিসার আবেদন করেন টের পাবেন।
সুতরং আপনি যদি নিজেকে বাঙ্গালী হিসেবে স্বীকার করেন, আর যখন বলা হবে - বাঙ্গালী দুর্নীতিবাজ। তখন বাঙ্গালী হিসেবে নিশ্চই আপনিও তার বাহিরে নয়? আর এমন অনকেই আছে যারা সুযোগ পায়না বলে চুরি বা দূর্নীতি করে না। কত ভালো লোক দেখছি যারা যাস্ট একটা গভমেন্ট জব পেয়েই ভুলে যায়, সেও এক কালে হাজী সাব ছিলো। আমার কাছে সবাই দূর্নীতিবাজ, শুধু তারা বাদে যারা দুর্নীতির সুযোগ পেয়েও নিজেকে সৎ রেখেছে। করোনা যেমন টেস্ট না করলে বোঝা যায় না, ঠিক তেমন দূর্নীতিবাজও টেস্ট না করলে বোঝা যায় না। আর দূর্নীতি টেস্টের কিট হচ্ছে, দুর্নীতি করার সুযোগ দেওয়া ।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

হাসান রাজু বলেছেন: এভাবে ভাবতে পারতেন যে, "এদেশে নীতিবান ইঞ্জিনিয়াররা জায়গা মত কাজের পরিবেশ না পেয়ে শেষে কবিতা লিখে মনের রাগ দুঃখ প্রকাশ করেন" এটা বুঝিয়েছেন আমাদের চাঁদগাজী।

যাক। কথা এইটা না। মন্তব্য পড়ে বেশ বুঝলাম আরও দশ জনের মত আপনিও সিস্টেমের মাথায় কাঁঠাল ভাঙছেন। রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যাবস্থা ঠিক নাই, এটা নতুন কিছু না । এরই মাঝে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এদেশে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন। নিজের দায়িত্ব সারছেন আবার ঘুণে ধরা সিস্টেমটাকে শুধরে নিচ্ছেন। আপনি বলেছেন, "সিস্টেম পছন্দ হয়নি বলে সরকারী প্রতিষ্টানের চাকরি ত্যাগ করেছি।"
চাঁদগাজী সাহেব এটাই বলেছেন, যেখানে আপনার দায়িত্ব ছিল বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে সিস্টেমটাকে ধীরে ধীরে ঠিক করা । এদেশের ধনি-দরিদ্র মানুষের হকের টাকায় বিদ্যা অর্জন করে, দায়িত্বহীনের মত তাচ্ছিল্যের সাথে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কবিতা লিখেছেন। রাষ্ট্র আপনাকে সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে এনে দিবে আর আপনি বসে বসে ইঞ্জিনিয়ারিং করবেন। এটা কোন দেশে হয় ভাই ? আমি জানি এমন হলেও আপনার বাহানার অভাব হবে না। কাজের মানুষ বাহানা খুঁজে না।

০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



এভাবে ভাবতে পারতেন যে, "এদেশে নীতিবান ইঞ্জিনিয়াররা জায়গা মত কাজের পরিবেশ না পেয়ে শেষে কবিতা লিখে মনের রাগ দুঃখ প্রকাশ করেন" এটা বুঝিয়েছেন আমাদের চাঁদগাজী। । আচ্ছা তার কমেন্টে কি এটা বুঝায়?তার কথাটা ভালমতো পর্যালোচনা করেন তো!

যাকগে, আপনি বলতে চেয়েছেন, আমার উচিৎ ছিল বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা। আপনাকে বলে রাখি যাদের সাথে আমাকে কাজ করতে হতো তারা কেউই বলদ নয়, প্রত্যেকেই বুদ্ধিমান এবং এক একটা শয়তান, আর শয়তান কখনো ভালো হয় না। চারপাশ থেকে শয়তান যখন আপনাকে চেপে ধরবে তখন হয় আপনাকেও শয়তান হতে হবে, না হয় সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। সেখানে থাকলে আমাকে দুই নম্বরকে আপ্রুভাল দিতে হবে। না দিলেই আপনাকে চক্রান্তের স্বীকার হতে হবে।

