নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাওয়াহা (রাঃ) কবিতার/আবৃত্তি শুনতে চাই কন্ঠে আপনার/খানসা (রাঃ) এর মতন / চাই শোনাতে / হে প্রিয় রাসূল পেতে চাই স্হান/সেই আসরে জান্নাতে।

Salina Alam

Salina Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

# রিদওয়ান বা রিজওয়ান, (আরবি: رضوان)

১৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:১৯

রিদওয়ান শব্দের অর্থ কি?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা'র সন্তুষ্টি।
আর বলো দেখি
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার তুষ্টি
কোন কাজে কিভাবে
পাওয়া যাবে?

যখন করবে তালাশ প্রতি কাজে
এবং চলবে তাঁর দেখানো
সিরাতাল মুস্তাকিমের পথে;
নিজেকে করবে সমর্পণ নিজ মর্জি বাদে
রবের ইচ্ছার কাছে নিজে থেকে নিজে।

রিদওয়ান বা রিজওয়ান হলো
একজন ফেরেশতা নাম।
জান্নাতে জান্নাতীদের অভ্যর্থনার প্রস্তুতিতে রত
যিনি জান্নাতের দরজা পাহারা দেন।
আমাদের নবীজী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য
সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবেন
এবং নবীজীকে অভ্যর্থনা জানবেন।

সেই নামের বরকতে
নেমে আসুক এ-ধরাতে
উসিলা হয়ে রহমত ও হেদায়েত!
এবং সর্বদা লেগে থেকে
অন্বেষণ করে নিয়োজিত রেখো নিজেকে
তোমার রবের সন্তুুষ্টি তালাশে।

জীবনের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে
জীবন পরিচালিত করিয়ো দুনিয়ায়
যতদিন হায়াত রবে।

জান্নাতের রক্ষকের দায়িত্বশীলের ভূমিকায়
নিয়োজিত সেই ফেরেশতার নামের উসিলায়
হেদায়েতের জরিয়া হইয়ো;
জাহান্নামের পথ থেকে সরিয়ে
জান্নাতে নিয়ে যেতে
মানুষের নাযাতের উসিলা হয়ে রইয়ো।

জান্নাতের দায়িত্বশীল ফেরেশতার মত
সৎকর্মশীল হয়ে নিজেকে বানিয়ো
তোমার রবের নিকটে প্রিয় ও সম্মানিত।

-- ---- ------------- ------- ------------------------------------------

কুরআনে সূরা মায়িদার ১৬ নং আয়াতে
উল্লেখ করা হয়েছেঃ-

যাহারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায়, ইহা দ্বারা তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।

**ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন: আল্লাহ্‌ তাআলা জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদাবান রক্ষকের নাম রেখেছেন: رضوان (রেদওয়ান)। এ নামটি الرضا (সন্তুষ্টি) শব্দ থেকে উদ্ভূত।

মুনাওয়ি বলেন: "জান্নাত রক্ষা করার দায়িত্বপ্রাপ্তকে বলেছেন খাযেন (ভাণ্ডার-রক্ষক)। কেননা জান্নাত হচ্ছে- আল্লাহ্‌র ভাণ্ডার; যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন...।

আপাত অর্থে জান্নাতের রক্ষক শুধু একজন। কিন্তু, আসলে সেটা উদ্দেশ্য নয়।

দলিল হচ্ছে আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস: "যে ব্যক্তি কোন জিনিসের এক জোড়া আল্লাহ্‌র রাস্তায় ব্যয় করবে জান্নাতের প্রত্যেক দরজার রক্ষকরা তাকে ডাকবে: আস"।

এবং জান্নাতের রক্ষক একাধিক হওয়া মর্মে সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত অন্যান্য হাদিস।
তবে, রেদওয়ান হচ্ছেন- তাদের মাঝে সর্বাধিক মর্যাদাবান ও নেতা। আর সর্বাধিক মর্যাদাবান রাসূলকে অভ্যর্থনা জানাবে সর্বাধিক মর্যাদাবান রক্ষক।"[ফায়যুল কাদির (১/৫০) থেকে সমাপ্ত]

হাফেয ইবনে কাছির (রহঃ) ফেরেশতাদের সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন:

"তাদের মধ্যে রয়েছেন জান্নাতের দায়িত্বে রত, জান্নাতীদের অভ্যর্থনার প্রস্তুতিতে রত এবং জান্নাতের বসবাসকারীদের মেহমানদারির পরিবেশ তৈরীতে রত; যেমন জান্নাতীদের পোশাক, অলংকার, বাসস্থান, খাবারদাবার ও পানীয় ইত্যাদি যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং কোন মানুষের কল্পনায়ও আসেনি। জান্নাতের রক্ষক হচ্ছেন একজন ফেরেশতা। যার নাম হচ্ছে- রেদওয়ান। কোন কোন হাদিসে তার নাম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে।"[আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১/৫৩) থেকে সমাপ্ত]

সহিহ হাদিসসমূহে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তার উপাধি হচ্ছে- খাযেন (রক্ষক); নাম নয়।
শাফায়াতের হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন: "কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় আসব এবং দরজা খুলতে বলব।
তখন রক্ষক বলবেন: আপনি কে?
আমি বলব: মুহাম্মদ।
তিনি বলবেন: আপনার জন্য খোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আপনার আগে আর কারো জন্য খুলব না।"
[সহিহ মুসলিম (১৯৭)]

------RabAh ✍️
----১৯ শে-- মার্চ--২০২৫ইং

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.