নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি বিভিন্ন উল্টাপাল্টা এবং সত্য মিথ্যা সংমিশ্রণে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের উপর তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। আমার এই পোস্টে তার পোস্টের বিভিন্ন বক্তব্যের সত্যতা, যৌক্তিকতা যাচাই, এবং জবাব দেয়া হবে।

১. শিরোনাম। প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

কারণ পোগোতিশীল বাঙ্গুরা উৎসবের মধ্যে নিজেদের মনগড়া ইতিহাস এবং সাংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

এবার আসাযাক জঙ্গি এবং রাজাকার বিষয়ে। প্রথমত দেশে বড়দাগে ২০০১ সালে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন রমনার বটমূলে, ২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন একযোগে ৬৪ জেলায়, এবং ২০১৬ সালে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা হয়। যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল প্রত্যেকেই হামলাকারীদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়েছে। ইসলামের নাম ভাঙিয়ে করা এসব জঙ্গি কার্যক্রম বাংলার আপমার মুসলিম জনতা সর্বদাই প্রত্যাখ্যান করেছে, এমনকি মসজিদে মসজিদে জুমার আলোচনাতেও বলা হয়েছে, ইসলাম কখনোই এসব সমর্থন করে না।

দ্বিতীয়ত রাজাকার বলতে তিনি যাদের বুঝিয়েছে তার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে গেছে। পাকিস্তান এখন মরা শাপ, যার দ্বারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার বিন্দু মাত্র সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে রাজাকার হচ্ছে ভারতের দালালেরা। এই ভারত বাংলাদেশকে দখল করার চক্রান্তে আছে সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। গোবিন্দ প্রামানিক এবং শ্যামলী পরিবহনের মালিক সরাসরি সেটা বলেছে, ইন্টারনেটে সে ভিডিও ঘুরেও বেড়াচ্ছে। তাছাড়া লক্ষ্য করেছি বর্তমানে শাহবাগী পোগোতিশীল বাঙ্গুদের মধ্যে বিশাল সংখ্যক দেশ বিরোধী ভারতীয় রাজাকার রয়েছে।

এবার দেখা যাক সমস্যাটা কোথায়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলার মানুষের কিছু ধর্মীয় মূল্যবোধ রয়েছে, এই মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক কৃষ্টি কালচার কলিকাতা হতে আমদানি করে জোরপূর্বক বাংলার মুসলিম জনতাকে খাওয়ানোর অপচেষ্টায় নেমেছে বাংলার পোগোতিশীল বাঙ্গুরা, আর তখনই সৃষ্টি হচ্ছে সংঘাত। আর এই সংঘাতে লড়ার জন্য বাঙ্গুরা তোতা পাখির মতো কয়েকটা শব্দ শিখে নিয়েছে, যেমন মৌলবাদী, জঙ্গি, রাজাকার, পাকিস্তানি ইত্যাদি ইত্যাদি। কৌতুকের বিষয় হলো, সবকিছু আপডেট হচ্ছে, কিন্তু বাঙ্গুরা অর্ধ শতাব্দীর ধরে মৌলবাদী, জঙ্গি, রাজাকার, পাকিস্তানি ইত্যাদি শব্দাস্ত্র বুকে ধারণ করেই বেঁচে আছে। নতুন কোন অস্ত্র আবিষ্কার করতে পারেনি। আর এই শব্দাস্ত্র গুলো বাঙ্গুরা দেশের ৯০% মানুষের উপর প্রয়োগ করছে, যারা কলিকাতা হতে বাঙ্গুদের আমদানিকৃত সনাতনী কৃষ্টি কালচার গ্রহন করছে না।