২০| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশে আমার জানামতে একমাত্র হুমায়ূন আহমেদই ছিলেন প্রফেশনাল রাইটার। তাও শুরুতে তিনি শিক্ষকতা ও লেখালেখি একসাথেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, পরে লেখার চাপ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে লেখালেখিকেই একমাত্র পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। হুমায়ুন আজাদ শিক্ষকতা ছেড়েছিলেন কিনা জানি না। আনিসুল হক ও ইমদাদুল হক মিলনের প্রধান পেশা সাংবাদিকতা। উন্নত বিশ্বেও এক্সক্লুসিভলি লেখালেখিকে পেশা নিতে পারেন যারা, তাদের সংখ্যা খুব বেশি না। অর্থাৎ, যারা লেখালেখি করেন, তাদের সবারই একটা বেসিক প্রফেশন আছে, যা দ্বারা তারা জীবিকা নির্বাহ করেন, আর লেখালেখি হলো তাদের অ্যামেচার বা ক্রিয়েটিভ অ্যাক্ট। এজন্য একটা প্রবাদ আছে এরকম, Tactics and Literature are nobody’s babies. অর্থাৎ, রণবিদ্যা আর সাহিত্য কারো বাপের সম্পত্তি না যে সেখানে আপনার দখল নেই। এজন্য, আমার চাচা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, যা সম্বন্ধে তার পূর্বজ্ঞান ছিল না, আর আমি বাচ্চা হওয়া সত্ত্বেও একটা দা হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিলাম। আপনি ইঞ্জিনিয়ার মানুষ, চাকরি করছেন কিনা জানি না, কিন্তু এই যে কথাগুলো বললাম, এগুলো আগে মনে রাখবেন, তাহলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কেন লেখালেখি করবেন সেটা ডিফেন্ড করা সহজ হবে।

যদি পেশাজীবীকেই সাহিত্য লিখতে হয়, তাহলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো সাহিত্য রচিত হবে না। কারণ, বাংলাদেশে কোনো প্রফেশনাল রাইটার নেই। তবে, বেকার, বাপের হোটেলে খাওয়া কোনো কোনো সাহিত্যিক থাকতে পারেন।

তাহলে প্রতিদিন এত গল্প, কবিতা, কারা লিখছেন? হ্যাঁ, তারাই লিখছেন, যাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য একটা চাকরি আছে। লেখালেখি একটা আর্ট বা শিল্প, যা আপনার সৃজনশীল মনের বাহ্যিক প্রকাশ, তা আপনার মগজ কামড়াবে এবং দিনের কোনো একসময় বেরিয়ে আসবেই। এজন্য, একজন সাধারণ কর্মজীবী মানুষ যখন অফিস শেষে বাসায় এসে টিভি দেখবে, সিনেমায় যাবে, ঘুরবে, রাতে দিবে ধুমাইয়া ঘুম, আপনি হয়ত বিড়বিড় করে কবিতা আওড়াতে আওড়াতে বাসায় ফিরবেন, বাসায় ঢুকে জাম্প দিয়ে পিসিতে বসে ওগুলো লিখতে থাকবেন। গভীর রাত পর্যন্ত এতেই মগ্ন থাকবেন। যারা লেখেন, তাদের লেখা এভাবেই বের হয়।

আমাদের দেশে একটা-দুটা পেশার বদনাম অনেক বেশি। অথচ, সেই পেশায় কিন্তু সৎ ও যোগ্য লোকেরও অভাব নেই। তারপরও তাদের বদনাম বা দুর্নাম দূর হচ্ছে না কেন? কারণ, কালের বিবর্তনে তাদের দুর্নীতি এত গভীরে ঢুকে গেছে যে, কিছু লোকের সততা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে তা ঘোচানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে, লক্ষণীয় যে, তাদের মধ্যে বর্তমানে একটা চেতনা কাজ করছে বলে মনে হয়, নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন এবং এ থেকে বেরিয়ে আসা জাতির জন্য খুব প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন। এমনটা হলে একদিন ঠিকই তারা সোনার মানুষে পরিণত হবেন, জনগণের সত্যিকার বন্ধু হবেন। এবার আসুন আপনার পেশার ব্যাপারে। এ পেশার দুর্নাম হচ্ছে। একে ডিফেন্ড করার জন্য আপনার বক্তব্য সমর্থন করি, প্লাস, আরো যারা বলছেন, তাদের বক্তব্যও আপনাকে গোনায় ধরতে হবে। এরা সবাই এ দেশের মানুষ। এদের মতামতই কিন্তু আপনাদের পারফরমেন্সের রিফ্লেকশন। ফেইসবুকে ইঞ্জিনিয়ারদের একটা সৎ ও সাহসিক মুভমেন্টের কথা শুনছিলাম। তাতে একজন ইঞ্জিনিয়ারই এ প্রসংগটা তুলছিলেন- ‘এখন থেকে তাহলে ঐ পারসেন্টেজটাও আমরা আর নিব না, এটা কেন বলা হচ্ছে না?’ নিজেদের পরিশুদ্ধির জন্য নিজেদের ভেতর থেকেই ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে।

