নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারী এবং পুরুষ উভয়ের প্রতি উভয়ের যে আকর্ষণ, তা সম্পূর্ণ সহজাত। বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক থাকলেও ধার্মিক এবং নাস্তিক উভয়েই এ বিষয়ে একমত।
পরস্পরের প্রতি এই আকর্ষণ যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে মানবসভ্যতার বিকাশ অসম্ভব ছিল। নারী-পুরুষের এই আকর্ষণ মূলত দুই ধরনের, ১. আত্মিক, ২. দৈহিক।
মজার কোন দৃশ্য দেখলে বা মজার কোন কথা শুনলে মানবদেহে এনডোরফিন নামক এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণ হয়,যার কারণে হাসি পায়। একইভাবে উন্মুক্ত বা খোলামেলা নারী দেহ দর্শনে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসৃত হয়ে যৌনাকাঙ্খার সৃষ্টি করে। এটা একেবারেই পুরুষের সৃষ্টি গত বৈশিষ্ট্য। এখন কেউ যদি বলে, নারীদের এটা ওটা দেখেই যদি কোন পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয় তবে সে কেমন পুরুষ। তাহলে সেটা তাঁর বায়োলজি বিদ্যার অজ্ঞতা।
বরং যদি কোন পুরুষ বলে, খোলামেলা নারীদেহ তাঁর মধ্যে কোন আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে না, তবে হয় সে মিথ্যা বলছে না হয় তাঁর হরমোন কাঠামো স্বাভাবিক পুরুষ হতে আলাদা।
কাজী নজরুল তার কাব্যের ভাষায় বলেন,
বন্ধু, কহিনি মিছে,
ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব হ’তে ধ’রে ক্রমে নেমে এস নীচে-
মানুষের কথা ছেড়ে দাও, যত ধ্যানী মুনি ঋষি যোগী
আত্মা তাঁদের ত্যাগী তপস্বী, দেহ তাঁহাদের ভোগী!
নারী শরীরকে খোলামেলা বা আকর্ষণীয় অবস্থায় দেখলে টেস্টোস্টেরন নিঃসৃত হবেই, এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসৃত হলে পুরুষের মধ্যে যৌনাকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হবেই। পুরুষের বায়োলজিক্যাল প্রোগ্রামিং এভাবেই করে দেয়া।
এখন কথা হচ্ছে, যৌনাকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হলেই কি কারো প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? কিংবা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে হবে? না, এটাকেও আমি সমর্থন করতে পারছি না।
জন্তু জানোয়ার 'স্বজাতি বিপরীত লিঙ্গের' কারো প্রতি আকাঙ্ক্ষা জাগলেই বিচার-বিবেচনাহীন ভাবে তা চরিতার্থ করে। মানুষ হয়েও যদি একই কাজ করে, তবে মানুষ আর জন্তু জানোয়ারের পার্থক্য কী?
মানুষ তো বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ প্রাণী। যে জানে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। ভালো-মন্দ বিচার করে মন্দ কাজ হতে নিজের ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাই তো মানুষকে অন্যসব প্রাণী হতে আলাদা করেছে। সেই নিয়ন্ত্রণই যদি না থাকলো তবে সে মানুষ কী করে হয়?