প্রমান চান? তাহলে বাঙ্গু স্বকৃত নোমানের কথাই ধরি, 'আলহামদুলিল্লাহ' বলাতে তার সমস্যা, অথচ তিনি নিজে একই অনুষ্ঠানে একই সময়ে 'আঙ্কেল', 'ব্রাদার' ইত্যাদি বিদেশি শব্দ ব্যাবহার করছে সেটাতে সমস্যা নেই। অর্থাৎ মানুষ সেচ্ছায় যেটা গ্রহন করছে সেটায় ইসলামের মোরালিটি থাকায় বাঙ্গু নোমানের সমস্যা। বিপরীতে হিন্দু ধর্মের আচার 'রাখি বন্ধন' হাতে পরে ফেসবুকে পোস্ট করে সে নিজেকে সেকুলার প্রমান করছে, হিন্দু ধর্মের আচার, কপালে তিলক দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তারা নিজেকে সেকুলার প্রমান করে। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলিখেলায় অংশ নিয়ে তারা নিজেদের সেকুলার হিসেবে তুলে ধরে। ছবিতে দেখুন, মঙ্গল শোভাযাত্রা মুন্নি শাহা যে পোশাক পরেছে, তাতে যে ছবিটা আঁকা সেটা কি দুর্গার আকৃতি হতে নেওয়া না? দেবদেবী মূর্তি, যেটা ইসলাম স্পষ্টতই নিষিদ্ধ সেটাকে আপনি মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণ করতে বলবেন, আর অমনি তারা সেটাকে গ্রহণ করবে? গ্রহণ না করলে তারা মৌলবাদী? তাহলে এতো বছর ধরে বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ কুরবানির ঈদে গরু কুরবানি করে আসছে সেটাকে বাংলার সর্বজনীন ঐতিহ্য এব্যং সাংস্কৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে হিন্দুদেরও তাতে অংশগ্রহণ করতে বলেন? হিন্দুধর্মের ধর্মীয় বিষয়গুলোকে বাংলার সর্বজনীন ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করলে, মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়গুলোও করেন। তবেই না বঝুব আপনি অসাম্প্রদায়িক, অন্যথায় আপনি সেকুলারিজমের মুখোশ পরা হিন্দুত্ববাদীদের দালাল বৈকি।

দেখুন ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস নিয়ে কারো কোন সমস্যা নেই, বাংলার মানুষ সেটা পালন করে। বাংলার ঐতিহ্য, ঢেঁকি, লাঙ্গল, কাস্তে, নৌকা, কুলা, পালকি, কৃষি কাজে ব্যাবহৃত সরঞ্জাম। আগে বৈশাখ এলে বৈশাখী মেলা হতো, মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়তাম, নৌকাবাইচ দেখতাম, ষাঁড়ের লড়াই, লাঠি খেলা ব্লা ব্লা ব্লা কত কী হত। অথচ ভারতীয় রাজাকারের বাচ্চা পোগোতিশীল বাঙ্গুরা কোলকাতা থেকে আমদানি করা কিছু সিম্বল যেমন, প্যাঁচা, হাতি ঘোড়া, ময়ূর, দেব-দেবীর মুর্তি ইত্যাদি বানিয়ে বিশেষ মিছিলকে বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য বানিয়ে ফেললো। যে সমস্ত প্রতীক সনাতন ধর্মের ধর্মীয় মোরালিটি হতে এসেছে। মুন্নি সাহার পোষাকের ছবি দেখলেই সেটা প্রমানিত হয়। সুতরাং দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর এটা প্রত্যাখ্যান করাটাই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র সনাতন ধর্মের ধর্মীয় মোরালিটিতে কারনেই যে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিষয়টি এমনও নয়, বিষয় হচ্ছে, ইসলামে দেবদেবী মুর্তি বিষয়টি নিষিদ্ধ। মূলত এই কারণেই দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী এই মঙ্গলশোভাযাত্রা প্রত্যাখ্যান করেছে, বৈশাখ নয়। যেমন আপনি রোজার ঈদে আপনার সনাতন বন্ধুকে দাওয়াত দেন, তিনি গ্রহণ করবে, কিন্তু কুরবানির ঈদে দাওয়াত দিতে পারবেন? পারবেন না। কারণ ঈদ সনাতনদের কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে গরু কুরবানি। ঠিক তেমনই সনাতন ধর্মের মোরালিটি হতে আপনি মোঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরি করলে সমস্যা নাই, সমস্যা হচ্ছে প্রানী এবং দেব-দেবীর মুর্তি। দেবদেবীর মূর্তিতেও সমস্যা হতো না, যদি আপনি আপনার মতো করে সেটা করতেন। কিন্তু না, আপনি সেটা না করে, কয়েক বছর আগে শুরু হওয়া একটা বিষয়কে সর্বজনীন বাঙালির ঐতিহ্য বানানোর অপচেষ্টা করছেন এবং সেটা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, আর তখনই মূলত তৈরি হচ্ছে কালচারাল ওয়ার। আর এই ওয়ারে লড়াতে মৌলবাদ, জঙ্গি, পাকিস্তান ব্লা ব্লা ব্লা... তোতা পাখির মতো কয়েটা মুখস্থ শব্দ ছাড়া আর কোন অস্ত্রই আপনার নেই, কোন যুক্তিই আপনার কাছে নেই। তাছাড়া রাষ্ট্র যেহেতু গনতান্ত্রিক, সুতারং দেশের অধিকাংশ জনতা যেভাবে চায় সেভাবেই চলা উচিত।


