নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আপনি সবাই অস্তিত্ত্বহীন এক সত্তা, যার শুরু শেষ মহাকালের এক খন্ডিত অংশ থেকে ধার করে নেয়া। মৃত্যুর দিকেই ধাবিত হচ্ছি আমরা ধীরে ধীরে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

গত তিন চারদিন যাবত আমার মনের মধ্যে একটা চিন্তা কাজ করছে, সেইটা হচ্ছে আমার অস্তিত্ব নিয়ে। আমি একটু বলে রাখি চিন্তা টা কিভাবে মাথায় আসল। যারা কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেন তারা একটু আধটূ কমপ্লেক্সিটি থিওরি এর সাথে পরিচিত। আমি শুধু মাত্র অল্প একটু জানি এইটার, যা হচ্ছে এমন কিছু প্রবলেম সেট যেগুলো এক্সিটিং রিসোর্স দিয়ে পলিনোমিয়াল সময়ের মধ্যে সমাধান করা যাবে। যেমনঃ সকল সংখ্য্যার যোগফল অথবা গুনফল একটা P-set problem. আবার এমন কতগুলো প্রবলেম আছে যেইগুলো নন ডিটারমিনেস্টিক, এই টাইপ প্রবলেম সেট গুলো কে বলা হয় NP- set problem. এখন এই কমপ্লেক্সিটি থিওরির একটা বিখ্যাত তর্ক হচ্ছে P=NP কিনা? এখন গবেষকরা যদি এইটা প্রমান করতে পারেন তাহলে এইটার একটা দার্শনিক মানে হবে এমন, একটা রোবট কে যোগ বিয়োগ করতে বলা যেই কথা আর রোবট কে দিয়ে রবি ঠাকুরের কবিতা লিখতে বলা এক কথা। তার মানে এই সমস্যা সমাধান করতে পারলে একটা মানুষ আর একটা রোবোটের মধ্যে সৃজনশীলতার মধ্যে যে তফাত টুকু থাকে সেইটাও থাকবে না। শিহাব ভাই আমাদের নিয়মিত পাঠচক্রে এই কথা বলার পরপরই আমি একটা মন্তব্য করে বসলাম, ঠিক আছে, আমি বিশ বছর পর ব্যাপারটা দেখতেছি। তখন শিহাব ভাই বললেন, বিল গ্যাসার্চ নামে এক রিসার্চার আছেন যিন বেশ কয়েক বছর পর পর কমপ্লেক্সিটি তত্ত্বের গবেষকদের মধ্যে একটা জরিপ চালান এবং তাদের কাছ থেকে জানতে চান কবে নাগাদ এইটা গানিতিক ভাবে সমাধান করা যাবে? এবং সেই জরিপে বলা হচ্ছে হয়ত ১২০ বছরের মধ্যে আমরা এইটার সমাধান জানতে পারব। এই ১২০ বছর শব্ধটা আমার মধ্যে একটা বিশাল আলোড়ন সৃস্টি করল।

আলোড়ন সৃষ্টি করার কারণটা আমি একটু বলি। এখন ২০২০ সাল, ১২০ বছর পর ২১৪০। ২১৪০ সাল আমার কাছে মনে হচ্ছে খুব দূরে এবং খুব কাছে। একটা মিশ্র অনুভুতি। এই মিশ্র অনুভুতির কারণ হচ্ছে, আমার কেন যেন মনে হয় এই মানব সভ্যতা এই শতাব্দীতে ধ্বংস হয়ে যাবে। এর একটা বড় কারণ হচ্ছে জলবায়ু। যারা একটা আধটু আশেপাশের পরিবেশ নিয়ে খোজ খবর রাখেন তারা হয়ত জানেন যে, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরটা আসতে আসতে মাটির নিছে ডেবে যাচ্ছে, এবং যে হারে ডেবে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ২০৪০ পার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। খুব কাছেই কিন্তু ২০৪০। আমার আবার একটা অনুভুতি হচ্ছে ১৪৯০ সালের আগ পর্যন্ত মানুষ জানতই না যে, আমেরিকা নামের একটা মহাদেশ আছে। শুধুমাত্র ভেবে দেখুন মাত্র ৬০০ বছরে সভ্যতা কোথায় চলে আসছে। সাড়া দুনিয়ার মানুষ এখন একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। এমনকি গত শতাব্ধির শুরুর দিকেও যোগাযোগ এত দ্রুত ছিল না। অথচ একশ বছরে কত দ্রুত পরিবর্তন হল। এইসব কারনেই আমার মনে হচ্ছে ২১৪০ সাল পর্যন্ত যদি সভ্যতা টিকে যায়, আমি জানি না কি হবে। এই যখন আমার মাথায় আসল আমি জানি না কি হবে, তখন আরেকটা ব্যাপার মাথায় চলে আসল, আমি তো বাচব না, অতদিন। তার মানে কি?

তার মানে হচ্ছে আমি এই মহাকাল একটা ছোট্ট একটা অংশ ধার করে নিয়ে এসেছি। আমি আমার অনুভুতিটা একটু বুঝানোর চেষ্টা করি, আমি আমার জন্মের মুহুর্ত থেকে আজ পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে সব ২০-৩০ মিনিটে বলে শেষ করা যাবে, অথচ আমার বয়স ২৪ বছর। একইভাবে ১৪০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সকল ঘটনা কিন্তু বেশি ৩-৪ দিনে টানা বলে শেষ করা যাবে। আমি আরও স্পেসিফাইভাবে বলি, ডিয়াগো ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর সবাই ওকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আমি ভিডিও গুলো দেখার পর মনে হল, এই মানুষটা কি মৃত্যুর মুহুর্ত টা জানত। ব্যাপারটা এইভাবে ভাবা যায়, ১৯৮৬ সালের ফাইনালে ঠিক মাঠে নামার আগ পর্যন্ত কি ও জানত যে ও চ্যাম্পিওন হবে। আরও স্পেসিফাইভাবে বললে ও কি মুহুর্তগুলো আগে থেকেই আচ করতে পেরেছিল। না পারে নাই। ও যে ঠিক এই এই ভাবে গোল করবে, ও জানত না। আবার মুহুর্তগুলো যখন সে অতিক্রম করছিল তখন যদি ওকে জিজ্ঞ্যেস করা হয় ও তোমার মাথায় তখন কি ভাবনা চলছিল। ও খুব বেশিক্ষন সময় নিয়ে বলতে পারবে না। আমি ঠিক জানি না আমার অনুভুতিটা বুঝাতে পারছি কিনা, কিন্তু আমি আরেকটা ঘটনা দিয়ে বলার চেষ্টা করি। ছোটবেলায় বার্ষিক পরিক্ষায় অথবা অন্য যেকোন পরিক্ষায় আমি সমাজ, ধর্ম, বাংলা তারপর এইটাইপ বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যেতাম না, অনেকটা ৫০-৫০ সম্ভাবনায় পরীক্ষার হলে যেতাম। যখন নৈর্বক্তিক আসত তখন দেখতাম আমি বইয়ের এই অংশটা বাদ দিয়েছি, তখন মনে হত ইশ যদি এইটা পড়ে আসতাম, তাহলে উত্তর দিতে পারতাম প্রশ্নে। আমি এই উদাহরন দিয়ে এই কথাতাই বলতে চাচ্ছি কোনভাবে যদি আমাকে ২ ঘণ্টা আগে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকতো তাহলে হয়ত আমি ঠিক ঠাক উত্তর দিতে পারতাম। আমার কাছে মনে হয় পুরো জীবন টা এমনি। আমি একটা একটা করে মুহুর্ত হারাচ্ছি। আর আমার অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে একটু একটু করে। আর আমি যে আছি সেইটাও আমার কাছে ঠিক বোধগম্য মনে হচ্ছে না। কিভাবে মনে হচ্ছে না আমি একটু বলি।