আসলে প্রতিটা মানবদেহই মানুষ ধারণ করে না। কিছু মানবদেহ জন্তু ধারণ করে, এমটা সব জাতিতে সব দেশেই আছে। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের যে কথাটি বলা হয়, তা আসলেই বাস্তবসম্মত নয়। বরং এটাই সত্য যে, জন্তু কখনোই তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে না। যদি তাই হতো তবে বিশ্বের অত্যন্ত সভ্য জাতি খ্যাত স্ক্যান্ডেনেভিয়ানরা ধর্ষণে শীর্ষ দশে আসতো না।
বিবেক, বিবেচনা, শালীনতা, বুদ্ধি, যুক্তি, এসব মানুষের জন্য। সকল মানবদেহ মানুষ ধারণ করে না। তাই যত কথাই বলা হোক, আর যত যুক্তিই দেখানো হোক, যারা পোশাককে কারো উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অযুহাত হিসেবে ব্যবহার করে, কিংবা পোশাক দেখে খারাপ মন্তব্য করে, তাঁরা তা করবেই। আবার যার মাথায় মধ্যে একেবারে কট্টর ভাবে গেঁথে গিয়েছে, যত যাই হোক তাকে শরীর দেখাতেই হবে। সে কোন যুক্তি, কিংবা বায়োলজি-টায়োলাজি মানবে না, সে শরীর প্রদর্শন করবেই।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪২
কামাল৮০ বলেছেন: আকর্ষণ বিকর্ষণের জন্য সভ্যতার বিকাশ হয় নাই,হয়েছে প্রয়োজন থেকে।বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের ফলে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আকর্ষণ না থাকলে মানুষ বংশবিস্তার করতো না। মানুষ বংশবিস্তার না করলে পৃথিবীটাই মানবশূন্য হয়ে যেত। তখন কিসের প্রয়োজন, আর কিসের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। এই সহজ বিষয়টাও বোঝেন না?
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আচ্ছা পুরুষদের ঠিক কোন ধরণের পোষাক পরে বের হওয় উচিৎ এ ব্যাপারে দেশের নারী সমাজ কি বলে?
আমাদের দেশের পুরুষগণ নারীদের পোষাক আশাক, চাল চলন ইত্যাদি বিষয়ে প্রচুর আলোচনা করে থাকে, সে হোক বোরখা পরিহিতা অথবা সাধারণ পোষাকে কিছু না কিছু কুটুক্তি করবেই। কুটুক্তি, অপমানজনক কথা বার্তা তাকে বলতেই হবে তা না হলে বন্ধু মহলে সে বৈজ্ঞানীক ভাবে সু-পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
একজন ১৬ বছরের ছেলেও নারীদের পোষাক আশাকের ব্যপারে খুবই এলার্ট, একজন নারীকে ঠিক কোন পোষাক পরা উচিৎ বা কোন পোষাকটি পরা উচিৎ হয়নি এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে ইত্যাদি বিষয়ে সে খুবই সচেতন এবং বিশেষজ্ঞ। দেশে এত এত নারী বিশেষজ্ঞের কারনে এই ছোট্ট একটি দেশে আজ ১৮ কোটি হাবাগোবা জনগণে ভরপুর।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
পোষাকের জন্য কাউকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা সমর্থন করি না, সেটা লেখাতেই বলেছি। আপনে সম্ভবত পুরাটা পড়েন নি। ১৮ কোটি হাবাগোবা বলেছেন, ওকে। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান, সভ্য, ১৮ কোটির মধ্যে ব্লাইজ পরতে না চাওয়া হাবাগোবারা যাদের ফলো করতে বলে, সেই পশ্চিমা বুদ্ধিমানরা নারী ধর্ষণে শীর্ষ হয় কেমনে? আম্রিকার মতো বুদ্ধিমানরা কী করে শীর্ষে আসে? নরওয়ে ফিনল্যান্ডের মতো সভ্যরা কী করে ধর্ষণে শীর্ষ হয়? এখানে ক্লিক করে রিপোর্ট দেখুন।
এটাও ক্লিক করে দেখুন
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সমস্যা নারীর পোশাকে নয়
সমস্যা পুরুষের মগজে। সমস্যা নারীর পোশাকে নয়
সমস্যা পুরুষের মগজে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