আপনে যা খাওয়াবেন তাই খেতে হবে?, না খেয়ে সমালোচনা করলেই আপনি মুখস্থ কয়েকটা শব্দ তথা জঙ্গি, জামাত, শিবির ইত্যাদি বলে ঘৃণা ছড়াবেন? এটা কেমন কথা! গরু কুরবানির সময় আপনি বলবেন কুরবানি না দিয়ে দান করা হোক, ইফতার পার্টিতে আপনি বলবেন অর্থ অপচয়? অথচ দুটো দ্বারাই মানুষেন প্রথম এবং প্রধান মৌলিক চাহিদা (খাদ্য) পূরনের ব্যাবস্থা করা হয়, অর্থাৎ এটার উপযোগিতা আছে। বিপরীতে আমি যখন বলছি মঙ্গল শোভাযাত্রা না করে দান করতে তখন আপনি মৌলবাদী, জঙ্গি, পাকিস্তানি বলে এ্যাটাক করবেন? আমি যখন বলছি ১৪ কিলোমিটার আল্পনা না করে দান করে দিতেন তখন আপনি মৌলবাদী, জঙ্গি, পাকিস্তানি বলে এ্যাটাক করবেন? আপনি আপনার মতো করে উৎসব পালন করতেন কোন সমস্যা ছিল না, কিন্তু যখন আপনি আমার উৎসব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তখন আমিও আপনার উৎসব নিয়ে প্রশ্ন তুলবো। আপনি কুরবানি নিয়ে প্রশ্ন না তুললে, আপনি ইফতার নিয়ে প্রশ্ন না তুললে, আপনি কুরআন আবৃত্তি নিয়ে প্রশ্ন না তুললে, আমারও প্রয়োজন ছিল না আপনার মূর্তি বানানো বা আলপনা আঁকার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলার, আদতে মানব জীবনে যার কোন উপযোগিতাই নেই।


আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। ( দুটোই ভুল কথা)
এক. কেবল বাঙালী নয়, মোটামুটি পূর্ব তিমুর ছাড়া প্রায় প্রত্যেক জাতীকে প্রান দিয়েই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে।

দুই.
১৯৫৯এর মুসলিম লীগের কনফারেন্সে সিধান্ত হয় পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক ভাষা হবে বাংলা। শুধু পূর্ব বাংলা নয়, প্রত্যেক প্রদেশের স্ব স্ব ভাষাকে প্রাদেশিক ভাষা করা হবে, এবং উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করা হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হলেও বাঙালী সহ প্রত্যেক প্রদেশের মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায়ই কথা বলতে পারবে। তার মানে আমরা নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দেইনি, নিজের ভাষাকে (বাংলাকে) রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য প্রান দিয়েছি। এবং যেহেতু পাকিস্তানে বাংলা ভাষাভাষী ছিল ৫৭% সুতরাং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিও যৌক্তিক ছিল, মাত্র ৭% ভাষাভাষীর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিকতা ছিল না।

পৃথিবী যখন দিনে দিনে কুসংস্কার অন্ধকারকে জয় করে চাঁদের মত একটা একটা গ্রহ উপগ্রহকে জয় করছে তখন
মৌলবাদী রাজাকার জঙ্গিরা দেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশকে ব্রেন ওয়াশ করে অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে।


হু, পৃথিবী যখন দিনে দিনে কুসংস্কার অন্ধকারকে জয় করে চাঁদের মত একটা একটা গ্রহ উপগ্রহকে জয় করছে তখন বাঙ্গু পোগোতিশীল ভারতীয় রাজাকারের বাচ্চারা হাতি ঘোড়ার কার্টুন আবিষ্কার করে মঙ্গল গ্রহে যাত্রা করছে, হা হা হা।