লেখালেখির একটা টিপিক্যাল ট্রেন্ড আছে। একজন সমরাধিনায়ক যুদ্ধবিদ্যার উপর বই লিখবেন। একজন চিকিৎসক লিখবেন চিকিৎসাবিদ্যার উপর। একজন ইঞ্জিনিয়ার লিখবেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর উপর। প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য এসব বই। তাহলে কেউ কি গল্প-কবিতা লিখবে না? হ্যাঁ অবশ্যই, সেটা যারা লিখবেন তারা হলেন সহজাত প্রতিভার অধিকারী সত্যিকারের সাহিত্যিক। ওসব লেখার জন্য নিজের পেশা কোনো অন্তরায় না। এজন্য দেখা যায়, আবুল খায়ের মুসলেহ উদ্দিন পুলিশের কর্মকর্তা হয়েও কালজয়ী সাহিত্য রচনা করে গেছেন।

আপনি লিখে যান। নিজের পেশার উপর লিখুন।

কিন্তু, আপনার মূল কাজ কিন্তু আপনার পেশা। আপনার এই ক্রিয়েটিভি মূল্য পাবে তখন, যখন আপনি নিজ পেশায় নিজ কাজে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবেন। নিজ পেশায় কোনো ছাপ রাখতে না পারলে আপনার সাহিত্যকর্ম আপনার জন্য বদনাম নিয়ে আসবে।

আপনার সুন্দর ও সফল ভবিষ্যত কামনা করি।


১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:





ধ্যন্যবাদ। আপনার কথা গুলো আমার পক্ষে গেছে বলে বলছি না, কেউ যখন যুক্তি দিয়ে কথা বলে তখন তা আমার বিরুদ্ধে গেলেও আমি সমর্থন করি। আর আপনার প্রতিটা কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে, খুব ভালো লাগলো।
তবে ১৪ নং কমেন্টের উত্তরেই বলেছি প্রফেশনাল রাইটার হওয়ার মতো যোগ্যতা আমার আছে বলে আমার কাছে আজ পর্যন্ত কখনো মনে হয়নি। বরং এখনো পর্যন্ত নিজেকে বর্তমান সময়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা লেখকদের স্তরেরই মনে হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে তার চেয়েও নিচের লেভেলের মনে হয়েছে। প্রতিটা মানুষ দার্শনিক নয়, কিন্তু প্রতিটা মানুষের একটা দর্শন আছে বলে আমি মনে করি, আমাদের মধ্যে যে মতের পার্থক্য তা মূলত দর্শনের ভিন্নতার কারনেই হয়। আমি যা লিখি তা আমার দর্শন। মানুষ যা লেখে তা তার দর্শন, আর একজন মানুষের দর্শন যখন কোনো জনগোষ্ঠীর মনে ধরে, কিংবা কারো লেখায় যখন মানুষের মনের কথাগুলো প্রকাশ ঘটে তখনি একজন মানুষ বিখ্যাত রাইটার হয়, আর বিখ্যাত হলেই প্রফেশনাল হয়। সুতরাং একজন রাইটার প্রফেশনাল হবে কিনা তা নির্ভর করে, তার লেখা মানুষের মনকে কতটা স্পর্শ করলো। এখন আমার দর্শন যদি কখনো কোনো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভালো লাগে তবে ভিন্ন কথা। প্রত্যেকেই চায় তার দর্শনকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। যদি কখনো মানুষ আমার দর্শনকে গ্রহন করে তখন সেটাকে মানুষের কাছে আরো বেশী করে পৌঁছে দিতে নিজের মুল পেশাকে ত্যাগ করতেও সমস্যা নাই। তবে সেটা দিপেন্ড করে মানুষের উপর।