খোলামেলা নারী শরীর দেখলে পুরুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জাগবেই। এটা সমস্যা নয়, বৈশিষ্ট্য। সমস্যা তখনই হয়, যখন যে নিজের আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ না করে পোষাকের অযুহাতে কারো উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, কিংবা কটুক্তি করে। মানুষকে তো বিবেক দেয়া হয়েছে, সে বিবেককে কাজে লাগিয়ে নিজের সেসব আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
তবুও যদি এটাকে সমস্যা বলেন, তাহলে বলতেই হয় সেই সমস্যাটা আপনার বাবার ছিল বলেই আপনার জন্ম হয়েছে। আবার আপনার যদি এই সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি বাবা হতে পারবেন না। আরো খোলাখুলি বললে, বউ বলে কেউ আপনার সাথে থাকবে না।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০
কামাল৮০ বলেছেন: পৃথীবি লক্ষ লক্ষ বছর মানব শুন্য ছিলো।তাতে বিকাশ বন্ধ ছিলো।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ভালোমতো পড়ুন। মানবসভ্যতার বিকাশ, আর পৃথিবীর বিকাশ এক নয়।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৯৭০এর আগে খুব অভিজাত ও অবস্থা সম্পন্ন নারী বাদে ৯০% নারীর গায়ে ১২ হাত শাড়ী বাদে ব্লাউজ ছিল না।
কোরান হাদিসেও যে জিলবাবের কথা বলা হয় সেটাও শাড়ীর মতই একটা কাপড় বা চাদর। ১ পিস , নো ব্লাউজ।
পর্দা কতটুকু করতে হবে?
ইসলামে তথা কোরান হাদিসে পর্দা করার আদেশ খুব একটা স্পষ্ট নয়।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। পবিত্র কোরানে, পরে বিভিন্ন হাদিসে সবকিছু লিপিবদ্ধ করা আছে কে কিভাবে খাবে, কি কি খাওয়া যাবে না, রাস্তায় কিভাবে হাঁটবে, কিভাবে টয়লেট করবে, অজু করবে, কি ভাবে স্ত্রী সহবাস ও দাসী সহবাস, কিভাবে কোন পা দিয়ে ঘর থেকে বের হবে সব বলা আছে।
কিন্তু ইসলামী লেবাস পর্দার ব্যাপারে যা শোনা যায় মোল্লাদের বয়ানে। কোরান হাদিসে কিছুই নেই। - মাথা ঢেকে রাখা বা চুল আবৃত করার কোন লিখিত আদেশ কিতাব সমুহে নেই। খুজে পাওয়া যায় নি।
কোরান ও হাজার হাজার হাদিস খুজে যা পাওয়া গেছে পরিধান করা কাপড় টি ভালভাবে আবৃত করার কথা বলা যাতে সুন্দরভাবে আবৃত থাকে।(সুরা আহাজাব)
পরিধেয় বস্ত্র বাদে আরেকটি কাপড় ব্যাবহার করার কথা কোথাও নেই। যেখানে পুরুষদের পাজামার সাইজ পর্যন্ত ঠিক করে দেয়া হয়েছে সেখানে চুল আবৃত করার কথা নেই, হিজাবের কাপড় বা সাইজ কিছুই বলা নেই।
বিভৎস কালো রঙ এর কাপড়ের কথা তো নেই ই। যাহা বলা নেই তাহা ফরজ হয় কিভাবে?
কোরানে পর্দা সম্পর্কে মাত্র ৩ আয়াত, একটি সুরায় (নুর) বিশেষভাবে লজ্জাস্থান (প্রাইভেট পার্টস) ঢাকার আদেশ আছে। এখানেও বাড়তি আরেকটি কাপড় ইউজ করতে বলা হয় নি, স্পষ্ট ভাবে লেখা 'পরিধেয় বস্ত্রটির কিয়দংশ' দিয়ে যতটুকু জড়ানো যায় ততটুকুই, কোন বাড়াবাড়ি নেই। কোরান ও হাজার হাজার হাদিস খুজে যা পাওয়া গেছে পরিধান করা কাপড় টি ভালভাবে আবৃত করার কথা বলা যাতে সুন্দরভাবে আবৃত থাকে।(সুরা আহাজাব)
পরিধেয় বস্ত্র বাদে আরেকটি কাপড় ব্যাবহার করার কথা কোথাও নেই। (সেই আমলে কাপড় এত সস্তা ছিলনা) বিভৎস কালো রঙ এর কাপড়ের কথা তো নেই ই নেই।
পর্দা প্রথার মূল ভিত্তি হিসেবে সুরা নুরকে বিবেচনা করা হয়।
সেই সুরা নুরএ পর্দা (লজ্জাস্থান হেফাজত) করার আগে পুরুষকে বেশি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাস্তায় নারী দেখলে পুরুষের "দৃষ্টি অবনত" রাখার অর্থাৎ না তাকাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Tell the believing men that they shall subdue their eyes (and not stare at the women), and to maintain their chastity.
