নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন
মাঝে মাঝে জীবনে কিছু ঘটনা ঘটে যা হয়ত নিয়তির বিধানে লেখা থাকে অনির্ধারিত, কিন্তু ঘটনার ফলাফল হয় অবশ্যম্ভাবী। (আমি কি বুজাতে চেয়েছি আমি নিজেও জানি না। প্রথম কোন রোমান্টিক গল্প লিখতে যাচ্ছি)
যেহেতু গল্পটা রোমান্টিক দুইতা ছেলেমেয়ে অবশ্যই থাকবে। আমি এখানে বাংলা মুভির কাহিনী বলব না। তো ছেলেটা আর মেয়েটার পটভূমি একটু বলি। ছেলেটার বেড়ে উঠা ঢাকাতে। বয়েজ স্কুল এ বেড়ে উঠা। কলেজ কম্বাইন্ড হলেও সরকারি হওয়ায় না গেলেও চলে। জগতে মেয়ে নামে একটা ব্যাপার আছে, এইটা যে দুর্ভেদ্য, একে যে আস্তে আস্তে জয় করতে হয় এইটা তার অজানা ছিল (খুব রবি দা র ডায়লগ মারলাম) । ভর্তি হল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট। আপাতত ছেলে পর্ব এখানেই। তো চলেন গল্পের রাজকুমারীর সাথে পরিচয়।
মেয়েতা চট্টগ্রামের। "বুইঙ্গা" বলতে পারেন। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী। রয়েল ডিস্ট্রিক এর মেয়ে। আকার হাত খুবই ভাল। তো সাস্টে আর্কিটেকচার এ ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকারিণী। তো বুঝতেই পারছেন আর্কিটেক্ট হওয়ার জন্যই তার সাস্ট এ আসা। সবই তো বুঝলাম! মন দেয়া নেয়া শুরু হল কোথায়? চলেন পরিচয় করায়ে দেই দুজনকে।
সিনিওর এক ব্যাচ এর INTRO হচ্ছে। চার দিন ব্যাপী একটা FILM FEST হবে। ছেলেতা টিকেট কেটেছে A walk to remember movie টা দেখবে বলে। মুভি টা দেখাবে শেষদিন। তো ছেলেটা ওই সিনিওর ব্যাচ এর এক বড় ভাই এর সাথে থাকত। বড় ভাই বলল আমাদের ব্যাচ থেকে ডিসিশন নেয়া হয়েছে A walk to remember movie টা দেখানর সময় সূচি আগানো হয়েছে। আজ দেখাবে। আজকেই দেখাবে। ছেলেটা তড়িঘড়ি করে গেল। বুঝল একটা Prank ছিল। আজ শিডিউল অনুযায়ী দেখাবে The Croods। ওই দিকে মেয়েটার এনিমেশন খুব পছন্দ। যদিও ইচ্ছে ছিল ছেলেটার মত A walk to remember দেখবে। কিন্তু রুমমেট রা সবাই রেডি হচ্ছে The CROODS দেখার জন্য। সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। মেয়েটা একটা অদ্ভুত স্বভাব আছে। যখন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তখন "আম্মু আম্মু" বলে চিৎকার করে। রুমমেট রা তখন " অ্যান্টি অ্যান্টি " বলে খেপায়। আজ অবশ্য তেমন কিছুই হল না। ওরা বের হবে এমন সময় মেয়েটিও বলল আমিও যাব। দুই মিনিট সময় দে রেডি হচ্ছি।
মুভি দেখা শেষ হল। সবাই বের হচ্ছে। ছেলেটার এক মেয়ে ক্লাসমেট এর সাথে দেখা হল। আর এই মেয়ে ক্লাসমেট এর সাথেই আমাদের আজকের গল্পের রাজকুমারী। তো বলেন তো রাজপুত্র আর রাজকন্যার চোখাচোখি তে কি কোন শিহরণ খেলে গিয়েছিল দুজনের মধ্যে? আসলে কিছুই হয়নি। মেয়েটির কেন যেন ওই মুহূর্তেই জুতার ফিতা বাঁধার দরকার হল। আর ছেলেটি ওই ফিতা বাধাই দেখছিল। ছেলেটা আশা করেছিল অর ক্লাসমেট মেয়েটি আমাদের গল্পের নায়িকার সাথে নায়কের পরিচয় করিয়ে দিবে। কিছুই হল না। নায়িকাই বাধ্য হয়ে নায়ক বলল হায়। ওরা পরিচয় পর্ব সেরে নিচ্ছিল ক্লাসমেট এদিক দিয়ে ফুড়ুৎ! আস্তে আস্তে অডিটোরিয়াম ফাকা ফাকা হতে লাগল। মেয়েটার কোন রুমমেট নাই। ওকে একা রেখেই চলে গেল। আমাদের নায়কের তো দায়িত্ব পড়ে এখন নায়িকাকে রুম পৌঁছে দিয়ে আসা। ওরা হাঁটতে লাগল। কোন রোমান্টিক কথা কিন্তু হচ্ছিলনা। কি নিয়ে কথা হচ্ছিল জানেন?
