নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তলাবিহীন ঝুড়ি এবং কিসিঞ্জার

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৬



বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলায় বাঙালিরা বরাবরই হেনরি কিসিঞ্জারের উপর ক্ষিপ্ত। কিন্তু কেন বলেছে, তার কথাটা যৌক্তিক নাকি অযৌক্তিক কেউ কি তা খতিয়ে দেখেছে?

আমার তো মনেহয় প্রসংশা শুনে যেমন হুট করে খুশি হওয়া ঠিক না, আবার নেতিবাচক মন্ত্রব্য শুনে হুট করে চোটে যাওয়াটাও ঠিক না। আগে প্রসংশা বা নেতিবাচক মন্তব্যের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখা দরকার, তারপর খুশি বা চোটে যাওয়ার বিষয়। অযৌক্তিক প্রসংশায় খুশি হওয়া যেমন বোকামি, যৌক্তিক বিরোধিতায় চোটে যাওয়াটা তেমন মূর্খতা।

তলাবিহীন ঝুড়ি বলতে কি বুঝায় তা সকলেই জানে। এটা এমন একটি পাত্র যেটাকে যতই দেয়া হোক পূর্ণ করা সম্ভব না। মূলত ৭৪ এর দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশকে দেওয়া ত্রান সামগ্রী ভারতে বিক্রি হতে দেখে হেনরি কিসিঞ্জার এমন মন্তব্য করেছিল। সুতরাং লজিক্যালি চিন্তা করলে সে অযৌক্তিক কিছু বলেছিল বলে আমার মনে হয় না!

এমনকি তার কথা তখনও সঠিক ছিল এখন সঠিকই আছে, দেশে তখনও চোর বাটপার ছিল এখনও আছে। এই যে একদিকে প্রবাসিরা বিদেশ হতে ডলার পাঠাচ্ছে অন্যদিকে চোরের দল সেই ডলার বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। যারা চুরি করছে তারা সকলেই বাংলাদেশি, বিদেশ থেকে কেউ এসে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে না। এবং সেই বাংলাদেশিরাই চুরি করছে যারা সুযোগ পেয়েছে। আর যারা চুরি করছে না, তারা মূলত সুযোগ পাচ্ছে না।

জানি কথাটা বাঙালি হিসেবে আমাদের বিপক্ষে যায়, কিন্তু কথাটা তো সত্যি। যেটা সত্যি সেটা মেনে নিতে অসুবিধা কি!?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


আর যারা চুরি করছে না, তারা মূলত সুযোগ পাচ্ছে না।

কথাটির সাথে একমত নোই।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



দ্বিমত করার জন্য ধন্যবাদ

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কিসিন্জার তখন যা দেখে যা বলেছে,এটাকে অ্যানালাইজ করার জন্য উনাকে ঢাকায় দাওয়াত দিতে হবে এখন।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



তা করা যেতে পারে।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার সম্পুর্ন অনুমান ভিত্তিক ভুয়া কথা, যার কোন প্রমান নেই রেফারেন্স নেই।

পশ্চিমা বিশ্ব ২০০০ সালের দিকে বিশ্বব্যাপি ড্রাগ বিজনেস জঙ্গি সন্ত্রাসের ফান্ডিং বন্ধ করার জন্য 'অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইন ২০০০' ২০১৮ চালু করার পর পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশ ও ব্যাঙ্ক গুলো এই সব আইনে স্বাক্ষর দিয়েছে। বর্তমানে জেনুইন ভাউচার এলসি ইসভয়েস ভেরিফাই না হওয়া পর্যন্ত কোন বিদেশী ব্যাঙ্কে ১ পয়শা রাখাও সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫০ গুন বড় হয়েছে, ইওরোপে ব্যাবসা বেড়েছে, সুইস ব্যাঙ্ক কানাডা বা ইওরোপিয় ব্যাঙ্কে টাকা থাকলে সেটা জেনুইন ব্যবসায়ীদের টাকা।
শুধু সুইস ব্যাঙ্ক না, পর্যাপ্ত সাপোর্টিং পেপার ছাড়া বিশ্বের কোন ব্যাঙ্কেই ইভেন বাংলাদেশের ব্যাঙ্কেও টাকার বস্তা জমা দিতে পারবেন না।