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে কোন কোরান হাদিস ও ইসলামি কিতাবে কোথাও চুল বা মাথা আবৃত করার আদেশ খুজে পাওয়া যায় না।
এমনকি জ্বাল হাদিস খুজেও মেয়েদের চুল ঢেকে রাখার কোন আদেশ খুজে পাওয়া যায় নি। বরং স্পষ্ট ভাবে লজ্জা স্থান বাদে অন্যান্ন 'প্রকাশিত অংশ' (হাত পা মুখ) খোলা রাখতে বলা হয়েছে, খোদ কোরানের আয়াতেই।
আর চেনার (আইডেন্টিফিকেশন) সুবিধার জন্য মুখ খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে, (সুরা আহাজাবে) স্পষ্টভাবেই।
আমার সবচেয়ে জোরালো যুক্তি হচ্ছে - পর্দা লংঘন করার অপরাধের কোনো শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয় নি কোরান হাদিস বা কোন কিতাবে।
মোল্লাদের কথামত পর্দা বা হিজাব নারীদের বাধ্যতামূলক (ফরজ) ধর্মীয় অনুশীলন হয়ে থাকলে পর্দা লংঘনে অবস্যই শাস্তির কথা উল্লেখ থাকতো। পর্দা বা মাথা আবৃত করা ইসলামে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলে বেপর্দা নারীর জন্য শাস্তির বিধান থাকার কথা।
চুরি, খুন, বে-রোজদার বেনামাজি, জেনা এমনকি মামুলি গীবৎ পরচর্চার মত তুচ্ছ অপরাধের শাস্তির কথা (বেত্রাঘাত, পাথর মারা ইত্যাদি) পর্যন্ত কিতাবে (কোরান-হাদিসে) আছে। কিন্তু পর্দা লঙ্ঘন করা নারীদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই। কেমনে কি?
পর্দার কথা শাস্তির কথা পাবেন শুধু মোল্লাদের ওয়াজে। কোরান হাদিসে পাবেন না।
তাহলে কোন কিতাবে লিপিবদ্ধ না থাকার পরও হিজাব বোর্খা কিভাবে ইসলামের বিধিতে যোগ হল?
