নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন উৎসব সবার হয়!

১৮ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

ধরুন সামনে ইদ৷ পুরা রমজান মাস জুড়ে প্রচুর বেচাকেনা চলছে৷ পুরা দেশে লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে৷ আমাদের মতো দেশে এ ধরণের উৎসবে ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো হয়৷ সবার পকেটে টাকা চলে আসে৷ টাকা থাকলে সবাই ভালো খায়৷ ভালো কেনাকাটা করে৷ ভালো চলতে চেষ্টা করে৷ এখানে কে কোন ধর্মের সেটা বিচার করে কারো পকেটে টাকা যায়না৷ অর্থনীতির দৃষ্টিতে দেখলে একটি উৎসব সবার৷ দেশের প্রতিটি নাগরিকের৷ একটি উৎসব থেকে সবাই উপকৃত হয়৷

দেশে কোরবানির ঈদ শেষ হলো। এই কোরবানী ঈদের অর্থনীতিও এখন এক লাখ কোটি টাকার বেশি। কোরবানির ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গেছে। এই সংকটের সময় চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ডলার।  কোরবানীর কারণে গ্রামীণ অর্থনীতিও জীবন ফিরে পেয়েছে।

আজ (১৮ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট এক কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদি পশু কুরবানি হয়েছে। কোরবানি হওয়া পশুর এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি বা ৩.৭ শতাংশ বেশি। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কোরবানির ঈদ বড় ভূমিকা রাখে। কারণ গরু ছাগল গ্রামেই বেশি পালন তরা হয়। ফলে যারা গরু ছাগল পালন করেছেন তাদের প্রত্যেকের পকেটে টাকা ঢুকেছে। ঢাকায় দেখলাম কাঠাল পাতা খড়কুটা নিয়েও ব্যাপক ব্যবসা চলেছে। হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদে টাকার লেনদেন হয়নি। গরু কুরবানি হলেও টাকার এই ভাগ হিন্দুদের পকেটেও গেছে। এখন কয়েক মাস তারা টাকা খরচ করবেন। ভালো খাবেন। ভালো জামা কাপড় পড়বেন। ছেলে মেয়েদের পেছনে ব্যয় করবেন। ডাক্তার দেখাবেন। ওষুধ কেনবেন।

একথা ঠিক দূর্গা পূজার ক্ষেত্রেও খাটে। এদেশে ৫ দিনের পূজায় সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ লেনদেন হয়। এ টাকা শুধু হিন্দুদের পকেটে যায়না। পূজার জন্য প্রায় একশ উপকরণ লাগে। ফুল লাগে সবচেয়ে বেশি। এর বেশিরভাগ সরবরাহ করে মুসলমান ব্যবসায়ীরা।

বিদেশ থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর এখন সবকিছুই অর্থনীতির দৃষ্টিতে দেখি৷ দেখতে হয়৷ কারণ সব কিছুর মূলে অর্থ৷ অর্থ সবকিছু পরিচালনা করে৷এভরি ডিসিশন ইজ অ্যান ইকোনোমিক ডিসিশন। যদিও অনেকে সেটি স্বীকার করেন না। তবে অর্থই বলে দেয় আপনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের মতো গরীব দেশে, অভাবের দেশে সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্ম নিয়ে যত সমস্যা৷ স্বচ্ছল দেশে এই সমস্যা নেই৷ যারা এটা ধরতে পারবেন না৷ রাজনৈতিক ডামাডোলের আবর্তে ঘুরতে থাকবেন৷ সবকিছুতে ধর্মের ফ্লেভার মিশিয়ে দেখবেন। ফলে মূল বিষয়টা চোখের সামনে দিয়ে এড়িয়ে যাবে।

এতো গেলো অর্থনীতির দিক। সামাজিক দিক থেকে প্রভাবটা ভাবুন একবার। মানুষ সামাজিক জীব৷ সে অন্যের আনন্দে হাসে৷ বিপদে কাঁদে৷ ধরুন আপনার প্রতিবেশি অন্য ধর্মের৷ তার বাড়ির একজন মারা গেছেন৷ আপনি মানুষ হলে অবশ্যই তাদের কান্না আপনাকে ছুঁয়ে যাবে৷ অমানুষ হলে ভিন্ন কথা৷

