নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমারও দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন....

সাজিদ!

আমি সাজিদ!

সাজিদ! › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে সত্য জানতেই হবে, সাউথ এশিয়ার নীরব ঘাতক - থিন আউটসাইড ফ্যাট ইনসাইড (টোফি),পর্ব ২

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৪


সবাইকে প্রথম পর্বটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। যদি প্রথম পর্বটি আপনার মনে এই বোধটি তৈরী করে যে ( তৈরী করা উচিত) , থিন আউট ফ্যাট ইনসাইড বডি টাইপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তাহলে এই পর্বটি আপনাকে সমস্যাটি সমাধানের কিছুটা পথ দেখাতে পারে।
ছোট করে একটু মনে করিয়ে দেওয়া- প্রথম পর্বে আমরা বুঝেছি যে-
১)সাউথ এশিয়ান বিএমআই সাধারণত ২৩ এর বেশী হলে ওভারওয়েট এবং ২৭ এর বেশী হলে স্থূল বা ওবেস।

২)সাউথ এশিয়ানদের শরীরে চর্বি জমার হার ওয়েস্টার্নদের চেয়ে বেশী।মানে, অল্প ওজন বাড়লেই সাউথ এশিয়ানদের শরীরে চর্বি জমে যেতে পারে।
৩) সাউথ এশিয়ানদের শরীরে জমা চর্বিগুলো ভিসেরাল ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। মানে, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অর্গানের চারপাশে চর্বিগুলো জমা হয় যা নানা রোগের অন্যতম প্রাথমিক কারন ( আধুনিক গবেষণা বলে) চমৎকার একটি রেফারেন্স
৪) স্বাভাবিক ওজনের একজন সাউথ এশিয়ানেরও শরীরে মাসেলের পরিমাণ কম থাকতে পারে এবং ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ বেশী থাকতে পারে যাকে আমরা থিন আউটসাইট ফ্যাট ইনসাইড বলছি।

৫) সাউথ এশিয়ান আদর্শ বিএমআই হিসেবে ওভারওয়েট ব্যাক্তিরও শরীরে মাসেলের পরিমাণ কম থাকতে পারে এবং ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ বেশী থাকতে পারে যাকেও আমরা সেই একই থিন আউটসাইট ফ্যাট ইনসাইড বলছি।


আজকের পর্ব-
কিভাবে বুঝবেন একজন ব্যাক্তি টোফি পর্যায়ে পড়েন ? উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ডেক্সা স্ক্যান নামের একটি প্রযুক্তি আছে যা শরীরের ভিসেরাল ফ্যাটের পরিমাণ বের করে দেয়। আমাদের যেহেতু নাই, তাই অনুমান ও ক্যালকুলেশনের উপর ভর করেই আমাদের বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ বের করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে, চোখের দেখায় যদি কারো হাত ও পায়ে মাসেলের ভালো ডেফিনেশন না থাকে এবং সামনের দিকে পেট/ ভুঁড়ি উঁচু থাকে তাহলে ধারনা করা যায় যে বডি টাইপটি টোফি। এছাড়া কারও ওয়েস্ট হিপ রেশিও ০.৯৫ এর বেশী থাকলে তার ভিসেরাল ফ্যাট আছে ধরে নেওয়া যায়। অনলাইনে যে বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ক্যালকুলেটর পেয়েছি আমি, তার মধ্যে এই ক্যালকুলেটরটি র একুরেসি বেশী।


এখন আসি আদর্শ বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ কেমন হওয়া উচিত ? নিচের চার্টটি দেখুন।


আরেকটু সহজ করে দেওয়ার জন্য-
( শুধু পুরুষদের একটা ভিজুয়াল শেপ দেওয়া হয়েছে, টোফি কিন্তু মহিলাদেরও সমস্যা)

এবার একটু ব্যাখ্যায় যাই- যে কথা গতপর্বেও বলেছি, আজও বলছি- ধরা যাক, পাঁচ ফিট আট ইঞ্চি উচ্চতার এক সাউথ এশিয়ান পুরুষের ওজন ৮৪ কেজি মানে এর দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে । হয়- তার বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ফিট বা এক্সসেপ্টেড লেভেলের ( হাইয়েস্ট ১৫-২১%)। মানে, ফ্যাট বা চর্বির তুলনায় মাসেল বেশী। অথবা তার বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ওবেস লেভেলের। যার অর্থ, ফ্যাটের অংশ মাসেলের তুলনায় বেশী ( ফ্যাটের পরিমাণ ২২% এর বেশী)। এবং এই ফ্যাট বা চর্বিটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে হতে পারে ভিসেরাল ফ্যাট, যদি লোকটি সাউথ এশিয়ান হোন। বলে রাখি, সাধারণত এই পাঁচ ফিট আট ইঞ্চি উচ্চতার পুরুষের ৮৪ কেজি ওজনকে সাধারন দেখায় হেলথি ওয়েট মনে হবে।

