![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কোন মানুষ না.....মানুষের আকার আকৃতিতে একটা Virtual Charactar আমার ওয়েব http://www.eee-lab.com/
গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই অকার্যকর হয়ে যায় আমার ঢাকা ফোন সেটটি। অত্যান্ত কমরেট হওয়ায় এবং সকল ধরনের সুবিধা থাকায় আমি এর উপর বেশ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম। তাই এর হঠাৎ বন্ধ হওয়াতে আমি স্বভাবতই একটু হতাশ হই। পরে অবশ্য জানলাম অবৈধ ভাবে ভিওআইপি ব্যাবহারের কারনে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় তিনটি বেসরকারী ল্যান্ডফোন রেংকস টেল, ঢাকা ফোন এবং ওয়ার্ল্ড টেল। এর মধ্যে রেংকস টেল ও ঢাকা ফোন খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিল। এই ঘটনার উপরই আমার নিজস্ব কিছু মতামত এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা বলব আমার এই পোষ্টে।
ভিওআইপি কি আসলেই অবৈধ?
গত বছর ১ম ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্মেলনে অংশগ্রহন করেছিলাম। তাতে দেশের ইন্টারনেট ব্যাবস্থা নিযে আলোচনার সময় দেশের নেটওয়ার্কিং ব্যাবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা যেটা বারবার বলছিলেন তা হল সfরা বিশ্বে কোখাও ভিওআইপি অবৈধ নয়। এর কারন হল সবাই তার নিজের টাকায় ইন্টারনেট ব্যাবহার করে তাহলে তার নিজের টাকায় যদি সে অক্ষর (মেইল বা ম্যাসেজ) পাঠাতে পারে তবে তার ভয়েসও পাঠাতে পারবে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই্। এ বিষয়ে আভিজ্ঞ বেশীরভাগ লোকেরই মতামত যে এটা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব যাদের হাতে তারা নিছক বোকামী করেই নিরাপত্তার অজুহাতে এটাকে অবৈধ বলছেন।এমনকি তাদের বোকামী এমন পর্যায়ে যে তারা গতবছর একদিন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ভিডিও করফারেন্স চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন কেউ দেশের তথ্য পাচার করছে ভেবে।
তারপরও যেহেতু সরকার অনুমোদন করে না তাই এটিকে অবৈধই বলতে হবে। কিন্তু তারপরও কিছু কথা রযে যায় এবং আমি সে বিষয়েই পয়েন্ট আউটের চেষ্টা করব।
* ভিওআইপি যদি ঐসব কোম্পানী প্রথম থেকেই করে থাকে তাহলে এতদিন সরকার নীরব ছিল কেন?
* এখন যে বিপুল পরিমান গ্রাহক রয়েছে তার দায়দায়িত্ব কে নেবে? সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলেই না তারা কিনেছিল।
* এইসব কোম্পানির ক্যাশকার্ড এর ব্যাবসা যারা করতেন ঐ বিপুল পরিমান ক্যাশকার্ড নিমেষে সাধারন কাগজে পরিনত এখন। আর ব্যাবসা করতে যেয়ে পথে বসলেন যারা তারা তো এর জন্য দায়ী না, সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলেই না করছিল কিন্তু তাদের দায় কে নেবে?
* একই অপরাধে যদি গ্রামীন ফোনকে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া যায় তবে পিএসটিএন কোম্পানীগুলোকে কেন নয়?
* আরো একটি ব্যাপার লক্ষনীয় যে বন্ধ হবার তিনদিন পর হঠাতই কোম্পানীগুলো চালু হয়ে গিয়েছিল আবার বিনা নোটিশেই তা বন্ধ হয়ে যায়। আইনের মাধ্যমে হলে তো একটি ছিচকে চুরির সমাধানও এত তাড়াতাড়ি হওয়ার কথা না এবং হলেও তা আবার কেন পরদিনই বন্ধ হয়ে গেল তা সাধারনের কাছে আসলেই অব্যাখ্যাত
* আর ভিওআইপি করলে কি আসলেই দেশের তথ্য পাচার হয়? তাহলে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো কেন এই সেবাকে বৈধতা দিচ্ছে? নাকি তারা আমাদের বিশেষজ্ঞদের মত এত বোঝে না।
* আর ভিওআইপি বন্ধ করে কি আসলেই মানুষের আওয়াজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাওয়া আসাকে নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছে? স্কাইপ বা ইয়াহু মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তা কি যাচ্ছে না? কোন কিছুই আটকে নেই আটকে থাকবেও না, শুধু পিছিয়ে থাকছে সরকার আর পিছিয়ে দিচ্ছে দেশকে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭
সুইট বলেছেন: হূমম
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: ভিওআইপি করে যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে সরকারের উচিত বাংলাদেশের আইনে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া। আমার তো মনে বাংলাদেশের এক বাজেটের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে ভিওআইপি'র মাধ্যমে।
সরকারের লোকজনের চরম দূর্নিতিবাজি ও সরকারের থিঙ্কট্যাঙ্কের ব্যথতা তো অবশ্যই আছে ।
জনগনের টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছে তাদের বিচার তো অবশ্যই হওয়া উচিত
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০
সুইট বলেছেন: অবশ্যই উচিত তবে ভিওআইপি বন্ধ করে নয়
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: সরকার তো এখন ভিওআইপি বনধ করতেছে না , সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে (লাইসেন্স) প্রতিস্টানগুলো তো আছে। ওরা তো করতেছে ।
সরকার অবৈধগুলো বনধ করতেছে । এবং আওয়ামি সরকার এটা করবে তা কারোই চিন্তায় ছিলো না। হাসিনা নিজেই এই কাজটা করেছেন ।
দালালরা ভিওআইপি'র টাকা নিয়ে বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়ে এখন সেইখান থেকে প্রবন্ধ লিখে ওদের নাকি লজ্ঝা হয় কারন বাংলাদেশে ভিওআইপি অবৈধ । বাংলাদেশে ভিওআইপি অবৈধ কে বললো ?