এভাবে পাশের বাড়ি উৎসব হচ্ছে৷ তারা আনন্দ করছে৷ সেই আনন্দও আপনাকে ছুঁয়ে যাবার কথা৷ যদি ছুঁয়ে না যায় পরামর্শ দেবো মানুষ হওয়ার গুণাবলি অর্জন করুন৷

এজন্য যারা বলে উৎসব সবার- কথাটা শতভাগ সত্যি৷ সেটা অর্থনীতির দৃষ্টিতে হোক বা সামাজিকতার দৃষ্টিতে হোক৷

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: '' ধর্ম যার যার উৎসব সবার '' শ্লোগানকে জাস্টিফাইড করতে চাচ্ছেন ? উৎসব উপলক্ষে সব ধর্মের ব্যবসায়ীরাই উপকৃত হয় বিধায় আপনি '' উৎসব সবার'' বলতে চাচ্ছেন । কিন্ত মুল শ্লোগানের অন্তর্নিহিত অর্থ এত সহজ সরল নয়।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কঠিনটা কী আমাকে একটু বলবেন!

এই লেখার জবাব তারা পারলে দিক।

যারা বলে উৎসব সবার হয়না- এরা নির্বোধ মোল্লা। অর্থনীতির জ্ঞান নেই। সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞান নেই। কী যে বলে তারা নিজেরাও জানেনা। নব্বই ভাগের বেশি মুসলমানের দেশে একে অপরের উৎসবে গেলে সংখ্যালঘুরা প্রভাবিত হওয়ার কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠরা প্রভাবিত হয়না। ইসলামে তাবলিগের দৃষ্টিতে সবই করা যায়। এতটুকু আক্কলও তাদের নেই।

২| ১৮ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

কামাল১৮ বলেছেন: কোরবানী পালন করা হয় ইব্রাহীমের দেখানো পথে।আরো অনেক আব্রাহামীক ধর্ম আছে।তারাতো এই প্রথা পালন করে না।

কাবা ঘরে অনেক গোত্রের অনেক দেবদেবী ছিলো।প্রধান দেবতার নাম ছিলো আল্লাহ।এই জন্য বলা হয় আল্লার ঘর।বিশেষ একটা দিনে সব গোত্রের লোক জড়ো হয়ে পশু বলি দিতো এবং কাবা ঘরের চার পাশে সাত পাক দিতো।মাথা মুন্ডন করতো এবং একখন্ড কাপড় পরিধান করতো।অনেকে নেংটা হয়ে হাটতো।
আমাদের নবী পৌতলিকদের এই প্রথা বহাল রাখেন।অনেক ধর্মের অনেক প্রথাই আছে ইসলাম ধর্মে।বিস্তারিত লিখলে মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাবে।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এটা কুরবানীর ইতিহাস নিয়ে লেখা নয়। এটা অর্থনীতি নিয়ে লেখা। যা লিখেছি তাতে কোনো অসামঞ্জস্যতা রয়েছে কী না সেটা বলতে পারেন। কোনো পয়েন্ট থাকলে সেটি বলতে পারেন।

সেটি না করে প্রতিটি লেখায় অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করাটাই আপনার বিশেষত্ব। কারণ আপনার ধর্মের বিরোধীতা করা লাগবেই।

বিশ্বাস করেন 'নাস্তিক ও জঙ্গী' এদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমি কনসার্নড।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি আপনার কথা বললেন আমি আমার কথা বললাম।আমার মন্তব্যই আমার পোষ্ট।বিশ্বাস ধার্মিকদের কাজ।আমি প্রমান পেলে,যুক্তিযুক্ত হলে মেনে নেই।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার মানসিক সমস্যা রয়েছে কীনা তা জানতে দ্রুত চিকিৎসকের স্মারণাপন্ন হবেন- আশা করছি। এই পোস্টের সাথে আপনার মন্তব্য কখনোই যায়না। একজন সুস্থ ব্যক্তি সবখানে ধর্মবিরোধী মন্তব্য করবে তা আসলেই সম্ভব নয়। তাছাড়া আপনার মন্তেব্য ইন্টেলেক্চুয়ালিটি বা বুদ্ধিবৃত্তিকতার কোনো ছাপ নেই। অধিক লেখাপড়ার প্রতিফলন নেই। আমি বহু নাস্তিকের লেখা পড়ি। সময়ের সাথে থাকি। তারা কী লেখেন তা দেখি। তা অবশ্যই বুদ্ধিবৃত্তিকতা সমৃদ্ধ। গায়ের জামা কাপড় খুলতে হলে হয় পাগল হতে হয় না হয় উচ্চমার্গীয় আর্ট হতে হয়। এছাড়া জামা কাপড় খুললে সেটা নগ্নতা ছাড়া কিছুইনা। এজন্য আপনার নাস্তিকতা আমার কাছে অবসিন ছাড়া কিছুই নয়।