আবার, ধরা যাক, পাঁচ ফিট আট ইঞ্চি উচ্চতার এক সাউথ এশিয়ান পুরুষের ওজন ৬৮-৭০ কেজি। যা তার উচ্চতা অনুযায়ী একজন স্বাভাবিক মনে হতে পারে। এর ব্যাখ্যায় ও উপরের কথাটি বলা যায়- তার বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ফিট বা এক্সসেপ্টেড লেভেলের ( হাইয়েস্ট ১৫-২১% বা এরচেয়েও কম)। মানে, ফ্যাট বা চর্বির তুলনায় মাসেল বেশী। অথবা তার বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ওবেস লেভেলের। যার অর্থ, ফ্যাটের অংশ মাসেলের তুলনায় বেশী ( ফ্যাটের পরিমাণ ২২% এর বেশী এমনকি ৩০% ও হতে পারে)

উপরের দুটো মানুষই কিন্তু থিন আউটসাইট ফ্যাট ইনসাইড টাইপের বডি ধারন করেন যদি তাদের বডি ফ্যাটের পারসেন্টেজ বেশী হয় এবং শরীরে মাসেলের পরিমাণ কম হয়। দ্বিতীয়জন টোফি টাইপ বডির আদর্শ উদাহরণ। এবং আমাদের দেশ সহ সাউথ এশিয়ান দেশে যা প্রতি একশত জনে প্রায় কম বেশী ষাটজন মানুষের আছে।

গত পর্বেই আমরা জেনেছি, অতিরিক্ত চর্বি শরীরের কি কি ক্ষতি করতে পারে। আজকে আমরা জানবো মাসেল কম হলে শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে-
মাসেল কম থাকলে প্রথমেই কারো শর্করা মেটাবলিজমে ক্ষতি হয় মানে শরীর ব্লাড সুগার রেগুলেট করতে পারে না। কারন কি ? মেডিকেলের ভাষায় সহজ বাংলায়, যার মাসেল বা মাংসপেশি যত বেশী তার শরীরে ব্লাড সুগারের মেটাবলিজম ততোভালো। আরেকটু বললে, কারবোহাইড্রেট আমাদের শরীরের অন্যতম মূল জ্বালানি শক্তি। আমরা যা কার্বোহাইড্রেট খাই ( ভাত, রুটি, আলু, চিনি, সবুজ সবজি ইত্যাদি ) তা আমাদের শরীরে গিয়ে গ্লুকোজে পরিণত হয় । এই গ্লুকোজই আমাদের শক্তি যোগায়। প্রোটিনও কিন্তু মেটাবোলিজম হয়ে প্রোটিন থেকে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী এক পর্যায়ে গ্লুকোজে পরিণত হতে পারে। যতোবার আমরা খাবার খাই ততোবার আমাদের শরীরের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নির্গত হয় যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে নিতে সাহায্য করে। আরেকটি ভাবেও রক্ত থেকে গ্লুকোজ কোষে যায়, সেটি মাসেল পাথওয়ের মাধ্যমে এবং এই ক্ষেত্রে ইনসুলিনের প্রভাব লাগে না।
এখন ধরা যাক- ক ব্যাক্তির মাসেলের পরিমাণ কম । বডি ফ্যাটের পরিমাণ বেশী। তার শরীরের মাসেলের চারপাশে চর্বি জমে গেছে। এই ব্যাক্তি যখন খাবার খাবে, যেহেতু মাসেলের নিজের ব্লাড গ্লুকোজ গ্রহন করার ক্ষমতা কম ( ফ্যাট ডিপোজিশন, ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের কারনে) তার অগ্ন্যাশয় খুব বেশী পরিমাণ ইনসুলিন নির্গত করবে রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমানোর জন্য। এভাবে বেশী পরিমাণ ইনসুলিন বের হতে হতে একসময় ইনসুলিন নির্গতকারী শরীরের কোষগুলো ক্লান্ত হতে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন বের করতে পারবে না। ফলে কি হবে ? ক ব্যাক্তির ওজন আদর্শ থাকা সত্ত্বেও বডি ফ্যাট বেশী এবং মাসেল কম থাকার কারনে প্রিডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস হবে। আশেপাশে অনেক লিন এন্ড থিন ডায়াবেটিক পেশেন্ট দেখেন ? এর একটা প্যাথোফিজিওলজি উপরে আলোচনা করলাম। আবার এই যে ইনসুলিন কমার আগে অনেক বছর ধরে ইনসুলিন বেশী বেশী নির্গত হচ্ছিল, এটা একটা অস্বাভাবিক অবস্থা। যা নিজেই কিনা হার্টের রক্ত নালীকে আক্রান্ত করতে পারে, করোনারি ডিজিজ করতে পারে।
এ পর্যায়ে আমেরিকান- ইন্ডিয়ান ইন্টারভেনশনাল কারডিওলজিস্টের বিখ্যাত একটি ভিডিও ইউটিউব থেকে শেয়ার করছি। যা দেখলে আরও বিস্তারিত বুঝতে পারবেন-