তবে বিশ্বে টাকা যে পাচার হয় না, সেটাও না।
বর্তমানে পাচার করা অবৈধ টাকা রাখা হয় বিভিন্ন দ্বীপের গোপন অফশোর ব্যাঙ্কে যারা মানি লন্ডারিং আইন স্বাক্ষর করে নি।
তবে রিসেন্টলি ২০১৬ তে দক্ষ ইনভেষ্টিগেটিভ সাংবাদিকরা সব পাচারকারিদের নাম প্রকাশ করে দিয়েছে। লাখ লাখ পাচারকারির নাম ঠিকানা সব প্রকাশ করেছে।
পানামা পেপার্স, পরে ২০১৮তে প্যারাডাইস পেপারস ও ২০১৯এ প্যান্ডরা পেপার্স।
সারা বিশ্বে যারা যারা অর্থ পাচার করেছে প্রত্যেকের নাম পৃথিবীর সব দেশের লাখ লাখ পাচারকারিদের নাম ঠিকানা প্রকাশিত হয়েছে।
১১৭টি দেশের ৬ শতাধিক সাংবাদিক কয়েক মাস ধরে ১৪টি উৎস থেকে টাকা পাচারের নথিগুলো সংগ্রহ করেছেন।
এইসব তালিকায় বাংলাদেশী বেশকিছু জনের নাম পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ছেলে তাফসির আউয়াল ও তাবিথ আউয়ালসহ বেস কয়েক ডজন বাংলাদেশির নাম পাওয়া যায়। ১-২ জনের মত আওয়ামীলীগ ব্যাবসায়ী নেতার নাম পাওয়া যায়।
বাংলাদেশী পাকিস্তানপন্থিদের নবী ইমরান খানের নামও উঠে এসেছে সেক্রেটারি কাম বান্ধবীর নামে টাকা রেখে। নেওয়াজ ও নেয়াজের ভাই শাহাবাজের নাম ও আছে এরদোয়ান পুটিনের নামও। খুব সৎ বলে পরিচিত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নামও আছে।
হাসিনার নাম দূরে থাক এক-দুজন বাদে কোন আওয়ামীলীগ নেতার বা নেতার কাছের মানুষের নাম নেই। কিন্তু বিএনপির আছে।
লন্ডনে তারেক জিয়ার যাবতীয় চোরাই অর্থ রাখা হত আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের মাধ্যমে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




তারমানে বাংলাদেশি দুই প্রকার ১. আওয়ামিলীগ বাংলাদেশি। ২. বিএনপি বাংলাদেশী। কিন্তু যে সমস্ত মানুষ বাম কিংবা কোন দলই করে না কিন্তু বাংলাদেশে বাস করে তাদের পরিচয় কী?

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌
এখন তলার সাথে সাথে ঝুড়িটাও গায়েব, শুধু হাতলটা আছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



হা হা

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

বাংলার এয়ানা বলেছেন: "হাসিনার নাম দূরে থাক এক-দুজন বাদে কোন আওয়ামীলীগ নেতার বা নেতার কাছের মানুষের নাম নেই। কিন্তু বিএনপির আছে।"
মন্তব্যটি পড়ে মনে হচ্ছে ঠাকুর ঘরে কেরে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয়েছে।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ঝুড়ির শুধু হাতল টা থাকা অবস্হায়ও ৮ তলা বাড়ীর ফাউন্ডেশন হচ্ছে...আর জামাত-শিবির ক্ষমতায় থাকলে বোধ হয় ১৮০ তলা বাড়ী হয়ে যেত। অনেকেই তলা বিহীন ঝুড়ি হিসাবে ই বাংলাদেশ কে দেখতে পছন্দ করে... তারা পাকিতে হিজরত করলে ঝুড়িতে সম্পদ উপচে পড়া অবস্হায় দেখতে পারবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আমি একটা জিনিস বুঝি না যাদের ৫০ বছর আগে খেদানো হলো, এখন কিছু বললেই আম্লিগ এবং তার সমর্থকরা কেন সেই পাকিস্তানের কথা বলেই নিজেকে রক্ষা করে? নাকি তারা আত্মরক্ষার জন্য আর কিছুই পায় না?
আইয়ুব সরকারের আমলে 'তঘমা-ই পাকিস্তান' পুরস্কার পাওয়া আমলা ( তৎকালিন কেবিনেট ডিবিশনের উপ সচিব) আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের মন্ত্রী হন (যেখানে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ই এসব পুরস্কারের দেয়া হত, অর্থাৎ যারা পাকিস্তান সরকারের খাস অনুগত তারাই এসব পেতেন)। কিছু বললেই পাকিস্তানকে টানা হয়, পাকিস্তানের অনুগতরা যখন মন্ত্রী হয় তখন তাদের গায়ে লাগে না! আহারে কী দৈন্যতা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.