৪| ১৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩০

ঢাকার লোক বলেছেন: ঢাবিয়ানের পর্যবেক্ষণ‌ উড়িয়ে দেয়ার মত মনে হয় না। বিষয়টা অত সহজ মোটেও না। ধর্মীয় নীতিমালা বলে একটা কথা আছে। আপনার ভাষায় 'মোল্লা'রা যার বিরোধিতা করে, সে অন্যের আনন্দে যোগ দেয়ায় না, অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায়। আওয়ামী লীগের কোন নেতা বিএনপির মিটিং মিছিলে যোগ দেন না, দিলে পরদিনই হয়তো তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হবে! নিজ নিজ ধর্মে নিষ্ঠাবান থাকার স্বার্থেই এ 'উৎসব সবার' এর বিরোধিতা। একজন ধার্মিক বিষয়টাকে এভাবেই দেখবে, ধর্ম যার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় তার কথা আলাদা!

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনি নিজের অজান্তে ওহাবী-সালাফি-জামাতিদের চোখ দিয়ে বিষয়টিকে দেখছেন। সুফিবাদের দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখেন। কোনো মুসলমান নাস্তিক হলেও সে খালেস নাস্তিক হতে পারেনা। তার মানে আল্লাহ সম্পর্কে তার মনে খচখচানি থাকে। কোনো মুসলমান দেবদেবী বিশ্বাস করেনা। তারা ওটাকে মাটির তৈরি একটা জড় পদার্থ ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করেনা। এই বিশ্বাস নিয়ে তারা দুর্গাপূজায় মন্ডপে গেলেই বা কী! এতে ইসলামের কোন ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই। বরং মধ্যযুগীয় চিন্তা। আমার মতে মুসলমানদের মন্ডেপে যাওয়া দরকার। নিরাপত্তার জন্য পাহারা দেয়া দরকার। দেশে মুসলমানদের জনসংখ্যা নব্বই ভাগ। মুসলমানরা মন্ডপে গেলে কে কারে প্রভাবিত করবে!

যে দৃষ্টিকোণে বিষয়টা দেখছেন সেই দৃষ্টি নিয়ে এদেশে ইসলাম প্রচার করা হলে মুসলমানরা এদেশে একটা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি থাকতো। অথচজ আল্লাহর ওলীরা মুসলমান নয় এমন মানুষের সাথে মিশেছেন, খেয়েছেন, তারা অসুস্থ হলে সেবা করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। এর মাধ্যেমে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে। তাবলিগের উদ্দেশ্যে মন্ডপে যাওয়া যায়! বন্ধুত্ব করা যায়। বরং বুদ্ধি থাকলে ফতোয়াটা এভাবে দেয়া হতো যে- যিনি মন্ডপে যাবেন তাবলিগের নিয়তে যাবেন।

ইসলামকে এত সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।

৫| ১৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উৎসব সবার কথাটি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক না। খাঁটি মুসলিম হলে এ কথাটি বলতেন না। শিরক এর সাথে আমাদের উৎসব এর আনন্দ কখনো মিলানো উচিত না।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনি আমার উপরের মন্তব্যসমূহ একটু ভালো করে পড়ে দেখুন। ইসলাম নিয়ে এদেশে সর্বোচ্চ লেখাপড়া করা মানুষ আমি। ১৬ বছর মাদরাসায় পড়েছি। বোর্ড স্ট্যান্ড করেছি বলে বলতে পারি দেশের মাদরাসা শিক্ষায় প্রথম সারির। আপনি সম্ভবত বোমা মারলেও মুখ থেকে একটা আরবী বাক্য বের হবেনা। আুনষ্ঠানিকভাবে ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া করেননি। অথচ হুট করে আরেকজনকে খাঁটি মুসলমান নয় বলে ফতোয়া দিয়ে দিলেন। বুঝতে পারছেন না সমস্যাটা কোথায়! সমস্যাটা এখানেই। এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই উৎসবের বিষয়টা দেখা হচ্ছে। আপনি ওহাবী- সালাফি-জামাতিদের ফাঁদে পড়েছেন।