তাহলে দেখা যাচ্ছে, শরীরের মাসেল কম কিন্তু ফ্যাট বেশী, এটা একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। এর কারনগুলো কি কি ? বাজে খাদ্যাভ্যাস, কায়িক পরিশ্রমের অভাব এবং বয়স ইত্যাদি। ঠিকই শুনেছেন, শেষের কারনটি বয়স। একে তো মাসেলের পরিমাণ কম, এরপর বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাসেলের ক্ষয় হয় যাকে সারকোপেনিয়া বলে। শুনলে অবাক হবেন, সাউথ এশিয়ানদের মধ্যে সারকোপেনিয়ার হার তুলনামূলক অনেক বেশী। সারকোপেনিয়া নিয়ে জানতে পড়ে আসতে পারেন- Sarcopenia With Aging

শেষে প্রিভেন্টিভ মেডিসিন-
টোফি এমন একটি অবস্থা, যাকে সাউথ এশিয়ার জনসংখ্যার নীরব ঘাতক বললে কম বলা হবে। অথচ এটি সম্পূর্ণ প্রিভেন্টাবল ও মডিফাইএবল একটি অবস্থা। কেন এটা এতোদিন প্রচার পায়নি ? কারন আমরা এটা নিয়ে গবেষনার সময় সুযোগ পাই নাই। এদিকে টোফি গোপনে গোপনে প্রিডায়াবেটিস, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা সহ নানা ধরনের সমস্যা একটা বড় অংশের মানুষের করে দিয়ে গেছে। খাদ্যাভাসের পরিবর্তন, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ ( কারডিও ও বডি ওয়েট ট্রেনিং), স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এসব মডিফাইএবল ফ্যাকটর নিয়ে নিজে থেকে কাজ করলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আমাদের পূর্বপুরুষরা না জেনে ভুগে গেছেন, আপনি আমি কেন জেনে ভুগবো ?

প্রথম পর্বের লিংক- আমাদের স্বাস্থ্য: যে সত্য জানতেই হবে ,সাউথ এশিয়ার নীরব ঘাতক - থিন আউটসাইট ফ্যাট ইনসাইড (টোফি),পর্ব ১





মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কোনো প্রকার টেস্ট ছাড়া টোফি বুঝার কোনো উপায় আছে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

সাজিদ! বলেছেন: কিভাবে বুঝবেন একজন ব্যাক্তি টোফি পর্যায়ে পড়েন ? উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ডেক্সা স্ক্যান নামের একটি প্রযুক্তি আছে যা শরীরের ভিসেরাল ফ্যাটের পরিমাণ বের করে দেয়। আমাদের যেহেতু নাই, তাই অনুমান ও ক্যালকুলেশনের উপর ভর করেই আমাদের বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ বের করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে, চোখের দেখায় যদি কারো হাত ও পায়ে মাসেলের ভালো ডেফিনেশন না থাকে এবং সামনের দিকে পেট/ ভুঁড়ি উঁচু থাকে তাহলে ধারনা করা যায় যে বডি টাইপটি টোফি। এছাড়া কারও ওয়েস্ট হিপ রেশিও ০.৯৫ এর বেশী থাকলে তার ভিসেরাল ফ্যাট আছে ধরে নেওয়া যায়। অনলাইনে যে বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ক্যালকুলেটর পেয়েছি আমি, তার মধ্যে এই ক্যালকুলেটরটি র একুরেসি বেশী।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকেই রোগ শোক ভয় পাই।
এজন্য পারত পক্ষে ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত যাই না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২১