দেশের কিছু ভন্ড ধর্মান্ধ আর বুয়েট মাদ্রাসার কিছু মৌলবি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হনুমান বিশেষজ্ঞ সেজেছে।

সোজা বাংলায় বললে, শাহবাগ এবং চারুকলার বাঙ্গুরা যেটা বলবে সেটাই বিজ্ঞান, বুয়েটের বিশেষজ্ঞকেও সেটা গ্রহন করতে হবে। না করলে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরাও মৌলবাদী হিসেবে গণ্য হবে, হা হা হা। কবির কন্ঠে কন্ঠ মিলি বলতে হয়,
হে চারুকলা-শাহবাগ , তুমি মােরে করেছ মহান।
তুমি মােরে দানিয়াছ বিজ্ঞানির সম্মান।



মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এই মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে একটা নিরপেক্ষ লেখা লিখে আজ আমি জেনারেল। তবে সচেতনতা বাড়ছে। বৃহৎ জনগোষ্ঠী কলাবিজ্ঞানীদের আবিস্কার পেঁচা, ময়ুর, মুখোশকে হাস্যকর মনে করে। আর যারা ওখানে যায় তারাও মনে মনে হাসে, কিন্তু ট্যাগ খাওয়ার ভয়ে আর ১ দিনের ফূর্তি মিস না করার জন্য কিছু বলে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম, ডাক্তারের কাছে গিয়ে যে রোগের কথাই বলুক ওষুধ একটাই, প্যারাসিটামল। বাঙ্গুদেরও যাই বলেন অস্ত্র একটাই, মৌলবাদী।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিছু কথা:
-সেক্যুলারিজমের নামে যদি দেশে হিন্দুত্ববাদ চালু করা হয় তাহলে তা সেক্যুলারিজম থাকে না।

-পহেলা বৈশাখ কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান না তবে এতে যথেষ্ট হিন্দুয়ানি প্রাভাব রয়েছে, কিন্তু তাতে সমস্যা কি এটা তো আর কেউ ধর্ম হিসেবে পালন করছে না একটা একটা উৎসব বিভিন্ন মেলার মত। মেলা বা উৎসবের মধ্যে তো ঢাক-ঢোল, বাঘ-ভাল্লুক, রাক্ষসের প্রতিকৃতি থাকবেই, কোন মুসলিম তো আর এগুলোকে পুঁজো করছে না।

-ইসলামে সবকিছুতেই এত বাঁধা কেন? গান-বাজনা, নাচানাচি, ছবি প্রদার্শন, আনন্দ, উৎসব, আতশবাজি ইত্যাদিতে এত বাঁধা কেন? সবকিছুতেই কেন আমাদের সৌদিয়ান কালচার ফলো করতে হবে?

-যারা পহেলা বৈশাখ উৎসব পছন্দ করে না তারা তা পালন করবে না ভেরী সিম্পল কিন্তু এটা নিয়ে এত বাড়াবাড়ির প্রয়োজন কি?

-আমি আবার বলছি পহেলা বৈশাখ কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটা যদি ধর্মীয় উৎসব হয় তাহলে দেশের আনাচে কানাচে প্রতিবছর যে সকল মেলার আয়োজন করা হয় তা সব বন্ধ করে দিতে হবে, বন্ধ করে দিতে হবে থার্টি ফ্রাস্ট নাইটের উৎসবও।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




উৎসব এক জিনিস আর উন্মাদ আরেক জিনিস। এরা উৎসবকে পাগল-ছাগলের মতো উন্মাদ বানিয়ে ফেলেছে। মানুষের উৎসব দেখে যেন জীব-জন্তুর লাফালাফি মনে না হয়, সেটাও লক্ষ্য রাখা উচিত।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভারত কখনই এই দেশ দখল করবে না। তারা চায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত এদেশে রাজত্ব করতে ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




সেটা পেলে আর কী চাই? বাঙ্গু রাজাকাররা এই কাজে ইন্ডিয়াকে সহায়তা করছে।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৮

