নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকা মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার ইতিহাস-১

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৪



মসুল, বাগদাদ হতে প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ দূরে দজলা নদীর তীরে অবস্থিত একটি শহর। ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। এই মসুলের আমির বদরুদ্দিনের কাছে দুটো চিঠি এসেছে। একটা বাগদাদের খলিফা আল মুস্তাসিমের কাছ থেকে, অন্যটা মোঙ্গল শাসক ইলখানের কাছ থেকে।

মাসুল শহরে ছিল হাজার হাজার দক্ষ কারিগর। তৎকালীন সময়ে জুতোর ফিতা থেকে শুরু করে বড় বড় সিজ ইঞ্জিনও এখানে তৈরি করা হতো।
মসুলের আমির চিঠি দুটি পড়লেন। বাগদাদের খলিফা তাকে কিছু উন্নত মানের সেতার আর বেহালা পাঠাতে অনুরোধ করেছে, আর মোঙ্গল শাসক ইলখান চেয়েছে সিজ ইঞ্জিন, যেটি যুদ্ধ ক্ষেত্রে বড় বড় পাথর ছুড়তে ব্যাবহৃত হয়।

সিজ ইঞ্জিন

আমিরের আর বুঝতে বাকি রইলো না, কে কি উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছে। মোঙ্গল শাসক ইলখান বাগদাদ হামলার প্লান করেছে অন্যদিকে বাগদাদের খলিফা আল মুস্তাসিম চান সংগীতের আসর আরো জমজমাট করতে! তখন মাসুলের আমির আফসোস করে বললেন, হায় ইসলামি জাহান! তোমার নেতৃত্ব আজ কাদের হাতে!

বাগদাদের খলিফার তখন প্রধান দুটি কাজ ছিলো বাহাসের ময়দানে গিয়ে ইসমাইলি আর আশয়ারিদের বাহাস শোনা এবং নর্তকীদের সঙ্গে গান আর মদে ডুবে থাকা। বাগদাদের সমাজ তখন ছিলো বিভক্ত। বিভিন্ন বিষয়ে তারা হাজার মতে বিভক্ত হয়ে যেতো। মাজহাব আর ফেরকা তাদের এতই আচ্ছন্ন করে রেখেছিল যে, ঘাড়ের উপর আটত্রিশ বছর ধরে নিশ্বাস ফেলা মোঙ্গল বিপদকে তারা অনুধাবনই করতে পারেরি!
খলিফার দরবার ছিল তখন ভাঁড়, কবি আর গল্পকথকদের আড্ডাখানা। দরবারের আলেমদের কাজ ছিলো যেকোনো বিষয়ে খলিফার মতকে কুরআন-হাদিসের আলোকে জায়েজ বলে ব্যাখ্যা দাড় করানো, তা যতই মনগড়া হোক না কেনো। এছাড়াও বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে খলিফার তেমন ধারণাও ছিলো না। তার রাজনৈতিক সিধান্ত নির্ভর করতো উজির ইবনে আল আলকামির পরামর্শের উপর। যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না খলিফার।
এমনটা নয় যে, বাগদাদের সমাজকে হুঁশিয়ার করার চেষ্টা করা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান হতে মুজাহিদরা এসে মোঙ্গল বাহিনী সম্পর্কে অবহিত করে যাচ্ছিল বাগদাদকে। কিন্তু যে সমাজের পচন ধরে, যারা ভাঁড়ামোতে মেতে থাকে, তাদের পতন আর কে ঠেকাতে পারে।

মোঙ্গল সাম্রাজ্য

চেঙ্গিস খানের সেঝো সন্তান ওগেদাই খানের আমল থেকেই মোঙ্গলরা চাচ্ছিল বাগদাদের খলিফাকে তাদের বশ্যতা স্বীকার করাতে। খলিফা ভাবলেন, কিছু উপহার পাঠিয়ে বিপদ হতে রক্ষা পাবে। কিন্তু মঙ্কি খান (চেঙ্গিস খানের নাতি) খলিফাকে সাফ জানিয়ে দিলেন, তোমাকে আবশ্যই আমার বশ্যতা স্বীকার করতে হবে। অন্যথায় তোমাদের ধ্বংস করতে আমি হালাকু খানকে (মঙ্কি খানের ভাই) পাঠাচ্ছি।