সাজিদ! বলেছেন: যতো স্বাস্থ্য সচেতন থাকবেন তত ডাক্তারের কাছে যাওয়া কম পড়বে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

সাজিদ! বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে একটি ভিডিও দিচ্ছি। এইটা একটা টিভি রিপোর্ট বোধহয়, তাইওয়ানেরই। ওরা বয়সের কারনে মাসেল লস প্রিভেন্ট করার জন্য সিনিয়র সিটিজেনদের নিয়ে স্ট্রেংথ ট্রেনিং টাইপ ক্লিনিক খুলেছে। আমাদের এইখানে এগুলো ভাবা সম্ভব না হলেও, এদের এই কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমরা মধ্য বয়সে ও সিনিয়র হওয়ার পর মাসেল লস প্রতিকার করার জন্য স্ট্রেংথ ট্রেনিং এর গুরুত্ব বুঝতে পারছি। আমাদের দেশে প্রতিরোধই ভরসা যেহেতু উন্নত দেশের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বা থিয়রী আমাদের দেশে সহজলভ্য বা স্টাবলিশ হতে হতেই এক দেড় যুগ চলে যায়, আর এইখানে ব্যয় করেও অনেক সময় এপ্রোপিয়েট সাজেশন ও চিকিৎসা পাওয়া যায় না। তাই আমার অনুরোধ থাকবে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে আপনি যেমন হাঁটবেন পাশাপাশি বডি ওয়েট ট্রেনিং ( সেটা ঘরে বসে সিম্পল রেসিস্টেন্স ব্যান্ড দিয়েই হোক বা চার কেজি ওজনের ডাম্বেল দিয়েই হোক) করবেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করবেন। তাতে সারকোপেনিয়া সহ নানা সমস্যাগুলোর ঝুঁকি কমে আসে।
তাইওয়ানের সিনিয়রদের জন্য স্ট্রেংথ ট্রেনিং ক্লিনিক

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সমস্যাগুলি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের কেন বেশী হয়?

আমাদের কপাল খারাপ!! :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

সাজিদ! বলেছেন: আমাদের সারভাইভাল জিন বেশী একটিভ এইটা আমাদের একটা প্লাস পয়েন্ট৷ আজকে যদি একজন ওয়েস্টার্ন ও একজন সাউথ এশিয়ানকে পাশাপাশি রেখে দশ/ বারো দিন না খাইয়ে রাখেন, সাউথ এশিয়ান দিব্যি বেঁচে থাকবে এমন সম্ভাবনাই বেশী। ওয়েস্টার্নটার ব্যাপারে নিশ্চিত কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না। জেনেটিক এডভান্টেজ ডিস এডভান্টেজ মিলিয়েই এক একটি জাতি। সামনের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ( অন্তত ১০/১৫ বছরের মধ্যে) এই ধরনের বিশ্লেষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আমার মনে হয়।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

সাসুম বলেছেন: সুন্দর সিরিজ।


আমি ৮৪ কেজি নিয়ে জিমে গেলাম। আমার বাংলাদেশের ইন্সট্রাক্টর বল্লো আমার ভুড়ি থাক্লেও সেটা অবেসি না।

বাট দেশের বাইরে আইসা দেখলাম - এটা আসলেই অবেসি এবং হেভি কন্ট্রোল করার ট্রাই করছি তাও ভুড়ি কমেনা।

এই দুইটা পোস্ট প্রথম পাতায় যাওয়ার মত এবং নির্বাচিত পাতায় স্থান পাওয়ার মত পোস্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

সাজিদ! বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রিমিয়াম জিমগুলো বোধহয় ফ্লেক্সিবল হয়। মজার বিষয়, ওজন কমাতে জিমে যাওয়ার দরকার নাই। নেটে চেক করে দেখেন কোন পদ্ধতি আপনার জন্য সহজ, সেটাতেই লেগে থাকেন। আমার পরিচিত অনেকে এভাবেই কমিয়েছে ( কেউ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেছে, বিঞ্জ ইটিং বাদ দিয়েছে এতে তার জন্য কাজ হয়েছে। কেউ বা স্বাভাবিক খাবারই খেয়েছে কিন্তু একটিভিটি লেভেল বাড়িয়েছে, তার উপকার হয়েছে)। প্রত্যেকই ইউনিক। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়লে আমাদেরই লাভ। আপনি ডাঃ প্রদীপ জামনাদাসের ভিডিওটা দেখেন, মজা পাবেন ( দুনিয়ায় এক নম্বর দেশের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট), লিংক পোস্টেও দিয়েছি।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য। এখন সমাধান কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