এই রকম অনেক আছে। ভিওআইপি করে এখন ইউরোপে থাকে । ওখানে নাগরিকত্ব নিয়েছে ।
সরকারকে খাজনা না দিয়ে করাগুলো অবৈধ ।
উপযুক্ত শাস্তি চাই ওদের। দরকার হলে কোর্টে ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিব ।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভিওআইপি কি তা নিয়ে আমি বেশি গভীরে যাবো না। তবে প্রায় ছয় মাস দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের দেশ বতসোয়ানায় থাকতে আমি এই বিষয়টা নিয়ে কিছুটা কাজ করেছিলাম। আমার ল্যাপটপ থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশে খুব সস্তায় কথা বলতে চেষ্টা করেছিলাম। এবং সফলও হয়েছিলাম।
৭০/৮০ টাকা মিনিটপ্রতি ব্যয় হতো যেখানে সেখানে এই খরচটা মাত্র ৪/৫ টাকায় নামিয়ে এনেছিলাম শুধু ল্যপটপ ব্যবহার করে।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব যখন এক হতে চলেছে তখন ভিওআইপি বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।
আমি আমার ল্যাপটপ দিয়ে মোবাইলের মতো করেই যুক্ত থাকতে পারবো। এতে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকার প্রয়োজন নেই। আর সরকার তা ঠেকিয়েও রাখতে পারবে না।
বরং ব্যক্তি পর্যায়ে এটি উন্মুক্ত করে দিয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া ব্যবসায়কে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
ভিওআইপির আরও অনেক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা যেতো। ছোট্ট পরিসরে তা যাচ্ছে না। তবে সরকারের উচিত সবার জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া। একজন ব্যক্তির ইন্টারনেট সমৃদ্ধ একটি ল্যাপটপ থাকলেই সে ভিওআইপি কল/ব্যবসা করতে পারবে। মাসপ্রতি একটি চার্জ সরকার নির্ধারণ করে দিতে পারে।
অথবা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান এরকম ব্যবসায় করার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে সেই একই প্রযুক্তি সরকারও স্থাপন করতে পারে। এই কল টার্মিনেট করার জন্য যে চার্জ প্রযোজ্য হয় সরকারও সেই চার্জ ধার্য করতে পারে।
তথ্য পাচারের অভিযোগটি সরকারের মাথা মোটা তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানহীন আমলাদের/নীতি নির্ধারকদের অজ্ঞতার ফসল। নিজেরা আইটি নিয়ে কিছুই জানেনা এবং অপরকেও জানতে বাধা দিয়ে আমাদের পিছিয়ে রাখছে। বিশ্ব বাণিজ্য সম্পাদনে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এগুলো বুঝার মতো জ্ঞান আমাদের উপরের কর্তা ব্যক্তিদের কারও আছে কিনা সন্দেহ।
ভিওআইপি যত দ্রুত সবাই বুঝতে পারবে ততই মঙ্গল।
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভিওআইপি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেই যথেষ্ঠ। সরকার নিজেই এই যন্ত্রপাতির ব্যবসায় করতে পারে। অথবা ক্ষুদ্র/মাঝারি মানের ব্যবসায়ীরাও এই যন্ত্রপাতির ব্যবসায় নামতে পারে।
এই যন্ত্রপাতি বাদ দিয়ে শুধু নিজের ল্যাপটপ/ডেস্কটপ/মোবাইল ব্যবহার করেও ভিওআইপি কল করা যায়।
তাই এটি ব্যক্তি পর্যায়েও উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।
বিদেশে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ভিওআইপি কল টার্মিনেশন করে তাদের সাথে সরকার চুক্তি করে মোবাইল কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কমাতে পারে। বিদেশী মোবাইল কোম্পানিগুলো এদেশে চুটিয়ে ব্যবসা করে মুনাফা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং ভিওআইপির দোষ দিয়ে কি লাভ! এটি উন্মুক্ত হলে এই মোবাইল কোম্পানিগুলোর ক্ষতি। তাই তারা নিজেরাই গোপনে ভিওআইপি করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে এবং সরকারকে ঠুলি পরিয়ে রেখেছে আইনগতভাবে অনমুতি না দেওয়ার।
এগুলো যে সরকার কখন বুঝবে!
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩০
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: সরকারের গোষ্টি ............. ( শুন্য স্থানের শব্দটা সবরি জানা)
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩৪
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: "এমনকি তাদের বোকামী এমন পর্যায়ে যে তারা গতবছর একদিন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ভিডিও করফারেন্স চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন কেউ দেশের তথ্য পাচার করছে ভেবে "
বাংলাদেশে যা তথ্য আছে ....... আবার পাচারও হয়...... হা হা হা হা ..
এই বলদ সচীব মন্ত্রী-আমলাদেরকে নিয়া আর পারা গেল না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: $$$$$$$$$$$$$$$বাংলাদেশের ভিওআইপি রঙ্গ ও ভিওআইপির ইতিহাস$$$$$$$$$$$