আর ধর্মীয় ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি শুনে যান, তাবলিগের উদ্দেশ্যে পূজা মন্ডপে যাওয়া যায়। বেশি সংখ্যক মুসলমান গেলে তা অন্য ধর্মের লোকের ওপর প্রভাব ফেলবে। মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে মুসলমানরা প্রভাবিত হয়না।

যে দৃষ্টিকোণে বিষয়টা দেখছেন সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এদেশে ইসলাম প্রচার করা হলে মুসলমানরা এদেশে একটা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি থাকতো। অথচ আল্লাহর ওলীরা মুসলমান নয় এমন মানুষের সাথে মিশেছেন, খেয়েছেন, তারা অসুস্থ হলে সেবা করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে।

ইসলাম সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সর্বোচ্চ শিক্ষা ছাড়া কাউকে খাঁটি মুসলমান নয় বলে ফতোয়া দিলে কেয়ামতের দিন জিহ্বা কাটা হবে। তাছাড়া এসব এমন শব্দ যা একদিকে না একদিকে গড়ায়। হয় আপনার দিকে যাবে, না হয় আমার দিকে।

যাই হোক হুট করে কাউকে খাঁটি মুসলমান নয় এটা বলা ঠিক নয়।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার ব্লগ পোস্টটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রাসঙ্গিক। আপনি যেভাবে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে উৎসবগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।

অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, আপনি সঠিকভাবেই বলেছেন যে, উৎসবগুলো সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। এতে শুধু নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায় নয়, বরং সব সম্প্রদায়ের মানুষই উপকৃত হয়। রমজান, ঈদ, কিংবা দূর্গা পূজা—সব উৎসবই দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলে।

সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আপনার বিশ্লেষণ যথাযথ। অন্যের আনন্দ বা দুঃখ আমাদের স্পর্শ করে, আর এভাবেই আমরা সামাজিক জীব হিসেবে নিজেদের উন্নত করি।

আপনার লেখা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়—আমাদের মতো দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ নয়, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক সম্প্রীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ধন্যবাদ আপনাকে, এমন চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আশা করি আপনার লেখা আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন। বুঝেছেন। খুব সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার পোস্ট যুক্তিসমৃদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশের মমিন মোছলমানরা এখন আর এই যুক্তি মানবে না।
তারা বলবে- উৎসব সবার হলেঃ
১। হিন্দুরা ঈদের নামাজ পড়ে না কেন?
২। হিন্দুরা গরু কোরবানী করে না কেন?


এই আবালরা কোন যুক্তি মানবে না।

ইসলাম একটা কপি-পেস্ট ধর্ম । এটাই বাস্তবতা।




২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাংলাদেশের মমিন মোছলমানরা এ যুক্তি মানবেনা কথাটা ঠিক নয়। আমাকে কী মুসলমান মনে হয়না। ওহাবি-সালাফি-জামাতি ও দু নেশন থিউরিজাত সন্তানরা এটা মানবেনা।

এদেশে সুন্নী সুফিবাদ প্রভাবিত মুসলমানরা ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে ধর্ম যার যার আলাদা, তবে আমরা এক জাত। আমরা বাঙালি জাত। আল্লাহ চেহারায় যে ছাপ দিয়েছেন তা ধর্মের ভিত্তিতে মুছে ফেরা যায়না। গেলে সৌদী আরবের লোকজন বাঙালিদের মিসকিন বলতোনা। দাস হিসেবে দেখতোনা।

ইসলাম কপি পেস্ট ধর্ম নয়। সেমিটিক বা আব্রাহামিক ধর্মগুলো একরকমেরই। তবে ইহুদীরা যেহেতু একেশ্বরবাদী সেজন্য ইসলাম ধর্মের সাথে ইহুদী ধর্মের মিল রয়েছে।

যেমন তারা তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। তারাও রোজা রাখে। আমরাও রোজা রাখি। তারাও তীর্থ দর্শন করেন। আমরাও করি।