সেটা হয়েছে ইসলামের নামে যুদ্ধবাজ দখলবাজদের সুন্দর একটি ইসলাম ধর্মকে 'খুনে ইসলাম' তথা শাসকদের পলিটিক্যাল ইসলাম তৈরি করতে।
নারীদের অন্ধকারে আবদ্ধকরে অবদমন করে বন্দি না করলে, 'ইসলামী লেবাস' শো করতে না পারলে তো মোল্লাদের পলিটিক্যাল ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ধর্ম বিষয়ে এখানে কোন আলাপ করিনি, তারপরেও আপনি ধর্ম টানলেন। আচ্ছা তবুও আলাপ করবো, কিন্তু তার আগে আপনার এই মন্তব্যের ক্রেডিট দেন, অর্থাৎ যার লেখা কপি করেছেন তার নামটাও লিখেন, এটা সাধারণ কার্টেসি।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমেরিকা আর স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশুগুলো ধর্ষণের শীর্ষে!! আরে বাহ তাহলে তো ওরা এখন নারী স্বাধীনাতা, নারী অধিকারের বিষয়ে বংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা ফলো করতে পারে, কি বলেন? যেহেতু ধর্ষণের লিস্টে বাংলাদেশের কোন স্থানই নেই।
আচ্ছা পরিসংখ্যানে ধর্ষনের লিস্টে আমেরিকা আর স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশুগুলোর প্রাধান্য দেখা যাওয়ার মূল কারণ কি তাহলে হাতাকাটা ব্লাউজ? আমরা কিন্তুু ওইসব দেশে প্রচুর পরিমাণে বোরখা এক্সপোর্ট করে বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে পারি, দেশে রিজার্ভের যে অবস্থা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৭
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
শীর্ষে কিনা তার রেফারেন্স কমেন্টেই দিয়েছে, দেখেননি মনে হয়। নারী অধিকার বলতে আপনি কী বোঝেন বা বোঝাতে চান তা আগে ক্লিয়ার করেন, তারপর ফলো করবে না কী করবে সেটা দেখা যাবে।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বী, আমি উক্ত রেফারেন্স দেখেছি, আগেও দেখেছি বহু জায়গায়। আর আমি তো উক্ত পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করতেছি না বা ভুল বলতেছি না।
নারী অধিকার বলতে আপনি কী বোঝেন বা বোঝাতে চান তা আগে ক্লিয়ার করেন
আসলে আমার ভুল হয়েছে, ওখানে "নারী অধিকার না হয়ে হবে "নারী নির্যাতন" মানে নারী নির্যাতন রোধ করার জন্য ওইসব দেশ কি তাহলে বাংলাদেশের, আইন, সমাজ ব্যবস্থা ফলোা করলে ভাল হবে?
ধন্যবাদ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কথা হচ্ছে পোশাক, এবং পোশাকের কারণে হওয়া কটুক্তি নিয়ে, আপনি নারী নির্যাতনে ঢুকে গেলেন কেন? নারী নির্যাতনতো বিভিন্ন কারণে হয়, যেমন যৌতুক, পরকিয়া, সম্পদের ভাগ...... আরো নানান কারণে হতে পারে। কিন্তু সেটা তো এখানে আলোচনা হচ্ছে না। এভাবে খেই হারিয়ে ফেলছেন কেন? ট্রেকে থাকুন।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই মন্তব্যের ক্রেডিট দিতে হলে একমাত্র আমাকেই দিতে হবে।
কারন এই মন্তব্য তথা সম্পুর্ন আমার। আমারই লেখা।
এর আগে এই মন্তব্যটি কিছুটা সংক্ষিপ্তভাবে কিছুদিন এই ব্লগেই কারো কারো পোষ্টে করেছিলাম, তাই আপনার কাছে পরিচিত বা কপি মনে হচ্ছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এক ডাক্তারের গল্প শুনেছিলাম। তাঁর কাছে যেই রোগীই আসে এবং যে সমস্যার কথাই বলে সে সবাইরে প্যারাসিটামল দেয়। কারণ সেটা ঐ একটা ঔষধই চেনে।
পোস্ট দেখে মন্তব্য করতে হয় বুঝেছেন?
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৩
ককচক বলেছেন: পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পোশাক না পরলে সমস্যা।
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা মোটের উপর ঠিকই ছিল। কিন্তু আপনার করা মন্তব্যের নিচের অংশ পড়ে মনে হলো আপনি বেশ ভুল ধারণা নিয়ে আছেন:
"সেই পশ্চিমা বুদ্ধিমানরা নারী ধর্ষণে শীর্ষ হয় কেমনে? আম্রিকার মতো বুদ্ধিমানরা কী করে শীর্ষে আসে? নরওয়ে ফিনল্যান্ডের মতো সভ্যরা কী করে ধর্ষণে শীর্ষ হয়?"
