নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"লং ট্যুর" এর চতুর্থ ধাপ !! বান্দরবান থেকে সোজা কক্সবাজার, কক্সবাজার রাত্রি যাপন করে ভোরেই টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা, কারন নির্দিষ্ট সময়ের (সকাল ৯.৩০) মধ্যে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের জাহাজ ছেড়ে যায়,এই সময় না হলে যাওয়া যাবেনা, আবার পরেরদিন যেতে হবে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই টেকনাফ পৌঁছে গেলাম, জাহাজের টিকেট আগেই কাটা ছিলো। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগে জাহাজে উঠা যাবেনা, নাস্তা করে সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষা ফুরিয়ে ৯.৩০ টা বাজলো, আমরাও সবাই একে একে জাহাজে উঠে গেলাম। যে যার মতো সিটে বসলাম।
কিন্তু সিটে কি আর মন বসে? একে একে সবাই জাহাজের উপরে ডেকে চলে গেলাম, আবার কেউ কেউ সিটেও বসে ছিলো, কেউ কেউ ঘুমাইছে আবার কেউ কেউ ফোনে গ্যাঁজাইছে !! সত্যিই অসাধারণ লাগছিলো যখন জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে থেকে মায়ানমারের সীমান্ত দেখা যাচ্ছিলো, নাফ নদীতে ছোট ছোট নৌকায় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, সাদা বকের উড়োউড়ি, ট্রলারে করে মাছ ধরার দৃশ্য, সবকিছুই ছিলো উপভোগের মতো। আর এমন জার্নি যদি লাইফে প্রথমবারের মতো হয় তাহলেতো আনন্দের সীমানা থাকার কথাই না, যেমনটা আমার হয়েছিলো।
আড়াই ঘন্টা পরেই আমরা সেন্টমার্টিন পৌঁছে গেলাম, তারপরে আগ থেকেই বুক করা হোটেলে চেক ইন করালাম। তারপরেই আমরা সোজা চলে গেলাম দ্বীপের মাঝে, আমাদে খুব সুবিধা হয়েছিলো, কারন আমাদের রিসোর্টটা ছিলো দ্বীপের পাশ ঘেষেই। শুরু করলাম সেন্টমার্টিন এর নীল জলরাশির ঢেউয়ের সাথে মাতলামি। পানিতে নামতে গিয়ে অবশ্যই আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, নয়তো ভয়ঙ্কর ধারালো কোরাল(প্রবাল) এর একটু স্পর্শে আপনার পা কেটে যেতে পারে, একটু জোরে আঘাত লাগলে কাটা যাবেই যাবে। কিছুক্ষন জলকেলি খেলে আমরা সব বন্ধুরা চলে এলাম উপরে। এবার হবে ফুটবল খেলা। রোল নাম্বার জোড় আর বিজোড় ভাগ করে দুই টিম করা হলো। প্রায় আধা ঘন্টার ম্যাচে জোড় দল বিজোড় দলকে ১ গোলে পরাজিত করে।
কিন্তু এই জয়ে জোড় দলের কোন মাহাত্ম্য নেই, কারন জোড় দলে স্যার খেলছিলো তাই আমরা বিজোড় দল ইচ্ছে করে গোল দেইনি, অবশ্য জোড় দলের সবার মধ্যে স্যারই ভালো খেলছিলো, স্যারের শর্ট, পাসিং, বল রিসিভ, ড্রিবলিং সবকিছুই ছিলো দূর্দান্ত। আমরা গোল না দেওয়ার আরেকটা কারন ও ছিলো কারন শর্ত ছিলো যারা গোল খাবে তারা টি শার্ট খুলে ফেলতে হবে, তাই স্যারকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে গিয়ে পুরো জোড় দলটাই বেঁচে গেলো। আর তারাই কিনা পরে বাহাদুরি দেখায় আমাদের সাথে...
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে সবাই রিসোর্টে ফিরে গেলাম, লান্স শেষ করলাম যে যার মতো গ্রুপ করে। বিকালে যে যার মতো গ্রুপ করে বা অনেকে মিলে প্লান করে বের হলো, একদল ছেঁড়া দ্বীপ গেলো সাইকেল যোগে, কেউ কেউ সেন্টমার্টিনের একপ্রান্ত থেকে শুরু করে অপর প্রান্ত ঘুরে বেড়ালো। এই দুয়ের মাঝে দুটোই ছিলো খুব মজার, বিকালের সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামতে লাগলো, আর ঠিক সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে চন্দ্রে আকর্ষনে জোয়ার আসতে লাগলো। স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম, সূর্যের টানে ভাটা পড়ে, আর চন্দ্রের টানে জোয়ার আসে। যার বাস্তব প্রমান সেন্টমার্টিন গিয়ে পেলাম।
সন্ধার পরে রাত্রির দৃশ্য আরো মুগ্ধকর, আরো রোমান্টিক। নিরিবিলি রিসোর্টের পাশে দোলনায় শুয়ে সমুদ্রের গর্জন, যুবতী নারীর কোমরের মতো সমুদ্রের ঢেউ, সাথে হালকা মিউজিকের শব্দ নয়তো পাগুলে বন্ধু গুলার ঢোল আর বিভিন্ন গানের শব্দ। আহ এ যেনো মুগ্ধতায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া....