আমি যে বাংলাদেশেই জন্ম নিব, এইটাই কে নির্ধারন করে দিল। এইটার উপর কি আমার কোন হাত ছিল? ছিল না। আমি যে ঢাকা থেকে সিলেট যেয়ে পড়াশুনা শেষ করে আসব সেইটাও তো আমি জানতাম না। আমার ক্লাসের ৪০ জন বন্ধু হবে, ওরাই যে আমার সহপাঠি হবে আমি কি জানতাম? আমি কথা বলার আগ পর্যন্ত আমি কাউকেই চিনতাম না। এর চেয়ে ভয়ংকর ভাবনা আমার কাছে মনে হয়, আমরা পরিবারে ৫ জন সদস্য। এই মুহুর্তে আমার মা কি ভাবছে আমি জানি না, আমার বাবা কি ভাবছে জানি না। আমার মা রান্নাঘরে ঠিক কোন কোন উপাদান মিশায়ে রান্না করছে আমি জানি না। আমি যে এই লিখাটা লিখচি এইটা ফেসবুক অথবা ব্লগে দেয়ার আগ পর্যন্ত কেউ জানবে না, এমনকি আমি যদি লেখাটা প্রকাশ না করি তাহলেও কেউ জানবে না, যে আমি এই লেখাটা লিখেছি। আপনি এই পৃথিবীতে আছেন অথচ আপনি আপনার খুব কাছের মানুষের অনুভুতি জানেন না। তার মানে আমি ঠিক থেকেও নাই। আমি থেকেও একা। আমি আরেকটা ব্যাপার বলে আমার অনুভুতিটা বুঝাতে সাহায্য করি, আমি যখন বাসে চড়ে সিলেট ঢাকা আসা যাওয়া করতাম তখম আমি দুপুরে দেখতাম মাঠে কোন শিশু দৌড়াচ্ছে, কোন কিশোরের দল ফুটবল অথবা ক্রিকেট খেলছে, অথবা কোন চাষী মাঠে কাজ করছে। আমার মাথায় সবসময় যেই অনুভুতি কাজ করত, আমার বাসটা যদি ঠিক ওই মুহুর্তে ওই মাঠটা অতিক্রম না করত,আর অই শিশু, কিশোর অথবা চাষী যদি অই মুহুর্তে ওই মাঠে না আসত তাহলে আমি এই ঘটনার স্বাক্ষি হতে পারতাম না। আচ্ছা আমার জন্ম তো আরও আগেও হতে পারত, এইট কে ঠিক করে দিচ্ছে, এমনকি কিছুদিন পর হয়ত আমি কোন শিশুর বাবা, আমি কি অই শিশুর চেহারা কল্পনা করতে পারি? পারি না। আমি ঠিক যে মুহুর্তে শিশুটাকে দেখব অই মুহুর্ত থেকে শিশুটার চেহারা আমার মাথায় গেথে যাবে। আমি যখন মাইনরিটি রিপোর্ট মুভিটা দেখি তখন আমার প্রচন্ড ভয় পাইছি, কারণ এইটা আমার ভাবনা ছিল, আমি ঠিক এইভাবেই ভাবি। এইটাও আমার কাছে একটা গানিতিক সমস্যা মনে হয়। কোনভাবে যদি অসংখ্য চলক একসাথে বিবেচনা করে, এই মুহুর্তে এই মানুষটা এই কাজ করতে পারে বের করা যেত। আমি আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে এই গানিতিক সমস্যা সমাধান করার ইচ্ছে পোষন করেছি।

এইসব ভাবনার কারনেই মনে হয় ১২০ বছর পর আমি বাচব না, তাহলে আমি কোথায় যাব? জামিলূর রেজা স্যার মারা গেলেন, ইরফান খান মারা গেলেন, আলী জাকের মারা গেলেন, ম্যারাডোনা মারা গেলেন। এরা যাচ্ছে কোথায়, মৃত্যু মুহুর্তে এদের অনুভুতি কি খুব জানতে ইচ্ছে করতেছে। আমি জানি আমি কখনই জানতে পারবনা। আমি একবার এক জুম্মার বয়ানে শুনেছিলাম, কোন এক লোক মৃত্যুর সময় আজরাইল কে দেখে বলেছিলেন, যে তুমি একটু আগেভাগে বলে আসলে ভাল হত, আমি কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতাম। আজরাইলের উত্তর ছিল, তোমাকে বারবার সংকেত দেয়া হচ্চিল- তুমি যখন যৌবনে আসলে সেইটা একটা সংকেত ছিল তোমার আয়ু ফুরাচ্ছে, তোমার সন্তান জন্ম আরেকটা সংকেত ছিল, তোমার ওর জন্য জায়গা ছাড়তে হবে, তোমার নাতি-নাতনী হওয়া আরও বড় সংকেত ছিল। আর কিভাবে তোমাকে সংকেত দিব যে তোমাকে জায়গা ছাড়তে হবে।

