নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীশিক্ষার ব্যাপারে একটু ধৈর্য ধরুন : তালেবান

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৪



শিক্ষা নারী ও পুরুষ- সব মুসলিমের জন্যই প্রয়োজনীয়- এমন মন্তব্য করে আফগানিস্তান পরিচালনাকারী অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

তালেবানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি বলেন, 'আমাদের সমাজের জন্যই মেয়েদের শিক্ষার দরকার। এই ইস্যুটি পরিস্থিতির আলোকে সমাধান করা হবে।' তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সফররত প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে এই মন্তব্য করেন।

এক্সে (সাবেক টুইটারে) আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, নারীদের অধিকার রক্ষায় প্রতিনিধিদলের তালেবানের কিছুটা প্রশংসা করার জবাবের তিনি ওই মন্তব্য করেন।

২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান প্রশাসন দেশটিতে নারীদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে। এতে বিশ্বজুড়ে তাদের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ওআইসি প্রতিনিধিদলটি হাক্কানিকে বলেন, 'তালেবান নারীদের ওপর নির্যাতন কিছুটা বন্ধ করতে পেরেছে, তাদের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে পেরেছে।'

ওআইসির প্রতিনিধিদলটি বৃহস্পতিবার কাবুলে অবতরণ করে। প্রতিনিধিদলে মুসলিম বিশেষজ্ঞ ও চিন্তাবিদেরা রয়েছেন। তারা আফগান আলেম, সরকারি প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত করছেন।

প্রতিনিধিদলটির সাথে বৈঠককালে তালেবান নেতারা জানান, 'নারী-পুরুষ সবার জন্য শিক্ষা হলো সাধারণ অধিকার'। তারা বলেন, 'ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষাও সমাজকে উন্নতির দিকে নিয়ে যায়।'

হাক্কানি বলেন, 'বিশ্ব যেভাবে বলছে, বাস্তবতা তেমন নয়'। আফগানরা অনেক দয়ালু ও সহযোগিতাপ্রবণ।' তিনি আরো বলেন, 'তালেবান বৈধ প্রতিটি সমস্যার সমাধান করবে।'

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

নতুন বলেছেন: নারীরা বেশি পড়াশুনা করলে স্বামীদের কথা শুনতে চাইবেনা।

তাই তাদের ধর্মীয় পড়াশুনাটুকু করলেই হবে।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭

নাহল তরকারি বলেছেন: পড়ালেখা কার করতে মনে চায়। আমরা ছোট থাকে ঠেকায় পড়ে স্কুলে যেতে চাইতাম।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

নাহল তরকারি বলেছেন: যে শিক্ষায় বউ এর মন বুঝা যায় না, আর যে শিক্ষায় নারীরা স্বামীকে টাকা কামানোর মেশিন চিন্তা করতে শিখায়, সে শিক্ষার আমার কাছে দাম নাই। এই কমেন্ট টি ১ নং কমেন্টকারী “নতুন” এর জন্য।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: তালেবান লাইনে আসতে শুরু করেছে।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

নতুন বলেছেন: নাহল তরকারি বলেছেন: যে শিক্ষায় বউ এর মন বুঝা যায় না, আর যে শিক্ষায় নারীরা স্বামীকে টাকা কামানোর মেশিন চিন্তা করতে শিখায়, সে শিক্ষার আমার কাছে দাম নাই। এই কমেন্ট টি ১ নং কমেন্টকারী “নতুন” এর জন্য।

এই জন্যই তো আপনার জন্য আমপারা ,বেহেস্তী জওর, মোকসেদুল মোমিন খতম দেওয়া নারীর দরকার ছিলো।

আপনি ভুল নারীকে বিয়ে করেছিলেন।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: তালেবানরা এই ঝামেলার মধ্যেই নাই।তাই নারী শিক্ষা বাদ দিয়েছে।মাথাই নেই তাই মাথা ব্যথাও নাই।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

বাউন্ডেলে বলেছেন: আমাদের দেশের অন্ধরা অন্যর সাহাজ্য ছাড়া রাস্তাও পার হতে পারে না । অথচ দেখেন, অন্ধ (ধর্মান্ধ) হয়েও দেশ চালাচ্ছে কাবুলিওয়ালারা। =p~

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তালেবানরা নারী শিক্ষার ব্যাপারে আগের চেয়ে কিছুটা উদার হয়েছে মনে হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকতে হলে অনেক দিক ম্যানেজ করে চলতে হয়। এটা মনে হয় তালেবানরা বুঝতে পেড়েছে। তালেবানরা নারীদের ব্যাপারে কিছু উদারতা দেখালে পশ্চিমা বিশ্ব বিপদে পড়ে যাবে। কারণ তালেবানদের বিরুদ্ধে এটাই বড় অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ আরও অনেক দেশের বিরুদ্ধে করা গেলেও সেটা করা হচ্ছে না। কারণ বিশ্ব রাজনীতি এবং রণনীতি।

তালেবানদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মিডিয়া এক ধরণের নেগেটিভ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। কারণ অ্যামেরিকার সাথে তালেবানরা বহু বছর যুদ্ধ করেছে। তালেবান গঠন করেছিল মুলত আফগানিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা। তালেবানের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে তালিবানের শুরুর দিকের নেতা এবং কর্মীরা মুলত ছিল আফগানিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। শুধু তাই না খোদ অ্যামেরিকা এদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে। তখন নারী নির্যাতন নিয়ে কোন প্রশ্ন অ্যামেরিকা বা কোন পশ্চিমা দেশ করেনি। এখন অ্যামেরিকা শত্রু পক্ষ হয়ে যাওয়াতে তালিবানদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই পশ্চিমের। আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক বেশী ডমেস্টিক ভাইওলেন্স হয় অনেক দেশে। এমন কি বাংলাদেশে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের হার আফগানিস্তানের চেয়ে বেশী। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির কারণে তালিবানদেরকে এই সব ইস্যুতে ধরা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ষণের হার আফগানিস্তানের চেয়ে বেশী। অনেকে বলবেন যুক্তরাষ্ট্রে সব ধর্ষণ রিপোর্ট হয়। কিন্তু আফগানিস্তানে হয় না। কথাটা ঠিক না। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫% বা তার চেয়ে বেশী সেক্সুয়াল ভায়লেন্স রিপোর্ট হয় না। ১০০ জনে ১ বা ২ জনের সামান্য শাস্তি হয়।

নারী এবং শিশু পাচার সবচেয়ে বেশী হয় নর্থ অ্যামেরিকাতে। এটা বিশ্বের মোট পাচারের প্রায় ৫২%। খোদ অ্যামেরিকাতে সেক্স স্লেভ আছে কয়েক লাখ। প্রতি বছর ১৫ থেকে ৫০ হাজার নারীকে সেক্স স্লেভ বানানো হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের পরে নারী পাচার বেশী হয় পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলিতে। এদের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য বা আফগানিস্তানে নারী এবং শিশু পাচার কম হয়। তথ্য উপাত্ত তাইই বলে।

তালেবান যদি তাদের নারীদের ব্যাপারে সতর্ক হয় তাহলে এদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর সুযোগ কমে যাবে।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: সমস্যার সমাধান করে সমস্যা বন্ধ করে দিয়ে। আফগান নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি এমন সমস্যা তৈরি করেছিল যে তাদের পড়াশোনাই বন্ধ করে দিতে হল?

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

রিদওয়ান খান বলেছেন: তালেবান কখনোই নারী শিক্ষার বিপক্ষে ছিলো বলে মনে হয়না। মূলত তালেবানসহ ইসলামি ভাবধারার সবাই চায় নারী-নারী-পুরুষের আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা। হয়তো এজন্যই এরা সময় চাচ্ছে। গঠনমূলক কিছু করবে বলে আশা করা যায়।

অবশ্য আজকে যারা নারী শিক্ষা নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারী স্বাধীনতা এসব বলে বেড়ায় তারাই আবার প্রশ্ন উঠায় নারীকে কেনো বোরখা পড়ে শিক্ষা অর্জন করতে হবে! বোরখা পড়লে তারা ঘরেই থাকুক! আশ্চর্য রকমের মানসিকতা এদের। যদি নারী অধিকার-নারী স্বাধীনতা নিয়েই বলিস তাহলে যে নারী তার অধিকার নিয়ে বোরখা পড়ে ক্লাসে যাচ্ছে তার ব্যাপারে কেন প্রশ্ন তুলিস? তখন নারী স্বাধীনতা কোথায় গেলো? তখন নারী শিক্ষা কোথায় গেলো? আশ্চর্য।
এরাই বলবে মাদ্রাসার স্টুডেন্টরা জাতির জন্য বোঝা! আবার মাদ্রাসার স্টুডেন্ট যখন ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় স্কোর করবে তখন বলবে ভার্সিটিগুলো মাদ্রাসায় পরিণত হচ্ছে! :D হাউ সেলুকাস!! আমার মনে হয় তখন এদের মাথায় গোবরে পোকা কিলবিল করে খাবলায় যার জন্য কী বলে নিজেও জানেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.