দাঁত নিয়ে। দাঁতের মোলার, প্রিমলার, ক্যানাইন এইসব নিয়ে। কুকুরের কেন হাড় ভাল খেতে পারে? টুথপেস্ট এর প্রধান উপাদান ফ্লুরাইড কেন? এইসব নিয়ে? পুরো কিলো রোড এই নিয়েই আলাপ হল।
মেয়েটি এর পরদিন ই চট্টগ্রাম চলে গেল। সেমিস্টার ফাইনাল এর ছুটি হওয়ার কারনে। ৭ দিন পর মেয়েটি আবার আসবে সিলেট। মেয়েটি ছেলেটাকে অনুরোধ করল ওকে রেল স্টেশন থেকে রিসিভ করতে পারবে কিনা? ছেলেটা তো এক পায়ে রাজি। কিন্তু কিছু গিফট নিতে হবে? কি নেয়া যায়? তখন ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন দিয়ে বলল " তোর জন্য কি আইসক্রিম আনব না গোলাপ ফুল আনব"
আচ্ছা একটা ছবি দেখি চলেন তাহলেই বুঝব মেয়েটির জন্য ছেলেটি কি এনেছিল? আর মেয়েটি কত যতনে উপহারটি সাজিয়েছিল।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার নিজের কাছেই খিচুড়ি মনে হচ্ছে। আমার গল্প লেখার হাত খুবই বাজে। কথাগুলো ঠিকঠাক না বুঝতে পারলে দুঃখিত।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: মজা পেলাম, বাট বুঝলাম না।
ভাইয়া কি রোমান্টিক গল্প লিখলেন না গদ্যকার্টুন না রম্যরচনা, কনফিউশনে আছি!!!
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ
যা ইচ্ছে রচনা এটা। কোন অংশে মজা পেলেন বললে খুশি হতাম
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু মিলিয়ে সুন্দর পোষ্ট। সহজ সরল সুন্দর পোষ্ট।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ছবিটা বেশ
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। ছবিটা কিন্তু সত্যি আঁকা হয়েছে। এবং ঘটনাটাও সত্য।
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
কিশোর মাইনু বলেছেন: "জগতে মেয়ে নামে একটা ব্যাপার আছে, এইটা যে দুর্ভেদ্য, একে যে আস্তে আস্তে জয় করতে হয় এইটা তার অজানা ছিল।"-এটা সেরা ছিল।
"ছেলেটি ওই ফিতা বাধাই দেখছিল। ছেলেটা আশা করেছিল অর ক্লাসমেট মেয়েটি আমাদের গল্পের নায়িকার সাথে নায়কের পরিচয় করিয়ে দিবে। কিছুই হল না। নায়িকাই বাধ্য হয়ে নায়ক বলল হায়।"
আশা করছিল নায়ক, অথচ হাই বলল নায়িকা!!! ফিতা বাধা দেখে ফিদা।
হা হা হা হা
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এটা আমার কাছে রোমানটিক মনে হয় নি।গল্পটা মনে হচ্ছে একটা ধাঁধা।
গল্পের মাঝে অবাঞ্ছিত লিখাগুলো পরিহার করুন।