সুতরাং যত বেশিদিন পারেন সুস্থভাবে বেচে থাকার চেষ্টা করেন। পেলের বয়স ৮০, এখন বেচে আছে, মাহাথির মোহাম্মদ ৯৫ বছর। আর বিশ্বাস করেন, আমার আপনার দৃষ্টির বাইরে কেউ একজন আছে। জাফর ইকবাল স্যারের ক্যাম্প গল্পের শেষ কয়টা বেশ মনে পড়ছে- আমি মারা যাব কিন্তু আমার উপর বৃষ্টির ফোটা পড়লে আমি সেই অনুভুতি পাব না। অথবা রবি ঠাকুরের কবিতা- মরিতে চাহি না আমি এই সুন্দর ভুবনে। জীবনান্দ দাশের মত যদি আপনি ফিরে ফিরে এই বাংলায় আসতে চান, এই মুহুর্ত, এই কাল এই সময় এই আত্মীয় আপনি পাবেন না। সেইটা আরেক কাল হবে। সুতরাং ধর্মে বিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। কারণ আপনি অস্তিত্বহীন সবসময় এবং একা। আমি জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে বয়ানে মাওলানা সালাউদ্দিনের একটা কথা খুব মনে পড়ছে- হযরত আলী (রা) বলছেন, যদি মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে কিছু না থাকে তাহলে তো সবাই বেচে গেলাম, কিন্তু যদি থাকে তাহলে আমার সেই জীবন নিয়ে খুব ভয় হয়, কারণ আমি জানি না কেমন হবে সেই জীবন। এই কারনেই আমার কেন যেন মনে হয় রাজকুমার সিদ্ধার্থ যৌবনে ঘর ছেড়েছেন, হযরত মুহাম্মদ (স) হেরা গুহায় বসে বসে অনেক সময় কাটাইছেন। আমি জানি না তাদের মাথায় কোন অনুভুতি কাজ করত, কিন্তু গত কয়েকদিন যখন আমি এইসব ভাবছি তখন আমার মনে হচ্ছে সবাই এই অনিশ্চিত পথের পথযাত্রী । সুস্থভাবে বেচে থাকুন, আর বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাথা কম ঘামান। আমি মাথা ঘামায়ে কিছুদিন আগ পর্যন্ত মারামারি করে বাঝে ব্যবহার করতাম, সেই বাঝে ব্যবহারে জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। আমার প্রচণ্ড মৃত্যু ভয় হচ্ছে, ভয় হচ্ছে আমার পরিবার কে, বিশেষ করে বাবা মা কে নিয়ে এরা এত কষ্ট করল আজীবন অথচ আমি এদের আজীবন কাছে পাব না। এরা ভালো থাকবে তো মৃত্যু পরবর্তী জীবনে। ভালো থাকুন, ভালো ভাবে বাচুন। আর কেউ একজন এই মহাকাল টা আসলে নিয়ন্ত্রণ করেন, আমার ধর্মে সেইটা আল্লাহ তার প্রার্থনা করুন।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লজিকবিহীন ভাবনার ডলাপালাগুলো নিজের থেকেই গজায়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: সবসময় যে লজিকাল ভাবনা ভাবতেই হবে সেইটাই বা কোথায় বলা আছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হ্যা সেইটাও ঠিক এই ধরনের ভাবনেই নিজের উপর থেকেই গজায়। আর আমি মনে করি কোন ভাবনা আসলে তাকে ভাবতে দেয়া উচিত। জোর করে ভাবনা দমন করা বেশ খারাপ।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব চিন্তা ভাবনা বাদ দেন। অদরকারী চিন্তা ভাবনা। এই সব চিন্তা ভাবনা দিয়ে দেশ সমাজ বা নিজ পরিবারের কোনো উপকার হবে না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: উপকার শব্ধটাও কি আপেক্ষিক না?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আর উপকারের চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপুর্ন মনে হয় সবাই কে নিয়ে ভালো থাকা, আমার আশেপাশের মানুষজন কে নিয়ে ভালো থাকা, সুখে থাকা, সুস্থ থাকা।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

ফটিকলাল বলেছেন: স্যার রজার সুসকিন্ডের একটা বইতে এমন ভাবে পড়েছিলাম আইনস্টাইনের রিলেটিভিটির একটা কোর অংশ হলো স্বতঃস্ফুর্ততার লংঘন। তার মানে হচ্ছে আমরা ধরেই নেই যা ঘটছে বা ঘটেছে বা ঘটবে সবই স্বতঃস্ফূর্ত এবং তা পূর্বপরিকল্পিত নয়। যখন এটার লংঘন হবে তখন ধরে নিতে হবে আমাদের অতীত বর্তমান ভবিষ্যত আগে থেকেই নির্ধারিত। সেটা আইনস্টাইন বুঝিয়েছিলেন আলোর গতির মাধ্যমে দুটো পর্যবেক্ষক সেট করে যার একজন থাকবে ফ্রেম অব রেফারেন্সে আরেকজন থাকবে যার ওপর পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে সেটার ওপর। দেখা গেলো দুজনই বিভিন্ন সময়ে একই জিনিস দেখছে তবে তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী আগে বা পড়ে। যদি তত্ত্বগত দিক থেকে ধরি তাহলে সবকিছুই নির্ধারিত আর পর্যবেক্ষকদের দৃস্টিকোন থেকে দেখি তাহলে বোঝা যাবে দুজন বিপরীতমুখী সিদ্ধান্তে আসছে এবং তার দুটোই সত্য। গানিতিকভাবে দুটোরই সত্যতা প্রমান করা যায়।

কিন্তু আইনস্টাইনের জন্য বড় ধাক্কা ছিলো কোয়ান্টাম ফিজিক্স যেখানে আপনি পর্যবেক্ষণ করতে গেলেই পুরো সিস্টেমটাই কলাপ্স করে। তিনি অনেক চেস্টা করেন এর বিরোধিতা করার এবং সেটা মেনেও নেন। তবে সুসকিন্ডের সামগ্রীক কর্মকান্ড নিয়ে একটা অচিন্তনীয় রায় দিয়ে গেছেন। এটা আপনার পোস্টের আলোচ্য বিষয় নিয়ে বলে আলোচনা অন্য কোনো দিনের জন্য তুলে রাখছি।

এখন প্রথম যে মৌলিক প্রশ্ন আমার যে “আমি” নামক সত্বা এটার সৃস্টি কেনই বা হলো। আমার কাছে এই প্রশ্নটাই একটা সার্কুলার ফ্যালাসী মনে হয়। কারন আপনার যে “আমি” নামক সত্বা এটাকে সংজ্ঞায়িত করছেন আপনার নিজেরই আবদ্ধ ধারনা থাকে। সার্কুলার ফ্যালাসী মুক্ত প্রশ্নটা হওয়া উচিত ” তুমি”যে তোমারি সত্তা এটাই বা কিভাবে প্রকাশিত হলো।

এর একটা সহজ সমাধান হলো আমরা যখন ১২ আমের বীজ বুনে তাকে একই ভাবে একই কোনে আলো পানি সার দেবো তখন স্বভাবতই একই রকম হবার কথা। যখন আম হবে তার স্বাদ কিছুটা ভিন্ন হলেও সবকিছুই একই রকম বিধায় আমাদের কাছে তাদের আলাদা কোনো সত্বা হিসেবে প্রকাশ পাবে না। কিন্তু আমরা জানি তাদের একটা জীবন আছে। জীবন মানেই আত্মা বা রূহ। কিন্তু বিজ্ঞান অধিকাংশে প্রমান করেছে আত্মা কিছুই নয় শুধু মাত্র কিছু রাসায়নিক পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও নিয়ন্ত্রিতে বিক্রিয়া। তাহলে এটাই প্রমান হচ্ছে এখানে গাছের স্বকীয়তা বলতে আমের স্বাদে সুক্রোজের সাথে আমের ফ্লেভারের মিথস্ত্রিয়া। দর্শনে এরকম বেশ কিছু পরীক্ষা আছে যেখানে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ফলাফল একই হবার কথা। বিজ্ঞানের ফ্রেমওয়ার্কও এই প্রথা মেনে চলে। তার মানে গাছগুলোকে একই ভাবে লালন পালন করা সম্ভব এবং ফলাফল একই আসতে পারে।

উদাহরনটি যদি আরেকটু সহজ করি তাহলে একটা বিশাল ফ্যাক্টরি ডিসিশন নিলো যে জাফলং এর লিগনাইট বা বক্সাইট জাতীয় পাথর গুলো তারা নিজেরা তৈরী করবে কৃত্রিম ভাবে। এখন যেকোনো কারনেই হোক তাদের থ্রিডি প্রিন্টারে প্রথম ১০ টা স্যাম্পল একই শেপ, ইনগ্রিডিয়েন্ট দিয়ে বানালেন। সেক্ষেত্রে ১০ পাথর হুবুহু একই প্রতিসাম্য বহন করবে। তাদের মধ্যে কোনো স্বকীয়তা, আমিত্ব তুমিত্ব কিছুই থাকবে না।