উপরের যে দেশগুলোর কথা লিখেছেন, তাদের সাথে তুলনা করলে আমাদের নারীরা নরকে আছে। এটার কারণ কি সেটার একটা বড় কারণ ধর্মীয় কুসংস্কার। এই অংশটুকু স্বীকার করে নিয়ে তারপরে আলোচনা করা যেতে পারে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আপনি যে কথাটা বলছেন তা সম্পূর্ণ বিপরীতেমুখী বক্তব্য, এবং আপনে আপনার বক্তব্যের কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেন নি। সুতরাং, এই অবস্থাকে যদি আপনি স্বর্গ বলেন, তাহলে তো বলতে হয় নির্যাতন বা ধর্ষিতা হলেই নারি খুশি হয়। তুলনামূলক বেশি ধর্ষন এবং নির্যাতন হওয়ার পরেও যদি বলেন ভালো আছে, তবে ধর্ষণ এবং নির্যাতনকে তো ভালো থাকার উপাদানই বলা যায়। এটা আমার বক্তব্য নয়, আপনার বক্তব্যের লজিক্যাল এ্যানালাইসিস।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: শ্রাবনধারা আপুনির সাথে এক মত পোষন করে আরও কিছু বলতে চাই-
ধর্মীয়, সামাজিক ও গ্রাম্য কুসংস্কারই শুধু না মানুষকে ছোট করার এক ঘৃন্য অশিক্ষিত মানসিকতা এবং একই সাথে নাই কাজ খই ভাজ এবং হাজার কাজ থাকলেও বিনোদনের অভাবে অন্যকে ছোট করে গাল গপ্পো গুজব ছড়িয়ে পাশবিক আনন্দ পাওয়া এ সবই জাঁতির দোষ এখনও প্রাচীন যুগ থেকে ঠিক ঠাক কাটিয়ে উঠতে না পারাই মনে হয় এসব দ্বন্দের কারণ।
পোশাক আসাকের নড়চড়ে সন্মান যায় অথচ সেই নিয়ে কুৎসিত কর্মকান্ডগুলো সঠিক মনে হয় এবং বেশিভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদেরই নাকি সন্মান যায় এবং এটা আবার বাড়ি থেকেই চাপিয়ে দেয় অন্য মেয়েরাই মা খালা চাচী ইত্যাদিরা। আর বাড়ির বাইরে তো ওৎ পেতেই থাকে মানুষরুপী জানোয়ার কিছু কিছু।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ধর্মীয়, সামাজিক ও গ্রাম্য কুসংস্কার অবশ্যই বর্জনীয়। ঝাড় ফু, পানিপড়া, তাবিজ কবজ, জীব জন্তু-দেব দেবীর মুখোশ নিয়ে মোঙ্গলের উদ্দেশ্য মিছিল, সবই কুসংস্কার। সবই বর্জনীয়। তার সাথে এই পোস্টের কী সম্পর্ক?
পোশাকের কারণে কারো প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য বা কুৎসিত কর্মকাণ্ড কোন কুসংস্কার নয়, এটা ঘৃণিত একটা বিষয়, এটা মানুষের কাজ নয়, মানুষের বিবেক বুদ্ধি থাকে। যার বিবেক বুদ্ধি আছে সে কখনো এমন ঘৃণিত কাজ করতে পারে না।
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১
মোবারাক বিন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ বলেছেন প্রিয় সন্মানিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬
সাসুম বলেছেন: আমি কি পোশাক পড়ব সেটা একজন এডাল্ট হিসেবে আমার একান্ত পারসোনাল বিষয়। কোন বরাহ শাবক এসে যদি তার উথিত দন্ড দাঁড়িয়ে যায় এই অজুহাতে আমার পোশাক কন্ট্রোল করতে চায়, তাহলে তাহার সেই বুলুন্দে কঠিন লাথি মারিয়া সেটা ফাটিয়ে দেয়াই একমাত্র সমাধান।