সাজিদ! বলেছেন: টাইপ ওয়ান এক্সারসাইজ ( হাঁটাহাঁটি / জগিং) সপ্তাহে ২ দিন অন্তত
টাইপ টু এক্সারসাইজ ( বডি ওয়েট ট্রেনিং / ওয়েট ট্রেনিং) ৩ দিন অন্তত
বা সাইক্লিং / সুইমিং সপ্তাহে ৩/৪ দিন
প্রতিদিনের প্রোটিনের পরিমান বাড়ানো ( প্ল্যান্ট এবং এনিমেল সোর্স থেকে)
হাই প্রসেসড ফুডের পরিমান কমিয়ে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা
মডারেট / লো সুগার গ্রহন করা।
যখন তখন যা তা না খাওয়া ( তিন/ চার বেলা খাবার গ্রহন করা)
রাতের খাবার ও সকালের ব্রেকফাস্টের মধ্যে ১২ ঘন্টা গ্যাপ রাখা নূন্যতম।
বছরে একবার মেডিকেল চেকাপ করা।
নিজের ডাক্তারকে প্রশ্ন করতে শেখা। রোগীরা প্রশ্ন কম করে। আবার কিছু ডাক্তার প্রশ্নের উত্তর দেন না। এমন প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া ডাক্তারকে দেখাবেন না।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন পড়া বুলেটিন পড়া ( অনলাইন/ অফলাইন) ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে আপডেটড থাকা

এইতো সিম্পল। হেলথের উপর ইনভেস্টমেন্ট সবচেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:






লেখক বলেছেন: টাইপ ওয়ান এক্সারসাইজ ( হাঁটাহাঁটি / জগিং) সপ্তাহে ২ দিন অন্তত
টাইপ টু এক্সারসাইজ ( বডি ওয়েট ট্রেনিং / ওয়েট ট্রেনিং) ৩ দিন অন্তত
বা সাইক্লিং / সুইমিং সপ্তাহে ৩/৪ দিন
প্রতিদিনের প্রোটিনের পরিমান বাড়ানো ( প্ল্যান্ট এবং এনিমেল সোর্স থেকে)
হাই প্রসেসড ফুডের পরিমান কমিয়ে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা
মডারেট / লো সুগার গ্রহন করা।
যখন তখন যা তা না খাওয়া ( তিন/ চার বেলা খাবার গ্রহন করা)
রাতের খাবার ও সকালের ব্রেকফাস্টের মধ্যে ১২ ঘন্টা গ্যাপ রাখা নূন্যতম।
বছরে একবার মেডিকেল চেকাপ করা।
নিজের ডাক্তারকে প্রশ্ন করতে শেখা। রোগীরা প্রশ্ন কম করে। আবার কিছু ডাক্তার প্রশ্নের উত্তর দেন না। এমন প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া ডাক্তারকে দেখাবেন না।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন পড়া বুলেটিন পড়া ( অনলাইন/ অফলাইন) ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে আপডেটড থাকা
এইতো সিম্পল। হেলথের উপর ইনভেস্টমেন্ট সবচেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট।


এতকিছু করতে বলে তারপর বলে এইতো সিম্পল B:-)
হা হা হা ...... :)

সারকোপেনিয়া সম্পর্কে জানলাম । এটাতো ওল্ড এইজ কমপ্লিকেশন্স সবার কম বেশী হয়, ল্যাক অভ স্টেমিনা । উইকনেস । মেইনটেইন করলেও বুড়ো হলে এমনটা হবে ভাবলেও আতংক হয় ।
এজন্যই আমি আর আমার বস দুজনেই বলি যে, আনটিল এন্ড অভ দ্যা ডে কাজ করতে চাই ।
কর্মজীবনের মাঝে একটিভ থাকাটাই সবচেয়ে আনন্দের । উই ডোন্ট ওয়ান্ট টু বি ওল্ড :P

সাজিদ অনেক পরিশ্রম করেছে এই পোষ্টগুলোতে । থ্যাংক ইউ সাজিদ ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪১