হালাকু খান বাগদাদ জয় করতে আসছে শুনে অপদার্থ খলিফা আল মুস্তাসিম তার দরবারের উজির ইবনে আল আলকামির মত মতামত চাইলেন। অপদার্থ উজির 'আলকামি' বললেন, মোঙ্গলরা বাগদাদে হামলা করলে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত হতে মুসলিমরা এগিয়ে আসবে বাগদাদ রক্ষা করতে। সুতরং আপনার ভয়ের কিছু নেই।
কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। পশ্চিমের আইয়ুবি শাহজাদারা তখন নিজেদের আন্ত কোন্দল নিয়েই ব্যাস্ত, ইতিমধ্যেই মিশরে তারা ক্ষমতা হারিয়েছে। উত্তর পশ্চিমের সেলজুক সাম্রাজ্য ভেঙ্গে যাওয়ার পর আলাতোলিয়ায় (বর্তমান তুরস্ক) টিকে থাকা সেলজুক রুমেরও পতন হয়েছে। আর পূর্বের দিল্লির দরবার থেকে সাহায্য আসার একমাত্র পথ ইরান এবং আফগানিস্তান মঙ্গল বাহিনীর দখলে। সুতারং পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মুসলিমদের নিকট হতে সাহায্য আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সব জানা সত্তেও খলিফাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলো উজির ইবনে আল আলকামি! প্রকৃত পক্ষে আলকামির পরিকল্পনা ছিল সেচ্ছায় বাগদাদকে মোঙ্গলদের হাতে তুলে দিয়ে সমোঝতার মাধ্যমে শিয়াদের রক্ষা করা।

হালাকু খান।

হায়রে নিয়তি! ক্ষমতার দন্দে খলিফা আন নাসির (খলিফা আল মুস্তাসিমের পূর্বসূরি) একদিন যেই মোঙ্গলদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে মধ্য এশিয়ার খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যে আক্রমনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেই মোঙ্গলরাই আজ তার বংশকে ধ্বংস করতে আসছে।

বলে রাখা দরকার, খলিফা আন নাসিরের সময়ে মধ্য এশিয়ায় সারে চার লাখ যোদ্ধা নিয়ে খাওয়ারিজম সাম্রাজ্য ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যগুলোর একটি। সাম্রাজ্যটি ছিল মুসলিম সাম্রাজ্য।


দুই পর্বের দ্বিতীয় পর্ব আগামিকাল পোস্ট করা হবে, ইনশা আল্লাহ!
তথ্যসূত্রঃ সানজাক-ই উসমান, The history of the Mongol conquests, The death of last Abbasid caliph. উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলমানেরা পেছনে পড়ে গেছে? আমার মনে হয় মুসলমানেরা সামনে আছে: কত কোটী হাফেজ আছেন? অন্য কোন ধর্মে হাফেজ আছেন?

মুসলমান দেশে মাদ্রাসার সংখ্যা পুরো বিশ্বের মিলিত ইউনিভার্সিটিগুলোর ১০০ গুণ হবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




মাদ্রাসা গুলো সময়েয় সাথে আপডেট হতে পারেনি। হয়নি।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ৮/১০ টা বিয়ে আর গন্ডায় গন্ডায় সন্তান পয়দা করা এখন মুসলমানদের প্রধান কাজ; যাহা ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজা বাদশারা করছে। তাহলে এ জাতির উন্নতি হবে কি করে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: উন্নতি নয় অবনতি হবে

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: যে কিতাব তার অনুসারীদের একতাবদ্ধ হতে শেখায় নি, যে কিতাব দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে ব্যর্থ, যে কিতাব ভিন্ন ধর্মীদের দোজকে নিক্ষেপ ছাড়া মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নেওয়ার কোনো পথই দেখাতে পারে নি সেই কিতাবের হাফেজরা ইতিহাস এবং ভবিষ্যতে কিই বা অবদান রাখবে? তেলের টাকা শেষ হলেই কিতাবের মলাটের জৌলুষও ফিকে হতে থাকবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: দোষ কিতাবের নয় দোষ মানুষের লোভের।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা আজীবনই পিছে পড়ে আছে। ধর্মে রকারনে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: বর্তমান মোল্লারাতো কেবল, কোন আমলে কত নেকি এসবই প্রচার করে যাচ্ছে। লোভি মানুষ আসলে লাভ ছাড়া কিছুই করতে চায় না। জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করে তো আর নেকি পাওয়া যায় না।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায়। শুভ কামনা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, কালই পাবেন ইনশাআল্লাহ!