এটা গেলো জড়পদার্থের ক্ষেত্রে। মানুষের ক্ষেত্রে কি এটা ঘটতে পারে? একজন মানুষের ব্যাক্তিত্বে তার জীন যতটা না প্রভাব ফেলে তার চে বেশী প্রভাব ফেলে তার পারিপার্শ্বিকতা। আর তাই জমজ দুই ভাই আলাদা করে বিভিন্ন পরিবেশে বড় করলে তারা আলাদা পথেই যাবে। অনেক সময় এক সাথে থাকলে তারা ভিন্ন প্রফেশনে যায় কিন্তু সেখানেও অনেক ব্যাপার আছে। পারিপার্শ্বিকতা মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে বলেই দুজন ভিন্ন দিকে যায়। সেখানে জেনেটিক ব্যাপারটাই অকার্যকর হয়ে যায়।

তাহলে দেখা যায় আমরা সার্কুলার ফ্যালাসী থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমার আমিত্ব থেকে তোমার তুমিত্ব তো গেলাম সেখানে একটা স্ট্রম্যান ফ্যালাসী কাজ করছে যার কারন হলো তখন আমরা কাল্পনিক একটা সত্বার সাথে তুলনা করছি।


তাহলে সঠিক প্রশ্নটি কি হবে? আমার মনে হয় এখানে সঠিক প্রশ্ন না খুঁজে একটা সহজ উত্তর খোজা উচিত যেটা আপনি আপনার সুবিশাল পোস্টেই দিয়ে গেছেন। শক্তির রূপান্তর। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি সত্বার রূপান্তর। আমার মৃতদেহের ওপর যে বৃক্ষ ঘাসকনা বেড়ে উঠবে সেখানেও আমি থাকবো। এমনকি আমার দেহের মধ্যেও আরো অনেকের সত্বা বিদ্যমান।

অসম্ভব সুন্দর দার্শনিক পোস্ট লিখেছেন

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্রথমত ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা আলোচনা করা যাবে এমন একটা মন্তব্যের জন্য। আমি সাস্কিন্ডের কিছু টক শুনেছি কিন্তু কোন বই পরি নাই। সে ফাইনম্যানের বেশ ভাল বন্ধু ছিল এইটা শুধু জানি। এখন আপনি যেই ব্যাপারটা বলতে চাচ্ছেন এইটা আমিও একমত। আমার কাছে মনে হয় সবসময় একটা দ্বিমুখিতা কাজ করে। যেমন আপনি রিলেটিভেটি দিয়ে আলোর বেগে চললে সময় কতটুক ধীরে চলবে সেইটা আপনি বের করে ফেলতে পারেন। তারমানে আপনি অনেকটা বলতে পারেন যে, কতটুক সময় হারাচ্ছি। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই- ধরেন কোন রেডিয়াম পরমানু এর তেজক্রিয়তার ক্ষয় হওয়ার হার আপনি পৃথিবীতে বসে হিসাব করছেন। তখন ধরে নিচ্ছি এর অর্ধায়ু কাল হবে অর্থাৎ ঠিক অর্ধেক পরিমানে আসতে সময় লাগে ৫ ঘন্টা। এখন একই পরীক্ষা যদি আপনি আলোর বেগে চলা কোন রকেটের মধ্য দিয়ে করতে যান তখন দেখবেন যে পৃথিবীর হিসেবে এই ঘটনা অর্থাৎ অর্ধায়ু হতে সময় লেগে যাচ্ছে প্রায় ১০ ঘন্টা কারণ সময় ধীরে চলছে পৃথিবীর সাপেক্ষে। কিন্তু রেডিয়াম পরমানু কিন্তু ওর হিসেবে ঠিকই ৫ ঘন্টা সময়ে অর্ধেকে চলে আসবে। আরও সহজ ভাবে বললে জমজ ভাই কে নিয়ে যে প্যারডক্স আছে সেইটা কথা বলা যায়, যে ভাই রকেটে চলছে ওর কাছে কিন্তু এক বছর এক বছরই, কিন্তু পৃথিবির হিসেবে এই এক বছর কিন্তু ৩০-৪০ বছর হয়ে গেছে ফলে পৃথিবীতে থাকা ভাই বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই কথার একটা ব্যাখ্যা হচ্ছে সময়ের হিসাবটা ঠিক আপেক্ষিক অর্থাৎ আমি এক বছরে হয়ত ভবিষ্যৎ দেখে ফেলতে পারব কারণ এক বছরে আমি ৩০-৪০ বছর পার করে চলে আসছি, যে ভাই রকেটে আছে তার সাপেক্ষে। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা কি আসলেও এইভাবে ভবিষ্যৎ দেখে ফেলতে পারব?

কোয়ান্টাম মেকানিক্স এইখানে একটা বিশাল একটা ধাক্কা দেয়। কারণ আমি চাদের দিকে তাকালেই চাঁদ কে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু চাদের দিকে যেই চোখ সরায়ে নিলাম আমি আর চাদের কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার মানে হচ্ছে চাঁদ কিন্তু আছে অথচ আমি চাদের কোন ঘটনাই ব্যাখ্যা করতে পারছি না। এর কারণ দুইটা হতে পারে হয়- কোন গুপ্ত চলরাশি আছে যা আমাদের চারপাশ ব্যাখ্যা করে, কিন্তু আমরা এখনো এই গুপ্ত রাশির কোন সন্ধান পাই না ফলে আমাদের গানিতিক ব্যাখ্যা গুলো বেশ অসম্পুর্ন। আরেকটা কারণ হতে পারে যে, আমাদের যে তত্ত্ব দিয়ে এইসব ব্যাখ্যার চর্চা চলে তা অসম্পুর্ন অর্থাৎ তত্ত্বগুলো অসম্পুর্ন। তার মানে হচ্ছে আমি একটা সম্ভাবনায় আছি হয় আমাদের চারপাশের ভুল অথবা আমাদের চারপাশের বাইরে কিছু একটা আছে যা আমরা জানি না এইটা আমরা জানতে চাইলেও হয়ত জানতে পারব না।

এবং এই অনুভুতিটার কথাই আমি বলেছি পোস্টে। যে আমরা জানি না আমরা কি অথবা আমরা কেন আমরা? এবং আপনি খুব সুন্দরভাবে আমার পোস্টের মর্মার্থ বুঝতে পেরেছেন সেই জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফটিকলাল ভায়ার মন্তব্য আর আপনার প্রতিমন্তব্যের সূত্রে অন্য একটা বিষয় মনে এল।