আমি নই বলেছেন: ভাই, যার কথা পোষ্টে বলেছেন ঐটা একটা চরম মাত্রার মুসলিম বিদ্বেশি এবং সাম্প্রদায়ীক কিট, দেশপ্রেমের দও ওর মাঝে আছে কিনা সন্দেহ আছে। একজন অসাম্প্রদায়ীক ব্যাক্তি কখনই কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করেই কিছু লিখবেনা। কিন্তু ঐ কিটটার লেখা পড়লে বোঝা যায় দাড়ী-টুপি দেখলেই ওর গায়ে আগুন ধরে যায়।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মুসলিম সংস্কৃতির একটা প্রভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক, যারা মুসলিম সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে চায় তাদের ঐ সকল সো কলড পোগতিশিলরা জংগী, রাজাকার ট্যাগ দিয়ে চুপ করে দিতে চায়। এ থেকেই বোঝা যায় ওরা কতটা সংকির্ন মনের মানুষ। মাঝে মাঝে মনে হয় ঐ ব্যাটার বাপ-দাদা কেউ রাজাকার ছিল যার কারনে কথায় কথায় রাজাকার শব্দটা ব্যাবহার করে নিজেকে শো-অফ করতে চায়।

এরকম পোষ্টের আসলে দরকার আছে, এছারা ঐসকল সাম্প্রদায়িক কিটগুলো মাথায় উঠে যাচ্ছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের উপর ঘৃণা ছড়াচ্ছে।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: পহেলা বৈশাখে সৌদিয়ানদের এলার্জি কেন বুঝতে পারিনা।

বাংলাদেশ, ভারতের অনেক অংশে, শ্রীলংকা, মায়ানমার, নেপালেও বিহু, বিষূ, বিশাখা, নামে প্রহেলা বৈশাখ উজ্জাপন হয়।

এটা উপমহাদেশের উতসব, হিন্দুধর্মের কোন উতসব না।

আমাদের সমাজের বিরাট অংশ বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মথেকে কন্ভাট হয়ে মুসলমান হয়েছে। সমাজের আচার বিচারে আগের মানুষের অনুসরন করা কাজগুলি থাকবে সেটাই সাভাবিক।

এখন আপনি মুসলমান হয়েছেন বলে যদি কৃস্নচুড়া নামের ভুল কে হিন্দুআনী বলে বদলাতে চান তবে সমস্যা।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




পহেলা বৈশাখে সৌদিয়ানদের এলার্জি কেন বুঝতে পারিনা
নতুন তাইলে নতুন শব্দ পাইছে ;)

বাংলাদেশ, ভারতের অনেক অংশে, শ্রীলংকা, মায়ানমার, নেপালেও বিহু, বিষূ, বিশাখা, নামে প্রহেলা বৈশাখ উজ্জাপন হয়
সম্পূর্ণ পোস্ট পড়েছেন নাকি অর্ধেক পড়েই কমেন্ট করার জন্য উত্তেজিত হয়ে গেছেন? আমি তো বলেছি
পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস নিয়ে কারো কোন সমস্যা নেই, বাংলার মানুষ সেটা পালন করে। বাংলার ঐতিহ্য, ঢেঁকি, লাঙ্গল, কাস্তে, নৌকা, কুলা, পালকি, কৃষি কাজে ব্যাবহৃত সরঞ্জাম। আগে বৈশাখ এলে বৈশাখী মেলা হতো, মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়তাম, নৌকাবাইচ দেখতাম, ষাঁড়ের লড়াই, লাঠি খেলা ব্লা ব্লা ব্লা কত কী হত। অথচ ভারতীয় রাজাকারের বাচ্চা পোগোতিশীল বাঙ্গুরা কোলকাতা থেকে আমদানি করা কিছু সিম্বল যেমন, প্যাঁচা, হাতি ঘোড়া, ময়ূর, দেব-দেবীর মুর্তি ইত্যাদি বানিয়ে বিশেষ মিছিলকে বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য বানিয়ে ফেললো। যে সমস্ত প্রতীক সনাতন ধর্মের ধর্মীয় মোরালিটি হতে এসেছে। মুন্নি সাহার পোষাকের ছবি দেখলেই সেটা প্রমানিত হয়। সুতরাং দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর এটা প্রত্যাখ্যান করাটাই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র সনাতন ধর্মের ধর্মীয় মোরালিটিতে কারনেই যে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিষয়টি এমনও নয়, বিষয় হচ্ছে, ইসলামে দেবদেবী মুর্তি বিষয়টি নিষিদ্ধ। মূলত এই কারণেই দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী এই মঙ্গলশোভাযাত্রা প্রত্যাখ্যান করেছে, বৈশাখ নয়। যেমন আপনি রোজার ঈদে আপনার সনাতন বন্ধুকে দাওয়াত দেন, তিনি গ্রহণ করবে, কিন্তু কুরবানির ঈদে দাওয়াত দিতে পারবেন? পারবেন না। কারণ ঈদ সনাতনদের কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে গরু কুরবানি। ঠিক তেমনই সনাতন ধর্মের মোরালিটি হতে আপনি মোঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরি করলে সমস্যা নাই, সমস্যা হচ্ছে প্রানী এবং দেব-দেবীর মুর্তি। দেবদেবীর মূর্তিতেও সমস্যা হতো না, যদি আপনি আপনার মতো করে সেটা করতেন। কিন্তু না, আপনি সেটা না করে, কয়েক বছর আগে শুরু হওয়া একটা বিষয়কে সর্বজনীন বাঙালির ঐতিহ্য বানানোর অপচেষ্টা করছেন এবং সেটা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, আর তখনই মূলত তৈরি হচ্ছে কালচারাল ওয়ার। আর এই ওয়ারে লড়াতে মৌলবাদ, জঙ্গি, পাকিস্তান ব্লা ব্লা ব্লা... তোতা পাখির মতো কয়েটা মুখস্থ শব্দ ছাড়া আর কোন অস্ত্রই আপনার নেই, কোন যুক্তিই আপনার কাছে নেই। তাছাড়া রাষ্ট্র যেহেতু গনতান্ত্রিক, সুতারং দেশের অধিকাংশ জনতা যেভাবে চায় সেভাবেই চলা উচিত।