২১| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২০ নং মন্তব্যের ঘরে চমৎকার একটি বিশ্লেষণ রেখে যাবার জন্য সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই কে ধন্যবাদ।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




হ্যা উনি খুব সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে কথাগুলো বলেছে।
আপনাকেও ধ্যন্যবাদ।

২২| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাই আপনার মর্মবেদনা আমি বুঝতে পারছি!!
এখানে কাউকে প্রশাসা করার সুযোগও সীমিত।
কাউকে প্রশংসা করলে মনে করবে আপনার কোন
উদ্দেশ্য আছে। তাই খামোশ থাকাই শ্রেষ্ঠ পন্থা।
চুপ করে থাকার কোন বিকল্প না্ই।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আমি প্রায়ই বলি আমার প্রশংসা বা আমার সাথে সহমত হওয়ার কোনো দরকার নাই, আমার সমালোচনাই করুন , কিন্তু সেটা যৌক্তিক ভাবে করুন, আর যদি আমার কথা আপনার ভালো লাগে সেক্ষেত্রে প্রশংসা বা সহমত হতেই পারেন।
মন্ত্যব্যের জন্য ধ্যন্যবাদ ও শুভকামনা !

২৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৫

কালো যাদুকর বলেছেন: আসলে কবিতা বা গল্প যারা লেখা লেখি করেন, এজন্য লিখেন না যে, এগুলো -- সুন্দর সৃস্টি। আমরা এগুলো লিখি কারন আমরা মানব সভ্যতার অংশ তাই। মানুষ অনুভূতি সম্পন্ন প্রানী। আমরা আমাদের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পছন্দ করি।

ডাক্তারি, প্রযুক্তিবিদ্যা, আইনবিদ্যা, বানিজ্যবিদ্যা ইত্যাদি আমাদের জীবনে প্রয়োজনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। জীবনকে সচল রাখার জন্য এসব জনবলের অনেক প্রোয়াজন আছে।

অন্যদিকে মানুষকে সুন্দর করে বাঁচতে, জীবনবোধ দিতে, দরকার হচ্ছে- কবিতা, গল্প, ভালবাসা, এসব।

এখানে অনেকে প্রযুক্তিবিদদের সমালোচনা করেছেন অযৈক্তিক কারনে। আমি মনে করে যে কেউ ভাল লাগা থেকে, জীবনবোধ থেকে কবিতা, গল্প লিখতে পারেন। কবিতা লিখার জন্য যারা তার সমালোচনা করেন, তারা জীবনবোধকে অস্বীকার করেন এবং মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার অধিকারকে হরন করেন।

অনেকে বলেছেন প্রযুক্তিবিদরা কেন সামুতে তাদের বিষয়গুলো নিয়ে লিখেন না। কারন হলো এটা তার জন্য উপযুক্ত প্লাটর্ফম না।
বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদরা AWWA Journal এ কভার ফিচার লেখক হতে দেখেছি খুব কাছে থেকে। কাজেই এটা বলার উপায় নেই যে প্রযুক্তিবিদরা প্রযুক্তিগত বিষয় লিখেন না। এরকম অনেক উদাহরণ আছে।



ওয়াল্ট হোয়াইটম্যান (Leaves of Grass (1892)) একটি কবিতা শেষ করছি :

"Oh me! Oh life! of the questions of these recurring,
Of the endless trains of the faithless, of cities fill’d with the foolish,
Of myself forever reproaching myself, (for who more foolish than I, and who more faithless?)
Of eyes that vainly crave the light, of the objects mean, of the struggle ever renew’d,
Of the poor results of all, of the plodding and sordid crowds I see around me,
Of the empty and useless years of the rest, with the rest me intertwined,
The question, O me! so sad, recurring—What good amid these, O me, O life?

Answer.
That you are here—that life exists and identity,
That the powerful play goes on, and you may contribute a verse.
"

আসলেই আমাদের সকলেরই একটি কবিতার লাইন আছে। আপনার কবিতার লাইনটি কি?


১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



গল্প - উপন্যাস মানুষের মনের ক্ষুধা মেটায়। তবে আমি আজ পর্যন্ত কোনো ছোট গল্পও লেখিনি। আমি সেটাই লেখি যেটা আমার কাছে মানুষের প্রয়োজন মনে হয়েছে। আর এটাই আমার লাইন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.