সময় ধাঁধা নিয়ে ইসলামে বহু ক্লু আছে । কিন্তু ভাবুক নেই। বজ্ঞিানসম্মত বা গাণিতিক প্রমান বা গবেষনা করার।
যেমন- মিরাজ! মিরাজে জান্নাত জাহান্নাম দর্শন।আবার পুরো মিরাজে বলা হয় ২৭ বছর অতিক্রান্ত হয় অথচ ফিরে দেখেন অজুর পানি গড়িয়ে যাচ্ছে। শেকল তখরো নড়ছে -বিছানাটাও ওম তখনো আছে।
সময়ের এই খেলা আমরা বিস্ময়ে আর ভক্তিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু এ নিয়ে গবেষনা বা বিজ্ঞান সম্মত চর্চা নেই।
আবার আল্লাহ বলছেন আমার একদিন তোমাদের হিসেবে হাজার বছর!
আরেক স্থানে বলছেন কিয়ামতের একদিনের দৈর্ঘ্য তোমাদের হিসেবে পঞ্চাশ হাজার বছর।

সৃস্টিতত্বের একটা হাদীসে আমি বিস্ময়ে অভিভূত হয়েছিলাম সৃষ্টি বিশাল টাইম ফ্রেম লুকানো এটা অনুভব করে।
যেখানে জিবরীল আ: নবীজির বড় না ছোট এই প্রসংগে আলোচনা হয়। নবীজি জানতে চেয়েছিলেন জিবরীল আ: এর কাছে। আপনি আপনার সৃষ্টির পর কি দেখেছেন?
জিবরীল আ: বল্লেন- তখন অন্য কোন সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়নি। আমি শুধু একটা তারা দেখেছি। যেটা উদিত থাকতো সত্তর হাজার বছর, অস্তমিত (অদৃশ্য) থাকতো সত্তর হাজার। এভাবে সত্তর হাজার বার দেখেছি।
রাসুল সা: বললেন- আমিই ছিলাম সেই তারা।

এই যে ক্লু গুলো যা নিয়ে মুসলমানদের বিস্তর কাজ করার সুযোগ আছে সেগুলো অবহেলায় পড়ে আছে।

আমি তুমি প্যরাডক্স অন্তহীন।

যখন জ্ঞানের দুয়ার খুলে যায়
দেখি সুমুখে দাড়িয়ে আমি।
তুমিই কি আমি, না আমিই তুমি
সী মোরগের আত্মজ্ঞানে নিরব রই আমি।।



০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি যেই দুইটা কথা নিয়ে আসলেন- মিরাজ আর জিব্রাইল আর নবী (স) এর কথোপকথন, এইটা নিয়ে আমার একটা ব্যাখ্যা হচ্ছে, ধর্মে সবসময় মনে হয় এই সময়ের উত্তরটাই খুজার চেষ্টা করা হয়েছে। কিভাবে চেষ্টা করা হয়েছে আমি একটু বলি, প্রথমেই যেই স্বাভাবিক প্রশ্ন আসবে তা হচ্ছে, আমি যেই সময়টা পার করছি এইটা কি অনুভব করতে পারছি। আমি কিন্তু পারছি না। এবং আমরা সবসময় একটা কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই ফলে এই অনুভুতিটা সবসময় কাজ করে না। আমি আরো সুক্ষভাবে যদি বলতে চাই তাহলে আমার প্রশ্ন টা হবে এমন আমি কি কাল সকালের মুহুর্ত গুলো আগে থেকে বলতে পারব নাকি পারব না? বা আমি একদিন আগে ঠিক এই মুহুর্তে কি করছিলাম বলতে পারব? খুব গুরুত্বপুর্ন কিছু না ঘটলে বলতে পারব না। এইযে অতীত আর ভবিষ্যতের এরক্টা গোলক ধাধায় মানব জীবন আটকে আছে, এই থেকে মুক্তির চেষ্টা দেখা সকল ধর্ম গ্রন্থে। এখন আপনি যদি বৈজ্ঞানিক ব্যাপারটা কে রেফারেন্স ধরেন তাহলে মিরাজের ঘটনায় যে ভুল্টা আছে তা হচ্ছে, ২৭ বছর পৃথিবীতে পার হওয়ার কথা। কারণ আপনি যদি আলোর বেগে চলেন যে আলোর বেগে চলছে তার সময় ধীরে চলে যাওয়ার কথা, অর্থাৎ পৃথিবীতে সময় পার হয়ে যাবে, স্বর্গে ২৭ বছর পার হওয়ার কথা না। কিন্তু মুসলিম হিসেবে আমি ঠিক এই কারনেই যারা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম ব্যাখ্যা করতে চায় ওদের থেকে আমি একটু দূরে থাকতে চাই, কারণ একটা প্রামান্য ধরলে আরেকটা ঠিক ব্যাখ্যা করা যায় না। যেমন মিরাজে ২৭ বছর পার হয়েছে কিন্তু পৃথিবীতে এক মুহুর্ত পার হয় নাই, এইটা আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে উল্টা হওয়া উচিত, পৃথিবীর সবাই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার পোস্টের আর আপনার মন্তব্যের মূল বক্তব্য এইটা ছিল না, ছিল যে সময়টা যে আমরা অতিক্রম করছি, এইটা সর্বদা বিলীন হচ্ছে, আর আমরা একটা অজানা পথের দিকে ধাবিত হচ্ছি, যার সম্পর্কে আমাদের বিন্দুমাত্র কোন ধারনা নেই, এমন কি যে সময়টা পার করে আসছি সেইটা সম্পর্কেও পুর্ণ হিসাব দিতে পারব না। কিন্তু আমি প্রতিটা মুহুর্ত পার করে চলে আসছি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আর দ্বিতীয় যেই ব্যাপারটা নিয়ে বললেন সেইটার বৈজ্ঞানিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা আদৌ ঠিক হবে কিনা আমি ঠিক বুঝতেছি না, কারণ একে এইখানে একটা ধর্মীয় বিশ্বাস, আরেকটা হচ্ছে ঠিক আদি খুজতে চাওয়ার চেষ্টা। এখন আদি খুজতে চাওয়ার চেষ্টা অনেকভাবেই করা হয়েছে। বিগ ব্যাং তো খুবই বহুল পরিচিত একটা তত্ত্ব। এবং এই তত্ত্বের একটা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ১০^-২৩ অর্থাৎ দশমিকের পর যদি আমি ২২ টা শুন্যস্থান দেই এবং তারপর ১ লিখি তাহলে যেই সংখ্যা পাব অতটুক সময়ের হিসাব এই তত্ত্ব দিতে পারে না। দিতে না পারার কারণ হচ্ছে অতটুক সময়ে এমন গুরুত্বপুর্ন কিছু ঘটে নাই, যার হিসাব প্রমান করা যাবে।