আমাদের সমাজের বিরাট অংশ বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মথেকে কন্ভাট হয়ে মুসলমান হয়েছে। সমাজের আচার বিচারে আগের মানুষের অনুসরন করা কাজগুলি থাকবে সেটাই সাভাবিক।
বাঙ্গুরা আসলেই বাঙ্গু, কন্ভাট হয়ে মুসলমান হয়েছে অর্থাৎ যেসব আচার বিচার ইসলামের সাথে সাংঘরসিক তা প্রত্যাখান করেই তো কন্ভাট হয়ে মুসলমান হয়েছে, তাহলে যা প্রত্যাখানই করেছে তা আবার ধরে রাখবে কোন দুঃখে? অবশ্য বাঙ্গু হলে আলাদা কথা, এই স্যাবলাদের ব্যক্তিত্ব নেই এই স্যাবলারা সবই পারে।

এখন আপনি মুসলমান হয়েছেন বলে যদি কৃস্নচুড়া নামের ভুল কে হিন্দুআনী বলে বদলাতে চান তবে সমস্যা
কৃস্নচুড়া নাম তো ইসলামের সাথে সাংঘরসিক নয়, তো কৃস্নচুড়া নাস্ম নিয়ে তো কেউ কিছু বলিনি, এইসব কই পান বলেন তো?

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

তানবির আহমেদ বলেছেন: " ভাই, যার কথা পোষ্টে বলেছেন ঐটা একটা চরম মাত্রার মুসলিম বিদ্বেশি এবং সাম্প্রদায়ীক কিট, দেশপ্রেমের দও ওর মাঝে আছে কিনা সন্দেহ আছে। একজন অসাম্প্রদায়ীক ব্যাক্তি কখনই কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করেই কিছু লিখবেনা। কিন্তু ঐ কিটটার লেখা পড়লে বোঝা যায় দাড়ী-টুপি দেখলেই ওর গায়ে আগুন ধরে যায়।"
তার মত বড় দেশপ্রেমিক ও দ্বীনদার বান্দা এই ব্লগে নাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আমি দেখেছি এরা ঘৃণা ছড়ায়। কিছু বলতাম না, দেখলাম স্বাধীনতা এবং ভাষা আন্দোলন নিয়ে ভুলভাল কথা লিখে রাখছে।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১

নতুন বলেছেন: পহেলা বৈশাখে সৌদিয়ানদের এলার্জি কেন বুঝতে পারিনা ।
নতুন তাইলে নতুন শব্দ পাইছে ;)


