নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাফবচন : লেখালেখি করার চেষ্টা করি। রাজনীতি দর্শণ অর্থনীতি - প্রিয় বিষয়গুলোর কয়েকটি। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সিরিয়াস লেখা এবং অান্তরিক কাজ এবং মানুষ ও সমাজের প্রতি মমত্ববোধ একটা জাতির ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সাফবচন

লেখালেখি করার চেষ্টা করি। সিরিয়াস লেখা এবং আন্তরিক কাজ - এই দুটোর সম্মিলিত শক্তি সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে বলে বিশ্বাস করি।

সাফবচন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাখো রমজানে ছেয়ে গেছে দেশটা

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:১৪

সংশপ্তক ধারাবাহিক নাটকের কথা মনে পড়ে। তখন ৮০‘র দশকের শেষদিক। আজও মনে আছে গভীর আগ্রহে অবাক হয়ে প্রতিটি পর্ব দেখতাম। সূচনায় ট্রিং ট্রিং আবহ সঙ্গীতের তালে তালে ছোট্র মালুর দৌড়ের কথা ভুলতে পারি না। ভুলতে পারি না অনেক সংলাপ। হুরমতির হুংকার ‘না আমি যাব না‘ অথবা মিয়ার ব্যাটার দম্ভোক্তি ‘টাকা আমার চাই‘ আজো কানে বাজে। আর হুমায়ূন ফরীদীকে অমর করে রাখা চরিত্র রমজানকে সেই নাটক দেখা জেনারেশনগুলো কী কখনো ভুলতে পারবে? কানকাটা রমজান আজ দেশজুড়ে মন্দ মানুষের এক চিরন্তন প্রতীক। শহীদুল্লাহ কায়সারের অসাধারণ এক সৃষ্টি। রমজানের একটা সংলাপও ছিল এরকম ‘আমি বারবার নিত্যনতুন তরিকায় ফিরে আসি‘। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রমজান হুরমতিকে এই বলে ধমকায় যে আজ আর সে একা নয়, তার মতো হাজার হাজার রমজান চারদিকে খাইখাই করছে। হুরমতিকে সেই রাক্ষসদের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলার ভয় দেখায়। কিছুদিন পর সত্যি সত্যি রমজানের মতো দেশীয় এক দালালের মাধ্যমে গোরাসৈন্যরা হুরমতির উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এবং একবিংশ শতাব্দীর শুরুর বছরগুলোয় ঠিক একই ধরনের ঘটতে থাকে বাংলাদেশে। কোন অজপাড়াগায়ের রমজানের বাহিনী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র রমনা বটমূলে এবং সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্ররা রমজানের মূর্তি নিয়ে হামলে পড়ে নিরীহ ছাত্রীদের উপর। আরেকটা ডায়লগ খুব মনে পড়ে। জাহেদ এক পর্যায়ে মালুকে বলে ‘দেখবি, একদিন এরকম হাজারো রমজানে দেশটা ছেয়ে গেছে‘।
জানি না ঠিক কোন্ দশকে শহীদুল্লাহ কায়সার সংশপ্তক লেখেন। অনুমান করি পঞাশের শেষ বা ষাটের মধ্যভাগে। তাঁর জন্ম হয়েছিলো ১৯২৭ সালে। সেই হিসেবে মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিলো মাত্র ৪৪ বছর। কী এক অসাধারণ নৈপুন্যে তিনি সৃষ্টি করেছেন চিরকালীন এক খলনায়ক রমজান। তাঁর ভবিষ্যতবাণী আজ নিয়তি বলে মনে হয়। রমজানদের যেন বিনাশ নেই। এরা নানা তরিকায় বারেবারে ফিরে আসে। সেকান্দার মাস্টার যখন রমজানকে অভিশাপ দেয় তখন জাহেদ বলে যে মানুষের বদদোয়াও এদেরর ধ্বংস করতে পারে না। জাহেদের কথাই ঠিক। কোটি কোটি মানুষের অভিশাপও এদের গায়ে আঁচর কাটতে পারে না। মানুষের নির্জীবতাই এদের বংশবৃদ্ধির সবচেয়ে বড়ো নিয়ামক। আজ থেকে প্রায় ছয় দশক আগে শহীদুল্লাহ কায়সার সৃষ্টি করেছিলেন একজন রমজান। আজ লাখো রমজানে ছেয়ে গেছে দেশটা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.