আর বিগ ব্যাং থেকে যেই কয়েক কোটি বছর পর মানুষ, পৃথিবী আসল সেই সময়টা কিন্তু মহাকালের হিসেবে খুবই ক্ষুদ্র একটা সময় ব্যাপ্তি। আপনি যদি কার্ল সাগানের কসমস দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন সেইখানে তিনি বলেছেন, এই মহাকাল যদি একটা পঞ্জিকা হয় তাহলে আমরা এই পঞ্জিকার ডিসেম্বর মাসে একত্রিশ তারিখে আছি। বুঝুন কত ক্ষুদ্র একটা সময়কাল নিয়ে আছি আমরা। সেই ক্ষুদ্র সময়কালের আরও ক্ষুদ্র একটা অংশ হচ্ছে মানব জীবন। ঠিক এই কারনেই বলা এই সভ্যতা টিকবে তো? নাকি আমরা নতুন আরেক পঞ্জিকা শুরু করতে যাচ্ছি। ঘটনা যাই ঘটুক সব আমাদের কাছে অনিশ্চিত, অজানা। অতীতের সব ঘটনা যেমন আমরা বলতে পারবনা, তেমনি পারব না ভবিষ্যৎ। তার মানে হচ্ছে কিছু একটা আমাদের জ্ঞ্যানসীমার বাইরে অবশ্যই আছে।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

কথক আরমান বলেছেন: নতুন প্রজন্মের কিছু বিজ্ঞানীর মতে আমরা আমাদের চেয়ে উন্নত কোন জাতির বানানো ভিডিও গেম বা সিমুলেশন,যদিও গাজাখুড়ি থিউরি এইরকম থিউরির কাছাকাছি কিছু হলে আমাদের জীবন পাব্জি গেমের ক্যারেক্টর গুলোর মতোই অর্থহীন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাপারটা আসলে সত্যি, আমরা যা দেখি তা হয়ত কোন হলোগ্রাফিক সিমুলেশনের একটা অংশ। আসলে এই প্রয়াস হচ্ছে আমার কাছে আমাদের যাত্রা অথবা আমাদের অস্তিত্ত্ব টা কে একটু অর্থবহ করে তোলার একটা প্রচেষ্টা। এ ছাড়া আর কিছুই না। আমার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয় অর্থহীন সবকিছু। আমরা একটা আরোপিত অর্থারোপ করার চেষ্টা করি। সবই ভুল আবার সবই ঠিক।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিরাজের ঘটনায় যে ভুল্টা আছে তা হচ্ছে, ২৭ বছর পৃথিবীতে পার হওয়ার কথা। কারণ আপনি যদি আলোর বেগে চলেন যে আলোর বেগে চলছে তার সময় ধীরে চলে যাওয়ার কথা, অর্থাৎ পৃথিবীতে সময় পার হয়ে যাবে, স্বর্গে ২৭ বছর পার হওয়ার কথা না। কিন্তু মুসলিম হিসেবে আমি ঠিক এই কারনেই যারা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম ব্যাখ্যা করতে চায় ওদের থেকে আমি একটু দূরে থাকতে চাই, কারণ একটা প্রামান্য ধরলে আরেকটা ঠিক ব্যাখ্যা করা যায় না। যেমন মিরাজে ২৭ বছর পার হয়েছে কিন্তু পৃথিবীতে এক মুহুর্ত পার হয় নাই, এইটা আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে উল্টা হওয়া উচিত, পৃথিবীর সবাই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

আবার বিষয়টা রিভার্স ভাবুন। সময় এবং স্থানের এমন এক লুপে যেখানে ১০০ বছর পৃথিবীর কয়েক সেকেন্ড!
সেখানে আলোর গতির ধ্রুবকে না থেকে আরো গতিময়তা - বোরাক, জিব্রিল আর এর গতিতে ধ্রুবক ধরুন।
দেখবেন দুটোই সম্ভব।
এমন স্থান আছে যেখানে একদিন কাটালে পৃথিবীতে ফিরে দেখবেন সব বৃদ্ধ বা মৃত। আবার উল্টোটা তবে ভাবতে পারবোনা কেন? ;)

আমি জানি আপনার পোস্টের মূল বক্তব্য এইটা ছিল না,

আপনি যা ভাবছেন- যে সময়টা যে আমরা অতিক্রম করছি, এইটা সর্বদা বিলীন হচ্ছে, আর আমরা একটা অজানা পথের দিকে ধাবিত হচ্ছি, যার সম্পর্কে আমাদের বিন্দুমাত্র কোন ধারনা নেই, এমন কি যে সময়টা পার করে আসছি সেইটা সম্পর্কেও পুর্ণ হিসাব দিতে পারব না। কিন্তু আমি প্রতিটা মুহুর্ত পার করে চলে আসছি।

এই ধাঁধা থেকে মুক্ত হতে হলেও আপনাকে সময় নিয়ে সম্ভাব্য সকল ভাবনাকেই মাথায় রাখতে হবে।
আপনি আধ্যাত্ববাদের উচ্চমানের একজন গুরু ধরুন। হয়তো অনেক সমস্যার পলক সমাধান পেয়ে যাবেন। :)

সময়কে জয় করে নিয়ন্ত্রনে নেবার অনেক ঘটনা অলি আউলিয়াদের জীভনে আছে। আমরা যেগুলোকে বিজ্ঞান সম্মত না ভেবে কেবলই অন্ধ ভক্তি বা মিরাকল বলেই শেষ করে দেই।

ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্রথম অংশের উত্তর হবে, হ্যা ভাবতেই পারি অন্য কিছু একটা ধ্রুবক। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুসারে আলোর বেগ ধ্রুবক, বিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম গ্রাভিটিতে সময় কে কোয়ান্টাইজড করে স্থান কালকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। এর ফলে হয়ত আমরা এমন কিছু একটা পাব যে হয়ত স্থানকালের কোন একটা লুপে গেলে দেখব যে যে আলোর বেগে চলছে সে দেখবে সে ১০ বছর পার করে চলে আসছে অথচ পৃথিবীতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। হইতেই পারে, আর এইভাবে ভাবতেই পারি। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ই ভাবনার ভিত্তি টা বিজ্ঞান সমর্থন করে কিনা, আর এইভাবে ভেবে আমি যে তত্ত্বটা দিব তা আরও কিছু ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারবে কিনা।

আর দ্বিতীয় অংশের কথা হচ্ছে, মাইনরিটি রিপোর্ট মুভিতে না ঠিক এইরকম আরও অনেক সম্ভাবনা হিসেব করে্‌ একটা লোক কখন কাকে খুন করতে পারে এইসব দেখাইছে। আমার কাছে মনে হয় এইটা একটা খুব ভালো গানিতিক সমস্যা। আমি যেমন আমার পোস্টে বললাম, যে আমি বাসে যাওয়ার সময় ঠিক মাঠে ঠিক ছেলেটাকে দেখছি এইটা কি কোনভাবে বলা সম্ভব? আমার কেন যেন মনে এইটা বলা সম্ভব। এইটা খুব ভালো একটা গানিতিক সমস্যা। যদিও আমি জানি না এইটা কিভাবে সমাধান করা যাবে কিন্তু অসংখ্য চলক অথবা অসংখ্য সম্ভাবনা হিসেব করে এই সিদ্ধান্তে আসা যেতেই পারে, আর এইটা নিয়ে ইতোমধ্যে একটু আধটু কাজ শুরু হয়ে গেছে। কম্পিউটারে মানব শিশু জন্ম দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাইলে আয়রনম্যান খ্যাত রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের উপস্থাপনায় ইউটিউবের the age of ai সিরিজ টা দেখতে পারেন সেইখানে দেখবেন, সকল সম্ভাবনা বিবেচনা করে কম্পিউটারে মানব শিশু জন্ম দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এমন কি তাকে নিয়ে মজার খেলা খেললেও যে ঠিক অইভাবে হাসে, ভয় দেখালে কাদে। জানি না ভবিষ্যতে কি হবে।