ইসলাম সম্পর্কে জানেন না বলে ইসলাম নিয়ে আপনার এত ভঙ্গুর দর্শন। ইসলাম যেটা বলে সব নবীরাই ইসলাম প্রচার করেছেন। ইসলাম তাদের থেকে আলাদা কোনো ধর্ম নয়। তবে আমরা শেষ নবী হিসেবে হযরত দঃ কে মানি। তিনি বেসিক বিষয়ে পূর্বের নবীদের থেকে ভিন্ন কিছু প্রচার করেন নি।

৮| ১৯ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

মেঘনা বলেছেন: হিন্দুরা গরুকে গোমাতা বলে, দেবতা জ্ঞানে পূজা করে। যার জন্য তারা গরুর মাংস খায় না, গরু জবাই করা দেখেনা। বাঙালি মুসলমানদের আবার গরু জবাই না করলে ঈদ হয় না। ফলে প্রতিবেশী মুসলমান যদি কোরবানি ঈদে গরু জবাই করে তাহলে কোন অবস্থাতেই সেই হিন্দু ভালো লাগবে না। তাই কোরবানি ঈদের ক্ষেত্রে পাশের বাড়ি আনন্দ প্রতিবেশী হিন্দুদের আনন্দিত করে না বরং কষ্ট দেয়।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কিছু দিন আগে ভারতের এক অর্থনীতিবিদের বক্তব্য শুনছিলাম। তিনি বলছিলেন, ভারতে পূজায় ৩২ হাজার কোটি রুপির লেনদেন হয়। ধরুন ভারতে ২০ কোটি মুসলমান। তাদের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ মুসলমান একটি করে ছাগল কোরবানি দেন। এতে ২০ হাজার কোটি টাকা ভারতের কৃষকরা পান। ভারতের অনেক প্রদেশে বয়স্ক গরুর কোন অর্থনৈতিক মূল্য নেই। বয়স হলে তারা স্রেফ রাস্তায় ছেড়ে দেন। অথচ এসব গরু বিক্রি হলে ওই কৃষকরা লাভবান হতেন। তার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। সেটির পরিমাণ কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা গরীব হিন্দু-মুসলিম কৃষকের ক্ষতি। যদিও ভারত মাংস রপ্তানীতে পৃথিবীর অন্যতম দেশ।

ওই অর্থনীতিবিদ বলছিলেন, মানুষের খাবারে হস্তক্ষেপ করা, ঘৃণা করা বা অপছন্দ করা ঠিক নয়। কে কী খাবেন তা ঠিক করে দেয়াটাও ঠিক নয়। এ নিয়ে বিরূপ মনোভাব পোষণ করাটাও ঠিক নয়। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হয়। তার মানে ভারতের অর্থনীতিবিদরাও প্রকারান্তরে বলতে চাইছেন, যারা গরু খায় তাদের গরু খাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক। এতে ভারতের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। লক্ষ হাজার কোটি টাকা গরীব কৃষকদের পকেটে ঢুকবে।

যে গরুকে গোমাতা মনে করছে সে গরুকে শ্রদ্ধা করুক। তাতে তো কোনো সমস্যা নেই। এদেশের কোন হিন্দু তার বয়স্ক গরু রাস্তায় ছেড়ে দেয়না। বরং বিক্রি করে দেয়। তারা কী জানেনা- এসব গরু জবাই করা হবে! আপনি নিশ্চিত নন, আপনার পায়ের জুতাটা কোন প্রাণির চামড়ায় তৈরি। এসব আজকাল বাংলাদেশরে কম হিন্দুরাই পরোয়া করেন। তবে হিন্দু ধর্মবলম্বী কেউ গরু জবাই না করলেই হলো। হিন্দুদের গোমাতাকে হত্যা করছি- এমন নিয়ত করে প্রকাশ্যে এটা বলে জবাই না করলেই হলো। এমন করে জবাই করলে তো কুরবানীই হবেনা। গরু কোনো বিষয় নয়। আল্লাহর নবী গরুর মাংস খেয়েছেন- এমন কোনো বর্ণনা হাদীসে পাইনি। এ অঞ্চলে গরু সহজপ্রাপ্য বলে মুসলমানরা গরু কোরবানি দেন।

তাহলে কোরবানী নিয়ে কোন হিন্দুদের অস্বস্তি? তারা আসলে মুসলমানদের যে অংশ উৎসব সবার হয়না বলে তাদের বিপরীত। এই দুই মেরু দেশের জন্য অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ। সামাজিক ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্যও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.