ভাই যদি উটে চইড়া পহেলা বৈশাখ পালন করতো তবে আপনও এর বিরোধিতা করতে না B-))

সমস্যা টা বুঝতে পারছি আপনি পেচা, হাতী ঘোড়া পছন্দ করেন না।

তাই আগামীতে আরবিয় তরিকায় করলে আপনার সমস্যা হবে না আশা করি। দেখেন আরবিয়রা সুন্নতি তরিকায় মাসকট বানাইছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:


আমি এজন্যই বলি বাঙ্গুরা একলাইন বেশি বোঝে। আমি আরবিয় তরিকার কথা কোথায় বললাম স্ক্রিনশট দিয়ে দেখান। যুক্তি খুজে না পেয়ে মনগড়া কথা ঠ্যালেন ক্যান? এ জন্যই বলি পড়াশুনা করেন। ভালোমতো পড়েন আমি কী লিখছি।
স্পষ্ট বলেছি
বাংলার ঐতিহ্য, ঢেঁকি, লাঙ্গল, কাস্তে, নৌকা, কুলা, পালকি, কৃষি কাজে ব্যাবহৃত সরঞ্জাম। আগে বৈশাখ এলে বৈশাখী মেলা হতো, মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়তাম, নৌকাবাইচ দেখতাম, ষাঁড়ের লড়াই, লাঠি খেলা, এসব কই গেল? হঠাৎ করে বাঙ্গুরা দেবদেবী মূর্তি যুক্ত করে সেটাকে বাংলার সাংস্কৃতি বানিয়ে দিলো, মুন্নি সাহার পোশাকের ছবি দেখলেই তো সেটা বোঝা যায়।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নতুন বলেছেন: পহেলা বৈশাখে অনেকেই হালখাতা করেন। হিন্দু ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মী-গণেশ পুজো করেন।

তাই হিন্দুরা যদি পহেলা বৈশাখে এমন জামা বানিয়ে পরে তবে সমস্যা কি?

আপনি বাংলার ঐতিহ্যের হাজারো জিনিসের কথা বললেন কিন্তু সৌদিয়ানরা একটা জিনিস ভুলে যায় সেটা হইলো মাটির পুতুল, প্রানী, খেলনা ও ছোট বেলার মেলায় পাওয়া যাইতো। ( ঐটা হারাম তাই আপনি চেপে গেছেন )

মেলায় পুতুল নাচ হইতো। (ঐটা হারাম তাই আপনি চেপে গেছেন )



২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




এইবার লাইনে আইছেন, স্বীকার করছেন এগুলা হিন্দুদের ধর্মীয় আচার হতে এসেছে।

আবারো বলি আমার পোস্ট ভালো করে পড়েন, আমি তো বলেই দিয়েছি, আপনা যেইভাবে মনে চায় আপনি সেইভাবে বৈশাখ পালন করেন, প্রয়োজন গাছের ফুল ছিড়ে প্রতিমার পায়ে ফেলে পূজা করেন তাতে আমার কোন সমস্যা নাই, কিন্তু এটাকে সর্বজনীন বলে বাংলার স্যখ্যাগরিষ্ট মুসলিমের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিতে যাইয়েন না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ যেটা পছন্দ করছে না সেটা তাদের উপর জোরপূর্বক চাপাতে গেলে দ্বন্দ্ব তৈরি হবে, এবং হচ্ছে। আপনার মনে চাইলে আপনি পালন করে, সমস্যা নাই, প্রয়জনে আপনি যেন সেটা পালন করতে পারেন সেটার জন্য আমি কলম ধরবো।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নতুন বলেছেন: মিস্টর দোকান ছিলো বেশির ভাগই হিন্দুদের।
স্বর্নের ব্যবসা বেশির ভাগই ছিরো হিন্দুদের
সবাই হাল খাতা করতো , তারা পুজাও করতো ঐদিন তাদের ব্যবসার উন্নতির জন্য...

দেশের সকল মেলাতেই হারাম মূতী পাওয়া যাইতো...

