![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বরাবরই ট্রেনে যাতায়ত করতে পছন্দ করি। ঢাকা থেকে সিলেটে যাওয়ার জন্য বেশির ভাগ সময় আমি রাতের ট্রেনেই যাই। তবে এক্ষেত্রে বিশাল একটা ঝাঁমেলা হল টিকেট কাটা। প্রথম দিকে কয়েকবার এই ঝামেলা মেনে নিয়েই ট্রেনে যাতায়ত করেছি। কিন্তু আস্তে আস্তে সময়ের অভাব আর হঠাৎ করে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে এখন আর আগে থেকে টিকেট কাটতে পারি না।
একবার সন্ধাবেলা সিদ্ধান্ত নিলাম সিলেট যাব। রাত ৯ টায় ট্রেন। ৮ টার সময় গিয়ে পোঁছালাম কমলাপুর রেলস্টেশনে। গিয়ে দেখি শোভন চেয়ার, শোভন কোন ধরণের টিকেটই নেই। কাউন্টারের লোকটা বলল, স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়েই উঠে পরেন। ট্রেনে উঠে যে কোন স্টাফকে ম্যানেজ করলেই সিট পাবেন। অবশেষে স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়েই ট্রেনে উঠলাম। আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ঢাকা-সিলেটের রাত্রি বেলার ট্রেনে টিকেট না থাকলেও অনেক সিট কিন্তু ঠিকই খালি থাকে। তাই এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করে ১৫-২০ মিনিট পরে একটা খালি সিটে বসে পরলাম, যেটার আশেপাশে আর কয়েকটা সিট খালি আছে। পরে দেখলাম ট্রেনের স্টাফরা দুই তিনজনকে এনে এদিক সেদিক বসাচ্ছে। এটা হল ম্যানেজিং। যাই হোক আমি ম্যানেজিং না করেই ভাল ভাবেই বসে আসলাম।
এখন আর আগে থেকে টিকেট কাটার ঝামেলায় যাই না। ট্রেন ছাড়ার ঘণ্টা খানেক আগে স্টেশনে গিয়ে কোন টিকেট না পেলে স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটেই উঠে পরি। ব্যাস............
চিন্তা করি এত গুলো সিট ফাকা অথচ কাউন্টারে টিকেট পাই না!!!! এর সদুত্তর হতে পারে দুইটাঃ
১। অনেক লোকই টিকেট কাটার পরও যাতায়ত করে না।
২। কিছু ষ্টেশন তাদের জন্য বরাদ্দকৃত টিকেটের যাত্রী পায় না। (এই ব্যপারে আমি ক্লিয়ার না)
এর বাহিরে মনে হয় আর কোন সদুত্তর নেই। বাকি গুলো ‘কদুত্তর’ (আমার মনে হয় এইটাই মূল কারণ)।
সদুত্তর গুলো সামাধানে নিচের কয়েকটি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে......।
১। ঈদের সময় ছাড়া অন্যান্য সময় মাত্র একদিন আগে থেকে টিকেট বিক্রি শুরো করা।
২। বিভিন্ন স্টেশনে যদি আলাদা টিকেটের কোটা থাকে তবে যাত্রার এক ঘণ্টা আগে অবিক্রিত টিকেট যে কোন স্টেশন থেকে বিক্রির ব্যবস্থা রাখা।
৩। কেউ যদি যে কোন কারণে যাত্রা বাতিল করতে চায় তাহলে স্টেশনে গিয়ে আসল দামে টিকেট বিক্রি করে দেয়া, অথবা নিয়মমাফিক ভাবে পারলে টিকেট বাতিল করা। (অনেক পয়সাওয়ালারা মনে হয় এটা করেন না)
কদুত্তরের কোন সমাধান আমার মাথায় নাই। এই ব্যপারে সিস্টেম আছে, কিন্তু প্রয়োগ নাই। আর অপরাধীরা সবসময়ই আইনের আগে চলে।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
সাদা রং- বলেছেন: গত ২.৫ মাস আগে কমলাপুর থেকে আমার ফ্যামলি কুমিল্লা যাবার জন্য সিট না পেয়ে স্ট্যাডিং টিকিট করি, যেহেতু ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়ে তাই তনেক সিট খালি থাকে, আমরাও সুবিধামত দুইটা সিটে বসে পড়লাম, কুমিল্লা পর্যন্ত কোন যাত্রি ঐ সিটের দাবি করল না।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০
সালমান ফার্সী বলেছেন: আমি কিন্তু একদম সিলেট পর্যন্তই যাই। বেশিরভাগ সময়ই সিটের দাবীদারের দেখা পাই না।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের প্রতিটা সিস্টেমই ফাউল
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
সালমান ফার্সী বলেছেন: সিস্টেম অতটা ফাউল না। যারা সিস্টেম প্রয়োগ করার জন্য নিয়োজিত তারাই মূল ফাউল।
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
আহলান বলেছেন: এভাবেই দেশ এগিয়ে চলছে ,ভাবতে ভালোই লাগে .... কারোর কোন দিকে খেয়াল নাই .... এভাবে একটি পরিবারই চলতে পারে না, দেশ চলবে কিভাবে?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
সালমান ফার্সী বলেছেন: ঔপন্যাসিক সরফুদ্দিন শিকদার তার 'ঘাসকাঠা গপ্প' বইয়ের এক জায়গায় বলেছিলেন... "ব্রিটিশরা এই দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় সজোরে একটা লাথি দিয়ে গিয়েছিল। তাই এই দেশটা এখনও গড়িয়ে গড়িয়ে চলছে। এই গতি শেষ হয়ে গেলে এক সময় দেশটা থেমে যাবে".........
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: এটা আমিও খেয়াল করেছি। একটা চক্র এখানে কাজ করে। দেশের বারোটা বাজাচ্ছে।