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মুসলমানের উন্নতীর কারণ যেমন রয়েছে, তেমনি অধঃপতনের কারণও রয়েছে।

সময় হন্তারক করে কাউরে ক্ষমা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: কারণ ছাড়া কিছুই হয় না।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

এমেরিকা বলেছেন: মোঙ্গলদের উত্থান আসলে মুসলিম জাতিকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। মদ আর সুরির নেশায় পাগল হয়ে থাকা মুসলিম নেতৃত্ব তখন অবশ্যম্ভাবী পতনের মুখে। খিস্টান নাইটগণ ওত পেতে আছে আরব জাহানকে তাদের উপনিবেশ বানানোর জন্য। এই সময়ে মঙ্গোল ধাক্কা মোটামুটি ওষুধের মত কাজ দিয়েছিল। আইন জালুত প্রান্তরে মামলুক সুলতান সাইফউদ্দিন কুতুজ যেভাবে মঙ্গোলদের অপ্রতিরোধ্য জয়রথ থামিয়ে দিয়েছিলেন, তাতে পুরো মুসলিম মুলুক গা ঝাড়া দিয়ে জেগে ওঠার সুযোগ পায়। এরপরের ইতিহাস কেবল মুসলিমদের বিজয় ও তরতরিয়ে উপরে ওঠার ইতিহাস। তাই ইসলামী দুনিয়া নিজেদের হৃত গৌরব ফিরে পাবার জন্য ঋণী খুনে মঙ্গোলদের কাছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আসলে মঙ্গলদের টার্গেট ইসলাম ছিলো না, তাদের টার্গেট ছিল ভূমি। আইন জালুতের যুদ্ধের হেড়ে গেলে ইসলাম'ই হয়তো টিকে থনকতো না, বদরের যুদ্ধের মতো।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২

এইচ তালুকদার বলেছেন: সিজ ইঞ্জিন মঙ্গোলরাই চীন থেকে নিয়ে আসে,মিডিল ইস্টের লোকজন মঙ্গোলরা আসার আগে সীজ ইঞ্জিন চিনতো না বা এই সম্পর্কে কোন ধারনাও রাখতো না সেই জন্য বাগদাদের লোকজন মনে করছিলো তাদের শহরের উচা উচা দেয়াল তাদের বাচিয়ে দিবে তাই কোন প্রস্তুতি না নিয়াই শহরে ঢুইকা বইসা ছিলো প্লাস আপনি যেইটার ছবি দিছেন অইটা ক্যাটাপোল্ট,সিজ ইঞ্জিন তো একটা কমন নাম সিজ ইঞ্জিন অনেক রকম হইতে পারে।
খোয়ারেজিম সম্রাজ্যের সাথে মঙ্গোলদের যুদ্ধ লাগে চেঙ্গিস খানের দুত কে হত্য করার কারনে সেখানে আব্বাসী খলিফার কোন ভুমিকা আছে বইলা কোন দিনও শুনি নাই।
বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদানের প্রায় পুরাটাই মুতাজিলা দর্শন এর অনুসারীদের কাছ থেকে এসেছে আর আব্বাসীয়রা ধর্মের নামে প্রায় একশো বছর ধরে মুতাজিলাদের অত্যাচার শোষন করে একদম নির্বংশ করে দিয়েছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলে মধ্য যুগের যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নেই, ছবিটা গুগল হতে নেয়া।
আমি বলিনাই যে, খলিফা আন নাসিরের চিঠির কারণে মোঙ্গলরা খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যে আক্রমণ করেছিলো। তবে দূত হত্যার কারণ ছিল চেঙ্গিস খান দূত মারফত শাহের চাচার মাথা দাবি করেছিল। আবার মাথা দাবি করার কারণ ছিলো, শাহের চাচা চেঙ্গিস খানের পাঠানো বনিকদের হত্যা করেছিল।
মাঝখানে খলিফা আন নাসিরও চেঙ্গিস খানকে খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যে আক্রমণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছল, যদি আক্রমণের ব্যপারে ঐ চিঠির তেমন ভূমিকা ছিলো না। আমি যাস্ট আব্বাসিয় খলিফার নিয়তিটাকে বোঝানোর জন্য কথাটা উল্ল্যেখ করেছি।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যখন ঘোড়া তলোয়ার আর বাহুর দিন ছিল ততদিনই মুসলমানদের দিন ছিল।যুদ্ধে তাদের আদর্শ ছিল জয়লাভ করলে সম্পদ ও নারী আর মরলে হুরী।
কিন্তু সেই দিন শেষ।আজকে জ্ঞান বিজ্ঞানে যারা উন্নত তাঁরাই বিশ্বে নেতৃত্ব করছে, আর এখানে আমরা সবার পিছনে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ধ্রুব সত্য

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নি এবং ভবিষ্যতে নিবেও না মুসলিম রাষ্ট্রনেতারা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



কোন আজীবন টীকে থাকতে পারেনি, তবে যারা জ্ঞান চর্চা করেছে তারাই বিশ্ব ক্ষমতায় থেকেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.