![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয়তমা, এই চিঠি তোমার কাছে যাবার কোনো সম্ভবনা নাই, তবুও লিখছি। অবশ্য যে মানুষটা প্রিয়তমার কাছে লিখা চিঠির প্রথম বাক্যই মিথ্যা দিয়ে শুরু করে তার চিঠি না যাওয়াই উচিৎ ( কেন কোনটাকে মিথ্যা বললাম সেটা বের করা তোমার দায়িত্ব)। এটা পড়ে তোমার বিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক, এটা অনেকটা ছোটবেলায় শিখা 'Myself' প্যারাগ্রাফের মত, নিজেকে নিয়ে করা স্বগতোক্তির সমাহার বলতে পারো। এটা পড়ে যদি আমাকে নার্সিসিস্ট ভাব আমি কিছু মনে করব না কারন আমাকে ভুল বুঝা মানুষ তুমিই প্রথম না। ছোট্ট চিঠির গোড়াতেই বড় ভূমিকা লিখে ফেলার জন্য দুঃখিত।
ফেইসবুক যদি খোলা থাকত হয়ত সবগুলো কথা লিখে তোমাকে পাঠাতাম আর ইনবক্স চেক করলা কিনা এটা দেখতে দেখতেই রাত চলে যেত। কিন্তু এখন? এখন আর গল্প-উপন্যাসের বইয়ে মন লাগেনা, কাহিনী শেষে সব লেখকই প্রতারক ঠেকে। অবশ্য প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা গল্প থাকে, কোনোটার সে নিজেই লেখক আর কোনটা অন্যকেউ তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয়। এদিকে দর্শন তো অনেক আগেই বাদ দিলাম, যে দর্শন তোমার মনকেই বুঝতে পারলনা তা দিয়ে আর কি করব? রাতের আকাশ আর হাতের ক্ষয়িষ্ণু সিগারেট যদি সংগ দিতে না পারে, তখন মাঝে মাঝে তোমার স্মৃতি হাতড়াই, স্পর্শ না পাই, অনুভূতি পেতে তো আর মানা নাই।
আজ গ্যালারি থেকে স্মৃতির স্পর্শ নিতে গিয়ে Edvard Munch এর The Scream চিত্রকর্মটা চোখে পড়ল, অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম, পরে অবচেতন মন নিজেকে পেইন্টিংটার ভিতর ঢুকিয়ে দিল, বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশের সাথে অসম লড়াইয়ে ক্রমশ আতুর আমি, আমার আর্তনাদ শুনার ফুসরত নাই কারো। অবশ্য এজন্য আমার কোনো দুঃখ নাই, যেখানে তুমি শুনলেনা সেখানে অন্য কেউ শুনবে কেন?
আমি জানি, তুমি এ চিঠি পড়ছনা, সম্ভবত এটা কোনো চিঠিই না। তবুও লিখছি কারন, তুমি থাকলে যে কথাগুলো বলতাম সেগুলো জমে পাথর হয়ে আছে। এই ভারী মাথা নিয়ে আর চলতে পারিনা। আকাশে অনেক মেঘ করেছে, কিছুক্ষণ পরেই হয়ত অনুভূতির সৈন্যসামন্ত নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে জমিনে। আমারও তো একটা জমিন দরকার......
ইতি
তোমার একদা প্রিয়তম
©somewhere in net ltd.