আমি বোরকা পড়ব নাকি বিকিনি পড়ব, সেটা আমার পারসোনাল ম্যাটার। আমারে রাস্ট্র থেকে শুরু করে সমাজ বা কোন চুদির ভাই ফিক্স করে দিতে পারবেনা আমি কি পরব বা কি পরতে পারব না। ( বিঃদ্রঃ এখানে আবার নগ্ন থাকুন আপনি চাইলে, এই আলাপ আনা যাবেনা কারন দুনিয়ার সকল দেশে নগ্ন থাকা ঘরের ভেতরের জিনিষ, বাট বিকিনি বা বোরকা যে স্টাব্লিশড পোশাক, দুনিয়ার কোন না কোন প্রান্তে। সো বিকিনি আর বোরকার আলাপে নেংটা থাকার আলাপ আনা যাবেনা )
একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পৃথিবীর যে কোনও মানুষই দুইটা জীবন যাপন করেন। একটা হইছে তার রাজনৈতিক জীবন, যেইখানে সে কেবলই নাগরিক। সে কালো হোক,সাদা হোক, চিকন হোক,মোটা হোক, ধনী হোক গরিব হোক, ধার্মিক হোক অধার্মিক হোক, খৃষ্টান হোক ইহুদি হোক- রাষ্ট্রের কাছে সে স্রেফ একজন নাগরিক। রাষ্ট্র তার সমস্ত ব্যক্তিগত পরিচয় কিংবা পজেশন ভুইল্লা যায়া তারে একজন নাগরিক হিসাবে ট্রিট করবে৷ এবং সেও রাষ্ট্রের কাছে তার দাবী নিয়া যে হাজির হবে- সেইটা একটা নাগরিক দাবী। নাগরিক হিসাবে তার নিজের দাবীদাওয়ার সীমা তদ্দুর পর্যন্ত,যদ্দুর পর্যন্ত তার দাবী অন্য সহনাগরিকের একই ধরণের ব্যক্তিগত স্বাধীনতারে ডিস্টার্ব না করতেছে।
আরেক হইছে তার ব্যক্তিগত জীবন।এইখানে সে আস্তিক নাকি নাস্তিক,মোসল্মান নাকি হেন্দু,নাকি এহুদি নাছাড়া, ধণি নাকি গরিব, সে বোরকা পরবে নাকি বিকিনি পরবে, সে পাঞ্জাবি গায়ে দিবে নাকি হাফপ্যান্ট পড়বে- এইগুলারে নিজের মত কইরা নির্ধারণ করতে পারবে, চলতে পারবে। অন্য সহনাগরিকের সাথে সে এইসব নিয়া আলাপ করতে পারে,কিন্তু অন্য সহনাগরিকেরে তার নিজস্বতার সাথে তুলনা কইরা হেয় করা কিংবা তার মত হইতে চাপ দেওয়া হইলো সিভিল রাইটসের ভায়োলেশন। রাষ্ট্রের কাজ হইলো তখন অরে সমানে বাটাম দেওয়া, যদি রাষ্ট্র লেজিট (!) হয় আরকি। সেইম ভাবে আরেক নাগরিক আইসা যখন আমাকে তার মত করে বোরকা পড়ার বা বিকিনি পড়ার জন্য চাপ দিবে তখন তারে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সকাল বিকাল মাইরের উপর রাখা ফরজে কেফায়া।
আপনি আমার বোরকা মানিয়ে নিতে পারছেন না? চুপ থাকুন। নিজের দন্ড সামলান।
আপনি আমার বিকিনি মাইনা নিতে পারছেন না? চুপ থাকুন, নিজের দন্ড সামলান।
পোশাকের দোহাই দিয়ে কিছু কিছু শুয়োরের বাচ্চা নারীর উপর সেক্সুয়াল টর্চার ও রেপ কে জায়েজ করতে আসে , ঐগুলাকে সবার আগে বাটাম দেয়া ফরজ।
এত কথার আসল কথা, পোশাক দেখে যদি নিজের মাল মাথায় উঠে নারীর উপর ঝাপিয়ে পরতে মন চায়, তাহলে নিজের নুনুর একদম গোঁড়া থেকে কেটে খোজা হয়ে যাওয়া একমাত্র সমাধান।