সাজিদ! বলেছেন: অনেক বেশী পয়েন্ট বটে, কিন্তু আসলেই খুব সিম্পল। এর ৮০% মানলেও শরীর ফিট থাকবে।
সারকোপেনিয়া প্রসঙ্গ তুলে আনার কারনটা হচ্ছে- আমাদের দেশে বা ভারত পাকিস্তানের একজন ৫০/৫৫ বছর বয়সী পুরুষ বা মহিলার মাসেল লসের পরিমাণ ওয়েস্টার্ন একজনের তুলনায় বেশী, এখন যদি এই সাউথ এশিয়ানের আগে থেকেই মাসেল মাস কম থাকে তাহলে তো কথাই নাই। আগের জেনারেশনের অনেকে যাও নানা ধরনের ফিজিক্যাল এক্টিভিটি করেছে, এখনকার সময়ে তো এটার পরিমাণ অনেক কমে এসেছে। পরিবেশ, দূষণ নানা ফ্যাকটর তো আছেই। ঢাকার বাতাসই একজন মানুষকে অসুস্থ করতে যথেষ্ট।
আমিও বড়দের যত দেখছি ততোই বুঝতে পারছি, অবসর বলে কিছু নেই। কাজের মধ্যে থাকাই বেঁচে থাকার অন্যতম একটি শক্তি, হয়তোবা কাজের পরিধি ছোট বড় হবে সামনে।

গতকালই দেখলাম, অক্সফোর্ডে মানুষের স্কিন সেলের বয়স কমানোতে ল্যাবের গবেষক টিম সফল হয়েছে। বিবিসি নিউজ করেছে এটা নিয়ে। এমনও কি হতে পারে যে আরও বিশ বছর পর মানুষের বয়স কমানোর ( সেলুলার এজিং কমানো) মেডিক্যাল ইন্টারভেনশনও আবিষ্কার হয়ে হাসপাতালগুলোতে সহজলভ্য হবে ? আল্লাহ জানেন !

দশজন মানুষও যদি পোস্টের আলোচ্য বিষয় নিয়ে পড়েন এবং নিজে যতোটুকু পারে স্টাডি করে তাহলে দশজন থেকে একসময় একশত জন পরে একহাজার জনে এই ধরনের বিষয়ে তথ্যগুলো যাবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে চর্চার সময় এখনই, তবুও মনে হয় আমরা অনেক দেরী করে ফেলেছি। ছোট মানুষ হয়ে বড় কথা বললাম।

ধন্যবাদ আপি।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:




পয়েন্ট গুলো আসলেই সিম্পল ।
মোটামুটি সবাই জানি কিন্তু কতটুকু মানি সেটাই প্রশ্ন ।
মেইনটেইন করা হয় কিন্তু সবগুলো হয়ে উঠে না ।
জিম আর সুইমিং এখন ল্যাজিনেসের জন্য আর করা হয়না কিন্তু আদার ডেইলি একটিভিটিজ মাস্ট ।
একটিভ এন্ড হ্যাপি লাইফ ইজ ইম্পরট্যান্ট ফর ওয়েলবিং ।
অনেক থ্যাংকস সাজিদ । এরকম পোষ্ট নিয়ে পাশে থাকবে ।




১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

সাজিদ! বলেছেন: জ্বি মেইনটেইন করাটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ আপি।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৩৬

গরল বলেছেন: এশিয়ানরা প্রোটিন কম খায়, কর্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট বেশি খায়। এটাই কি ফ্যাট বেশি হওয়ার কারণ, আমাদের সমাজে একটা ধারণা আছে যে প্রোটিন খেলে আয়ু কমে। প্রোটিন না খেলে প্রোটিন মাস বড়বে কিভাবে, যতই ব্যায়াম আর ডায়েট করি না কেন? আমেরিকানরা প্রতিনদিন গড়ে ৪০০ গ্রাম মাংস খায়, আর আমাদের দেশের মানুষ কি খায় মূলত? এর পরেতো আছে ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা, সপ্তাহে দুইটা ডিম, আর দুই দিন দিনে তিন পিস গরুর মাংস খেলে প্রোটিন মাস কিভাবেই বা বাড়বে?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