আমি আপনাকে উল্টো আরেকটা ভাবনা দেই, জাফর ইকবাল স্যারের কল্পবিজ্ঞানের বইগুলোতে দেখবেন মানব দেহ কে ঘুম পাড়ায়ে দেখে স্পেশশিপে পাঠায়ে দেয়া হচ্ছে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে। এইটা কিন্তু হইতেই পারে, মানুষের সকল কর্মকান্ড কম্পিউটারে হচ্ছে এবং এইটা স্বয়ংক্রিয়, কোন জৈবিক মানুষ নাই। ধরেন আপনি সেই কম্পিউটারের মানুষ, আপনি কম্পিউটারে জন্ম নিচ্ছেন, বিয়ে করছেন, সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। আমি তো ভেবেই ভয় পাচ্ছি।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আশাকবি, নবী (স: )'এর নামে অন্যেরা মিরাজের কাহিনী যোগ করেছে, উনি নিজে এই কাহিনী বলেননি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি যতটুক জানি উনি নিজে এই কথা বলেছিলেন। এমনকি কুরাইশদের সামনে উনাকে জেরুজালেমের আঁকশা মসজিদের দরজা কয়টা, জানালা কয়টা এইসবের হিসেব দিতে হয়েছে। আর নির্দ্বিধায় উনার সকল কথা সত্য বলে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন হযরত আবু বকর (রা)। ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে এইটা সত্যি কাহিনী। এখন আপনি যদি যুক্তি খুজতে চান, তাহলে অনেক কিছুই অসাড় পাবেন। আমি নিজেই ভৃগু ভাইয়ের প্রতিমন্তব্য একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি, যে ২৭ বছরের যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তা আপেক্ষিকতার সাথে ঠিক যায় না।

এবং আমার কাছে মনে হয় কথক আরমান যেই কথাটা বলতে চেয়েছেন তার সাথে আমি কিছুটা একমত এই কারণে যে, আসলে সব কিছুই অর্থহীন। আপনি কতটা অর্থবহ করে তুলতে পারেন সেইটা আপনার উপর। এই অর্থবহ করে তুলার প্রয়াস থেকেই সভ্যতা জটিল থেকে জটিল হচ্ছে। কারণ দিন শেষে আমার কাছে মনে হয় সবাই এই প্রশ্নের ই উত্তর খুজতে চায় আমরা যাচ্ছি কোথায়? আপনি কি বলতে পারবেন, দুই বছর পর ঠিক বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় আপনি কি করবেন? প্রসঙ্গত বলে রাখি যখন রাত ৮ টা লিখচি তা রাত ৮ টা ১ হয়ে যাচ্ছে। এই প্রবাহ খুজার চেষ্টা সকল দর্শনের, সকল বিজ্ঞানের, সকল ধর্মের।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ফটিকলাল বলেছেন: @চাঁদগাজী সাহেব

মিরাজের কথা পড়ে কেউ যোগ করেছে বলে মনে হয় না কারন কোরানের বিভিন্ন সুরা ও আয়াতে আছে। এ ঘটনার কথা হযরত আলী রাঃ এর সংকলনে যে হাদিস সংগ্রহ করা হয়েছে যা শিয়ারা অনুসরন করেন এবং আদি সীরাতসমুহতে এর পরিস্কার বর্ননা আছে। তবে এই মিরাজের সাথে গিলগামেশ, সুমেরিয়ান এবং সনাতন ধর্মের অনেক কল্পগাথার সাদৃশ্য আছে। এর কাছাকাছি ঘটনাসমূহ তখন মধ্যপ্রাচ্যের ঐ এলাকাতে বহুল প্রচলিত ছিলো

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হ্যা খুব ভালো বলেছেন যে, কাছাকাছি কিছু ঘটনা অন্যান্য ধর্মেও আসছে। ঠিক এই কারণে এই ধর্ম নিয়ে মারামারি ব্যাপারটা ইদানীং আমার কাছে বেশ বিরক্তিকর লাগছে। কারণ সবাই একই কথা একটু ঘুরায়ে প্যাঁচায়ে বলার চেষ্টা করছে। ধন্যবাদ।

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষের স্বাধীনত আছে যেমন খুশি ভাবতে পারে।যৌক্তিকভাবে ভাববেন নাকি অযৌক্তিকভাবে,সেটার স্বাধীনতা আপনার আছে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি যা অযৌক্তিক বলছেন সেইটা যে অযৌক্তিক এইটার প্রামান্য কি? আপনার কাছে অযৌক্তিকতার সংজ্ঞা কি?

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এক কথায় চিন্তার বিজ্ঞান।যে চিন্তা ভাবনার সাথে বৈজ্ঞানিক সত্য আছে তাই যৌক্তিক ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এখন তো মাথায় প্রশ্ন চলে আসল। চিন্তার সাথে বৈজ্ঞানিক সত্যতার কথা বললেন সেইটা কি সবসময় সত্যি? ছোট্ট একটা উদাহরন দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করি। যেমন ধরুন প্রাচীন টলেমির জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুযায়ী পৃথিবী হচ্ছে কেন্দ্র একে কেন্দ্র করে সবকিছু ঘুরতে থাকে। এই ভাবনা যা একটি বৈজ্ঞানিক ভাবনা হিসেবেই পরিচিতি এইটা বাইবেলে পর্যন্ত অনুসরন করা হয়েছে। এখন যখন কোপারনিকাস, গ্যালিলিও এসে বলল এইটা তখন কি টলেমির বৈজ্ঞানিক ভাবনা অযৌক্তিক বলবেন আপনি? তাহলে কি আপনি প্রায় ২০০০ বছর মানুষ যেই ভাবে ভেবেছে সেই ভাবনা কে আপনি বলবেন অযৌক্তিক? আরও ভালো উদাহরণ হচ্ছে স্ট্রিং থিওরি বা এই ধরনের কাছাকাছি তত্ত্ব অনুযায়ী সমান্তরাল মহাবিশ্ব/ প্যারালাল ইউনিভার্সের কথা বলা হয়। এইভাবনা কিন্তু বৈজ্ঞানিক। তবে এই ভাবনার সবচেয়ে বড় অসাড়তা আমার কাছে মনে আমি কি জানি আমার যদি আরেকটা ভার্সন আরকেটা ইউনিভার্সে থাকে, তাহলে ও কি করছে? নাকি ওর কোন খোজ খবর আমি রাখতে পারি। আপনি তো আপনার সে ইউনিভার্সে এক্সিস্ট করছেন, সেই ইউনিভার্সের সকল ঘটনার উপর কোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, আরেকটার কি করে করবেন? এই ভাবনা বৈজ্ঞানিক কিন্তু কি যৌক্তিক?