রাত বাড়তে লাগলো, আর রাতেই আমাদের মাছের বার্বিকিউ'র পার্টি ছিলো, শরীর অসুস্থতার কারনে আমি দশটায় ঘুমিয়ে গেলাম।সম্ভবত রাত দুইটায় বার্বিকিউ পার্টির জন্য ডাক পেলাম, কিন্তু উঠে যাওয়ার সাধ্য আমার ছিলোনা। আমি সেই একই ঘুমে সকাল আট টায় জেগে উটলাম। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষে দিনের শুরুটা নারিকেল জিঞ্জিরার কচি ডাব দিয়েই শুরু করলাম !! দিনের আলো বাড়তেই আবার শুরু আমাদের মাস্তি, সেন্টমার্টিন আসলাম, বীচের পাড়ে, বালুর উপর সাইকেল না চালালে যে চলেইনা, সাইকেল ভাড়া নিয়ে সাইকেল চালানো, সেতো শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর কয়েকজন মিলে একসাথে চালালে সেই মজাতো লিখে কিংবা বলে প্রকাশ করা যাবেনা।
গেলাম স্যার হুমায়ুন আহমেদের "সমুদ্র বিলাস" নামক রিসোর্টে দেখতে, কিন্তু শুধু বাহির থেকে দেখেই খুশি থাকতে হয়েছে, ভিতরে ডুকার অনুমতি নেই, অনেক কাকুতি মিনতি করেও অনুমতি পাওয়া গেলোনা। ফিরে এসে সবাই চলে এলাম রিসোর্টে। সময় যে অনেক হলো এবার ফেরার পালা, ব্যাগ গুছিয়ে যে যার মতো লান্স করে এলাম। কারন তিনটায় জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আমরাও আড়াই টায় রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে পড়লাম। দিনভরা মাস্তি, উচ্ছ্বাস, আনন্দ, রাতভরা বিভিন্ন লিজেন্ডের লিজেন্ডারি বানী, বিভিন্ন মজার মজার গল্প, দেখে আসা মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, নীল জলের ঢেউয়ের স্পর্শ, সবকিছু অসাধারণ হলেও অপ্রাপ্তি কিংবা আপসোস একটা জাগায় এসে একটা সময় থেকেই যায়, বেড়েই যায় !!
#সেন্টমার্টিন
#LongTour2K18
#Dept_of_CSE_DUET
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৯
সাইফুল্যাহ আমিন বলেছেন: আমি চেষ্টা করছি লেখার মাঝে ছবি দিতে এবং সাথে ছবির ক্যাপশন ও দিতে। কিন্তু পারছিন, একটু দেখিয়ে দিবেন কি স্ক্রিনশট দিয়ে। ভালোবাসা নিবেন।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
ছবির নিচে দুই এক লাইন লিখলে ভালো হতো।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২০
সাইফুল্যাহ আমিন বলেছেন: আমি চেষ্টা করছি লেখার মাঝে ছবি দিতে এবং সাথে ছবির ক্যাপশন ও দিতে। কিন্তু পারছিন, একটু দেখিয়ে দিবেন কি স্ক্রিনশট দিয়ে। ভালোবাসা নিবেন।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪১
পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর বর্ননার সাথে সুন্দর ছবি পোষ্ট। শেষের ছবিটা স্কুইডের। সমুদ্র বিলাস একসময় কুড়েঘর ছিল এখন তাহলে রিসোর্ট হয়েছে ?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২২
সাইফুল্যাহ আমিন বলেছেন: হ্যাঁ সমুদ্র বিলাস এখন রিসোর্ট হয়েছে, কিন্তু দর্শনার্থী বা ট্যুরিস্টদের ডুকতে দেয়না। আর শেষের ছবিটা অক্টোপাসের, স্কুইডো কি(আমি চিনিনা), এটা জেলেদের জালে উটছে?
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: ঝুড়িতে যে ছোট ছোট মাছগুলি দেখেছেন, ঐগুলির বেশীরভাগই ইলিশ মাছের পোনা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৪
সাইফুল্যাহ আমিন বলেছেন: নাহ ভাইয়া, ওগুলা ইলিশ মাছের পোনা না, এগুলা হচ্ছে চাপিলা মাছ (দেখতে মলা মাছের মত কিন্তু একটু লম্বা সাইজের)।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সুমন কর বলেছেন: আরো ছবি দিলে ভালো হতো (লেখার মাঝে হলে), তবে পোস্ট ভালো লেগেছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৮
সাইফুল্যাহ আমিন বলেছেন: লেখার মাঝে ছবি অনেক ট্রাই করেও দিতে পারিনি, আমি আরো অনেক ছবি দিছি কিন্তু আপডেট হয়না। লেখার মাঝে কিভাবে ছবি এড করবো ছবির ক্যাপশন সহ একটু বলবেন ভাই। ধন্যবাদ। ভালোবাসা নিবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
ছবির নিচে দুই এক লাইন লিখলে ভালো হতো।