সাজিদ! বলেছেন: প্রতিদিন একজন মানুষের গড়ে তার ওজন অনুযায়ী ০.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিন/প্রতি কেজি ওজনে খাওয়া দরকার। এইটা শুরুতে ১.৫ গ্রাম বাড়ালেও সমস্যা নাই৷আমরা তো তাও খাই না। প্রোটিন তাদেরই সাবধানে খাওয়া উচিত ( মেডিকেল গাইডলাইন মেনে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী) যাদের কিডনী ডিজিজ এস্টাবলিশড বা কিডনী রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে ( জেনেটিক কিছু ডিজিজ)। কিন্তু সাধারণ মানুষের তো খেতে সমস্যা নেই। এই প্রোটিন শুধু খেলে হবে না, মাসেলের স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতে হবে/ ফিজিক্যাল একটিভিটি করতে হবে নাহলে প্রোটিন বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কাজ না করে ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমা হবে। যেমন ধরেন, যে লোক গ্রামে গঞ্জে মাঠে ঘাটে দিনে দশ ঘন্টা কাজ করেন তার শরীরের প্রধান ফুয়েল কার্বোহাইড্রেট এবং তার প্রোটিনের সোর্স কি? ডালই তো। তার মাসেলের সাথে শহরের একটা হাই ক্লাস জব করা লোকের মাসেল ডেফিনিশন তুলনা করে দেখবেন, আকাশ পাতাল তফাত। মাছ মাংস কম খেলেও ডাল বা এই ধরনের প্ল্যান্ট প্রোটিন তার শরীরকে সুগঠিত রেখেছে। আবার কার্বোহাইড্রেট খেলেও সেটা তার শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হচ্ছে না কারন সে দিনে ১০/১২ ঘন্টার বেশী একটিভ। এখন শহরের একজন মানুষের একটিভিটি লেভেল কম, প্রোটিন ইনটেকও কম সাথে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ইনটেক বেশী, এই লোকের শরীরে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি তো বেশীই।

আমাদের দেশে প্ল্যান্ট সোর্স প্রোটিনের দাম খুবই কম এবং স্টাডি আছে রেগুলার প্ল্যান্ট সোর্স প্রোটিন ও মাঝে মাঝে এনিমেল সোর্স প্রোটিনই শরীরের জন্য যথেষ্ট।

কষ্টের কথা একটু বলি, বাংলাদেশে এনিমেল সোর্স প্রোটিন নিয়ে পত্রিকায় তো লেখা বের হয়েছিল ( ওই যে ফার্মের মুরগীতে এন্টিবায়োটিকের উপাদানের উপস্থিতি, চাষের মাছে মাছের অখাদ্যের উপস্থিতি, গরুর দুধে এন্টিবায়োটিকের উপাদানের উপস্থিতি) , আপনার মনে আছে কিনা জানি না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গরুর দুধ নিয়ে করা স্টাডির রিপোর্ট সারাদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল, উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা ( সিন্ডিকেট/ পলিটিকাল) ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল। বুঝেন অবস্থা।

আচ্ছা, মাঝে একবার ব্লুজোন নিয়ে লিখেছিলাম মনে আছে? ব্লুজোনের ম্যাক্সিমাম মানুষের প্রোটিন সোর্স কিন্তু প্ল্যান্ট বেইজড।

শেষে আরেকটা কথা যোগ না করলেই নয়, যে ডাক্তার প্রোটিন খেতে নিষেধ করবে তার কাছে টেক্সটবই/ জার্নালে / গবেষণার রেফারেন্স চাইবেন। দিতে না পারলে ( ১০০০% সিউর দিতে পারবে না) তার কাছে আর যাবেন না এবং আশেপাশের মানুষকেও ওই ডাক্তারের কাছে যেতে মানা করবেন। আজকালকার যুগে যেকোন ইনফরমেশন ক্রসচেক করার ক্ষমতা প্রতিটা মানুষের আছে কিছু স্পেশাল টেকনিক্যাল বিষয় ছাড়া

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

সাজিদ! বলেছেন: কয়েকটা পয়েন্ট মিস করে গেছি - এশিয়ান ডায়েটে ( বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানে) কার্বোহাইড্রেটের পরিমানই সবচেয়ে বেশী প্রায়৭০/৮০%, প্রোটিন আর ফ্যাট বাকি দুটোর পরিমান কম ( ভেবে দেখেন, এটা ঘরের খাবার)। আবার বাইরের প্রসেসড ফুডে প্রসেসড কার্ব আর আনহেলথি ফ্যাটের পরিমান বেশী ( বাইরের খাবার)। মাঝে ব্যালেন্স নেই। সাথে নানা কো ফ্যাক্টর আছে লাইক ডেস্ক জব, লো একটিভিটি লাইফস্টাইল, স্ট্রেস, স্লিপ প্যাটার্নের বাজে অবস্থা, ওভার ইটিং সিন্ড্রোম৷ এইগুলা সব মিলিয়ে ফ্যাটের পরিমান বেশী হওয়ার কারন হিসেবে ধরতে পারেন। প্রোটিনের উপর কয়েকটা স্টাডি হয়েছে। বলা হয়েছে এনিমেল সোর্সের প্রোটিন বেশী খেলে তা গড় আয়ু কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে, প্রসেসড এনিমেল সোর্স প্রোটিন কারসিনোজেনিক। প্ল্যান্ট সোর্স প্রোটিন সেফ বলা হয়েছে। আমার মনে হয়, দুইটার ব্যালেন্সই আসল এবং অবশ্যই ০.৮ গ্রাম থেকে ১ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত প্রতি কেজি ওজনে।

