![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডিজিটাল যৌন ব্যবসার কিছু অজানা কথা। যে কথা হয়ত কখনই জানা হয়ে ওঠেনা।হয়ত মানুষ সেভাবে ভাবেও না। ব্যস্ত এই শহরের পর্দার বাইরের খবর আমরা কেউ রাখতে চাইনা।রাখার প্রয়োজনও পড়ে না।মাঝে মাঝে ভদ্রতার খোলস ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসে কর্পোরেট ঢাকার অন্তরালের কিছু চিত্র।যেখানে অর্থের বিনিময়ে বিকিকিনি হয় কাম,দেহ ভিত্তিক ভালোবাসা নামক এক আপেক্ষিক বস্তু ।এ জগতের মানুষগুলোর খবরও আমরা রাখি না।রাখতেও চাইনা। এবার আসল কথায় আসি।
নারীরা কেন যৌন কর্মী হবে? সমাজ, ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) যেরকম সুন্দর অধিকার দিয়েছে নারী-পুরুষকে তাতে এ পেশা কোন মানুষের (পুরুষ ও মহিলা) জন্য গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। শুধু বাংলাদেশে নয় এখন ভারতের যৌন পল্লীগুলোতে যেভাবে বাংলাদেশী নারীদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমাদের কি কিছুই করার নেই? আজ একটি অনলাইন দৈনিকে দেখলাম- – দিল্লীর একটি বেসরকারী সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে যে কি হারে ভারতের যৌনপল্লী গুলোতে বাংলাদেশের যৌনকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে।
খবরটিতে বলা হয়েছে-
ভারতের বিভিন্ন শহরের যৌনপল্লীগুলোতে বাংলাদেশি নারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দিল্লিভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘শক্তি বাহিনী’র সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটি কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাইসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে এ জরিপ চালায়।
সংস্থাটির সদস্য সুবীর রায় জানান, সম্প্রতি মুম্বাইয়ের বিভিন্ন যৌনপল্লী থেকে ১৫০ ও দিল্লির যৌনপল্লী থেকে ৮০ বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করে শহর দু’টির বিভিন্ন পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজেই অসহায়, গরিব বাংলাদেশি নারীদের ভারতে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। তবে বৈধ পাসপোর্টে এসেও কোনো কোনো নারী এ ধরনের পেশায় জড়িয়ে পড়ছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, ও মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দুর্বল সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ সকল সীমান্ত দিয়ে মানবপাচার চালাচ্ছে নারী পাচারকারীরা। - তথ্য
এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের নারী নেত্রীরা কেন প্রায়ই চুপ থাকেন। এই বিষয়টি কি নারীদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে না? এতে কি নারীদের সমঅধিকার বিঘিœত হচ্ছে না?
এখন সময় নারীদের অসামাজিক যৌনকর্ম প্রতিরোধ করার। নিজেদের সম্মান রক্ষা করার। সেটা বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের বাইরে যেখানেই হোক।
বাংলাদেশে যৌনকর্ম ছাড়া অনেক কর্ম আছে যা করে তারা নিজেদের জীবণ সুখে অতিবাহিত করতে পারে।
আমি জানিনা কতজন নারী স্বইচ্ছায় যৌনকর্মী হয়। এই পেশায় কোন নারী স্ব-ইচ্ছায় আসতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। তবে দেশে বা দেশের বাইরে গিয়ে যারা যৌনকর্মী হয় তারা বেশীরভাগ সময় প্রতারনা আর পাচারের স্বীকার হয়েই এই অসমাজিক নিকৃষ্ট পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়।
যৌন কর্মীদের ঈদ আনন্দ
যারা নারীদের প্রতিনিধি হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত তাদের উচিত - বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ নয়, যেখানেই নারীদের মর্যাদা হুমকীর সম্মুখীন সেখানেই কঠোর প্রতিরোধ করতে হবে।
নারীরা আমাদের মা, নারীরা আমাদের বোন, নারীরা আমাদের স্ত্রী, নারীরা আমাদের সন্তান - তাই তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান জানাই।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
নীল ভোমরা বলেছেন: ভয়াবহ তথ্য!
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: বেশ আগে একটা সংবাদপত্রে পড়েছিলাম বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য মহিলা কথাসাহিত্যিক (নামটা সেলিনা চৌধুরী বোধহয়) বলছেন, পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। নারী বিষয়ক কোনো আলাপআলোচনা হলে কিংবা নারী দিবস এলে সাংবাদিকরা ছুটে যান এসব কথাসাহিত্যিক আর তথাকথিত নারী কর্মীদের কাছে। অথচ নারীকে চরমভাবে অপমান করে এমন সব বিষয়ে এসব নারীবীদ গন নীরব। আবার নারীকে অসম্মানজনক ভাবে উপস্থানকে তারা জাস্টিফাই করেন, এটা নাকি তাদের অধিকার।
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: উদ্বেগজনক, খুবই উদ্বেগজনক। আর ভালো লাগে না এইসব শুনতে। আমাদের মানবোধিকার ও সুশীল সমাজ সন্মণ্ধে নতুন করে কিছু বলবার নেই, এরা হছে দুধের মাছি।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০২
আবাবিল৬৯১৯ বলেছেন: আমরা সবাই এর জন্য দায়ি ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু পারছি না। শুধু এতোটুকুই কামনা এ চক্র থেকে আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি।