নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকান ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি, এইপ্যাক

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০১



যদি প্রশ্ন করা হয় ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু দেশ কোনটি? এক্ষেত্রে সবাই এক বাক্যেই জবাব দেবে,আমেরিকা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকান যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেনো ইসরাইলের স্বার্থরক্ষা এবং অবৈধ এ দেশটির পক্ষে আমেরিকার সমর্থন সর্বদাই কনস্ট্যান্ট। তাদের সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ট যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপিত যেকোনো শাস্তি কিংবা নিন্দা প্রস্তাব আটকাতে আমেরিকার পক্ষ হতে সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়ে থাকে। এছাড়াও জাতিসংঘে আমেরিকার দেয়া ভেটোর অর্ধেকেরও বেশি দিয়েছে শুধু মাত্র ইসরাইলের জন্য।

মূলত আমেরিকা-ইসরাইল ঘনিষ্ট সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি স্থাপন এবং রক্ষায় বিভিন্ন ইহুদিবাদী (Zionist) সংস্থা কাজ করে থাকে তবে এদের মধ্যে American Israel Public Affairs Committee (AIPAC) অন্যতম। ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাবেক কর্মকর্তা ইশাইল এল কেনেনের হাত ধরে ১৯৬৩ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্টিত হয়। এর সদরদপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে, তবে এর বাহিরেও সংস্থাটির আরো ১৭টি আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। আমেরিকা-ইসরাইল নিরাপত্তা নিশ্চতের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে গঠিত হলেও এটিই মূলত আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যনীতি নির্মাণ করে দিয়ে থাকে। এছাড়াও আমরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে সংস্থাটি। বলা যায় পরোক্ষভাবে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিও এদের পরামর্শ অনুযায়ী করা হয়ে থাকে। এ কারণে দেখা যায় ক্ষমতায় যারাই আসুক না কেনো আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি সর্বদাই ইসরাইল বান্ধব।
এখানেই শেষ নয় নির্বাচন থেকে শুরু করে আমেরিকান কংগ্রেসেও এদের লবিং থাকে। এ জন্য সংস্থাটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সাথে মিলিত হয়ে মূলত লবিং করে থাকে। সংস্থাটি আমেরিকার নির্বাচনের ইসরাইলপন্থী প্রর্থীদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে থাকে, এমন কি আর্থিক সহায়তাও নিশ্চিত করে। এর ফলে আমেরিকান কংগ্রেসে এদের এতটাই প্রভাব যে এরা চাইলে অনেক বিলও আটকে দিতে সক্ষম।
ইহুদিবাদী ইসরাইলি এই লবিং নিয়ে একবার কংগ্রেসের দুইজন মুসলিম নারী প্রতিনিধি রাশিদা তালাইব (ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত) এবং ইলহান ওমর (সোমালিয় বংশোদ্ভূত) বিরোধীতা করেন। পরবর্তীতে অবশ্য 'ইহুদি বিদ্বেষী' আখ্যা দিয়ে ডানপন্থীদের করা সমালোচনার মুখে তারা দুঃখ প্রকাশ করে।
১৯৯৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিন এইপ্যাক কে ওয়াশিংটনের দ্বিতীয় শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করে। সাংবাদিক কনি বার্কের বক্তব্য অনুযায়ী এইপ্যাক আমেরিকান কংগ্রেসে বেশ বড়সড় অবদান রেখেছে।
অবশ্য এইপ্যাক ছাড়াও আরো কিছু সংস্থা আমেরিকায় ইজরাইলি লবিং করে থাকে, এর মধ্যে কয়কটি হলো -
➤ J Street
➤ Jewish Institute for National Security of ➤America (JINSA)
➤ Conference of Presidents of Major American Jewish
Organizations
➤ Christians United for Israel (CUI)
➤ American Jewish Committee (AJC)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমেরিকার মত একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী দেশ ইসরাইল দ্বারা এতো প্রভাবিত কেন হয়?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




তেলের জন্য দরকার মধ্যপ্রাচ্য, আর মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার স্বার্থরক্ষায় ইসরাইলের গুরুত্ব নতুন কতে আর কি বলবো ।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন, " আমেরিকার মত একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী দেশ ইসরাইল দ্বারা এতো প্রভাবিত কেন হয়? "

-আমেরিকা জ্ঞানীদের পক্ষে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আমেরিকা জ্ঞানী এবং শয়তানের পক্ষে। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার স্বার্থরক্ষায় ইসরাইলের গুরুত্ব নতুন কতে আর কি বলবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.