এখন চিন্তার যে বিজ্ঞান বললেন, সেইটাই বা কতটুক সঠিক? আরও কিছু উদাহরণ দিচ্ছি আমরা কমন সেন্স নামক একটা শব্ধ ব্যবহার করি, অনেক সময় এইটা দিয়ে বলতে চাই মাঝে মাঝে ব্যাপারটা কতটুক যৌক্তিক। এখন এই কমন সেন্সের ব্যাপারটা কি সর্বজনীন যৌক্তিক? যেমন একটা ছোট্ট ঘটনার অবতারনা করাই- আপনি একটা গাড়ী চালাচ্ছেন রাস্তার ঠিক মাঝখানে হঠাত করে একটা ৭-৮ বছরের বাচ্চা আর তার সাথে ওর বৃদ্ধা দাদী চলে আসল, এখন আপনার তাড়া আছে, ধরে নেন আপনার হাতে এক মিনিট সময় আছে এর মধ্যে আপনার পরিবারের কাছে পৌছাতে হবে নচেৎ তারা তেজক্রিয়তায় মারা যাবে। এখন আপনি কি করবেন? বলে নেই গাড়ী আপনি পুরো রাস্তা জুড়েই চালাচ্ছেন অর্থাৎ আপনি তাদের পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারবেন না। এই ভাবনার প্রচুর অসাড়তা পাবেন। কিন্তু যারা অটমেটিক ড্রাইভার লেস ভেহিকল নিয়ে কাজ করেন তাদের কাছে এইটা ভয়ঙ্কর একটা প্যারাডক্স। দেখেন একটা বৈজ্ঞানিক কাজের কিন্তু একটা কি ধরনের চিন্তা নিয়ে তারপর টেসলার মত কোম্পানী গাড়ি বানাতে চাচ্ছে। এই ভাবনাও কি আপনার কাছে অযৌক্তিক?

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অবশ্যই ভাবতে হবে আমি কোথায় হতে আসলাম আবার একদিন হারিয়ে যাব। একদিন আমার সব কিছুর বিচার হবে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাস থেকে তাতো অবশ্যই। এর আমি আমার লেখায় এইটাই বুঝাতে চাচ্ছি আমরা তো জীবন দশায় প্রতি মুহুর্ত কিভাবে কাটাইছি সেইটা বলতে পারছি না, তাহলে তখন কিভাবে বলব। খুবই ভীতিকর একটা অবস্থা।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এভাবে ভাবুন না কেন, আপনি আমি সবাই ম্যাট্রিক্স নামক স্বপ্ন জগতে আছি সবাই। স্বপ্নটা যিনি দেখাচ্ছেন তিনি প্লাগটা খুলে ফেললেই সব অন্ধকার।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ভাবতে তো কোন অসুবিধা নাই। ম্যাট্রিক্স/ ইন্সেপশন মুভির মত যেইভাবে ইচ্ছে ভাবতে পারেন। কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই একই কথা যে যেই স্বপ্ন দেখছেন এইখান থেকে জেগে উঠলে আপনি কি কিছু দেখতে পারবেন? আর প্লাগ খুলে ফেললে সব স্বপ্ন চলে গেল কিন্তু আপনার স্বপ্ন যেই দেহ দেখছে তার কি হচ্ছে? সব অবান্তর প্রশ্ন, আবার সব গ্রহনযোগ্য। আমরা যে কি আসলে সেইটা আদৌ আমরা কখনও খুব্জে বের করতে পারব না বলেই মনে হয় আমার কাছে।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর উপকারের চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপুর্ন মনে হয় সবাই কে নিয়ে ভালো থাকা, আমার আশেপাশের মানুষজন কে নিয়ে ভালো থাকা, সুখে থাকা, সুস্থ থাকা।


সুন্দর বলেছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ দুপুর।
বলেছেন, ...একটা একটা মুহূর্ত হারাচ্ছি, একটু একটু করে অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে...। মুহূর্তকে গভীরভাবে অনুভব করতে পারা মানুষদের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কমে এসেছে। শুরুতেই আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই, কারন যে কজন মানুষ এখনও মুহূর্তকে অনুধাবন করতে পারেন, তাদের ছোট্ট দলে আপনি আছেন।

মাঝে মাঝে সেই পুরনো কথাই মনে হয়, পৃথিবীর সকল ঘটনা একটি চলমান নাটক। মঞ্চস্থ এই নাটকে আমি আপনি অভিনেতা মাত্র। পরিবেশের সাথে কতটুকু অংশগ্রহন করবো, সেটা আমার আপনার সচেতন অবচেতন মন দ্বারা সীমাবদ্ধ। ফলাফল এই সীমাবদ্ধতার উপর নির্ভর করে। আবার একই সমান্তরালে চলমান কয়েকটি ঘটনাও ফলাফলকে প্রভাবিত করে।

আমরা আমাদের সারাজীবনের চেষ্টা দ্বারা হয়তো কিছুমাত্র ঘটনাকে প্রভাবিত করতে পারবো, কিন্তু আমাদের নিয়তি যেখানে সেখানটায় যাওয়াকে কোন মতেই আটকাতে পারবো না। হয়তোবা পথ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু সেই ভিন্ন পথ ঘুরে এসে আপনাকে সেই একই চেনা নিয়তির সামনে এসে দাঁড় করিয়ে দিবে। কাজেই আপনাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর খুব কম অংশ ( অনেক অনেক কম) - এর নিয়ন্ত্রন আমাদের হাতে আছে। এই সত্য যখন আমি বুঝতে পেরেছি, ধর্মে বিশ্বাস করা স্পষ্ট করে বললে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করাটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে।

জীবনানন্দের মতো বার বার বাংলায় ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। এই বয়ে যাওয়া সময় এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তকে ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। আমার অস্তিত্ব আছে কিন্তু অতি নগন্য। বিশাল অন্ধকার মহাকাশে পৃথিবীটাই যে একটি মলিন নীল বিন্দু।

এমন লেখা লিখে ভাবনার সুযোগ করে দিলেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: সেটাই আসলে, আমরা একটা সীমাবদ্ধ সময়ে সীমাবদ্ধ স্থানকালের মধ্যে আটকা পড়ে আছি। এর থেকে মুক্তির কোন উপায়। এবং এই বহমানতা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। ধন্যবাদ বেশ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

আবার ফিরে আসাতেই বেশি আনন্দ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হ্যা আমরা বারবার ফিরে ফিরে সেই হারানো মুহুর্তগুলোর কাছেই ফিরে যেতে চাই।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: না,কোন কিছুই অযৌক্তিক না।আমিও যা বলছি আপনিও তাই বলছেন।বিজ্ঞান শেষ কথা বলে কিছু নেই।এখন পর্যন্ত যে সত্য আমরা জেনেছি সেই সত্যের আলোকেই যুক্তিগুলোকে দাঁড় করাতে হবে।সেটাই যৌক্তিক।

বিজ্ঞান একটা চলমান বিষয়।প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে সত্যের যাচাই বাছাই চলছে, আরো নতুন সত্য বেরিয়ে আসছে।বিজ্ঞান শেষ কথা বলে কিছু নেই।
চরম সত্য বলেও কিছু নেই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: সেটাই কোন কিছু চরম সত্য বলে কিছু নাই। আমাদের পিচ্ছিকালের ভাবনা আর বৃদ্ধ বয়েসের ভাবনার সাথে কিছু তো তফাত থাকবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.