২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:১০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



পুতুল নাচ হতো, এটা আমি শুনেছি, তবে কখনো হতে দেখিনি। তবে নাগরদোলায় অনেক উঠেছি, নৌকাবাইচ, লাঠিখেলা, ষাড়ের লড়াই ইত্যাদি দেখেছি, সেই সুবাদেই লেখা, বাইদ্যাওয়ে, যাত্রাপালাও দেখেছি সেটাও লিখতে ভুলে গেছি, ইচ্ছেকৃতভাবে এড়িয়ে যাইনি। কিছুদিন আগে বি:বাড়িয়ার একটা স্কুলের কিছু বাচ্চাকে দিয়ে পুতুল নাচ করানো হয়েছিল, কই সেটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলেনি।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬

নতুন বলেছেন: কিন্তু এটাকে সর্বজনীন বলে বাংলার স্যখ্যাগরিষ্ট মুসলিমের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিতে যাইয়েন না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ যেটা পছন্দ করছে না সেটা তাদের উপর জোরপূর্বক চাপাতে গেলে দ্বন্দ্ব তৈরি হবে, এবং হচ্ছে। আপনার মনে চাইলে আপনি পালন করে, সমস্যা নাই, প্রয়জনে আপনি যেন সেটা পালন করতে পারেন সেটার জন্য আমি কলম ধরবো।

পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী বছর শুরুর উতসব। আপনি হিজরি সাল অনুসরন করলে বৈশাখের অনুস্ঠানে যাবেন না।
এটা মুসলমানের জন্য কাস্টোমাইজ কোন অনুস্ঠান না। আর দেশের মানুষ এটা অপছন্দ করছেনা। কিছু মানুষ করছে। আপনার মুরুব্বীরাও করেনাই। তারা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন আচরনই করেছেন। তারা তাদের ছেলে/মেয়েদের মাটির পুতুল/খেলানা কিনে দিয়েছিলো। তাতে ধর্মনাশ হয়ে যায়নাই।

বর্তমানে কিছু কট্টরপন্হি বক্তা মানুষের মাঝে ধর্মীয় বিরোধ ছড়াচ্ছে।


পুতুল নাচ হতো, এটা আমি শুনেছি, তবে কখনো হতে দেখিনি। তবে নাগরদোলায় অনেক উঠেছি, নৌকাবাইচ, লাঠিখেলা, ষাড়ের লড়াই ইত্যাদি দেখেছি, সেই সুবাদেই লেখা, বাইদ্যাওয়ে, যাত্রাপালাও দেখেছি সেটাও লিখতে ভুলে গেছি, ইচ্ছেকৃতভাবে এড়িয়ে যাইনি। কিছুদিন আগে বি:বাড়িয়ার একটা স্কুলের কিছু বাচ্চাকে দিয়ে পুতুল নাচ করানো হয়েছিল, কই সেটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলেনি।

দেশী মেলায় পুতুল/প্রানীর মূর্তি বিক্রি হইতো এটা দেখেন নাই? আপনার পরিবারের মুরুব্বিরা শিশু/ মেয়েদের জন্য ঐ মূর্তি কিনে দেয়নাই?

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৫

এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান ৫% জংগী ও দেশদ্রোহী রাজাকারদের গদাম দিলেন। ব্যাথা পাইলেইন আপনি! কেম্নে কি ম্যান! রাজাকারদের হয়ে আপনি কান্নাকাটি করেন ক্যারে!

১লা বৈশাখ নিয়ে ছাগুরা প্রতিবছর তো আসলেই ম্যা ম্যা করে। গোফরান ভুল কি বলছে?


আপনার বক্তব্য হুবুহু বাশের কেল্লার এডমিন ছাগুর মত।


"কিন্তু এটাকে সর্বজনীন বলে বাংলার স্যখ্যাগরিষ্ট মুসলিমের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিতে যাইয়েন না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ যেটা পছন্দ করছে না সেটা তাদের উপর জোরপূর্বক চাপাতে গেলে দ্বন্দ্ব তৈরি হবে, এবং হচ্ছে। আপনার মনে চাইলে আপনি পালন করে, সমস্যা নাই, প্রয়জনে আপনি যেন সেটা পালন করতে পারেন সেটার জন্য আমি কলম ধরবো। "


ওরে ছাগল। আমরা সবাই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। সবাই বাঙালী। হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ করেন কেন? আপনার জাত ভাই ঢাবিয়ান, আমি নই, তানবি এরাও দেখি আপনার সাথে কাঠালপাতা চিবাইতাসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.