বাংলাদেশে এখন প্রাণিজ আমিষের দামই তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে৷ সাধের গরুর মাংসের কেজি ৮০০/- ( সিন্ডিকেটের মাধ্যমে, গতকালই প্রথম আলোতে একটা প্রতিবেদন এসেছে, ফার্ম কিন্তু বেড়েছে কিন্তু দাম কমে না। চাষের মাছও নাগালের বাইরে চলে যায় মাঝে মাঝে, অন্য মাছ বাদ দিলাম। মুরগী অবস্থা মোটামুটি। কি উপায় বলেন! কোনদিন সাধারণ মানুষের ডালের দামটাও নাগালের বাইরে চলে যায়!

আসলে মনে হয় কি কোন দেশের খাদ্যাভাস, সমাজ ব্যবস্থা এইগুলাও একটা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর বেশ প্রভাব ফেলে।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

নতুন বলেছেন: আমরা রাতে ভাত খেয়ে ঘুম দেই সেটাই সম্ভবত বেশি সমস্যা করে।

আমি লম্বা ৫ফুট ৬ ইন্চি ওজন ৮০ পার হয়ে গেছে কমাতে চেস্টা করেও পারছিনা। B-))

সকালে, দুপুরে কমিয়ে খেলেও রাতে বাসায় মজার তরকারি দিয়ে ভাতটা খাওয়া কমাতে পারছিনা :|

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১১

সাজিদ! বলেছেন: আপনার বিএমআই ২৮। সাউথ এশিয়ান স্কেলে যা ওবেসিটি। এরমাঝে এমনও হতে পারে - ১)আপনার বডিতে ফ্যাটের পারসেন্টেজ ২০-২৩% মানে কিছুটা এক্সেপ্টেবল মানে আপনার ওজনটা বেশী হলেও তা মোট মাসেল মাস সহ বেশী ( এমন শারীরিক গঠন সাউথ এশিয়ান জেনেটিক্সে খুব কম দেখা যায়, যারা হেভি ওয়েট ট্রেনিং করেন তারা ছাড়া) । ২) আবার এমনও হতে পারে আপনার বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ ৩০% এর উপরে। যেটা সাউথ এশিয়ায় কমন। আসলে, বডি কম্পোজিশন প্রত্যেকটা মানুষেরই আলাদা আলাদা। বডি ফ্যাট পারসেন্টেজ বেশী থাকলে কমিয়ে ফেলুন।
অতিরিক্ত চর্বি কিন্তু রক্ত নালীর গায়ে আঘাত করতে থাকে অনবরত, এটাকে রক্ত নালীর ইনফ্লামেশন বলে।





উপরের ছবি দুটো দেখুন। আশা করি ওজন কমানোতে উপরের ছবি দুটো সাহায্য করবে।

আগে ডাক্তাররা যা ভাবতো এখন সময়ের প্রেক্ষাপটে তা চেঞ্জ হচ্ছে। দুনিয়ার তাবত বাঘা বাঘা মেডিসিন স্পেশালিস্ট / কার্ডিওলজিস্ট/ এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট/ নিউরোলজিস্ট / নেফ্রোলজিস্ট এখন মেডিকেল ইন্টারভেনশনের পাশাপাশি নিউট্রিশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে যা আগে সেভাবে দেওয়া হয় নাই। আমাদের দেশেও হয়তোবা তা হতে দেরী নেই।



১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

সাজিদ! বলেছেন: ধন্যবাদ যারা মন্তব্য করেছেন।

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার, উপযোগী তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোস্ট। প্রতিমন্তব্যগুলোও খুবই সুন্দর করে দিয়েছেন। পাঠকেরা এ পোস্ট পড়ে যতটা উপকৃত হবেন, প্রতিমন্তব্যগুলো পড়েও হয়তো ততটাই হবেন।
পোস্টে প্লাস, এবং পোস্ট "প্রিয়" তে। + +

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভীষণ ই‌ ভালো একটি পোস্ট।++ এই মুহূর্তে আমার এমন একটি পোস্টের দরকার ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.